Art of Living

Shikkhar Herfer by Tagore

Shikkhar Herfer by Tagore

by Muhammad Sajidul Islam -
Number of replies: 33

Write the summary of article Shikkhar Herfer by Rabindranath Tagore (Words 200) 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Z. M. Tarik Azim -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, আমরা শুধু ইউনিভার্সিটির বই থেকে শিক্ষা গ্রহন করে থাকি। আসলে এই শিক্ষা দিয়ে শুধু চাকরি পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষ হওয়া যায় না। প্রকৃত মানবধর্ম শিখা যায় না। যতটুকু শিক্ষা আবশ্যক তারই মধ্যে কারাবন্দি হয়ে থাকা মানবজীবনের ধর্ম নয়। শুধু বই থেকে জ্ঞান নিলে মানুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বুদ্ধিবৃত্তির দিক দিয়ে বালকই থেকে যায়। এর প্রধান কারন হচ্ছে, বাল্যকাল থেকে শিক্ষার সাথে আনন্দ নেই। যা দরকার তা মুঘস্থ করে, পরীক্ষায় লেখে আস্তে পারলেই হয়। কিন্তু সেই শিক্ষাকে হজম করতে কিছু সহায়ক বই দরকার। কোনো শিশু এইসব বই পড়া শুরু করলে, তার গুরুজনরা তা ছিনিয়ে নেয়। কারন তা চাকরির ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে না। ছোটবেলায় থেকে মুঘস্থ বিদ্যার উপর জোর না দিয়ে, চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি উপরও সমান জোর দিতে হবে। এতেই বালক মানবধর্ম শিখতে পারবে। বাল্যকাল থেকে যদি ভাষা শিক্ষার সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সাথে সমস্ত জীবন-যাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটি যথার্থ সামঞ্জস্য তৈরি হবে। আমরা চাকরি লাভের আশায় যে শিক্ষা গ্রহন করি, দৈনিক জীবনে যে তার কোনো ব্যবহার নেই তা সবাই জানি। এই শিক্ষা আমাদের চরিত্র গঠন করতে পারে না। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমাদেরকে সুষ্ঠু বাংলা ভাষা শিখতে হবে। বাংলা ভাষা চর্চা করার জন্য অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে। ইংরেজি ভাষা অতিমাত্রায় বিজাতীয় ভাষা। পাঠ্য-পস্তুক এর ইংরেজি ভাষা দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না। এইজন্য শিশুকাল থেকেই বাংলা সাহিত্য চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। পাঠ্য-পস্তুক এর শিক্ষায় আলোকিত না হয়ে, আমাদেরকে সর্বজনীন শিক্ষায় আলোকিত হতে হবে। এতেই আমরা হয়ে উঠবো পূর্ণাঙ্গ মানুষ।

Name - Z. M. Tarik Azim
ID - 213-51-051
Department - ITM (Information Technology & Management)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Joy Mondal -
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মাধ্যমে আমাদের উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং এর দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন। আমাদের উচ্চশিক্ষার পাঠ্যপুস্তক বা তার সহপাঠগুলোর বাংলা ভাবার্থ অনুবাদ না থাকায়, আমরা বিদেশি ভাষার লেখা পাঠ্যপুস্তকগুলোকে গলাধঃকরণ করি। যা কেবলমাত্র পরীক্ষা পাস এর জন্যই পড়ে থাকি। কেননা, ঐ বিদেশি ভাষার পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হতে পারিনি। এর কারণ খুঁজলে দেখা যায়, প্রারম্ভিক শিক্ষায় আমরা এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ পরীক্ষা পাসের জন্যই পড়িয়েছেন এবং আমরাও পড়েছি। যার ফলে ইংরেজি ভাষার উপর আমাদের দখল ভাসাভাসাই রয়ে গিয়েছে। আমরা ইংরেজি সাহিত্যের এবং ভাবের মধুরতা স্বাদই পাইনি। আবার যখন অনুবাদ পড়ে ভাবের অনুসন্ধান করতে গিয়েছি তখন অনুবাদক ভাবেরই পরিবর্তন করে দিয়ে আমাদের সেই ইচ্ছাতেও সে গুরে বালি করে দিয়েছেন। ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটেছে কিন্তু পরাধীনতা আমাদের মনের মধ্যে রয়েই গেছে। আমরা প্রতিনিয়তই ইউরোপীয়দের অনুকরণ করি। হোক তা ভাষায় বা তাদের পোশাক। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরবাসের শিক্ষার প্রতি যে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে, তার কিছু অংশ যদি বাংলা ভাষা শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, তবে আজ আমাদের এই প্রবন্ধের সারমর্ম লিখতে এত চিন্তা ভাবনা ও ব্যতিব্যস্ত হতে হতো না। যাই হোক যেহেতু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ইংরেজি ভাষা শিক্ষার জন্যে এত উতলা, তাই আমাদের ভাষাটি শিখতে হবে কিন্তু তা বলে রসহীন ইংরেজি ভাষা নয় বরং ভাবের অনুবাদ করা ইংরেজি ভাষা।

Joy Mondal
Id : 203-23-989
Department : Textile Engineering (TE)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Md. Arafat Ali Bhuiyan -
Name - Md. Arafat Ali Bhuiyan
ID - 203-23-987
Department of Textile Engineering

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মাধ্যমে আমাদের উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং এর দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবসময়ই গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজের জাতি, সমাজ ও দেশকে উত্তমরূপে জানা, বৃহত্তর মানবিক নীতিবোধ দিয়ে নিজেদের সংশোধন করে চলা এবং বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল না থেকে আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠা এসবই ছিল তাঁর প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য। শিক্ষার হেরফের অর্থাৎ শিক্ষার বিশৃঙ্খলা। আমাদের শিক্ষায় কি কি অপরিপূর্ণতা রয়েছে এবং আমাদের শিক্ষাকে পরিপূর্ণ করতে হলে কি কি করা উচিত তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ প্রবন্ধ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তারই মধ্যে কারারুদ্ধ হয়ে থাকা মানব জীবনের ধর্ম না অর্থাৎ যা কিছু আমাদের জন্য আবশ্যক সেগুলো বাদেও আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে যেগুলো ছাড়া আমরা জীবনে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি না। আমাদের অত্যাবশ্যক শিক্ষার সাথে স্বাধীন শিক্ষার পাঠ না করিলে আমরা সঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারিনা। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বাল্য অবস্থা থেকেই ইংরেজী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু এই ইংরেজি বইয়ের গল্পের সাথে আমাদের বাংলার ছেলে-মেয়ের বাস্তবিক জীবনের গল্পের কোন মিল নেই।তাই তারা এ শিক্ষাকে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়তে পারে না যার কারণে এই শিক্ষা অপরিপূর্ণ থেকে যায় । আবার এর সাথে সাথে বাংলা টাও কোন রকম পড়ানো হয়। এই কারণে আমাদের দেশের মানুষেরা বাংলার প্রকৃত শিক্ষা বা জ্ঞান রাখে না। তিনি বলেন ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরবাসের শিক্ষার প্রতি যে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে, তার কিছু অংশ যদি বাংলা ভাষা শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, তবে আজ আমাদের এই প্রবন্ধের সারমর্ম লিখতে এত চিন্তা ভাবনা ও ব্যতিব্যস্ত হতে হতো না। তারা কোনো রকমেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলেও তারা এই শিক্ষা অন্তঃস্থ করে না যার কারণে এই শিক্ষার দ্বারা তাদের কোনো বিকাশলাভ ঘটে না। বাস্তবিক জীবনে তারা এই শিক্ষার কোন প্রয়োগ করতে পারে না। আমরা যা পড়ছি আমরা সঙ্গে সঙ্গেই কাজে লাগাতে পারছি না তার সম্বন্ধে আমরা ভাবছি না। যার কারণে এ শিক্ষা আমাদের কোনো প্রয়োজনই আসছে না। শিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে সেই শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা শক্তি দিয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে।বাল্যকাল থেকেই আমাদের চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানো উচিত। এর ফলে আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by sadia afrin neshe -
"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাত্রসমাজ ও অভিভাবক সমাজের অপারগতার পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছেন। শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী জ্ঞানঅর্জনের সীমাবদ্ধতা এবং শিক্ষক এবং অভিভাবকগণের সংকীর্ণতার চিহ্ন এই প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রাবন্ধিক সুস্পষ্ট করেছেন। শুধু মাত্রা নির্ধারিত কিছু শ্রেণীপাঠ্য ও যৎসামান্য সাহিত্য ও শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ। আমরা প্রতিনিয়তই ইউরোপীয়দের অনুকরণ করি। হোক তা ভাষায় বা তাদের পোশাক। চাকুরি করতে যেটুকু বিদ্যা প্রয়োজন তা লাভ করতে গিয়ে আমরা অনেক বিদেশি ভাষার সাথে পরিচিতি হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের অপটুকতের কারণে বিদেশি ভাষার সাথে আমাদের আর একাত্ম হয়ে ওঠা হয় না। যেখানে আমাদের নিজস্ব ভাষায় রচিত সাহিত্য আমাদের নিকট তার সৌন্দর্য ও মাধুর্য প্রকাশ করতে অপারগ, সেখানে বিদেশী ভাষার সাথে একাত্ম হওয়া হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা শিশুকাল থেকে শুধু স্মরণশক্তির উপর করে কেবল পরীক্ষায় পাসের জন্য নিরসপাঠ্য বই পড়েছি। যা আমাদের বুদ্ধির যথাযথ বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। বিদেশী ভাষার সাথে আমাদের পরিচয় কয়েকটি বাক্য মুখস্তের উপর ভিত্তি করে যার ভাবার্থ আমাদের নিকট সম্পূর্ন নয়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরবাসের শিক্ষার প্রতি যে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে, তার কিছু অংশ যদি বাংলা ভাষা শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, তবে আজ আমাদের এই প্রবন্ধের সারমর্ম লিখতে এত চিন্তা ভাবনা ও ব্যতিব্যস্ত হতে হতো না। তাই আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের জন্য পাঠ্যবইয়ের বাইরে এবং সাহিত্য পড়াটাও অত্যন্ত জরুরী। অন্যদিকে বিদেশি ভাষার পটু হতে হলে, ভাষার ভাব-গাম্ভির্য অনুধাবন করাও প্রয়োজন।

Sadia Afrin Neshe
Id : 203-23-985
Department : Textile Engineering (TE)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Sajjad hossain Shourov -

অত্যাবশ্যকীয়তা অবশ্যই রয়েছে,তবে তাহার মধ্যে রুদ্ধ হয়ে থাকা কোনো সমাধান নহে।আমাদের দেহ সাড়ে তিনহাতের মধ্য আবদ্ধ,কিন্তু তাহার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিলে চলবেনা। স্বাধীনভাবে চলাফেরা না করিতে  পারিলে যেমন স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটে, ঠিক তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রে শ্রেয়।শিশুরা বাল্যকাল থেকেই পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকে,যার ফলে বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে সে অনেকটা অনভিজ্ঞতার পরিচয় দেয়।

কাজেই বাঙালি ছেলেদের নিজেদের অভিধান ব্যতিত অন্য সাহিত্য সংস্কৃতির দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই বলাই বাহুল্য।ফলে শিশুকাল হইতে পড়া মুখস্থ ছাড়া কোনো উপায়ন্তর নাই।অন্যদেশের ছেলেরা যখন নানা আনন্দে মেতে থাকে,বাঙালি ছেলেরা তখন পাশের পড়া পড়ে হতবিম্ব হয়ে পড়ে। ফলে শারিরীকভাবে বিকাশ ঘটিলেও মানসিকভাবে পরিপক্ক হয়ে উঠতে পারেনা এবং এর কারণ হিসেবে প্রাবন্ধিক মনে করেন,বাল্যকাল থেকে আমাদের শিক্ষার সাথে আনন্দের মিশ্রন নেই,সাময়িক কাজ হয়ত হয়ে যাই কিন্তু শিক্ষার ব্যঘাত রয়ে যায়।চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি জীবন চলার পথে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে মনে করেন আমাদের প্রাবন্ধিক। যদি এগুলার চর্চা না করা হয় তবে কাজের সময় বিপাকে পরতে হয়।শিশুকাল হতে শুধু স্মরণশক্তির দিকে একচেটিয়া না হয়ে  সমপরিমানে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির দিকে নজর দিতে হবে।আমাদের নিরস শিক্ষাব্যবস্থার কারণে  জীবনের শিশুকাল,বাল্যকাল,যৌবনকাল অজরেই শেষ হয়ে যায়।শুধুমাত্র কতগুলো বোঝা টেনে জীবনের ২০-২২ বছর অঅতিবাহিত করে।শুধুমাত্র এই নিরস শিক্ষাব্যবস্থার কারণে পরিপক্কভাবে বিকাশ ঘটেনা।শিশুকাল হতেই যদি ভাষার সাথে ভাবের সম্পর্ক হয় এবং ভাবের সাথে যদি সমস্ত জীবনপথ  নিয়মিত হয়,তবেই যথার্থ সঞ্চালন জীবনের মধ্যে হতে পারে বলে মনে করেন আমাদের প্রাবন্ধিক। প্রতিকূলতা তখনেই আসে যখন ভাবের সাথে ভাষার সামঞ্জস্য থাকেনা।এ বিষয়ে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক একটি গল্পের অবতারণা করেছেন,একজন দরিদ্র ব্যক্তি শীতকালে অল্প অল্প করে পুজি করে যখন শীত বস্ত্র কিনার সামর্থ্য অর্জন করত,তখন গ্রীষ্ম এসে যেত,আবার গ্রীষ্মকালে যখন শত চেষ্টা করে বস্ত্র উপার্জনে সক্ষম হত,ততক্ষনে অগ্রাহায়নের মাঝামাঝি,তখন দেবতা তার দৈন্য দেখে বর দিতে চাইলে সে তার জীবনের হেরফের গুছিয়ে দিতে বলে,ঠিক তেমনি আমাদের প্রাবন্ধিক বুঝিয়েছেন,জীবনের হেরফের মিটে গেলে জীবনের স্বার্থতা চলে আসবে।সময়ের বিচক্ষণতা চলে আসলে জীবনের দৈন্যতা চলে যাবে প্রাবন্ধিকের মতে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Bapon Chandra Podder (203-23-993) -
Name - Bapon Chandra Podder
ID - 203-23-993
Department of Textile Engineering

শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের কয়েকটি মূল কথাঃ

১) আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সেই সাড়ে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না।

= আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাত হলেও আমরা থাকার জন্য সাড়ে তিন হাত ঘর নির্মান করি না। আমরা ডয়িং রুম, বেড রুম, কিচেন রুম, আরো অনেক রুম তৈরি করি আমাদের থাকার সুবিধার জন্য। তেমনি আমরা যদি আমাদের সন্তান দের পাঠ্যপুস্তকের সীমাবদ্ধ পাঠের মধ্যে আটকে রাখি তবে তাদের মনের বিকাশ সম্পূর্ণভাবে ঘটে না। আমাদের উচিৎ তাদের পাঠ্যপুস্তকের সীমাবদ্ধ পাঠের মধ্যে না রেখে তাদের স্বাধীন পাঠ গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া। এতে তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে।

২) ছেলেদের এমন করিয়া বাংলা শেখানো হয় না যাহাতে তাহারা আপন ইচ্ছায় ঘরে বসিয়া কোনো বাংলা কাব্যের যথার্থ স্বাদ গ্রহণ করিতে পারে। আবার দুর্ভাগারা ইংরেজিও এতটা জানে না যাহাতে ইংরেজি বাল্যগ্রন্থের মধ্যে প্রবেশ লাভ করে।

= আমাদের সন্তানদের ভাষা শেখার ক্ষেএে ইংরেজী ভাষাকে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় বাংলা ভাষা শেখার ক্ষেএে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। এতে তারা বাংলা কাব্য সাহিত্যের উপর যথার্থ স্বাদ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তারা ইংরেজী গ্রন্থের স্বাদ নিতে ও ব্যর্থ হয়। কেনোনা বড়ো বড়ো বি.এ. এম.এ. দের পক্ষেও এই গ্রন্থ গুলো আয়ত্ত করা সব সময় সম্পূর্ণরূপে সম্ভব হয় না। এতে আমাদের সন্তানরা বুদ্ধির বিকাশ গঠনে সম্পুর্ন ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বাল্য অবস্থা থেকেই ইংরেজী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু এই ইংরেজি বইয়ের গল্পের সাথে আমাদের বাংলার ছেলে-মেয়ের বাস্তবিক জীবনের গল্পের কোন মিল নেই। তাই তারা এ শিক্ষাকে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়তে পারে না যার কারণে এই শিক্ষা অপরিপূর্ণ থেকে যায়। তাই আমাদের উচিৎ শুরু থেকেই আমাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গুরুত্ব দেয়া।

৩) অন্য দেশের ছেলেরা যে বয়সে নবোদ্গত দন্তে আনন্দমনে ইক্ষু চর্বণ করিতেছে, বাঙালির ছেলে তখন ইস্কুলের বেঞ্চির উপর কোঁচা-সমেত দুইখানি শীর্ণ খর্ব চরণ দোদুল্যমান করিয়া শুদ্ধমাত্র বেত হজম করিতেছে, মাস্টারের কটু গালি ছাড়া তাহাতে আর কোনোরূপ মশলা মিশানো নাই।

= আমাদের সন্তানদের স্কুলে তাদের পাঠ্যবইয়ের মুখস্থ বিদ্যার উপর জোর দেয়া হয়। এই মুখস্থ কাজ করতে ব্যর্থ হলে তাদের শিক্ষকদের কাছ থেকে কটুকথা ও বেতের আঘাত সহ্য করতে হয়। যেখানে তাদের সৃজনশীল বুদ্ধিকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। তাই আমাদের শিক্ষক দের উচিৎ তাদের কটুকথা এবং বেতের ভয় না দেখিয়ে মনের আনন্দে লেখাপড়া করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এতে শিশুরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। যার কারনে অনেক শিশু শিক্ষা থেকে ছিটকে পরে।

৪) চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ঐ দুটা পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না।

= আমাদের সন্তানদের চিন্তা এবং কল্পনাশক্তির সাথে পরিচিত করতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে চিন্তা করে কাজ না করলে কোনো কাজ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয় না। শিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে সেই শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা শক্তি দিয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। বাল্যকাল থেকেই আমাদের চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানো উচিত। এর ফলে আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারব।

৫) ইংরেজি আমাদের পক্ষে কাজের ভাষা কিন্তু ভাবের ভাষা নহে

= বর্তমান বিশ্বে কাজ করে টিকে থাকতে হলে আমাদের ইংরেজী জানতে হবে। কিন্তু ভাবের আদান প্রদান করার জন্য আমাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রয়োজন হয়। তাই কবি বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

৬) আমাদের ক্ষুধার সহিত অন্ন, শীতের সহিত শীতবস্ত্র, গ্রীষ্মের সহিত গ্রীষ্মবস্ত্র কেবল একত্র করিতে পারিতেছি না বলিয়াই আমাদের এত দৈন্য।

= আমাদের দেশে রয়েছে ক্ষুধার জন্য অন্ন, শীতের জন্য শীতবস্ত্র, গ্রীষ্মের জন্য গ্রীষ্মবস্র। সবকিছু থাকা সত্যেও আজ আমরা দারিদ্র্য। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের মাঝে শিক্ষার সঠিক মর্ম না বুঝে আমরা হাঁটতে থাকবো ঠিক ততোদিন পর্যন্ত আমরা দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারবো না। তাই আমাদের উচিৎ অতি দ্রুত আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে পরির্বতন করা। নিজের জাতি, সমাজ ও দেশকে উত্তমরূপে জানা, বৃহত্তর মানবিক নীতিবোধ দিয়ে নিজেদের সংশোধন করে চলা এবং বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল না থেকে আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠা এসবই ছিল তাঁর প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Mahmuda Sultana Mumu -
Name: Mahmuda Sultana Mumu
Id : 203-23-986
Department : Textile Engineering (TE)


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শিক্ষার হেরফের’ প্রবন্ধটিতে তিনি উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। প্রবন্ধটিতে রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দেন।তিনি সবসময় সৃজনশীলতা এবং গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রবন্ধটির মূল ভাবার্থ হলো নিজের জাতি,সমাজ এবং দেশকে ভালোভাবে জানা,মানবিক নীতিবোধকে আরও বৃহত্তর করে নিজেদের সংশোধন করা।আত্মশক্তিকে উজ্জীবিত করা,যাতে বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল থাকা না লাগে। এছাড়া আমাদের শিক্ষার অপরিপূর্ণ দিকগুলো এবং তা কিভাবে পরিপূর্ণ করা যায় তা পাঠকদের কাছে খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন প্রবন্ধের মাধ্যমে।তিনি বলেন কেবলমাত্র পরিক্ষায় পাশের জন্য আমরা যা পরছি তা কখনো আমাদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে পারেনা। স্বাদহীন, আনন্দহীন পড়া আমরা কেবল গলাধঃকরণ করেই যাচ্ছি। প্রারম্ভিক শিক্ষায় আমরা এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের পরীক্ষায় পাস এর জন্যই পড়িয়েছেন, আমরাও পড়েছি। এতে কোনো রকমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলেও প্রকৃত জ্ঞান বা বিকাশলাভ কোনটিই শিক্ষার দ্বারা আয়ত্ত্ব করা সম্ভব হয় নাই। বাস্তবিক জীবনে এই শিক্ষার কোন প্রয়োগ করতে পারে না তাই আমাদের উচিত শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে বাল্যকাল থেকে চিন্তাশক্তি প্রসার ঘটানো এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়া।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Semonty Rahman -
আমাদের জন্য যতোটুকু প্রয়োজন তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে আমরা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূরে থেকে যাব। আমরা নিজেদের এমনভাবে পরিচালনা করি অর্থাৎ যেটা আমাদের প্রয়োজন শুধুমাত্র আমরা সেটাই অর্জন করতে চাই। তাই শুধুমাত্র আবশ্যিক বিষয় ছাড়াও আমাদের মনের তৃপ্তির জন্য আমাদের যা প্রয়োজন যেসব জ্ঞান প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করতে হবে তবেই আমাদের সার্থকতা আসবে। আমাদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনে ও আমরা নিজেদের নির্দিষ্ট একটা গন্ডির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখি। প্রবন্ধ মতে আমরা বাঙালি শুধুমাত্র প্রয়োজন এর তাগিদে শিক্ষিত হয়, শিশু অবস্থা থেকে অত্যাবশ্যক বিষয়ের বাইরে তেমন কোনো জ্ঞান অর্জনে আমাদের উদাসীনতা কাজ করে। বিধায় শিশুকাল থেকেই আমাদের চিন্তাশক্তি লোপ পেতে থাকে। আমরা শিক্ষিত হই প্রয়োজন এর তাগিদে জ্ঞান অর্জনের তাগিদে নয়।  তাই যতোটুকু আমাদের প্রয়োজন সেটুকু শেখার অর্থাৎ ঠোটোস্থ করার চেষ্টা করি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও আমাদের নির্দিষ্ট গণ্ডি পার করতে দেই না। আমরা যে নাম মাত্র শিক্ষা অর্জন করি অর্থাৎ প্রয়োজনের তাগিদে বা কাজ করতে হবে বিধায় যা মুখস্থ করি তা দিয়ে কোনো মতে কাজ করতে পারি ঠিকই কিন্তু, আমাদের জ্ঞানের বিকাশ ঘটে না। আমাদের চিন্তা শক্তি, ভাব জ্ঞান কোনকিছুই বিকাশ লাভ করতে পারে না। আমরা নিজেদের একটা গন্ডির মধ্যে এতটাই আবদ্ধ করে ফেলি যে আমাদের মধ্যে সৃজনশীলতা লোপ পেয়ে যায়। এবং আমরা নিজেরা নিজেদের প্রতিভা সম্পর্কে অবগত থাকি না। পড়ার বিষয় অর্থাৎ বিদ্যা অর্জন শুধু আমাদের প্রয়োজন না হয়ে যদি আমাদের আবেগের সাথে মিশে যেতে পারে। আমরা সেটা মুখস্ত না করে আত্মস্থ করতে পারি তবে, সেটা হবে আমাদের জন্য প্রকৃত অর্জন। যা আমাদের আমি কে জাগ্রত করবে। এমন কিছু বিষয় যা পড়া লাগবে পড়লাম এবং কন্ঠস্থ করে ফেললাম। এতে না কিছু বুঝলাম আর না সেটা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলাম। এতে মনের তৃপ্তি হল নাহ ,আর না আমরা তার অর্থ বুঝলাম । এতে আমরা বিষয়ের তাৎপর্য থেকে কিছুই শিখলাম না। বাল্যকাল থেকে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা করা উচিত। নাহয় ক্ষেত্রবিশেষে আমরা সঠিক জ্ঞান কাজে লাগাতে পারি না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের নির্দিষ্ট কাজ করাতে পারলে ও ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের সে মুখস্থ বিদ্যা আর কাজে লাগে না। তাই চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি দুটোই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা আছি এতে আমরা নির্দিষ্ট পাঠ্যবই মুখস্থ করি , না সেটা আমরা সঠিক ভাবে বুঝি আর না সেটা নিয়ে গবেষণা করি। শুধু পড়াগুলো গিলে ফেলতে পারলেই আমাদের হয়ে যায়, ব্যাস আমরা গর্বের সাথে বলে বেড়ায় আমরা শিক্ষিত ! আমি বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেছি। যেটা নিতান্তই তুচ্ছ।
পড়ার বিষয় পড়ি কিন্তু সেখানে কি বলা হয়েছে, কেনো বলা হয়েছে, কি করতে বলা হয়েছে, এর অর্থ কি! আমরা কিছুই ভেবে দেখি না। পড়া শেষ কন্ঠস্থ করে ফেলেছি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেই ঝামেলা শেষ, ব্যাস একটা সার্টিফিকেট পেয়ে গেলাম। এইভাবে একটার পর একটা সার্টিফিকেট এর স্তূপ তৈরি করে ফেলি কিন্তু সেটা আর কাজে আসে না। সার্টিফিকেট এর স্তূপ বানিয়ে আমরা অনেকে গর্ব করে বেড়ায়! কিন্তু আদৌ কি সেটা আমাদের গর্বের বিষয় হওয়া উচিত?
আমরা যদি জ্ঞানই অর্জন করতে না পারি তবে এ সার্টিফিকেট আমাদের জীবনে কতটুকু কাজে আসবে। কোনোরকম একটা চাকরি হয়ে গেলেই তো আর জীবন চলে যায় না,  আত্মার তৃপ্তি বলে একটা কথা আছে যেটা এই স্তূপাকৃতির সার্টিফিকেট দিতে পারে না। শুধুমাত্র প্রকৃত জ্ঞানই পারে সে তৃপ্তি প্রদান করতে। যখন পড়ি ঠিক পড়ার সাথে সাথে সেটার অর্থ বুঝে পড়লে সেটা আমাদের প্রকৃত অর্জন হয়। এটা পূর্বে বলা হয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা শুধু সার্টিফিকেট এর স্তূপ জমা করি কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারি না। অর্থাৎআমরা ঠিকই বড় হই কিন্তু বড় হবার মত করে হই না। বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য স্থাপিত হতে পারে, আমরা বেশ সহজ মানুষের মত হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি। শিক্ষিত হয়েও আমাদের অর্জন হয় অসম্পূর্ণ বিধায় আমাদের জীবন টাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ইংরেজি আমাদের নিজের ভাষা নয় কিন্তু আমরা ছোট্ট থেকেই ইংরেজি শিক্ষায় নিজেদের এতটাই মগ্ন করে ফেলি যে আমাদের বাংলা ভাষাটা ও ঠিকমতো শেখা হয়ে ওঠে না। এতে না আমরা ইংরেজি তে ভালো হতে পারি আর না বাংলাতে।
আমাদের নিজস্ব ভাষা আছে, আমরা শিক্ষিত হয় ঠিকই কিন্তু সেটা আত্মস্থ করতে পারি না। না পারি নিজ ভাষাকে আকড়ে ধরতে না পারি বিলেতি ভাষাতে নৈপৃণ্যতা আনতে।

