"শিক্ষায় দর্শন, দর্শনে শিক্ষা" বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ খানের বৈশিষ্ট্য সম্বলিত বক্তব্যটি ছিল "আমাদের শিক্ষার কাঠামোর পরিবর্তন ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার। শিক্ষায় দর্শন এখানে দর্শন বলতে স্যার এইখানে বুঝিয়েছেন যা আমরা খালি চোঁখে দেখতে পারিনা কিন্তুমন দিয়ে উপলব্ধি করি অথবা মনের চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করি! স্যারের বক্তব্যে তিনি বরাবরই বলেছেন নিজ ভাষায় সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করা এবং নিজ ভাষায় যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য!
মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার দর্শন সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করছি, বিদেশী শিক্ষাকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি এবং বিদেশি ভাষা ইংরেজি ভাষাকে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি!আমাদের সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক সমাজ, পরিবার আজ বিদেশি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে আমরা শিক্ষার সঠিক দর্শন উপলব্ধি করতে পারছি না!৫২ তে যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি আমরা এই বাংলাভাষার চেয়ে বিদেশি ভাষাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি, তা সত্যিই লজ্জাজনক! শিক্ষার গুনগত ও পরিমাণ গত মান বাড়াতে হলে দেশীয় শিক্ষার কোনোই বিকল্প নেই!
আগে নিজের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে আগে সম্পূর্ণ ভাবে আয়ত্ত করে পরে ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে!
তাই কমপক্ষে ১২ বছর পর্যন্ত দেশিয় ভাষা বাংলা ভাষায় শিক্ষা দিতে বলা হয়েছে,
স্যার আরেকটা বিষয় উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক কে আরো কৌশলি হতে হবে,
শিক্ষার বিষয়য়ে শিক্ষার্থীকে আগ্রহের উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে,
এই ব্যাপারে স্যার একটা কথা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে
"The teacher needs to be educated "
সবমিলিয়ে শিক্ষার মান ও পরিমাণ উন্নত করতে হলে গার্হস্থ্য শিক্ষার বিকল্প নেই। যদি শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তবে শিক্ষা সবার জন্য হবে এবং এটি শিক্ষার নীতি এটাই হওয়া উচিত।