Write your opinion based on lecture by Salimullah Khan
https://web.facebook.com/www.campustv.ac/videos/780022276230751/
শিক্ষার দর্শন এবং দর্শনের শিক্ষা এই লাইভটিতে সলিমুল্লাহ স্যার আমাদের দেশের শিক্ষা দর্শন এর বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে আমাদের দেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষার প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং শিক্ষার বিন্যাস।
আমরা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার আসর অর্থটি জানিনা। ছোট থেকে বড় হয়েছি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে কিন্তু আমরা হয়তো বেশিরভাগই ভালো মার্কস পাওয়ার জন্য ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য এই পড়ালেখা করছি। কিন্তু শিক্ষার অর্থটি হলো শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি পরিপূর্ণ মানুষে পরিনত হব। শিক্ষা নিয়ে আমাদের দর্শনটি ভুল। তাই এখানে সলিমুল্লাহ স্যার আমাদের শিক্ষার দর্শন বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন এবং দর্শনের বিষয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন
তার মধ্যে আমাদের ভাষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে হলে ভাষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যদি আমরা বিভিন্ন বড় দেশের সাফল্যের দিকে দেখি তাহলে তো আমরা দেখতে পারবো তারা শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এখানে সলিমুল্লাহ স্যার বলেছেন মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ এর মত। তাই সর্বপ্রথম আমাদের সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করতে হলে ভাষাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
তারপর যখন আমরা শিক্ষার আসল মানেটা বুঝতে পারব তখনই আমরা আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বুঝতে পারব। হওয়া উচিত শুধুমাত্র ভালো মার্কস পাওয়া নয়, শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে আলোকিত করা। দর্শন জিনিসটি হলো মন থেকে ভাবার জিনিস। আমরা যতদিন না দর্শনের আসল মনে বুঝতে পারব, ততদিনে আমরা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হবো না।
তারপর এখানে শিক্ষার বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষার সবার সমান অধিকার থাক আর কথা বলা হলেও এখানে সুষ্ঠু বনটন নেই। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের ও কৌশলী হতে হবে। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের অবগত করাতে হবে এবং সেই দর্শন আমাদের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সব মিলিয়ে বলতে চাই সলিমুল্লাহ স্যার এর যেই লাইভ টি রয়েছে সেখান থেকে আমরা একটি পরিপর্ণ ধারণা পায় শিক্ষা এবং দর্শন নিয়ে।
Education and philosophy are very closely related. Education is the whole process of developing the latent talents of a person and preparing him for practical work. Again, the work of philosophy is the manifestation of realistic consciousness. So their interrelationship between education and philosophy is very close. Philosophy of education is not possible without mother tongue. At present our education system is giving more priority to foreign education. We are not able to realize the correct philosophy of education as the education system of our society, teacher society, family is giving priority to foreign education today. We all know that English is the medium of communication with the world. But where English is to be learned for higher education, our education system is being given English in the primary education system. Students' interest will not increase if education is not in their own language. If we look at the success of different big countries, we can see that they have given importance to language in education. But in our country language is not given importance in education. Here Salimullah Sir says mother tongue is like breast milk. So, first of all, if we want to get proper education, we have to give utmost importance to language.
It is beautiful to say that education is philosophy and philosophy is education but in reality we do not see the proper application of this word in our country. We are not getting education, we are not getting philosophy. Education is not possible without philosophy. Because there is no such system in our country. So we are learning but we are not learning to understand. We are proficient in memorization with which we cannot do anything in real life and if we want to do it then we have to pay abroad. Because most of the time we are taught. Doesn't come. Because when we go to work somewhere, they want more other qualifications which are not taught to us. If we talk about getting our varsity, we will say that we need education to work but we have to come and learn English for a long time. And since learning English is so important, keep English as another language, so I think everyone will pay more attention to reading because we are reading but we can't find the means to read.