Name: Semonty Rahman
ID: 213-51-049
Department: ITM ( Information Technology & Management)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by ohid miah -
শিক্ষার হেরফের
বাল্যকাল হতে আমাদের শিক্ষার সহিতে কোনো আনন্দ নেই। কেবল যাহা-কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাই কণ্ঠস্থ করে আসছি । তেমন করে কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু বিকাশলাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে, কিন্তু আহারটি রীতিমত হজম করার জন্য হাওয়া খাওয়ার দরকার। তেমনই একটা শিক্ষাপুস্তককে রীতিমত হজম করিতে অনেকগুলি পাঠ্যপুস্তকের সাহায্য আবশ্যক। আমরা কেবল সিলিবাস যা আছে তাই পড়ে যাচ্ছি । পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে আমরা কোনো কিছু শিখতে অনিহা। আমরা কেবল পরিক্ষাইই পাশ করার জন্যই পরি, আর এখানকার বিদ্যালয়ে তাই শিখানো হয় ।
বিদ্যালয়- কলেজের শিক্ষা হল পরীক্ষা পাশ করার শিক্ষা।বর্তমান সময়ে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মৌল উদ্দেশ্যই হল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।পড়াশোনা এখন আর কেউ জ্ঞান অর্জন করার জন্য করেনা,পড়াশোনা করে জীবিকা অর্জন করায় এখন প্রধান উদ্দেশ্য।স্কুল কলেজের পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় যারা ভালো নম্বর পাবে আমাদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তাও ততবেশি।আমাদের সমাজে প্রচলিত এই শিক্ষা ব্যাবস্থা আমাদের ঠিক কতখানি শিক্ষিত করে তুলছে?
অন্যদিকে রয়েছে বিদেশি ভাষা ছোটবেলা থেকেই আজ অব্দি আমরা সেই ভাষা নিয়ে আছি । সেই ভাষার মধ্য কোনো রস নেই "শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধে এটুকু বুঝিয়াছে যে, ইংরেজি আমাদের পক্ষে কাজের ভাষা কিন্তু ভাবের ভাষা নহে। প্রত্যক্ষ দেখিয়াছে যে, যদিও আমরা শৈশবাবধি এত একান্ত যত্নে একমাত্র ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করি, তথাপি আমাদের দেশীয় বর্তমান স্থায়ী সাহিত্য যাহা-কিছু আছে সবই বাংলা ভাষাতেই প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রধান কারণ, আমরা বাঙালি কখনোই ইংরেজি ভাষার সহিত তেমন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ভাবে পরিচিত হতে পারে না। আমরা মনে করি
ইংরেজি শিক্ষার মধ্যে একটা সংকীর্ণ গোষ্ঠীস্বার্থের ব্যাপার আছে, তা সুবিধাভোগী শ্রেণির বিচ্ছিন্নতাজনিত ‘অহংকারে’র উৎস। রবীন্দ্রনাথ ভেবেছেন সর্বজনীন শিক্ষার কথা। ফলে তাঁর মত আলাদা হওয়ারই কথা। কিন্তু যারা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, তাদের শিক্ষা নিয়েই রবীন্দ্রনাথ কথা তুলেছেন। সে কথার গোড়ার সত্য এই যে, বাঙালি জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ইংরেজি মাধ্যমে হতেই পারে না। প্রাথমিকভাবে কারণটি বেশ সরল: ‘ইংরেজিভাষা .অত্যন্ত উৎকট বিদেশী’। বাংলা ভাষার রূপ ও সংগঠনের সঙ্গে তার অমিল খুব বেশি। ফলে ভাষা আয়ত্ত করতে করতেই শৈশব-কৈশোর পার হয়, ভাবে প্রবেশ করা আর হয় না। ‘শিক্ষার হেরফের’ প্রবন্ধে ভাব-ভাষার এই দ্বিমুখিতার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। প্রধান যুক্তিটি এই যে, ইংরেজিতে যারা পড়ে তাদের শিক্ষণীয় বিষয়ের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতার কোনো মিলন হয় না। ফলে মুখস্থ করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকে না। শিক্ষার সঙ্গে জীবনের সামঞ্জস্য রহিত হয় একমাত্র বাংলা ভাষাই, তাঁর মতে, এ সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে। বলেছেন: ‘পরের ভাষায় গ্রহণ করাও শক্ত, প্রকাশ করাও কঠিন’
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Shaharujjaman Khan -
                   শিক্ষার হেরফের
                   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শিক্ষার হেরফের থেকে আমার মতামতঃ আমাদের বাংলা সাহিত্যর মধ্যে নানা ধরনের অভাব আছে যার জন্য আমাদের পরিপূর্ণ শিক্ষা অর্জন করতে হলে ইংরেজি ভাষার সাহায্য নিতে হয়। শিক্ষার হেরফেরে কবি পাঠ্যপুস্তককে দুই ভাগে ভাগ করেছে একটি হল পাঠ্যপুস্তক অপরটি হল অপাঠ্যপুস্তক। আমাদের যতটুকু জ্ঞান লাভ করা দরকার আমরা শুধু মাএ সেই টুকু জ্ঞান লাভ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি। এর জন্য আমরা জ্ঞানতো লাভ করছি কিন্তুু বৃদ্ধি হচ্ছে না। জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের যেটুকু জ্ঞান অর্জন করা দরকার তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জ্ঞানকে আরো বিস্তৃত করা দরকার। আমাদের মূল সমস্যা হলো আমরা কোনো কিছু না বুঝে, শিক্ষার মধ্যে  কোনো আনন্দ না নিয়ে শুধু মুখস্ত করি। আমরা মনে করি শুধুমাত্র এই জ্ঞান দিয়ে কাজ চললেই হলো, কিন্তুু আমাদের মধ্যে কোনো বিকাশ হচ্ছে না। যখন ইংরেজি কোনো ইতিহাস পড়া হয় তখন আমাদের সেই পড়ার মধ্যে কোনো কৌতুহল নেই। সেই ইতিহাসের কোনো দৃশ্য আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে না। এর কারণ হল সেই শিক্ষার প্রতি আমাদের কোনো আনন্দ নেই, কোনো কৌতুহল নেই। এটাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ বলে না। পরিপূর্ণ শিক্ষা  অর্জন করতে হলে আমাদের শিক্ষার প্রতি আনন্দ নিয়ে, বুঝে এবং কৌতুহল নিয়ে সেই শিক্ষাটা অর্জন করতে হবে। মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি শিশুদের মানুষ করতে হয় তাহলে ছোটবেলা থেকে করতে হবে। শিশুকে শুধুমাত্র তার স্মরণ শক্তির উপর ভর না দিয়ে তার চিন্তা শক্তি ও কল্পনা শক্তিকে স্বাধীন পরিচালনায় অবসর দিতে হবে। বায়োবিকাশেও একটি সময় আছে যখন জীবন্ত ভাব এবং নবীন কল্পনা জীবনের পরিণতি এবং সরসতা সাধনের পক্ষে দরকার। ঠিক সেই সময় যদি সাহিত্যের আকাশ থেকে বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে ধন্য রাজা পুন্য দেশ। শিশুকাল হতে যদি ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাব শিক্ষা হয় তাহলে আমরা মানুষের মত মানুষ হতে পারি এবং সকল বিষয়ে একটা যথাযথ পরিমান ধরতে পারি। কবির ভাষায়ঃ
                    পানীমে মীন পিয়াসী
                  শুনত শুনত লাগে হাসি

আমাদের পানিও আছে পিপাসাও আছে, দেখে পৃথিবীর লোক হাসতেছে এবং আমাদের চোখে অশ্রু আসতেছে শুধু আমরা পান করতে পারছি না।

Name: MD. Shaharujjaman Khan Sakib
ID: 203-23-975
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Shejuti Akter -
শিক্ষার হেরফের

বাংলাতে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, একটা দর্শন বিজ্ঞান অপরটি হচ্ছে বিবিধ শিক্ষণীয়, এই দুইটা শিক্ষা বাংলা শিক্ষার মূল উপকরণ, কিন্তু একটি মূল উপকরণ হওয়া সত্বেও প্রকাশ করা হয় না, প্রকাশ করা হয় না বিধায় বিদেশী ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। যার কারণে আমাদের পাঠ্যপুস্তক যে ব্যপারগুলো থাকে সেখানে ইংরেজি চর্চা দিয়ে শিক্ষাটাকে শক্তভাবে গড়ে তুলি।।

পৃথিবীতে পাঠ্যপুস্তক এবং ও অপাঠ্যপুস্তক দুই ভাগে ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই দুইটা ভাগ কমিউনিটি নিয়ন্ত্রণ করে, পাঠ্যপুস্তক পড়া নিয়ন্ত্রণ করে যেমন কোন পড়াগুলো থাকবে আবার কোন পড়াগুলো থাকবে না। কিন্তু এসব দিয়ে শিক্ষার যে মূলভাবটা সেটা প্রকাশ পায় না।

আমরা বিদ্যালয়ে যে ব্যাকরন ব্যবহার করি করে থাকি যেমন অভিধান। এটা পাঠ্যপুস্তক বললেও এটা পাঠ্যপুস্তক না, এটি হচ্ছে শিক্ষা পুস্তক। পাঠ্যপুস্তক এমন কিছু হবে যে আমরা অনায়াসে পাঠ করবো, আমাদের ওপর বিচার-বিবেচনা হবে না।
শিক্ষা পারি আর না পারি আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয় এবং এটার ভিত্তিতে আমাদের এক ধরনের পরীক্ষা কাজ করে যে হ্যাঁ জোরপূর্বক শিখি আর না শিখি আমাদেত পরীক্ষা দিতে হবে।

আমরা আসলে যতটুকু প্রয়োজন তার মাঝে থাকা/ আমাদের উচিত না, এটা মানব জাতির ধর্ম না। আমাদের শিক্ষাপুস্তক যেগুলো বিদ্যালয়ে থেকে শিক্ষা গ্রহন করে থাকি সেটা আমরা আমাদের জীবনে রাখতে পারি না, আমাদের প্রয়োজনীয়তা যেমন তিন হাত মাটি প্রয়োজন একটা মৃত মানুষের জন্য , আমাদের জীবন ধরনের জন্য তিন হাত মাটি বা সাড়ে তিন হাত মাটির মধ্যে থাকি না। আমরা চলাফেরা জন্য রাস্তা নির্মান করি, ঘরবাড়ি করি, এগুলা করি আমাদের সুন্দর জীবনে ব্যঘাত না ঘটে।


আমরা আমাদের পড়াশোনা জন্য না পারি বাংলাটা আবার না পারি ইংরেজিটা। বাংলা টা পড়া হয় কিন্তু শিখার জন্য পড়ি না, ইংরেজিটা মর্ডান হিসেবে নেই! আমাদের সমাজে বি.এ এবং এম.বি. এ পাস করে আবার যারা অনেক শিক্ষিত তাদেরকে বাহিরের ইংরেজিদের মত বলতে বলি বা তাদের মত মনোভাব প্রকাশ করতে বললেও সেভাবে করে না।

অতএব, আমাদের শিক্ষিত হতে হলে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষাপুস্তক এর যে বই আছে সেইটা পড়ে আমরা শিক্ষিত হতে পারব না। আমাদের শিক্ষার মূল ভিত্তি ইংরেজি শিক্ষা না। বাংলা শিক্ষাটা ভালো করে শিখতে হবে, খুটি-নাটি জানতে হবে, কথা বলার বচন ভংগি ইত্যাদি সবগুলো ভালো ভাবে শিখতে হবে। বাংলা টা প্রাধান্য দিয়ে শিখতে হবে।।


