https://drive.google.com/file/d/1ygKWMpCm6rlcSkTRTqNRVjW2lgDJhA9L/view?usp=drivesdk
নাম: সানজিদা খানম আইডিঃ ২১২-১৫-৪১৫৮ সেকশনঃপিসি-বি ডিপার্টমেন্ট:সিএসই
শিক্ষায় দর্শন, দর্শনের শিক্ষা অনুষ্ঠানের ১০ পর্বের ভিডিওটি দেখে যা বুঝতে পারলামঃ
শিক্ষায় দর্শন, দর্শনের শিক্ষা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধেয় রাজু স্যার। অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে ছিলো বিশিষ্ট শিক্ষক, কলামিস্ট ও লেখক জনাব সলিমুল্লাহ খান। স্যার আমাদের শিক্ষার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। স্যার মূলত ভাষা ও দর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন।স্যার দর্শনের একটি সুন্দর সহজ সংজ্ঞা দিয়েছেন। শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে কথা প্রসঙ্গে স্যার আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া কথা তুলে ধরছেন । তবে আমরা ছোট বেলা থেকে ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণের পরও আসলেও অধিকাংশ ছাত্র ই সঠিক ভাবে ইংরেজি বলতে পারে না। অতপর উচ্চতর শিক্ষা ইংরেজি নির্ভর হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিরুউৎসাহী হয়ে যাচ্ছে।মূলত যে শিক্ষায় আনন্দ নেই এবং জোর করে পড়ানো হয় তা শত পড়লেও সঠিক ভাবে আয়ত্বে আনা যায় না তা সলিমুল্লাহ স্যারে কথায় স্পষ্ট। স্যার অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জাপানের উদাহরণ দিয়েছে। জাপানে সরকারি-বেসরকারি সকল কিছু তাদের নিজেদের ভাষায় করা হয় যার ফলে তারা আজ এতো উন্নতি করতে পেরেছে। যে শিক্ষায় আনন্দ পাওয়া যায় তার ফলাফল সবসময় ফলপ্রসূ হয়। তাছাড়া স্যার সত্য কথা বলার সৎ সাহস যে আমাদের শিক্ষকদের কিংবা বড় কিংবদন্তিদের ও নেই তা নিয়ে ও আলোচনা করেছেন। স্যার বলেছেন শিক্ষকদের ও শিক্ষার প্রয়োজন।। তিনি নোবেল বিজয়ী অমত্য সেনের কথা বলেছেন। প্রকৃত "অর্থে নোবেল''মূলত অর্থনীতিতে কোনো নোবেল দেওয়া হয় না। সুইডেনের ব্যংক থেকে অমত্য সেন কে নোবেল দেওয়া হয় যা প্রকৃত অর্থে নোবেল বিজয় না যা অমত্য সেন জেনেও ও স্বীকার করার মত সৎ সাহস দেখাতে পারে নাই। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকদের সীমাবদ্ধতা এবং ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে
ও আলোচনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইংরেজি কোন বই অনুবাদ করতে না পারার অপারগতার কথা ও বলা হয়েছে। সলিমুল্লাহ স্যার বাংলা একাডেমি কর্তৃক পরিবর্তিত বানানের অপ্রয়োজনীয়তা নিয়ে ও কথা বলেছেন। স্যারের ভাষ্য মতে সঠিক জায়গায় সঠিক মানুষের অভাবে আমরা এতো পিছিয়ে আছি। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শ্রদ্ধেয় রাজু স্যার বলে ছাত্ররা পরীক্ষার খাতায় নকল করে আর স্যাররা প্রশ্ন পত্রে যা আমাদের শিক্ষার ব্যর্থতাকে আরও স্পষ্ট করে। সর্বোপরি উক্ত অনুষ্ঠানে আমাদের শিক্ষার ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষা কে সহজতর করার লক্ষ্য মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যাবস্থা শুরু করার সম্ভাবনা দেখিছেন পথ খুজে বের করেছেন প্রসঙ্গে ক্রমে তিনি পিএইচডি তে শর্ত স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন প্রস্তাবটি হলো প্রত্যেক কে একটি করে যে কোনো ভাষার বইঃ রুশ, চায়নিজ, ইংরেজি, গ্রিক যে কোনো ভাষার একটি বইকে বাংলায় অনুবাদ করতে হবে।। স্যার বোঝাতে চেয়েছেন দর্শন বোঝা যেমন কঠিন বিষয় নয় তেমনি চাইলেই শিক্ষা ব্যাবস্থার ভুল ভ্রান্তি সুধরানো সম্ভব এটাও কঠিন কোনো বিষয় নয়