শিক্ষার দর্শন এবং দর্শনের শিক্ষা এই লাইভটিতে সলিমুল্লাহ স্যার আমাদের দেশের শিক্ষা দর্শন এর বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে আমাদের দেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষার প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং শিক্ষার বিন্যাস।
আমরা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার আসর অর্থটি জানিনা। ছোট থেকে বড় হয়েছি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে কিন্তু আমরা হয়তো বেশিরভাগই ভালো মার্কস পাওয়ার জন্য ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য এই পড়ালেখা করছি। কিন্তু শিক্ষার অর্থটি হলো শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি পরিপূর্ণ মানুষে পরিনত হব। শিক্ষা নিয়ে আমাদের দর্শনটি ভুল। তাই এখানে সলিমুল্লাহ স্যার আমাদের শিক্ষার দর্শন বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন এবং দর্শনের বিষয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন
তার মধ্যে আমাদের ভাষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে হলে ভাষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যদি আমরা বিভিন্ন বড় দেশের সাফল্যের দিকে দেখি তাহলে তো আমরা দেখতে পারবো তারা শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এখানে সলিমুল্লাহ স্যার বলেছেন মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ এর মত। তাই সর্বপ্রথম আমাদের সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করতে হলে ভাষাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
তারপর যখন আমরা শিক্ষার আসল মানেটা বুঝতে পারব তখনই আমরা আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বুঝতে পারব। হওয়া উচিত শুধুমাত্র ভালো মার্কস পাওয়া নয়, শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে আলোকিত করা। দর্শন জিনিসটি হলো মন থেকে ভাবার জিনিস। আমরা যতদিন না দর্শনের আসল মনে বুঝতে পারব, ততদিনে আমরা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হবো না।
তারপর এখানে শিক্ষার বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষার সবার সমান অধিকার থাক আর কথা বলা হলেও এখানে সুষ্ঠু বনটন নেই। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের ও কৌশলী হতে হবে। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের অবগত করাতে হবে এবং সেই দর্শন আমাদের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সব মিলিয়ে বলতে চাই সলিমুল্লাহ স্যার এর যেই লাইভ টি রয়েছে সেখান থেকে আমরা একটি পরিপর্ণ ধারণা পায় শিক্ষা এবং দর্শন নিয়ে।
"শিক্ষায় দর্শন , দর্শনের শিক্ষা" অনুষ্ঠানে স্যার সলিমুল্লাহ খানের মূল বক্তব্য ছিল নিজ ভাষায় সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করা এবং নিজ ভাষায় যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া | তার বক্তব্যে তিনটি বিষয় উঠে এসেছে, শিক্ষাক্ষেত্রে মাতৃভাষার প্রাধান্য, প্রকৃত ভাবে শিক্ষা এবং শিক্ষার সাম্যতা। শিক্ষা হলো জ্ঞান অর্জন করা অথবা জ্ঞান আহরণ করা। শৈশব থেকেই এ জ্ঞানার্জন বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়। শিক্ষায় দর্শন এখানে দর্শন বলতে কবি বুঝিয়েছেন মন দিয়ে দেখি অথবা মনের চোখ দিয়ে উপলব্ধি করি। শিক্ষা ও এমন একটি বিষয় যা আমাদের মন দিয়ে শিখতে হবে, মন দিয়ে মাতৃভাষার সাথে আত্মস্থ করতে হবে। দ্বিতীয় বিষয়টি হল প্রকৃত শিক্ষা। প্রকৃত শিক্ষা বলতে বোঝায় সেই শিক্ষা যা মানুষকে মনুষ্যত্বের সাথে গড়ে তোলে। আমাদের শিক্ষার বিষয়ে দেখলে দেখা যায় আমরা শুধুমাত্র পরীক্ষায় মার্ক পাওয়ার জন্য পড়ি। আর শিক্ষার্থীর থেকে শিক্ষকের ওপর নজর দেওয়া বেশি জরুরী। কারণ দেখা যায় বেশিরভাগ শিক্ষকের পড়ানোর কৌশল এমন যা শিক্ষার্থীকে আকর্ষণে ব্যার্থ হয়। আর শেষ বিষয়টি হল শিক্ষা গ্ৰহণে সাম্যতা। আমাদের দেশে যদিও শিক্ষার সমান অধিকারের কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন লক্ষ করা যায় না। সংগতিপূর্ণ শিক্ষার্থীরা বিদেশি ভাষা শিক্ষাতে বেশি আগ্রহী। যার জন্য তারা ইংলিশ মিডিয়াম বেছে নেয়। আর যার ঘরে লক্ষ্মী নেই তার জ্ঞানে সরস্বতীই বা থাকে কীভাবে? উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের মাতৃভাষাকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলে ইংরেজিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। শিক্ষা ও দর্শন অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে বাস্তবমুখী
করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াই হলাে শিক্ষা। আবার বাস্তবমুখী চেতনার বহিপ্রকাশ ঘটানাে দর্শনের
কাজ। সুতরাং শিক্ষা ও দর্শন এদের আন্ত:সম্পর্ক অতি নিবিড়। এরা পরস্পরের পরিপূরক।
Education is about education that builds people through humanity. When it comes to our education it is clear that we are only learning to get exam marks. And it is more important to pay attention to the teacher than the student. This is because many teacher strategies fail to attract students. As a result, they fall just to pass.