Name : Shejuti Akter
ID : 213-51-057
Department - ITM ( Information technology And Management)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Sajjad hossain Shourov -
অত্যাবশ্যকীয়তা অবশ্যই রয়েছে,তবে তাহার মধ্যে রুদ্ধ হয়ে থাকা কোনো সমাধান নহে।আমাদের দেহ সাড়ে তিনহাতের মধ্য আবদ্ধ,কিন্তু তাহার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিলে চলবেনা। স্বাধীনভাবে চলাফেরা না করিতে পারিলে যেমন স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটে, ঠিক তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রে শ্রেয়।শিশুরা বাল্যকাল থেকেই পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকে,যার ফলে বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে সে অনেকটা অনভিজ্ঞতার পরিচয় দেয়।
কাজেই বাঙালি ছেলেদের নিজেদের অভিধান ব্যতিত অন্য সাহিত্য সংস্কৃতির দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই বলাই বাহুল্য।ফলে শিশুকাল হইতে পড়া মুখস্থ ছাড়া কোনো উপায়ন্তর নাই।অন্যদেশের ছেলেরা যখন নানা আনন্দে মেতে থাকে,বাঙালি ছেলেরা তখন পাশের পড়া পড়ে হতবিম্ব হয়ে পড়ে। ফলে শারিরীকভাবে বিকাশ ঘটিলেও মানসিকভাবে পরিপক্ক হয়ে উঠতে পারেনা এবং এর কারণ হিসেবে প্রাবন্ধিক মনে করেন,বাল্যকাল থেকে আমাদের শিক্ষার সাথে আনন্দের মিশ্রন নেই,সাময়িক কাজ হয়ত হয়ে যাই কিন্তু শিক্ষার ব্যঘাত রয়ে যায়।চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি জীবন চলার পথে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে মনে করেন আমাদের প্রাবন্ধিক। যদি এগুলার চর্চা না করা হয় তবে কাজের সময় বিপাকে পরতে হয়।শিশুকাল হতে শুধু স্মরণশক্তির দিকে একচেটিয়া না হয়ে সমপরিমানে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির দিকে নজর দিতে হবে।আমাদের নিরস শিক্ষাব্যবস্থার কারণে জীবনের শিশুকাল,বাল্যকাল,যৌবনকাল অজরেই শেষ হয়ে যায়।শুধুমাত্র কতগুলো বোঝা টেনে জীবনের ২০-২২ বছর অঅতিবাহিত করে।শুধুমাত্র এই নিরস শিক্ষাব্যবস্থার কারণে পরিপক্কভাবে বিকাশ ঘটেনা।শিশুকাল হতেই যদি ভাষার সাথে ভাবের সম্পর্ক হয় এবং ভাবের সাথে যদি সমস্ত জীবনপথ নিয়মিত হয়,তবেই যথার্থ সঞ্চালন জীবনের মধ্যে হতে পারে বলে মনে করেন আমাদের প্রাবন্ধিক। প্রতিকূলতা তখনেই আসে যখন ভাবের সাথে ভাষার সামঞ্জস্য থাকেনা।এ বিষয়ে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক একটি গল্পের অবতারণা করেছেন,একজন দরিদ্র ব্যক্তি শীতকালে অল্প অল্প করে পুজি করে যখন শীত বস্ত্র কিনার সামর্থ্য অর্জন করত,তখন গ্রীষ্ম এসে যেত,আবার গ্রীষ্মকালে যখন শত চেষ্টা করে বস্ত্র উপার্জনে সক্ষম হত,ততক্ষনে অগ্রাহায়নের মাঝামাঝি,তখন দেবতা তার দৈন্য দেখে বর দিতে চাইলে সে তার জীবনের হেরফের গুছিয়ে দিতে বলে,ঠিক তেমনি আমাদের প্রাবন্ধিক বুঝিয়েছেন,জীবনের হেরফের মিটে গেলে জীবনের স্বার্থতা চলে আসবে।সময়ের বিচক্ষণতা চলে আসলে জীবনের দৈন্যতা চলে যাবে প্রাবন্ধিকের মতে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Shameen Yaser Al Mahin -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত বাংলা শিক্ষা ব্যবস্থার গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন। আমাদের স্কুল কলেজ গুলোতে মূলত আমাদের যতটুকু পড়লে চাকুরি করা যায় ততটুকুই পড়ানো হয়, এর বাইরে আমাদের কিছুই পড়ানো হয় না যা আমাদের জ্ঞান চর্চার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আবার আমাদেরকে ইংরেজি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা একেবারেই কাম্য নয়। ইংরেজি একটি ভিন্ন জাতির ভাষা অথচ আমরা আমাদের পাঠদানে বাংলা ভাষা ঠিকমত চর্চা না করে ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দেই। যে ভাষা আমার মায়ের ভাষা নয় সে ভাষায় কি মনের ভাব প্রকাশ করা যায়? অথচ আমাদেরকে জোর করে সে ভাষা গিলানো হয়। এতে হিতে বিপরীত হয়। ঠিকমতো ভাষা না বুঝে চর্চা করতে যেয়ে আমরা তালগোল পাকাই। তাই আমাদেরকে আগে নিজের ভাষায় সাহিত্য চর্চা করতে হবে, জ্ঞান আহরণে শিক্ষার্থীদেরকে স্বাধীনতা দিতে হবে। আমাদের বাঙালি শিক্ষার্থীরা ইংরেজি শিখতে যেয়ে ঠিকমতো বাংলাটাও শিখতে পারে না, যার কারনে তারা বাংলা সাহিত্য চর্চা করতে পারে না আর ইংরেজি বোধগম্য না হওয়ায় সেটার অবস্থা হয় সূচনীয়। আর এই ইংরেজির পিছনে সময় দিতে যেয়ে ঠিকমতো খেলাধুলাও করতে পারে না, এতে শারীরিকভাবেও তারা হয় দূর্বল। চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি জীবনে চলার পথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ছেলেবেলা থেকে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির চর্চা করা অত্যাবশ্যকীয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় তা একেবারেই নেই বললেই চলে। আমরা শুধু যেটুকু পড়লে পরীক্ষায় পাশ করা যায়, এর বাইরে কিছুই পড়তে চাই না, যার ফলে আমাদের মানষিক বিকাশটাও ঠিকমত হয় না। আমাদেরকে প্রকৃত শিক্ষিত হতে হলে বাল্যকাল থেকে ভাষার সাথে ভাব প্রকাশের চর্চা করতে হবে আর ভিনজাতির ভাষা শেখার আগে নিজের মায়ের ভাষায় জ্ঞান লাভ করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by rafiul islam -
শিক্ষার হেরফের

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে বাংলা সাহিত্যে কিছু অভাবের কথা তুলে ধরেছেন। তার মতে, আমাদের ছোট বেলা থেকেই বিদেশি ভাষা ইংরেজি চাপিয়ে দেয়া হয়‌ । আর এদিকে না আছে ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা, যাতে করে শিক্ষার্থীরা ভালভাবে সেটা আয়ত্ত করবে । পরিশেষে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা কিছুই না বুঝে মুখস্থ করতে থাকে, যার ফলে তারা পড়ালেখায় আগ্রহ পায় না।কবি আরো বলেছেন, যে শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে , আমারা সেই শিক্ষাই নেই না। আমাদের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে যা পড়ানো হয়, বড় হয়ে আমারা বুঝতে পারি সেগুলো তেমন কোন কাজে আসে না। এটা যেন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা এক অট্টালিকা, যেটার ভিত্তি খুবই নড়বরে, অল্পতেই ভেংগে যাবে এমন। কবি বোঝাতে চেয়েছেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের জন্য অতোটা ফলপ্রসূ না। এরকম শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে দিন শেষে যে না বুঝল ইংরেজি আর না বলতে পারল বাংলা তার জন্য জীবনে নেমে আসে কঠিন দুর্ভোগ।
এই প্রবন্ধের মাধ্যমে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা ব্যবস্থার ভুল দিক গুলো তুলে ধরে সেগুলো সংশোধনের জন্য বলেছেন।

Name: Md. Rafiul Islam
ID: 203-23-995
(Textile Engineering)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by asif iqbal akik -
by Asif Iqbal Akik (213-51-055)
আমাদে র বাংলা সাহি ত্যে র অনে ক অভাব রয়ে ছে , আমরা আজ আমাদে র নি জে দে র সাহি ত্যকে ভুলে গি য়ে অন্য
সাহি ত্য লপ্তু করছি । আমরা আজ আমাদে র নি জে দে র বাংলা ভাষা অন্যদে র ভাজা নি য়ে বে শি ঝুঁকছে যে গুল ো
আমরা আমাদে র স্মৃতি র বাইরে স্মৃতি র ভি তর ভাষাগুল োকে সমর্পণ করতে পারছি না যাদে র আমাদে র চি ন্তা
ধারণা জাগ ো ত ো হচ্ছে না। আমাদে র শি শুকে আমরা এমন পাঠ্যবই পড়াচ্ছি যে তারা সে টি না বঝেুঝেই সে
কথাগুল ো অনভুূতি না বঝেুঝেই শুধুমগ্ধু করে যাচ্ছে । আমাদে র শি শুরা আজ তাদে র মখুস্থ পাঠ্যবইগুল ো পরছে
ঠিকই কি ন্তু তারা চি ন্তা চে তনা থে কে অনে ক দরেূরে সরে গি য়ে ছে শুধুএই মখুস্ত পাঠ্যবইয়ে র জন্য। একটি ছে লে কে
আমরা ঘরে বাইরে যে তে না দি য়ে তা চি ন্তা-চে তনাকে বি কশি ত না করে আমরা তাকে এই মখুস্ত পাঠ্যবই ধরি য়ে
দি চ্ছে পড়ার জন্য এবং সে ও অবঝু বালক এর মত পড়ে যাচ্ছে , কি ন্তু সে সময় যখন তার দ ৌড়ান ো বয়স
বি কশি ত হওয়ার বয়স তখন সে এগুল ো থে কে বঞ্চি ত হয়ে সে পাঠ্য বইয়ে র ভি তর হারি য়ে যাচ্ছে তার বি কাশি ত
দি নগুল ো। এই এজন্য শি শুদে র আজ মন বি কশি ত হচ্ছে না সন্দে হ হচ্ছে না সুস্বাস্থ্যে র অধি কারী হচ্ছে না। তারা
যদি আজ ভাল োমত ো ইংরে জি পড়তে না পারে শুধুতার সহপাঠী না তার শি ক্ষক ও তাকে কটাক্ষ করে দে খে ন।
এভাবে একটি বালকে র মন বি কশি ত ও তার সুস্বাস্থ্য বি কাশে র োদ পাচ্ছে । আজ দে শে র অনে ক কমি টি দে খা যায়
অলি তে গলি তে যে মন কমি টি ক্লাব পূজা কমি টি স োসাইটি কমি টি তারা কি সফল হতে পে রে ছে সমাজে র এই
অবাঞ্চি ত শি শুগুল োকে বি কশি ত করার জন্য সুয োগ দি য়ে ছে , তা না করে তারা শুধুতাদে র নি জে দে র স্বার্থে দে খা
যাচ্ছে আর আমাদে র শি শুগুল ো ব োঝা বয়ে নি য়ে যাচ্ছে আর আমরা ব োঝাকে দে খলে ই খুশি হই কি ন্তু তার
বাল্যকাল গুল োকে হারি য়ে দি য়ে । অন্যান্য দে শে একটি শি শুকে বি কশি ত করার জন্য সরকার থে কে সব ধরনে র
ল োকজন তা সাহায্যে র জন্য অপসারি ত থাকে এবং সে যত োটুকু বঝেুঝে যতটুকু পারে অতটুকুই করছি । কি ন্তু
আমাদে র দে শে আমরা না বঝেুঝেই একটি শি শুর উপরে চাপি য়ে দে ই অনে ক ধরনে র পাঠ্যপুস্তুক। যদি একটি গল্পে র
বই পড়ে তা আমরা সরি য়ে দি য়ে পাঠ্য পুস্তক ধরি য়ে দে ই তাহলে কি ভাবে একটি শি শুর বৈ শ্বি ক জ্ঞান হবে এবং
কি ভাবে তার চি ন্তা ধারণা বড় হবে । অনে ক বাংলা কঠিন শব্দ রয়ে ছে বঝু তে সমস্যা হয় আর আমরা একটি
শি শুকে এমন একটি ভাষা ধরি য়ে দে ই জাছে না বঝেুঝেই তা ভাবতে থাকে তা ব োঝার জন্য চে ষ্টা করে সে তার
ভি তরে ক োন চি ন্তা করতে পারে ন আমরা শি শুদে রকে শুধুরামায়ণ আর মহাভারতে পড়তে দে ই, অন্য গল্প পড়তে
দে খলে তা সরি য়ে দে ই আমরাত ো চি ন্তা-চে তনাকে তখনই দাবি য়ে দে ই। চি ন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা
নি র্বাহী পক্ষে দটিু অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে সন্দে হ নাই। অর্থাৎ যদি মানষুকে মত মানষু হইতে হয় তবে ওই
দইুটা পদার্থ জীবন হয়ত ো বাদ দি লে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চি ন্তা ও কল্পনা চর্চা না করি লে কাজে র
সময় যে তাহাকে হাতে র কাছে পাওয়া যাবে না একথা অতি পুরাতন। আমরা একটি জি নি স পড়ি তে ছি অমনি
সঙ্গে সঙ্গে ভাবি তে ছি ল ইহার অর্থ এইযে স্তুপ উচা করে দি ছি সঙ্গে সঙ্গে নি র্মার্মণ করে দি য়ে ছি না। ছে লে যদি মানষু
করি তে চাই তবে ছ োট ছ োটবে লা থে কে তাকে মানষু করি তে আরম্ভ করি তে হবে নতুবা সে ছে লে থাকি বে মানষু
হইবে না। কাজী বাঙালি ছে লে দে র নি জে দে র অভি ধান ব্যতীত অন্য সাহি ত্য-সংস্কৃতি দি কে যাওয়ার সুয োগ
কখন ো উঠিনি । শি শুকাল হতে পড়া মখুস্ত ছাড়া অন্য ক োন উপায় ছি ল না। আমাদে র নি রস শি ক্ষা ব্যবস্থার
কারণে জীবনে র শি শুকাল, বাল্যকাল, য ৌবনকাল শে ষ হয়ে যায়। আমরা এই ব োঝা দীর্ঘ 20 /25 বছর ভুগতে
থাকে । পরবর্তী সময়ে চাকরি র জন্য সবার কাছে ঘুরতে থাকে , কারণ আমাদে র মন বি কশি ত হয় না , চি ন্তা
চে তনা বি কাশি ত হয় না তুই এগুল ো না করে কি ভাবে সমাজে প্রতি ষ্ঠি ত হতে পারবে তাই আজ বাংলাদে শি শি শুরা
এ ভ োগা সারাজীবন ভুগতে থাকবে যে দি ন আমরা নি জে দে র ভাষা নি জে দে র কথা মন্মত সবাইকে বলতে পারব ো
স্বাধীনভাবে বলতে পারবে বঝু তে পারব অন্য ভাষায় প্রয় োজন অতটা হবে না তখন আমাদে র মন আরও
বি কশি ত হবে প্রল োভি ত হবে ক োন কাজ করার জন্য উদ্য োগ আসবে , সমদ্রেুদ্রে শি শুরা একসময় প্রতি ষ্ঠি ত হবে
তাদে রকে খে লার সুয োগ দি তে হবে , গল্পে র বই পড়ার সুয োগ দি তে হবে পাঠ্যবই সাথে তাহলে সে প্রকৃত শি ক্ষায়
শি ক্ষি ত হবে তখন তার ভি তরে একটি জ্ঞানে র প্রল োভন থাকবে শি ক্ষার হে রফে র ভাবে ব্যবহার করলে আমরা
অশি ক্ষি ত থে কে যাব ক োনদি ন শি ক্ষি ত হতে পারব না আমরা অন্যদে র মত ো শি ক্ষি ত হতে পারব ো না তাদে র
মত ো এগি য়ে যে তে পারব ো না তাদে র শি শুরা আছে ছ োট বয়স থে কে অনে ক কি ছুআবি ষ্কার করে যাচ্ছে যারা
আজ আমাদে র দে শে চি ন্তা করাটাও অভাবনীয় সুয োগগুল ো আমরা নষ্ট করে ছে এবং আমাদে র দরকার
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Sabuj Howlader -
শিক্ষার হেরফের
 
যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তাহারই মধ্যে কারারুদ্ধ হইয়া থাকা মানবজীবনের ধর্ম নহে। আমরা কিয়ৎপরিমাণে আবশ্যক-শৃঙ্খলে বদ্ধ হইয়া থাকি এবং কিয়ৎপরিমাণে স্বাধীন। আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সেই সাড়ে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না। স্বাধীন চলাফেরার জন্য অনেকখানি স্থান রাখা আবশ্যক, নতুবা আমাদের স্বাস্থ্য এবং আনন্দের ব্যাঘাত হয়। শিক্ষা সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। যতটুকু কেবলমাত্র শিক্ষা, অর্থাৎ অত্যাবশ্যক, তাহারই মধ্যে শিশুদিগকে একান্ত নিবদ্ধ রাখিলে কখনোই তাহাদের মন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িতে পারে না। অত্যাবশ্যক শিক্ষার সহিত স্বাধীন পাঠ না মিশাইলে ছেলে ভালো করিয়া মানুষ হইতে পারে না―বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেও বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে সে অনেকটা পরিমাণে বালক থাকিয়াই যায়।
 কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের হাতে কিছুমাত্র সময় নাই। যত শীঘ্র পারি বিদেশীয় ভাষা শিক্ষা করিয়া, পাস দিয়া, কাজে প্রবিষ্ট হইতে হইবে। কাজেই শিশুকাল হইতে ঊর্ধ্বশ্বাসে, দ্রুত বেগে, দক্ষিণে বামে দৃক্‌পাত না করিয়া, পড়া মুখস্থ করিয়া যাওয়া ছাড়া আর কোনো-কিছুর সময় পাওয়া যায় না। সুতরাং ছেলেদের হাতে কোনো শখের বই দেখিলেই সেটা তৎক্ষণাৎ ছিনাইয়া লইতে হয়।
 শখের বই জুটিবেই বা কোথা হইতে? বাংলায় সেরূপ গ্রন্থ নাই। এক রামায়ণ মহাভারত আছে, কিন্তু ছেলেদের এমন করিয়া বাংলা শেখানো হয় না যাহাতে তাহারা আপন ইচ্ছায় ঘরে বসিয়া কোনো বাংলা কাব্যের যথার্থ স্বাদ গ্রহণ করিতে পারে। আবার, দুর্ভাগারা ইংরাজিও এতটা জানে না যাহাতে ইংরাজি বাল্যগ্রন্থের মধ্যে প্রবেশ লাভ করে। বিশেষত, শিশুপাঠ্য ইংরাজি গ্রন্থ এরূপ খাস ইংরাজি, তাহাতে এত ঘরের গল্প, ঘরের কথা যে, বড়ো বড়ো বি.এ. এম.এ.-দের পক্ষেও তাহা সকল সময় সম্পূর্ণরূপে আয়ত্তগম্য হয় না।
 কাজেই বিধির বিপাকে বাঙালির ছেলের ভাগ্যে ব্যাকরণ অভিধান এবং ভূগোলবিবরণ ছাড়া আর-কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। বাঙালির ছেলের মতো এমন হতভাগ্য আর কেহ নাই। অন্য দেশের ছেলেরা যে বয়সে নবোদ্গত দন্তে আনন্দমনে ইক্ষু চর্বণ করিতেছে, বাঙালির ছেলে তখন ইস্কুলের বেঞ্চির উপর কোঁচা-সমেত দুইখানি শীর্ণ খর্ব চরণ দোদুল্যমান করিয়া শুদ্ধমাত্র বেত হজম করিতেছে, মাস্টারের কটু গালি ছাড়া তাহাতে আর কোনোরূপ মশলা মিশানো নাই।
 তাহার ফল হয় এই, হজমের শক্তিটা সকল দিক হইতেই হ্রাস হইয়া আসে। যথেষ্ট খেলাধূলা এবং উপযুক্ত আহারাভাবে বঙ্গসন্তানের শরীরটা যেমন অপুষ্ট থাকিয়া যায় মানসিক পাকযন্ত্রটাও তেমনি পরিণতি লাভ করিতে পারে না। আমরা যতই বি.এ. এম.এ. পাস করিতেছি, রাশি রাশি বই গিলিতেছি, বুদ্ধিবৃত্তিটা তেমন বেশ বলিষ্ঠ এবং পরিপক্ব হইতেছে না। তেমন মুঠা করিয়া কিছু ধরিতে পারিতেছি না, তেমন আদ্যোপান্ত কিছু গড়িতে পারিতেছি না, তেমন জোরের সহিত কিছু দাঁড় করাইতে পারিতেছি না। আমাদের মতামত কথাবার্তা এবং আচার-অনুষ্ঠান ঠিক সাবালকের মতো নহে। সেইজন্য আমরা অত্যুক্তি আড়ম্বর এবং আস্ফালনের দ্বারা আমাদের মানসিক দৈন্য ঢাকিবার চেষ্টা করি।
 ইহার প্রধান কারণ, বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা-কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমন করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু বিকাশলাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে; কিন্তু আহারটি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া খাওয়ার দরকার। তেমনি একটা শিক্ষাপুস্তককে রীতিমত হজম করিতে অনেকগুলি পাঠ্যপুস্তকের সাহায্য আবশ্যক। আনন্দের সহিত পড়িতে পড়িতে পড়িবার শক্তি অলক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পাইতে থাকে। গ্রহণশক্তি ধারণাশক্তি চিন্তাশক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বললাভ করে।
 কিন্তু এই মানসিক-শক্তি-হ্রাসকারী নিরানন্দ শিক্ষার হাত বাঙালি কী করিয়া এড়াইবে, কিছুতেই ভাবিয়া পাওয়া যায় না।
 এক তো, ইংরাজি ভাষাটা অতিমাত্রায় বিজাতীয় ভাষা। শব্দবিন্যাস পদবিন্যাস সম্বন্ধে আমাদের ভাষার সহিত তাহার কোনোকার মিল নাই। তাহার ’পরে আবার ভাববিন্যাস এবং বিষয়প্রসঙ্গও বিদেশী। আগাগোড়া কিছুই পরিচিত নহে, সুতরাং ধারণা জন্মিবার পূর্বেই মুখস্থ আরম্ভ করিতে হয়। তাহাতে না চিবাইয়া গিলিয়া খাইবার ফল হয়। হয়তো কোনো-একটা শিশুপাঠ্য রীডারে hay-making সম্বন্ধে একটা আখ্যান আছে; ইংরাজ ছেলের নিকট সে ব্যাপারটা অত্যন্ত পরিচিত, এইজন্য বিশেষ আনন্দদায়ক। অথবা snowball খেলায় চার্লি এবং কেটির মধ্যে যে কিরূপ বিবাদ ঘটিয়াছিল তাহার ইতিহাস ইংরাজ-সন্তানের নিকট অতিশয় কৌতুকজনক। কিন্তু আমাদের ছেলেরা যখন বিদেশী ভাষায় সেগুলা পড়িয়া যায় তখন তাহাদের মনে কোনোরূপ স্মৃতির উদ্রেক হয় না, মনের সম্মুখে ছবির মতো করিয়া কিছু দেখিতে পায় না, আগাগোড়া অন্ধভাবে হাৎড়াইয়া চলিতে হয়।
 আবার নীচের ক্লাসে যে-সকল মাস্টার পড়ায় তাহারা কেহ এন্‌ট্রেন্‌স্‌ পাস, কেহ বা এন্‌ট্রেন্‌স্‌ ফেল; ইংরাজি ভাষা ভাব আচার ব্যবহার এবং সাহিত্য তাহাদের নিকট কখনোই সুপরিচিত নহে। তাহারাই ইংরাজির সহিত আমাদের প্রথম পরিচয় সংঘটন করাইয়া থাকে। তাহারা না জানে ভালো বাংলা, না জানে ভালো ইংরাজি; কেবল তাহাদের একটা সুবিধা এই যে, শিশুদিগকে শিখানো অপেক্ষা ভুলানো ঢের সহজ কাজ এবং তাহাতে তাহারা সম্পূর্ণ কৃতকার্যতা লাভ করে।
Sabuj Howlader
Id:203-23-974
Textil engineering
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Junaed Adil -
Name : Junaed Adil
ID : 213-51-054
Department : ITM (Information Technology & Management)

শিক্ষার হেরফের নামক প্রবন্ধটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার করুণ পরিণতি তুলে ধরেছেন। বাল্যকাল হতেই আমাদের জ্ঞানের নামে যে গৎবাঁধা শিক্ষার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয় তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন তিনি । পূর্ব হতে বর্তমান এখন পর্যন্ত সেই শিক্ষাব্যবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটেনি। ব্যক্তিত্বের উন্নতি সাধনের বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করে যুগে যুগে আমাদেরকে জ্ঞান আহরণ যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। যার ফলে বাঙালিরা দেহের বয়সের প্রাপ্তবয়স্কতা লাভ করলেও মনের বয়সের প্রাপ্তবয়স্কতা লাভ করে উঠতে পারেনি। সুষম জ্ঞান এবং প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আপনাকে শুধুই বেঁচে থাকতে এবং সুষম জ্ঞান আপনাকে স্বাধীনভাবে প্রকৃত মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। যেখানে অন্যদেশের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তককে জ্ঞান আহরণের শুধুমাত্র একটি সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে সেখানে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পাঠ্যপুস্তককে শিক্ষার মূল উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে সেই পাঠ্যপুস্তক যদি আনন্দের সহিত জ্ঞান দান করতো তবে শিক্ষার্থীরা হয়তো কিছুটা হলেও শিক্ষা গ্রহণের প্রতি উৎসাহিত হতো। তাঁর এই প্রবন্ধে শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা শিক্ষাদান করে থাকেন তাদের অনেকেরই শিক্ষাজীবন এন্ট্রান্স পাস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। আর তাছাড়া তারাও তাদের শিক্ষাজীবন এই শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে পার করে এসেছেন। তাই, তাদের পাঠদানেও যে খুব একটা বৈচিত্র থাকার কথা না, তা স্বভাবতঃই স্বাভাবিক। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নেই কোনো আনন্দ নেই কোন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ। যার ফলে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষা গ্রহণে অংশগ্রহণ না করে অনেকটা বাধ্য হয়েই মুখস্তবিদ্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে যা মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষা শিখার পদ্ধতি বেশ কষ্টসাধ্য সেখানে দ্বিতীয় কোন ভাষা শেখা তো দুর্বিষহ ব্যাপার। ইংরেজি ভাষাকে এদেশে যোগ্যতার সূচক হিসেবে দেখা হয়। কোন একটি ভাষা শিক্ষার প্রথম ধাপ হচ্ছে সে ভাষার সাহিত্য সম্পর্কে জানা। কিন্তু এদেশে ইংরেজি শিক্ষায় সাহিত্যের ছিটেফোঁটা খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। পরিশেষে বলতে পারি আমাদের শিক্ষার সকল উপকরণ থাকা সত্ত্বেও আমরা তার যথাযথ ব্যবহার করতে না পারার কারণে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিকশিত, প্রাণবন্ত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছি।
In reply to Junaed Adil

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Md Saiful Islam -
ID: 203-23-980
Textile Engineering

শিক্ষার হেরফের

যতটুকু আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকিয় কেবল তারই মধ্যে আবদ্ধ থাকা আমাদের মানবজীবনের ধর্ম নয়। আমরা কিঞ্চিত পরিমাণে অত্যাবশ্যক শৃংখলে আবদ্ধ হয়ে থাকি এবং কিঞ্চিত পরিমাণে স্বাধীন। আমাদের দেহ সারেতিনহাত এর মধ্যে বদ্ধ কিন্তু তাই বলে ঠিক সেই সাড়ে তিনহাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করলে কি  চলে আমাদের!

