লেখাটির প্রকাশভঙ্গি পাঠকমনে খুবই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে নিঃসন্দেহে। তাছাড়া আলোচ্য প্রত্যেকটি বিষয়ের তাৎপর্য নিখাঁদ মূল্যায়নে অলংকৃত হয়েছে। আমার কাছে এই একটি চিঠিকেই মনে হয়েছে আমার, আমার প্রানপ্রিয় বন্ধুদের, লাইব্রেরিতে আমার পাশের বাঞ্চে বসে থাকা অচেনা ভাইটির- তথা আমার মতো প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের একটি সার্থক সারমর্ম।
আমাদের জীবনটা অনেক সংক্ষিপ্ত।আমরা জানি না যে আমরা কতদিন বাঁচব আর কতক্ষণ বাঁচতে পারবো। কিন্তু এই ছোট্ট জীবনে আমাদের আসলে সুন্দরভাবে বাঁচতে হবে।আমাদের সকল নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে এবং ইতিবাচক দিকগুলোকে আয়ত্ত করতে হবে।সব সময় মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, মানুষের ভালোর জন্য কাজ করতে হবে তবে বিনিমযয়ে কিছু আশা করা যাবে না।জীবনে সহনশীলতা, আপন স্বতন্ত্রতা, জীবনের সংক্ষিপ্ততা,সম্পর্ক, সাফল্য, বাবা-মা এর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, আমাদের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা, তাঁদের প্রতি আমাদের কর্তব্য - ইত্যাদি ব্যাপারগুলো আমার নিজস্ব জীবন ও পরিবারের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
পরিশেষে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাবা এবং মা কে, এবং একই সাথে সম্মানিত শিক্ষককে যিনি এই অসাধারণ লেখনিটি আমাদের প্রদান করে সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের জীবনের এত গুরুত্বপূর্ণ আবেগ ও ভাবনাগুলো বোঝানোর জন্য।