The issue of maintaining educational equality. Although there is talk of equal rights for education in our country, its proper implementation cannot be avoided. Flexible students are interested in learning foreign languages. To improve our education system, our teachers need to do research first. They are reluctant to do research on their own where it is impossible to give students the right lessons. The mother tongue for which we fought is not being practiced in this independent country. In other countries they are using their own mother tongue to take themselves to a higher level of success and in order to introduce ourselves as a successful person we have to take the help of another language.
শিক্ষায় দর্শন, দর্শনের শিক্ষা” উক্তির ভেতর দুটি শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। শিক্ষা এবং দর্শন। আমরা জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যা শিখতে থাকি তাই শিক্ষা। আর দর্শন হলো দেখা। কিন্তু তা শুধু মাত্র চর্ম চক্ষু দিয়েই হবে তা নই। মনের চক্ষু দিয়েও হতে পারে। শিক্ষা যখন অন্তর চক্ষুর দর্শনের সাথে সংগঠিত হয় তখনই তা প্রকৃত শিক্ষায় পরিণত হয় । শিক্ষায় দর্শন , দর্শনের শিক্ষা" অনুষ্ঠানে স্যার সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যের মূল কথা ছিল " ভাষার সুষ্ঠু ব্যাবহার , যথাযোগ্য সম্মান , আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং শিক্ষার স্তর বিন্যাস কোন জাতির পরিচয় হচ্ছে তার মাতৃভাষায়। শিশু যেমন তার জন্মের পর সবথেকে বেশি নির্ভর করে তার মায়ের ওপর, ঠিক তেমনি শিশুর মুখের প্রথম অর্থবোধক ভাষা তার মাতৃভাষা। এ জন্য মাতৃভাষাকে তুলনা করা হয়েছে মাতৃদুগ্ধের সাথে। অথচ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই দেখা যায় আমরা মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে বিদেশি ভাষা তথা ইংরেজি ভাষা বেশি ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। মানুষ তার মাতৃভাষায় সবথেকে বাকপটু হয়, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে বিদেশি ভাষার চর্চায় বেশি আগ্রহী। আর এরপর স্যারের দ্বিতীয় বিষয়ের প্রতি যদি একটু নজর দেই , স্যার বলেছেন " শিক্ষা ব্যবস্থা " যেটি প্রায় সম্পূর্ণ অংশ নির্ভর করে শিক্ষকের উপর । শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো শিক্ষকের কৌশল । শিক্ষককে কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল জাগাতে হবে । শিক্ষা হতে হবে আনন্দের , শিক্ষা হতে হবে নিজের ভাষায় । শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ উদ্দীপনা করতে হবে । এবং সবার প্রথম শর্ত "The teacher needs to be educated" ..আমাদের দেশে যদিও শিক্ষার সমান অধিকারের কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন লখ্য করা যায় না। তাই শিক্ষার পরিমাণগত এবং গুণগত মান বাড়ানোর জন্য মাতৃভাষার বিকল্প নেই। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত।তাই শিক্ষার সঠিক দর্শনের জন্য এ ব্যবস্থাকে ও শিক্ষকদের মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার উপযোগী করে বুনিয়াদি শিক্ষায় সংযুক্ত করতে হবে যেন শিক্ষার বিষয় যেন শিক্ষার্থীদের আগ্রহ উদ্দীপন করে।।
সলিমুল্লাহ খান স্যার মূল কথা ছিল "শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন, স্তর বিন্যাস এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা।দর্শনের একটি প্রায়োগিক শাখা হলো শিক্ষাদর্শন।শিক্ষা ও দর্শন অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। সলিমুল্লাহ খান স্যার উনার বক্তব্যে যে বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন তা হল শিক্ষা যেন হয় আমাদের নিজ ভাষায়। মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার দর্শন সম্ভব নয়। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিদেশী শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
আমরা যদি আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থার দিকে একটু নজর দেই তবেই দেখতে পাবো আমাদের শিক্ষাটা 'সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক' হয়েছে।শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষা কে যদি প্রাধান্য দেওয়া হয় তবেই শিক্ষা হবে সবার জন্য এবং শিক্ষার নীতিও এটি হওয়া প্রয়োজন।যতদিন না আমাদের মনঃচক্ষু জাগ্ৰত না হবে ততদিন আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে না।জীবনের গতি নির্ধারণে, ব্যক্তি চেতনার উন্নয়নে, মূল চিন্তার বিকাশ সাধনে, মূল্যবোধের বিকাশে, বিষয়বস্তুর সাদৃশ্যকরণে,মূল্যায়নে শিক্ষা ও দর্শন পারস্পরিক ভাবে সম্পর্কিত।অতএব সবার প্রথম শর্ত হওয়া উচিত"The teacher needs to be educated" .