 স্বাধীন চলাফেরার জন্য অনেকখানি স্থান রাখা জরুরি নতুবা আমাদের স্বাস্থ্য এবং আনন্দের ব্যাঘাত ঘটবে। শিক্ষা সম্বন্ধেয় একথাটা অত্যাবশ্যকীয়। তারমধ্যে শিশুদের একান্ত নিবন্ধ রাখলে কখনই তারা এবং তাদের দেহ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে না। বইয়ের পাতার পড়ার সাথে স্বাধীন শিক্ষা না মেশালে ছেলে ভালো করে মানুষ হতে পারে না। বয়প্রাপ্ত হলেও বুদ্ধি বিকাশ ঘটে না।

কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে আমাদের হাতে এতোটুকু সময় নেই। আমাদের উদ্দেশ্য যত তাড়াতাড়ি বিদেশী ভাষা রপ্ত করে পাশ করে চাকরি জীবনে প্রবেশ করা। আর এর জন্য আমাদের পড়া মুখস্ত করে একের পর এক ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখিনা।

পাঠশালার গ্রন্থগুলো ব্যতীত আমাদের হাতে কোন সাপের বই বা গল্পের বই আসে না। বাংলা ভাষা বাসি হওয়া সত্তেও এমনই বাংলা শিখি আমরা যার জ্ঞান রামায়ণ-মহাভারতের মত মহাগ্রন্থ খন্ডন করতে পারে না। এই জ্ঞান আমাদের মহাভারতের স্বাদ দিতে পারেনা। আবার আমরা এমনই দুর্ভাগা ইংরেজিতে এতটা জানা নেই যে ইংরেজি বাল্য গ্রন্থের মধ্যে প্রবেশ করতে পারি। এমনকি তা বড় বড় বিএম এর পক্ষে ও সম্পূর্ণ রূপে আয়তঘন হয় না।

প্রাণহীন শিক্ষা কখনোই মানুষকে প্রাণবন্ত করতে পারে না। আমাদের শিক্ষার হেরফের সম্পর্কে বোধগম্য হতে হবে, তবেই আমরা হতে পারব পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত ও জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Md Ziaur Rahman jony -


Md. Ziaur Rahman Jony

 ID : 203-23-978

Department : Textile Engineering


শিক্ষার হেরফের


শিক্ষার হেরফের বলতে আমরা প্রথমেই বুঝি শিক্ষার অবহেলা অনিয়ম শিক্ষা নিয়ে কোন কারো সঠিক ভাবনা নাই। আমাদের আশে-পাশে সকল কিছু নিয়ে আমরা চিন্তিত কিন্তুু আমরা যে বাঙ্গালী আমাদের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা আমাদের মাতৃভাষা নিয়ে আমাদের কোন ভাবনা নাই। সমাজের সকল কাজের জন্য কমিটি গঠন করা আছে যেমন রাজনৈতিক, ধর্ম,ব্যবসা বাণিজ্য, ইত্যাদি কিন্তুু দেশের সাহিত্য সম্পকীয় কোন কাজের কমিটি দ্বার সুসম্পন্ন হয়তে দেখা যায় নাই।একটি ছোট শিশুকে যখন প্রথম শিক্ষা দেওয়া হয় তখন নিজের সাহিত্য ছাড়া বিদেশি সাহিত্য শেখে তাহলে সেই শুশি বড় হয়ে কি শিখবে? আমরা সাড়ে তিন হাত মানুষ তাহলে এতো বড় বাড়ি ঘড় তৈরী করি কেনো সুন্দর ভবে বাঁচা জন্য কিন্তুু সাহিত্য দিকে তাকায় ক্লাস ১০ শ্রেণী পযন্ত কি সাহিত্য জানলে চলবে তাহলে সাড়ে তিন হাত মানুষ বাড়ি ঘড় সাড়ে তিন হাত বানালেই চলতো।আমাতের বর্তমান এমন অবস্থা যে আমি প্রকৃতো শিক্ষা কেউ গহন করছি না এমন হচ্ছে বিদ্যালয় যাচ্ছি শিক্ষাক কিছু গিলাই দিচ্ছে আর সেটা পরিক্ষা খাতায় উগলাই দিচ্ছি এমন। সৃষ্টি কর্তা যে নিজের একটা বুদ্ধি দিয়েছে তা খাটানোর কনো চেষ্ট করা হচ্ছে না নিজের মন কি বলছে তা বলতে পারছিনা । সাহিত্য কি এটা যে গাইড পরে গেলাম আর তাই নকল করে লেখলাম? না সাহিত্য এটা না সাহিত্য হচ্ছে কোন কিছু পড়ার পর আমি কি বুজলাম আমার মন কি ভাবলো নিজের মত প্রাকাশ করাই সাহিত্য। আমরা সবাই ইংরেজি ভাষা কে শিক্ষত ভাষা বলি আসলে কি যে ইংরেজি পারলো সেই শিক্ষত আর যে পারলো না সে কম শিক্ষত বা কম জানে? মানুষ বেঁচে থাকতে হলে যেমন ডাক্তারের প্রয়োজন আছে ঠিক ইন্জিনিয়ারের প্রয়োজন আছে কৃষক এর প্রয়োজন আছে তাই বলে কি ইন্জিনিয়ারকে শিক্ষত বলবো আর ডাক্তারকে মুরখো বলবো? না কারন কেই এটা ভালো পারে আবার কেউ ওটা ভালো পারে সব কিছু দরকার আছে তেমন ইংরেজি যেমন দরকার আছে ঠিক বাংলা সাহিত্য দরকার আছে। আমরা অনেকেই ইংরেজি দিয়ে বাংলা পরি কিন্তুু ইংরেজি অর্থ কি বাংলা ভাষা সঠিক প্রকাশ পাই? না পাই না যেমন Horse is a nole animal --- বাংলা র্তজমা করিতে গেলে বাংলারও ঠিক থাকে না, ইংরেজি ঘোলাইয়া যায়।কথাটা কেমন করিয়া প্রাশ করা যায়। ঘোড়া একটি মহত জন্তুু, ঘোড়া অতি উঁচুদরের জানোয়ার, ঘোড়া জন্তুু খুব ভালো--- কথা কিন্তুু তেমন মনঃসংযোগ না। কথা গুলো গজামিল দেওয়া তাই ইংরেজি ভাষা দিয়ে কখন বাংরা সাহিত্য সঠিক ভবে প্রকাশ করা যায় না। ঘোড়া একটি মহত জন্তুু, ঘোড়া অতি উঁচুদরের জানোয়ার, ঘোড়া জন্তুু খুব ভালো--- কথা কিন্তুু তেমন মনঃসংযোগ না। কথা গুলো গজামিল দেওয়া তাই ইংরেজি ভাষা দিয়ে কখন বাংলা সাহিত্য সঠিক ভবে প্রকাশ করা যায় না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Maisha Rahman -
ID: 213-51-050
ITM

“শিক্ষার হেরফের” সম্পর্কে আমার মতামত

১. মানবজীবনে স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক। বন্দি খাঁচায় যেমন পাখি কেবল পাখা মেলতে পারে কিন্তু উড়ে যেতে পারে না, তেমনি নিবদ্ধ জীবনে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু বিকশিত হতে পারে না।

২. আমাদের সমাজে প্রত্যেক মানুষ বিলাসবহুল জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে ; যার জন্য প্রয়োজন অর্থ-বিত্ত, অর্থের জন্য প্রয়োজন চাকরী, যা পাওয়া যায় ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে। তাই সকলের উদ্দেশ্য বিদ্যালয় সংক্রান্ত বই পাঠ করে সেই ডিগ্রি অর্জন করা।

৩. কৈশোরকাল জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এসময় ছেলেমেয়েদের প্রতিভা প্রকাশিত তথা বিকশিত হয়। কিন্তু ঠিক এসময়ই তাদেরকে সীমিত পড়ালেখার মাঝে বেঁধে রাখা হয়। অথচ একই পর্যায়ের অন্য দেশের ছেলেমেয়েরা একের পর এক গণ্ডি পার করে বিশ্ব আবিষ্কার করে চলছে।

৪. আমাদের মাতৃভাষা বাংলা কিন্তু এই ভাষা নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। কেননা পাঠ্যপুস্তক এর বাইরে আমাদের আর কিছু পড়তে দেওয়া হয় না। এখানে ভাষাশিক্ষা কেবল চাকরির উপর নির্ভর করে।

৫. যে শিক্ষকদের দ্বারা আমরা শিক্ষার পথে চলতে শুরু করি, সেই শিক্ষকগণ ও প্রচলিত নিয়মেই শিক্ষিত হয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অতঃপর এই প্রথা অবিচ্ছিন্ন থাকে।

৬. পড়ালেখা অন্তঃস্থ করার জন্য কল্পনা করা প্রয়োজন। অন্যথায় তা কন্ঠস্থ ই রয়ে যায়।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Imran Ahmed -
Name - Imran Ahmed
ID - 213-51-056
Department - ITM (Information Technology & Management)

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে তিনি প্রচোলিত শিক্ষা বাবস্থার প্রতি ব্যাজ্ঞ বিদ্রুপ করেছেন।

তিনি বলেছেন যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তার মধ্যে কারারূদ্ধ হয়ে থাকা জীবনের ধর্ম নয়। আমরা যদি স্বাধীনভাবে চলাফেরা না করতে পারি তবে আমাদের আনন্দে ব্যাঘাত ঘটে। শিক্ষার ক্ষেত্রেও উক্তিটি প্রযোজ্য। যতটুকু শিক্ষা অত্যাবশ্যক তার মধ্যে শিশুকে নিবদ্ধ করে রাখলে তাদের মনের যথেষ্ট বিকাশ ঘটে না, প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই মনে করেন। দেখা যায় প্রায়ই অভিভাবকগন শিক্ষার্থীর উপর চাপ সৃষ্টি করেন তারা যেনো দ্রূত শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করে চাকরীতে যোগদান করে এবং শিশুকাল থেকেই তাদের এভাবে বোঝানো হয়ে থাকে। এতে করে শিশুরা মূখস্খবিদ্যা পদ্ধতি অবলম্বন করে যার ফলে যখন তাদের মজার সাথে নতুন কিছু শেখার কথা তখন তারা তাদের পাষের পরা পরতেই দিশেহারা। ফলে মানসিক দিক দিয়ে তারা পরিপক্বতা লাভে ব্যর্থ হয়। শিক্ষার্থীরা রাশি রাশি বই পরে এম.এ, বি.এ পাশ করে কিন্তু তাদের মেধার বিকাশ তেমনি ভাবে হয় না বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন। এবং এর কারন হিসেবে তিনি বলেছেন বাল্যকাল থেকেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সংজ্ঞে আনন্দ মিস্রিত নেই , আমাদের যা আবশ্যক তাই কন্ঠস্থ করে থাকি। এতে সাময়িক কাজ হয়ত চলে যায় কিন্তু মানসিক বিকাশ সাধিত হয় না। শিক্ষার্থী যা শিখে তা যদি সে আনন্দের সাথে শিখতে পারত তাহলে তাদের গ্রহন শক্তি, ধারন শক্তি ও চিন্তা শক্তি স্বাভাবিক নিয়মেই চলতো। চিন্তা শক্তি ও কল্পনা শক্তি প্রতিটা শিক্ষার্থীরই থাকাটা আবস্যক।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by ANIKA THAHOSHENA RONGON -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের কয়েকটি মূল কথাঃ-

১.আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সেই সাড়ে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না।
২.ছেলেদের এমন করিয়া বাংলা শেখানো হয় না যাহাতে তাহারা আপন ইচ্ছায় ঘরে বসিয়া কোনো বাংলা কাব্যের যথার্থ স্বাদ গ্রহণ করিতে পারে। আবার দুর্ভাগারা ইংরেজিও এতটা জানে না যাহাতে ইংরেজি বাল্যগ্রন্থের মধ্যে প্রবেশ লাভ করে।
৩.হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে, কিন্তু আহারটি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া খাওয়ার দরকার। তেমনই একটা শিক্ষাপুস্তককে রীতিমত হজম করিতে অনেকগুলি পাঠ্যপুস্তকের সাহায্য আবশ্যক।
৪.চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ঐ দুটা পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না।
৫.সংগ্রহ করিতে শিখিলেই যে নির্মাণ করিতে শেখা হইল ধরিয়া লওয়া হয়, সেইটেই একটা মস্ত ভুল। সংগ্রহ এবং নির্মাণ যখন একই সঙ্গে অল্পে অল্পে অগ্রসর হইতে থাকে তখনই কাজটা পাকা রকমের হয়।
৬.ইংরেজি আমাদের পক্ষে কাজের ভাষা কিন্তু ভাবের ভাষা নহে।
৭.শীতের সহিত শীতবস্ত্র, গ্রীষ্মের সহিত গ্রীষ্মবস্ত্র কেবল একত্র করিতে পারিতেছি না বলিয়াই আমাদের এত দৈন্য।
৮.বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য স্থাপিত হইতে পারে।
৯.পৃথিবীর পুস্তকসাধারণকে পাঠ্যপুস্তক এবং অপাঠ্যপুস্তক, প্রধানত এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে।

প্রবন্ধের মূলভাবঃ-

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯২ সালে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধ টি রচনা করেন। শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে তিনি বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দেন। রবীন্দ্রনাথ সবসময়ই গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজের জাতি, সমাজ ও দেশকে উত্তমরূপে জানা, বৃহত্তর মানবিক নীতিবোধ দিয়ে নিজেদের সংশোধন করে চলা এবং বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল না থেকে আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠা এসবই ছিল তাঁর প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য। শিক্ষার হেরফের অর্থাৎ শিক্ষার অপরিপূর্ণতা। আমাদের শিক্ষায় কিকি অপরিপূর্ণতা রয়েছে এবং আমাদের শিক্ষাকে পরিপূর্ণ করতে হলে কি কি করা উচিত তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ প্রবন্ধ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তারই মধ্যে কারারুদ্ধ হয়ে থাকা মানব জীবনের ধর্ম না অর্থাৎ যা কিছু আমাদের জন্য আবশ্যক সেগুলো বাদেও আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে যেগুলো ছাড়া আমরা জীবনে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি না। আমাদের অত্যাবশ্যক শিক্ষার সাথে স্বাধীন শিক্ষার পাঠ না করিলে আমরা সঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারিনা। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বাল্য অবস্থা থেকেই ইংরেজী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু এই ইংরেজি বইয়ের গল্পের সাথে আমাদের বাংলার ছেলে-মেয়ের বাস্তবিক জীবনের গল্পের কোন মিল নেই।তাই তারা এ শিক্ষাকে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়তে পারে না যার কারণে এই শিক্ষা অপরিপূর্ণ থেকে যায় । আবার এর সাথে সাথে বাংলা টাও কোন রকম পড়ানো হয়। এই কারণে আমাদের দেশের মানুষেরা বাংলার প্রকৃত শিক্ষা বা জ্ঞান রাখে না।যে শিক্ষা তাদের দেওয়া হয় তার সাথে কোনো আনন্দ নেই। তাদেরকে একপ্রকার বাধ্য করিয়া সমস্ত শিক্ষা চাপিয়া দেওয়া হয়। তারা কোনো রকমেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলেও তারা এই শিক্ষা অন্তঃস্থ করে না যার কারণে এই শিক্ষার দ্বারা তাদের কোনো বিকাশলাভ ঘটে না। বাস্তবিক জীবনে তারা এই শিক্ষার কোন প্রয়োগ করতে পারে না। আমরা যা পড়ছি আমরা সঙ্গে সঙ্গেই কাজে লাগাতে পারছি না তার সম্বন্ধে আমরা ভাবছি না।যার কারণে এ শিক্ষা আমাদের কোনো প্রয়োজনই আসছে না। শিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে সেই শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা শক্তি দিয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে।বাল্যকাল থেকেই আমাদের চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানো উচিত। এর ফলে আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারব ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Hasibul Hasan -
আমাদের দেশের একটা সমস্যা, শিক্ষা বলি, স্বাস্থ্য বলি , সম্পদ বলি , আমাদের উপরে যে কিছু নির্ভর করছে, এ কথা আমরা একরকম ভুলেছিলাম। অতএব এ-সকল বিষয়ে আমাদের বোঝা নাবোঝা দুই-ই প্রায় সমান ছিল। আমরা জানি, দেশের সমস্ত মঙ্গলসাধনের দায়িত্ব গবর্মেণ্টের; অতএব আমাদের অভাব কী আছে না আছে তা বোঝার দরুন কোনো কাজ অগ্রসর হবার কোনো সম্ভাবনা নাই। এমনতরো দায়িত্ববিহীন আলোচনায় পৌরুষের ক্ষতি করে। এতে পরের উপর নির্ভর আরো বৃদ্ধি করে।
স্বদেশ যে আমাদেরই কর্মক্ষেত্র এবং আমরাই যে তাহার সর্বপ্রধান কর্মী, এমনকি, অন্যে অনুগ্রহপূর্বক যতই আমাদের কর্মভার লাঘব করবে, আমাদের স্বচেষ্টার কঠোরতাকে যতই খর্ব করবে, ততই আমাদেেরকে বঞ্চিত করে কাপুরুষ করে তুলবে—এ কথা যখন নিঃসংশয়ে বুঝব তখনই আর-আর কথা বুঝবার সময় হবে
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Olid hosen choton -
Olid Hosen Choton
ID: 203-23-990
Department of textile engineering