"শিক্ষার দর্শন, শিক্ষায় দর্শন" বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ খানের মূল বক্তব্য ছিল "ভাষার সুষ্ঠু ব্যবহার, সম্মান, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন এবং শিক্ষার স্তর"। তিনি তাঁর বক্তৃতায় এই বিষয়গুলি আরও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এবং এখন আমাদের সকলের এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। শহীদরা যে ভাষাটির জন্য তাদের রক্ত দিয়েছিল তা অত্যন্ত দুঃখজনক, তবে আমরা সত্যিই সেই ভাষার আগে ইংরেজি রাখছি। শিক্ষার মান ও পরিমাণ উন্নত করতে পারলে গার্হস্থ্য শিক্ষার বিকল্প নেই। যদি শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তবে শিক্ষা সবার জন্য হবে এবং এটি শিক্ষার নীতি হওয়া উচিত। শিক্ষার সমান অধিকার দিতে হবে, সুবহঙ্করকে প্রতারণা করা উচিত নয়। এবং তারপরে যদি আমরা স্যার এর দ্বিতীয় পয়েন্টে কিছুটা তাকান, স্যার বলেছিলেন "শিক্ষা ব্যবস্থা" যা প্রায় সম্পূর্ণ শিক্ষকের উপর নির্ভর করে। শিক্ষার প্রথম পদক্ষেপটি শিক্ষকের কৌশল। শিক্ষকদের কৌশলগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল জাগ্রত করা দরকার। শিক্ষা অবশ্যই আনন্দ হতে হবে, শিক্ষাকে নিজের ভাষায় হতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য উত্সাহ দেওয়া দরকার। এবং সবার প্রথম শর্ত হ'ল "শিক্ষককে শিক্ষিত করা দরকার"। এখন যখন দর্শনের কথা আসে, "ইতিহাস ছাড়া দর্শন সম্ভব নয়।" ইতিহাস মাতৃভাষা ব্যতীত অসম্পূর্ণ।
শিক্ষায় দর্শন , দর্শনের শিক্ষা" লাইভ অনুষ্ঠানে সলিমুল্লাহ খান স্যারের বক্তব্যের মূল কথা ছিল :মাতৃভাষায় শিক্ষা, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং নিজ ভাষায় সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করা এবং নিজ ভাষায় যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া।
শিক্ষার গুনমান বাড়াতে হলে মাতৃভাষায় দেশীয় শিক্ষার কোনোই বিকল্প নেই। শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষা কে যদি প্রাধান্য দেওয়া হয় তবে দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থা দারুণভাবে এগিয়ে যাবে।এর জন্য বিদেশী ভাষা থেকে সংকলন,অনুবাদের মাধ্যমেও যেমন এগিয়ে যাওয়া যায় তেমনি নিজস্ব ভাষা থেকেও নিজস্ব সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। তবে সৃজনশীলতাই সবচেয়ে বেশি আকাঙ্খিত ও প্রয়োজনীয় ।
আমরা যে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি এখন সেই ভাষা থেকেই ইংরেজি ভাষাকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।এমনকি আমরা যে ইংরেজি ভাষা নিয়ে এতো আহামরি অবস্থা করি সেটাও ইংল্যান্ডে মাত্র ২০০ বছর আগে শিক্ষা ব্যবস্থায় সংকলিত হয়েছে। বিদেশী ভাষা আমাদের অবশ্যই শেখা উচিত কিন্তু সেটা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গোটা মাধ্যম হিসেবে নয়।এখন অনেকেই রসকসসহীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছেন শুধুমাত্র একটা সার্টিফিকেট এর জন্য। এর কারণ হিসেবে তিনি মূলত শিক্ষকদের শিক্ষা দানের পদ্ধতির গলদকে চিহ্নিত করেছেন।
"শিক্ষায় দর্শন, দর্শনেই শিক্ষা " নামক অনুস্ঠানে সলিমুল্লাহ খান স্যার তার বক্তব্যে প্রথমেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের যুক্ত থাকা নিয়ে বলেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর কথা বলেছেন। অমত্য সেন এর নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার উদাহরণ দিয়ে আমাদের ভূল প্রাচারনার প্রবনতা তুলে ধরেন।
আর শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন তারা যেন নিজেদের শিক্ষক না মনে করেন প্রথমেই যেন ছাত্র মনে করেন।
এর উদাহরন হিসেবে তিনি কার্ল মার্কস উক্তি বলেন..The teacher Himself need to be educated.
বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শিক্ষকের অভাব।
ভাষা নিয়ে বলেন আমরা কোনো ভাষাই পারদর্শী নই।এর কারন হিসেবে তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা কে দায়ী করেন।যা আমাদের উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইংরেজিকে দুষ্ট গরু হিসেবে আক্ষা দিয়েছেন। যার কারনে শিক্ষার্থীরা পড়ার ভাবার্থ বুঝতে না পরায় পড়ায় অনিহা চলে আসছে যার ফলস্বরূপ শিক্ষারথী ঝড়ে পরছে। আমাদের এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে তলা বিহীন ঝুরি বলেছেন।
"শিক্ষায় দর্শন, দর্শনে শিক্ষা" বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ খানের বৈশিষ্ট্য সম্বলিত বক্তব্যটি ছিল "আমাদের শিক্ষার কাঠামোর পরিবর্তন ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার। শিক্ষায় দর্শন এখানে দর্শন বলতে স্যার এইখানে বুঝিয়েছেন যা আমরা খালি চোঁখে দেখতে পারিনা কিন্তুমন দিয়ে উপলব্ধি করি অথবা মনের চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করি! স্যারের বক্তব্যে তিনি বরাবরই বলেছেন নিজ ভাষায় সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করা এবং নিজ ভাষায় যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য!
মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার দর্শন সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করছি, বিদেশী শিক্ষাকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি এবং বিদেশি ভাষা ইংরেজি ভাষাকে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি!আমাদের সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক সমাজ, পরিবার আজ বিদেশি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে আমরা শিক্ষার সঠিক দর্শন উপলব্ধি করতে পারছি না!৫২ তে যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি আমরা এই বাংলাভাষার চেয়ে বিদেশি ভাষাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি, তা সত্যিই লজ্জাজনক! শিক্ষার গুনগত ও পরিমাণ গত মান বাড়াতে হলে দেশীয় শিক্ষার কোনোই বিকল্প নেই!
আগে নিজের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে আগে সম্পূর্ণ ভাবে আয়ত্ত করে পরে ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে!
তাই কমপক্ষে ১২ বছর পর্যন্ত দেশিয় ভাষা বাংলা ভাষায় শিক্ষা দিতে বলা হয়েছে,
স্যার আরেকটা বিষয় উল্লেখ করেছেন যে শিক্ষক কে আরো কৌশলি হতে হবে,
শিক্ষার বিষয়য়ে শিক্ষার্থীকে আগ্রহের উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে,
এই ব্যাপারে স্যার একটা কথা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে
"The teacher needs to be educated "
সবমিলিয়ে শিক্ষার মান ও পরিমাণ উন্নত করতে হলে গার্হস্থ্য শিক্ষার বিকল্প নেই। যদি শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তবে শিক্ষা সবার জন্য হবে এবং এটি শিক্ষার নীতি এটাই হওয়া উচিত।
"শিক্ষায় দর্শন,দর্শনের শিক্ষা" এর মধ্য দিয়ে ড. সলিমুল্লাহ খান স্যার শিক্ষা বিষয়ক অনেক কথা তুলে ধরেছেন।তার কথা গুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক ত্রুটি তিনি আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছেন।তার কথার মধ্য দিয়ে আমরা শিক্ষা অর্জনে মাতৃভাষা ব্যবহার এর প্রয়োজনীতা সম্পর্কে বুঝতে পারি।
তার ভাষায় দর্শন হলো যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই যা আমরা মনের চোখ দিয়ে দেখি সেটিই দর্শন।তিনি আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথা বলেন।তিনি বলেছেন যে অন্য ভাষায় শিক্ষাটাকে আয়ত্ত করা অনেক কষ্টকর বিষয়।এতে আমরা নিজের মাতৃভাষা বা ইংরেজি ভাষা কোনটিকে ভালভাবে গ্রহণ করতে পারি না।বাইরে উন্নত দেশগুলোর শিক্ষা মাধ্যমগুলো এবং উচ্চশিক্ষা সবাই গ্রহণ করে তাদের নিজের ভাষায়।কিন্তু আমাদের দেশ কেবলমাত্র ভিন্ন এই সিস্টেম!আমরা প্রাথমিক,মাধ্যমিক এসব পর্যায়ে বাংলাভাষাতে পড়ালেখা করলেও উচ্চ শিক্ষা অর্জনে আমরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করি!এটি খুব দুঃখজনক যে আমদের বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে যারা শুধুমাত্র নিজের ভাষার জন্য যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু এখনো নিজের ভাষায় আমরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছি না।সবকিছু মিলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা দরকার।তাহলেই আমরা ভালভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারবো।