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাত্রসমাজ ও অভিভাবক সমাজের অপারগতার পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছেন। শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী জ্ঞানঅর্জনের সীমাবদ্ধতা এবং শিক্ষক এবং অভিভাবকগণের সংকীর্ণতার চিহ্ন এই প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রাবন্ধিক সুস্পষ্ট করেছেন। শুধু মাত্রা নির্ধারিত কিছু শ্রেণীপাঠ্য ও যৎসামান্য সাহিত্য ও শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ। আমরা প্রতিনিয়তই ইউরোপীয়দের অনুকরণ করি। হোক তা ভাষায় বা তাদের পোশাক। চাকুরি করতে যেটুকু বিদ্যা প্রয়োজন তা লাভ করতে গিয়ে আমরা অনেক বিদেশি ভাষার সাথে পরিচিতি হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের অপটুকতের কারণে বিদেশি ভাষার সাথে আমাদের আর একাত্ম হয়ে ওঠা হয় না। যেখানে আমাদের নিজস্ব ভাষায় রচিত সাহিত্য আমাদের নিকট তার সৌন্দর্য ও মাধুর্য প্রকাশ করতে অপারগ, সেখানে বিদেশী ভাষার সাথে একাত্ম হওয়া হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা শিশুকাল থেকে শুধু স্মরণশক্তির উপর করে কেবল পরীক্ষায় পাসের জন্য নিরসপাঠ্য বই পড়েছি। যা আমাদের বুদ্ধির যথাযথ বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। বিদেশী ভাষার সাথে আমাদের পরিচয় কয়েকটি বাক্য মুখস্তের উপর ভিত্তি করে যার ভাবার্থ আমাদের নিকট সম্পূর্ন নয়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরবাসের শিক্ষার প্রতি যে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে, তার কিছু অংশ যদি বাংলা ভাষা শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, তবে আজ আমাদের এই প্রবন্ধের সারমর্ম লিখতে এত চিন্তা ভাবনা ও ব্যতিব্যস্ত হতে হতো না। তাই আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের জন্য পাঠ্যবইয়ের বাইরে এবং সাহিত্য পড়াটাও অত্যন্ত জরুরী। অন্যদিকে বিদেশি ভাষার পটু হতে হলে, ভাষার ভাবধারণ করাও প্রয়োজন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Md Tarikul Islam -
শিক্ষা হলো সামাজিক গতিশীল একটা প্রক্রিয়া। জন্ম থেকে মৃত্যু পযর্ন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবতর্ন, তবে এই পরিবতর্নটা অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। অথার্ৎ আচরণের ইতিবাচক পরিবতর্নই হলো শিক্ষা। মহান গ্রিক দাশির্নক এরিস্টটল খ্রিষ্টপূবাের্ব্দ শিক্ষা সম্পকের্ বলছেন-‘সুস্থ দেহ, সুস্থ মন তৈরির প্রক্রিয়াই হলো শিক্ষা’। অন্যদিকে আধুনিক শিক্ষাবিদ ফ্রয়েবল এর মতে, ‘সুন্দর, বিশ্বস্ত এবং পবিত্র জীবনের উপলব্ধিই হলো শিক্ষা’। অথচ এই সমাজ ধরেই নিয়েছে পাস করে সাটিির্ফকেট অজর্ন করার নামই হল শিক্ষা। এরূপ অন্ধ ধারণা পোষণের কারণে আজ-কালকার দিনের অভিভাবকেরা নাছোড়বান্দার মতো শিক্ষাথীের্দর কঁাধে চেপে বসেছে। স্কুল শেষ হলেই শিক্ষাথীের্দর পাঠিয়ে দেয়া হয় কোচিং সেন্টারগুলোতে। মাঝে মাঝে এমনও দৃশ্য চোখে পরে যে, একজন শিক্ষাথীের্ক স্কুল শেষে তিন-চারটা কোচিংয়ে দৌড়াতে হয়। এর একটাই উদ্দেশ্য সিজিপিএ বাড়াতে হবে।
দেশে শিক্ষার হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা একটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সত্যিকারের শিক্ষা আমরা কতজন গ্রহণ করতে পেরেছি। ভারি ভারি সাটিির্ফকেট থাকলেই তাকে প্রকৃত শিক্ষিত বলা চলে না, যদি না তার আচরণে ইতিবাচক পরিবতর্ন না ঘটে। সমাজে এমনও লোক আছে যারা উচ্চ ডিগ্রিধারী অথচ তাদের আচরণে মনে হয় না যে তারা উচ্চ ডিগ্রিধারী। তাদের ব্যবহার দেখলে মনে হবে ঐ অজপাড়াগঁায়ের গোবেচারা ছেলের মতো। আসলে এই দোষটা তাদের না, এটা মূলত আমাদের সমাজেরই দোষ। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথার মধ্যে একটা ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে কীভাব ভালো রেজাল্ট করা যায়। কিন্ডারগাটের্ন, নাসাির্র, কেজির বাচ্চাদের ব্যাগে দেখা যায় ১২-১৩ টা বই। কোন কোন বাচ্চারা তো ব্যাগের ভারটাই বহন করতে পারে না। অথচ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল স্কুলে যাওয়ার অভ্যাসটা ঠিক মতো তৈরি করা। বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার ব্রিজ তৈরি করে এই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা। অথচ আমরা শুরু থেকেই তাদের চাপের মধ্যে রাখি। যার ফলে শিক্ষাথীের্দর সুস্থ মস্তিষ্ক তৈরির ব্যাঘাত হয়। বাল্যকাল থেকেই তাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যা কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাই তারা কণ্ঠস্থ করতেছে। এভাবে হয়তো ভারি ভারি সাটিির্ফকেট অজর্ন করা সম্ভব হবে কিন্তু প্রকৃত বিকাশলাভ সম্ভব না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘শিক্ষার হেরফের’ প্রবন্ধে একটা কথা উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘অন্য দেশের ছেলেরা যে বয়সে নবোদ্গত দন্তে আনন্দমনে ইক্ষু চবর্ন করিতেছে, বাঙালির ছেলেরা তখন ইস্কুলের বেঞ্চির উপর কেঁাচা সমেত দুইখানি শীণর্ খবর্চরণ দোদুল্যমান করিয়া শুধু বেত হজম করিতেছে।’

অতএব, শিক্ষাথীর্র বিকাশ ও শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অজের্নর জন্য আমাদের সবার উচিত একাগ্রতার সহিত কাজ করা। অভিভাবকদের উচিত শিক্ষার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো সন্তানদের মাঝে তুলে ধরা এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।

ID: 203-23-983
Department of Textile Engineering
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by K. M. Marufa Yesmin Mim -
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শিক্ষার হেরফের’ প্রবন্ধটিতে তিনি উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। প্রবন্ধটিতে রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দেন।তিনি সবসময় সৃজনশীলতা এবং গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রবন্ধটির মূল ভাবার্থ হলো নিজের জাতি,সমাজ এবং দেশকে ভালোভাবে জানা,মানবিক নীতিবোধকে আরও বৃহত্তর করে নিজেদের সংশোধন করা।আত্মশক্তিকে উজ্জীবিত করা,যাতে বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল থাকা না লাগে। এছাড়া আমাদের শিক্ষার অপরিপূর্ণ দিকগুলো এবং তা কিভাবে পরিপূর্ণ করা যায় তা পাঠকদের কাছে খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন প্রবন্ধের মাধ্যমে।তিনি বলেন কেবলমাত্র পরিক্ষায় পাশের জন্য আমরা যা পরছি তা কখনো আমাদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে পারেনা। স্বাদহীন, আনন্দহীন পড়া আমরা কেবল গলাধঃকরণ করেই যাচ্ছি। প্রারম্ভিক শিক্ষায় আমরা এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের পরীক্ষায় পাস এর জন্যই পড়িয়েছেন, আমরাও পড়েছি। এতে কোনো রকমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলেও প্রকৃত জ্ঞান বা বিকাশলাভ কোনটিই শিক্ষার দ্বারা আয়ত্ত্ব করা সম্ভব হয় নাই। বাস্তবিক জীবনে এই শিক্ষার কোন প্রয়োগ করতে পারে না তাই আমাদের উচিত শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে বাল্যকাল থেকে চিন্তাশক্তি প্রসার ঘটানো এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়া।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Resal Bhuyan -
My first intension to go to the University is to investigate and advance my ability, accumulate and know new things, on the grounds that without the information or realizing anything can't give me what I need.
In conclusion, for proceeding with my higher concentrate abroad, additionally get a fruitful vocation for laying down a good foundation for myself, I need a degree just as incredible abilities. Since working environments perceive a norm of learning dependent on a degree, It can be simpler to find a new line of work when one has a college degree since college graduates will in general get more cash-flow than those without capabilities
More significant compensations can prompt a superior personal satisfaction and more simplicity at managing the cost of the existence one needs.
Further, I have some different clarifications, for example, I accept that Universities are assortments of the absolute most brilliant researchers. Being around other mind blowing mindsets can start groundbreaking thoughts and support interest in new regions.
Understudies come from many foundations meet up. For certain understudies, particularly understudies from unassuming communities, similar to me, going to a higher foundation of learning, for example, a college might furnish them with the principal opportunity that they've needed to meet individuals from another culture. Finding out with regards to others is an important piece of life experience. I'm likewise the sort of individual who loves to meet new companions just as many individuals. Furthermore, I additionally have such countless companions however I never meet them face to face as the pandemic circumstance.
Furthermore, we as a whole realize that University research benefits everybody – making organizations and occupations, advancing society, and animating society.
Despite the fact that I have been hesitant ordinarily to follow this blend of my concentrate course about software engineering and designing, as it is viewed as having the biggest responsibility, additionally some private matters But I'll continue to drive myself to learn and I accept that I will make it conceivable with my enthusiasm, responsibility, and difficult work in my field.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Md Raihan Hossain -
কবিগুরু 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' তাঁর "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মাধ্যমে আমাদের উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানাবিধ অভাব এবং এর দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন। প্রাবন্ধিক বলেছেন, আমরা কোন ভাবে ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করে পাস করে একটা চাকরি হলেই আমাদের শিক্ষা শেষ। আমাদের দেহের জন্য সাড়ে তিন হাত লাগলেও আমরা কিন্তু থাকার জন্য সাড়ে তিন হাত ঘর নির্মান করি না বরং আমরা ডয়িং রুম,বেড রুম,কিচেন রুম সহ আরো অনেক রুম তৈরি করি আমাদের থাকার সুবিধার জন্য। ঠিক তেমনি যদি আমরা আমাদের সন্তানদের পাঠ্যপুস্তকের পাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি তবে তাদের মনের বিকাশ সম্পূর্ণভাবে হবে না। তাই আমাদের উচিৎ তাদেরকে পাঠ্যপুস্তকের পাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের স্বাধীন পাঠ গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া। এতে তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে এবং এতে তারা প্রকৃত শিক্ষাটা পাবে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের শিক্ষার প্রতি কোনো আনন্দ নেই , শুধুমাত্র যা দরকার তাই মুখস্ত করছি কিন্তু এতে আমাদের বিকাশ হচ্ছে না। তাই আমরা যদি শিক্ষাটাকে আন্দন্দের সহিত নেই তবে সেটা কিছুটা হলেও আমাদের প্রকৃত শিক্ষা লাভ হবে। ইংরেজি ভাষাটা আমাদের মাতৃভাষা না যার ফলে আমাদের যখন ইংরেজিতে কোনো সাহিত্য পড়ানো হয়ে আমরা তা কল্পনা করতে পারি না আর এর ভাব বুজি না, আবার নীচের ক্লাসে সে-সকল মাস্টাররা পড়ায় তারা না ইংরেজিতে পারদর্শী না বাংলায় কিন্তু এর প্রভাব টা আমাদের উপর পড়ছে।আর সাথে আমাদের শিক্ষকদের নিবেদিত প্রাণ দিয়ে ছাত্রদের শিখাতে হবে শিক্ষাটাকে ব্যবসা হিসাবে নিলে হবে না।আমাদের দেশে রয়েছে ক্ষুধার জন্য অন্ন, শীতের জন্য শীতবস্ত্র এবং গ্রীষ্মের জন্য গ্রীষ্মবস্র। সবকিছু থাকা সত্যেও আজ আমরা দারিদ্র্য কেননা যতদিন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার সঠিক মর্ম বুজবো ঠিক ততোদিন পর্যন্ত আমরা দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারবো না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Md.Nafiz-Al- Fuad -
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মাধ্যমে আমাদের উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং এর দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবসময়ই গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজের জাতি, সমাজ ও দেশকে উত্তমরূপে জানা, বৃহত্তর মানবিক নীতিবোধ দিয়ে নিজেদের সংশোধন করে চলা এবং বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল না থেকে আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠা এসবই ছিল তাঁর প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য। শিক্ষার হেরফের অর্থাৎ শিক্ষার বিশৃঙ্খলারবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, আমরা শুধু ইউনিভার্সিটির বই থেকে শিক্ষা গ্রহন করে থাকি। আসলে এই শিক্ষা দিয়ে শুধু চাকরি পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষ হওয়া যায় না। প্রকৃত মানবধর্ম শিখা যায় না। যতটুকু শিক্ষা আবশ্যক তারই মধ্যে কারাবন্দি হয়ে থাকা মানবজীবনের ধর্ম নয়। শুধু বই থেকে জ্ঞান নিলে মানুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বুদ্ধিবৃত্তির দিক দিয়ে বালকই থেকে যায়। এর প্রধান কারন হচ্ছে, বাল্যকাল থেকে শিক্ষার সাথে আনন্দ নেই। যা দরকার তা মুখস্থ করে, পরীক্ষায় লেখে আস্তে পারলেই হয়। পাঠশালার গ্রন্থগুলো ব্যতীত আমাদের হাতে কোন সাপের বই বা গল্পের বই আসে না। বাংলা ভাষা বাসি হওয়া সত্তেও এমনই বাংলা শিখি আমরা যার জ্ঞান রামায়ণ-মহাভারতের মত মহাগ্রন্থ খন্ডন করতে পারে না। এই জ্ঞান আমাদের মহাভারতের স্বাদ দিতে পারেনা। আবার আমরা এমনই দুর্ভাগা ইংরেজিতে এতটা জানা নেই যে ইংরেজি বাল্য গ্রন্থের মধ্যে প্রবেশ করতে পারি। এমনকি তা বড় বড় বিএম এর পক্ষে ও সম্পূর্ণ রূপে আয়তঘন হয় না।
এই প্রবন্ধের মাধ্যমে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা ব্যবস্থার ভুল দিক গুলো তুলে ধরে সেগুলো সংশোধনের জন্য বলেছেন।