"শিক্ষায় দর্শন , দর্শনের শিক্ষা" অনুষ্ঠানে স্যার সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যের মূল কথা ছিল " ভাষার সুষ্ঠু ব্যাবহার এবং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন।
"শিক্ষায় দর্শন" এখানে দর্শন বলতে বোঝানো হয়েছে মন দিয়ে দেখা অথবা মনের চোখ দিয়ে উপলব্ধি করা। শিক্ষা ও এমন একটি বিষয় যা আমাদের মন দিয়ে শিখতে হবে, মন দিয়ে মাতৃভাষার সাথে আত্মস্থ করতে হবে। মাতৃভাষাকে তুলনা করা হয়েছে মাতৃদুগ্ধের সাথে। অথচ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই দেখা যায় আমরা মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে বিদেশি ভাষা তথা ইংরেজি ভাষা বেশি ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। মানুষ তার মাতৃভাষায় সবথেকে বাকপটু হয়, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে বিদেশি ভাষার চর্চায় বেশি আগ্রহী। ফলস্বরূপ নিজের ভাষাতে অজ্ঞতা তো থাকেই সেই সাথে আমরা ইংরেজি ভাষাতেও যে খুব দক্ষ তাও না। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে তো বটেই নিম্ন শিক্ষার ক্ষত্রেও আমরা যতটা পারা যায় বাংলা ভাষাকে বাদ দিতে চেষ্টা করি। পৃথিবীর যে কোন সফল বা উন্নত জাতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে তারা নিজেদের মাতৃভাষাকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছে। আবার তারা কিন্তু অন্য ভাষাতেও পটু। অথচ আমরা নিজেদের ভাষাকেই অবজ্ঞা করি। আমাদের দেশের ভাষা শহীদরা যে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছেন খুব দু:খজনক হলেও এটা সত্যি যে আমরা এখন সেই ভাষার আগে ইংরেজি ভাষাকে রাখছি । এর থেকে বেশি লজ্জার আর কি হতে পারে?
আর একটি বিষয় স্যার বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার অধিকাংশ ব্যাপারই শিক্ষক এর উপর নির্ভর । শিক্ষকের পড়ানোর উপর ছাত্রদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ নির্ভর করে। শিক্ষককে কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল জাগাতে হবে । এজন্য শিক্ষককে নানা বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করে তা ছাত্রদেরকে শিখাতে হবে। কিন্তু একজন শিক্ষক নিজেই যখন শুধু চাকরির ছলে পড়াতে আসেন এবং আদৌ শিক্ষা প্রদান মানসম্মত হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে যদি তিনি সচেতন না হোন তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থা আলোর মুখ দেখবে না। তাই শিক্ষা হতে হবে বাস্তবমুখী এবং উভয় পক্ষের আগ্রহ এবং কৌতূহলের জায়গা থেকে। তাই কথায় আছে "The teacher needs to be educated"।
We don't really know the meaning of education. Growing up from a young age through education but we are mostly studying this to get a good job to get good marks. But education means that by receiving education we will become a perfect human being. Our philosophy about education is wrong. So, here Salimullah Sir has clarified the philosophy of our education and taught us about philosophy. Education and philosophy are very closely related. Education is the whole process of developing a person's latent talents and preparing them for practical action. Again, the work of philosophy is the manifestation of realistic consciousness. So their interrelationship between education and philosophy is very close. They complement each other. The relationship between education and philosophy is intact and both are interdependent, both aspects of the same currency. Where education is the basis of philosophy, philosophy is the ideal of education. Education is indeed a dynamic and practical aspect of philosophy. Education is useful and meaningful, which is influenced by philosophy. A philosopher acquires philosophical knowledge only through education. Philosophy sets the real goal of life which is to achieve education. Education and philosophy are interrelated in determining the pace of life, in the development of individual consciousness, in the development of core thinking, in the development of values, in the analogy of content, in evaluation.
স্যার সলিমুল্লাহ খান নিজের অভিজ্ঞতা বা শিক্ষার আলোকে শিক্ষা ব্যবস্হার অনেক গভীর দোষ গুলো তুলে ধরছেন।কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে হয়ত এগুলো বের করা সম্ভব হবে না।কিন্তু একটা কথা হলো ওনি কোন নির্দিষ্ট সমাধানের কথা বলেন নি।আমার মনে হয় ওনার এই বিষয় টা দেখা দরকার।
এখন যদি দর্শনের কথায় আসি তাহলে " ইতিহাস ছাড়া দর্শন সম্ভব না " মাতৃভাষা ছাড়া ইতিহাস অসম্পূর্ণীয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে বলতে গেলে এক কথায় বলা যায় যে, যতদিন আমাদের মনঃচক্ষু জাগ্ৰত হবে না ততদিন আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে না।
শিক্ষা এমন একটি বিষয়, যা প্রতিটি জাতির প্রয়োজন। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা কিনা শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই সম্ভব। আরো কয়েকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে, যেমন:
শিক্ষাক্ষেত্রে মাতৃভাষার প্রাধান্য সবচেয়ে বেশি দিতে হবে, প্রকৃত ভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং শিক্ষার সাম্যতা বজায় রাখতে হবে।
আর প্রকৃত শিক্ষার কথা বলতে গেলে,প্রকৃত শিক্ষা বলতে বোঝায় সেই শিক্ষা যা মানুষকে মনুষ্যত্বের সাথে গড়ে তোলে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় আমরা শুধুমাত্র পরীক্ষায় মার্ক পাওয়ার জন্য পড়ি, আমাদের বিকাশের জন্য নয়। যার অর্থ আমরা শুধুমাত্র পাশের জন্য পড়ে থাকি। যার বাস্তবিক মূল্য নেই।
সলিমুল্লাহ খান স্যার মূল কথা ছিল "শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন, স্তর বিন্যাস এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা।তিনি খুবই বাস্তবিক ভাবে আমাদের ভাষা, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে বিস্তার আলোচনা করেছেন। তিনি সবাইকে বোঝাতে চেয়েছেন
বর্তমান সময়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দুটি, প্রথমতো শিক্ষার্থীদের কম আগ্রহ, আর দ্বিতীয়ত প্রকৃত শিক্ষকের অভাব। আর এই দুটো সমস্যার পেছনের মূল কারণ হলো, নিজের মাতৃভাষার অবমূল্যায়ন।ফলে একজন শিক্ষার্থী যেহেতু আর প্রাপ্ত শিক্ষাকে তার আত্মার সাথে মেশাতে পারছেন না, পরবর্তীতে সেই শিক্ষার্থী যখন শিক্ষক হন, তখন সে শিক্ষক হিসেবেও নিজের দায়িত্ব পালনে অক্ষম থাকেন।
শিক্ষা হতে হবে নিজের ভাষায়, শিক্ষককে কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল জাগাতে হবে।
শিক্ষার পরিমাণগত এবং গুণগত মান বাড়ানোর জন্য মাতৃভাষার বিকল্প নেই। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। তবেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রকৃতভাবে শিক্ষিত হবে।
"শিক্ষায় দর্শন, দর্শনের শিক্ষা "।
শিক্ষা হলো জ্ঞান আহরণ করা, আর দর্শন হলো দেখা।
"শিক্ষায় দর্শন, দর্শনের শিক্ষা ", অনুষ্ঠানে স্যার সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্য ছিল নিজ মাতৃভাষার যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া এবং নিজ ভাষায় সুষ্ঠু শিক্ষা অর্জন করা।
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার দর্শন সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বাইরের দেশের শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলছি। এতে করে আমাদের দেশকে জানার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হলে তা সুফল বয়ে আনতে সহযোগিতা করবে।
তিনি আরো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক এর ভূমিকা। শিক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ শিক্ষকের উপর নির্ভর করে। শিক্ষকের পড়ানোর উপর শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আসবে। শিক্ষককে কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতুহল জাগাতে হবে।
মোট কথা দর্শনের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করতে হলে মাতৃভাষার বিকল্প নেই।