Md.Nafiz-Al-Fuad
ID:191-15-1054
Sec:PC-J
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by wakida ulka -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, আমরা শুধু ইউনিভার্সিটির বই থেকে শিক্ষা গ্রহন করে থাকি। আসলে এই শিক্ষা দিয়ে শুধু চাকরি পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষ হওয়া যায় না। প্রকৃত মানবধর্ম শিখা যায় না। যতটুকু শিক্ষা আবশ্যক তারই মধ্যে কারাবন্দি হয়ে থাকা মানবজীবনের ধর্ম নয়। শুধু বই থেকে জ্ঞান নিলে মানুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বুদ্ধিবৃত্তির দিক দিয়ে বালকই থেকে যায়। এর প্রধান কারন হচ্ছে, বাল্যকাল থেকে শিক্ষার সাথে আনন্দ নেই। যা দরকার তা মুঘস্থ করে, পরীক্ষায় লেখে আস্তে পারলেই হয়। কিন্তু সেই শিক্ষাকে হজম করতে কিছু সহায়ক বই দরকার। কোনো শিশু এইসব বই পড়া শুরু করলে, তার গুরুজনরা তা ছিনিয়ে নেয়। কারন তা চাকরির ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে না। ছোটবেলায় থেকে মুঘস্থ বিদ্যার উপর জোর না দিয়ে, চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি উপরও সমান জোর দিতে হবে। এতেই বালক মানবধর্ম শিখতে পারবে। বাল্যকাল থেকে যদি ভাষা শিক্ষার সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সাথে সমস্ত জীবন-যাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটি যথার্থ সামঞ্জস্য তৈরি হবে। আমরা চাকরি লাভের আশায় যে শিক্ষা গ্রহন করি, দৈনিক জীবনে যে তার কোনো ব্যবহার নেই তা সবাই জানি। এই শিক্ষা আমাদের চরিত্র গঠন করতে পারে না। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমাদেরকে সুষ্ঠু বাংলা ভাষা শিখতে হবে। বাংলা ভাষা চর্চা করার জন্য অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে। ইংরেজি ভাষা অতিমাত্রায় বিজাতীয় ভাষা। পাঠ্য-পস্তুক এর ইংরেজি ভাষা দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না। এইজন্য শিশুকাল থেকেই বাংলা সাহিত্য চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। পাঠ্য-পস্তুক এর শিক্ষায় আলোকিত না হয়ে, আমাদেরকে সর্বজনীন শিক্ষায় আলোকিত হতে হবে। এতেই আমরা হয়ে উঠবো পূর্ণাঙ্গ মানুষ।

Name: Wakida Tarafder
Id: 203-34-1137
Department : Nutrition And Food Engineering ( NFE)
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Anamul Huq -
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শিক্ষার হেরফের’ প্রবন্ধটিতে তিনি উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। প্রবন্ধটিতে রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দেন।তিনি সবসময় সৃজনশীলতা এবং গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রবন্ধটির মূল ভাবার্থ হলো নিজের জাতি,সমাজ এবং দেশকে ভালোভাবে জানা,মানবিক নীতিবোধকে আরও বৃহত্তর করে নিজেদের সংশোধন করা।আত্মশক্তিকে উজ্জীবিত করা,যাতে বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল থাকা না লাগে। এছাড়া আমাদের শিক্ষার অপরিপূর্ণ দিকগুলো এবং তা কিভাবে পরিপূর্ণ করা যায় তা পাঠকদের কাছে খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন প্রবন্ধের মাধ্যমে।তিনি বলেন কেবলমাত্র পরিক্ষায় পাশের জন্য আমরা যা পরছি তা কখনো আমাদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে পারেনা। স্বাদহীন, আনন্দহীন পড়া আমরা কেবল গলাধঃকরণ করেই যাচ্ছি। প্রারম্ভিক শিক্ষায় আমরা এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের পরীক্ষায় পাস এর জন্যই পড়িয়েছেন, আমরাও পড়েছি। এতে কোনো রকমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলেও প্রকৃত জ্ঞান বা বিকাশলাভ কোনটিই শিক্ষার দ্বারা আয়ত্ত্ব করা সম্ভব হয় নাই।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Mohammad Sabbir Bhuiyan -
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মাধ্যমে আমাদের উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং এর দুর্বলতার কারণগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবসময়ই গঠনমূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজের জাতি, সমাজ ও দেশকে উত্তমরূপে জানা, বৃহত্তর মানবিক নীতিবোধ দিয়ে নিজেদের সংশোধন করে চলা এবং বিদেশি শাসকের ভিক্ষার দানে নির্ভরশীল না থেকে আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠা এসবই ছিল তাঁর প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য। শিক্ষার হেরফের অর্থাৎ শিক্ষার বিশৃঙ্খলা। আমাদের শিক্ষায় কি কি অপরিপূর্ণতা রয়েছে এবং আমাদের শিক্ষাকে পরিপূর্ণ করতে হলে কি কি করা উচিত তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ প্রবন্ধ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তারই মধ্যে কারারুদ্ধ হয়ে থাকা মানব জীবনের ধর্ম না অর্থাৎ যা কিছু আমাদের জন্য আবশ্যক সেগুলো বাদেও আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে যেগুলো ছাড়া আমরা জীবনে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি না। আমাদের অত্যাবশ্যক শিক্ষার সাথে স্বাধীন শিক্ষার পাঠ না করিলে আমরা সঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারিনা। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বাল্য অবস্থা থেকেই ইংরেজী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু এই ইংরেজি বইয়ের গল্পের সাথে আমাদের বাংলার ছেলে-মেয়ের বাস্তবিক জীবনের গল্পের কোন মিল নেই।তাই তারা এ শিক্ষাকে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়তে পারে না যার কারণে এই শিক্ষা অপরিপূর্ণ থেকে যায় । আবার এর সাথে সাথে বাংলা টাও কোন রকম পড়ানো হয়। এই কারণে আমাদের দেশের মানুষেরা বাংলার প্রকৃত শিক্ষা বা জ্ঞান রাখে না। তিনি বলেন ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরবাসের শিক্ষার প্রতি যে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে, তার কিছু অংশ যদি বাংলা ভাষা শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, তবে আজ আমাদের এই প্রবন্ধের সারমর্ম লিখতে এত চিন্তা ভাবনা ও ব্যতিব্যস্ত হতে হতো না। তারা কোনো রকমেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলেও তারা এই শিক্ষা অন্তঃস্থ করে না যার কারণে এই শিক্ষার দ্বারা তাদের কোনো বিকাশলাভ ঘটে না। বাস্তবিক জীবনে তারা এই শিক্ষার কোন প্রয়োগ করতে পারে না। আমরা যা পড়ছি আমরা সঙ্গে সঙ্গেই কাজে লাগাতে পারছি না তার সম্বন্ধে আমরা ভাবছি না। যার কারণে এ শিক্ষা আমাদের কোনো প্রয়োজনই আসছে না। শিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে সেই শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা শক্তি দিয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে।বাল্যকাল থেকেই আমাদের চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানো উচিত। এর ফলে আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারব।
Mohammad Sabbir Bhuiyan
211-50-051
dept. of ICE
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: Shikkhar Herfer by Tagore

by Khandoker Md Farhan Millat -
Shikkhar Herfer by Tagore
by Khandoker Md Farhan Millat
ID : 211-50-055
Department : ICE

আমাদের বঙ্গসাহিত্যে নানা অভাব আছে সন্দেহ নাই; দর্শন বিজ্ঞান এবং বিবিধ শিক্ষণীয় বিষয় এ পর্যন্ত বঙ্গভাষায় যথেষ্ট পরিমাণে প্রকাশিত হয় নাই; এবং সেই কারণে রীতিমত শিক্ষালাভ করিতে হইলে বিদেশীয় ভাষার সাহায্য গ্রহণ করা ব্যতীত উপায়ান্তর দেখা যায় না। কিন্তু আমার অনেক সময় মনে হয় সেজন্য আক্ষেপ পরে করিলেও চলে, আপাতত শিশুদের পাঠ্যপুস্তক দুই চারিখানি না পাইলে নিতান্ত অচল হইয়া দাঁড়াইয়াছে।বর্ণবোধ, শিশুশিক্ষা এবং নীতিপুস্তকের অভাব নাই, কিন্তু তাহাকে আমি শিশুদিগের পাঠ্যপুস্তক বলি না।পৃথিবীর পুস্তকসাধারণকে পাঠ্যপুস্তক এবং অপাঠ্যপুস্তক, প্রধানত এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। টেক্‌সট বুক কমিটি হইতে যে-সকল গ্রন্থ নির্বাচিত হয় তাহাকে শেষোক্ত শ্রেণীতে গণ্য করিলে অন্যায় বিচার করা হয় না।কেহ-বা মনে করেন আমি শুদ্ধমাত্র পরিহাস করিতেছি। কমিটি দ্বারা দেশের অনেক ভালো হইতে পারে; তেলের কল, সুরকির কল, রাজনীতি এবং বারোয়ারি পূজা কমিটির দ্বারা চালিত হইতে দেখা গিয়াছে, কিন্তু এ পর্যন্ত এ দেশে সাহিত্য সম্পর্কীয় কোনো কাজ কমিটির দ্বারা সুসম্পন্ন হইতে দেখা যায় নাই। মা সরস্বতী যখন ভাগের মা হইয়া দাঁড়ান তখন তাঁহার সদ্‌গতি হয় না। অতএব কমিটি-নির্বাচিত গ্রন্থগুলি যখন সর্বপ্রকার সাহিত্যরসবর্জিত হইয়া দেখা দেয় তখন কাহার দোষ দিব। আখমাড়া কলের মধ্য দিয়া যে-সকল ইক্ষুদণ্ড বাহির হইয়া আসে তাহাতে কেহ রসের প্রত্যাশা করে না; "সুকুমারমতি' হীনবুদ্ধি শিশুরাও নহে।অতএব, কমিটিকে একটি অবশ্যম্ভাবী অদৃষ্টবিড়ম্বনাস্বরূপ জ্ঞান করিয়া তৎসম্বন্ধে কোনো প্রসঙ্গ উত্থাপন না করিলেও সাধারণত বিদ্যালয়ে ব্যবহার্য পুস্তকগুলিকে পাঠ্যপুস্তক-শ্রেণী হইতে বহির্ভূত করা যাইতে পারে। ব্যাকরণ, অভিধান, ভূগোলবিবরণ এবং নীতিপাঠ পৃথিবীর পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে গণ্য হইতে পারে না, তাহারা কেবলমাত্র শিক্ষাপুস্তক। ]যতটুকু অত্যাবশ্যক কেবল তাহারই মধ্যে কারারুদ্ধ হইয়া থাকা মানবজীবনের ধর্ম নহে। আমরা কিয়ৎপরিমাণে আবশ্যকশৃঙ্খলে বন্ধ হইয়া থাকি এবং কিয়ৎপরিমাণ স্বাধীন। আমাদের দেহ সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বদ্ধ, কিন্তু তাই বলিয়া ঠিক সেই সাড়ে তিন হাত পরিমাণ গৃহ নির্মাণ করিলে চলে না। স্বাধীন চলাফেরার জন্য অনেকখানি স্থান রাখা আবশ্যক, নতুবা আমাদের স্বাস্থ্য এবং আনন্দের ব্যাঘাত হয়। শিক্ষা সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। যতটুকু কেবলমাত্র শিক্ষা অর্থাৎ অত্যাবশ্যক তাহারই মধ্যে শিশুদিগকে একান্ত নিবদ্ধ রাখিলে কখনোই তাহাদের মন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িতে পারে না। অত্যাবশ্যক শিক্ষার সহিত স্বাধীন পাঠ না মিশাইলে ছেলে ভালো করিয়া মানুষ হইতে পারে না-- বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেও বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে সে অনেকটা পরিমাণে বালক থাকিয়াই যায়।