শিক্ষায় দর্শন , দর্শনের শিক্ষা" অনুষ্ঠানে স্যার সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যে মূলত তিনি যে বিষয়টিতে আলোকপাত করেন তা হলো উচ্চশিক্ষায় আমাদের মাতৃভাষার ব্যবহার কতটা। গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার বক্তৃতায় বলেছেন শিক্ষায় মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ সমান। আমাদের মাতৃভাষার যথাযথ মর্যাদা দাওয়া হচ্ছে না । আমরা আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিদেশি ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের শৈশবকাল থেকেই বিদ্যালয়ে ইংরেজির উপর জোর দাওয়া হয়ে থাকে।স্যার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন শিক্ষার যদি গুনগত এবং পরিমাণগত মান বাড়াতে চান তাহলে মাতৃভাষার বিকল্প নেই। স্যার এ শিক্ষাকে মনে করেন প্রগতির পথে প্রতিবন্ধক। তিনি আরো একটি বিষয় এর প্রতি জোর দিয়েছেন তা হচ্ছে শিক্ষা প্রদানের কৌশল। শিক্ষাকে করে তুলতে হবে আনন্দের। আমাদের দেশে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে দাওয়া হয় না পর্যাপ্ত ছুটি । তিনি বলেছেন The educator himself needs to be educated . কিন্তু আমাদের দেশে স্বাধীন ভাবে তাকে কোনো বিষয় নিয়ে গবেষণার বা ভাবার সময় দাওয়া হয় না। তিনি আরো একটি জিনিস উল্লেখ করেছেন
যে আমাদের মাতৃভাষায় প্রচুর শব্দ ভান্ডার রয়েছে কিন্তু তার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না। হারিয়ে যাচ্ছে অনেক শব্দ। হরতালের মন্তব্য এর মাধ্যমে বোঝা যায় আমাদের মাতৃভাষা কতটা অবহেলিত এবং কতটা অবমাননা করা হচ্ছে। এবং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রদানের ধরনে রয়েছে প্রচুর ত্রুটি।
শিক্ষা এবং দর্শন নিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ খান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার দূর্বল দিক গুলোর কথা সুনিপুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমাদের মাতৃভাষা আমাদের গর্ব। এই মাতৃভাষায় শিক্ষার মাধ্যমেই বিশ্বের বড় বড় দেশ গুলো উন্নতি সাধন করেছেন। তাই সরকারী ভাবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল স্থাপনের ঘোর বিরোঢ করেছেন তিনি। আমি তার সাথে সম্পূর্ন একমত। যেখানে ব্রিটিশ শাসন আমলেও ইংলিশ মিডিয়াম চাপায় দেয়া হতো না সেখানে এখন কেনোই বা এটা করবে তারা।
তারপর তিনি শিক্ষক দের শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন যে তারাই ঠিক ঠাক ভাবে শিখছে না । ছাত্র দের কে কি শিক্ষা দিবে তারা। বিশ্ববিদ্যালয় এ শিক্ষক দের কে গবেষনার জন্য কোনো প্রকার ছুটি দেয়া হয় না। এভাবে চলতে থাকলে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
তিনি খারাপ দিক গুলোর পাশাপাশি দু একটা ভালো দিক ও বলেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্লাস নাইন টেন এই ছাত্র দের বিভাগ পরিবর্তন না করে কলেজ লেভেল এ সেটা করানো।
সর্বপরী তিনি যেগুলো দিক ফুটিয়ে তুলেছেন সেগুলোর উপর কাজ করলে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা অনেকটা উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
""শিক্ষায় দর্শন দর্শনের শিক্ষা ""
শিক্ষা হলো জ্ঞান ' অর্জন করা 'অথবা 'জ্ঞান আহরণ 'করা। শৈশব থেকেই এ জ্ঞানার্জন বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়। শিক্ষায় দর্শন এখানে দর্শন বলতে কবি বুঝিয়েছেন মন দিয়ে দেখি অথবা মনের চোখ দিয়ে উপলব্ধি করি। শিক্ষা ও এমন একটি বিষয় যা আমাদের মন দিয়ে শিখতে হবে, মন দিয়ে মাতৃভাষার সাথে আত্মস্থ করতে হবে।
শিক্ষাকে এখানে মাতৃভাষার সাথে অতপ্রত ভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। কেননা মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষাকে আমরা দর্শন করতে পারবোনা। এজন্য কবি এখানে শিক্ষায় মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধের সমান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, কেননা মাতৃভাষায় ই একমাত্র শিক্ষাকে দর্শন করতে সবচেয়ে সহপযোগী একটি মাধ্যম। কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে বাংলা ভাষা বা মাতৃভাষার যথোপযোগী ব্যবহার হচ্ছে না। আমাদের সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক সমাজ, পরিবার আজ বিদেশি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে আমরা শিক্ষার সঠিক দর্শন উপলব্ধি করতে পারছি না।
তাই শিক্ষার সঠিক দর্শনের জন্য এ ব্যবস্থাকে ও শিক্ষকদের মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার উপযোগী করে বুনিয়াদি শিক্ষায় সংযুক্ত করতে হবে যেন শিক্ষার বিষয় যেন শিক্ষার্থীদের আগ্রহ উদ্দীপন করে।