Write your opinion on the article by Tagore within 100/150 words
ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষা অর্জন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের বাহক না হয়। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান আমাদেরজীবনে আবশ্যক যার জন্য দরকার দর্শন, সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, অন্যর উপর নির্ভরশীল হতে হয়৷ জীবনের প্রতিটি পদে চলার জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োজন। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবেন্ধর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরেছে ৷রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি| ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া সাহিত্য চর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতারা বাচ্চাদের এসব পড়তে দেয় না। ফলে তারা মানসিক বিকাশে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না । এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিমানও বাড়বে। একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।
শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধ দ্বারা।
শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধ দ্বারা।
"সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্ব-শিক্ষিত। " অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং বাস্তবিক জীবনের প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি থেকে অর্জিত শিক্ষায় সুশিক্ষা। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা। কিন্তু কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞানার্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। শিক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক শিক্ষার প্রয়োজন। বলা হয়ে থাকে,জ্ঞানেই পরম আনন্দ। প্রাণহীন জ্ঞান আনন্দের হয় না। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে তোলে। বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছে যাদের উচ্চতর ডিগ্রি আছে কিন্তু দেশের কল্যানে তেমন কিছুই করতে পারেনি। অতএব, শিক্ষার একমাত্র মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে জ্ঞানার্জন করা এবং একজন সঠিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা ।
Sir my answer script are attached .
(Sorry for handwriting .. Bengali has not been written for a long time)
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখনীতে বাঙালির জীবন যাপন, সংস্কৃতিকে যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনি বাঙালির চিরদিনের হাসিকান্না, আনন্দ-বেদনারও রূপকার তিনি। জগতের সকল বিষয়কে তিনি তাঁর লেখায় ধারণ করেছেন। মানুষের এমন কোনো মানবিক অনুভূতি নেই যা রবীন্দ্রনাথের লেখায় পাওয়া যায় না। তাঁর সম্পর্কে কবি দীনেশ দাশ বলেছেন, ‘তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা’। সভ্যতার সকল সংকটে রবীন্দ্রনাথ আমাদের নির্বিশেষ আশ্রয়। অন্ধকারে এক আলোকবর্তিকা। বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে তিনি সারাজীবনের সাধনায় অসাধারণ রূপলাবণ্যমণ্ডিত করেছেন। অতুলনীয় ও সর্বতোমুখী প্রতিভা দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব মানে উন্নীত করে বাঙালিকে এক বিশাল মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন।বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সারা জীবনের লেখা অথবা রবীন্দ্র রচনাবলী এখন আন্তর্জালে সহজলভ্য। এই রবীন্দ্র-রচনাবলীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সমস্ত ছোটো গল্প, গান, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও রম্যরচনা আছে, যেগুলি আগেই বিশ্বভারতী ও সাহিত্য অকাদেমি (মূল ইংরেজি রচনা) থেকে পুস্তক হিসাবে বহু খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এই প্রকল্পে বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলীর সুলভ সংস্করণের পাঠ অনুসরণ করেছি। ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথের মূল ইংরেজি রচনা সম্ভারও (সাহিত্য অকাদেমি থেকে ৪ খণ্ডে প্রকাশিত) এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্তর্ভুক্ত হবে রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠিপত্রও যা বিশ্বভারতীর গ্রন্থনবিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্র সৃষ্টির সামগ্রিক পরিচয় এখানে ধরা থাকবে বাংলাভাষী এবং বাংলা ভাষা প্রেমী সকলের জন্য।
আমরা বিদ্যা অন্বেষনে আনন্দ খুজে পাই না। আমাদের শিক্ষায় মুখস্ত করার চর্চা অধিক, ভালো ফলাফলের জন্য। আমরা জ্ঞান লাভের জন্য বই পড়ি না, পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আমাদের বই রটতে হয়।
মানুষের দেহ ৩ হাত তাই বলে আমরা জীবিত অবস্থায় ৩ হাতের ঘর বানিয়ে থাকতে পারি না, নড়াচড়ার জন্য জায়গা প্রয়োজন হয়। তেমন পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার ৩ হাত ঘরকে শ্বাস নেওয়ার উপযোগী করার জন্য সাহিত্য চর্চা করা জরুরি।
পুঁথি গত বিদ্যা, পরহস্থে ধন !
নহে বিদ্যা নহে ধন ,হলে প্রয়োজন!!
জ্ঞান যখন সীমিত আকারে চর্চা করা হয় এবং তা কেবল হাতে গোনা কয়েকটা বই এর মাধ্যমে তখন তা মানুষের সত্তার খোরাক দিতে পারে না। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা অভ্যস্থ হয়ে গেছি যান্ত্রিক জীবনধারা তে ! এক্ষণ মানুষ লিখা পড়া বলতে বুঝে এমন এক কবজ যা যত তাড়াতাড়ি সাধন করতে পারবে ঠিক তত তাড়াতড়ি বিলাসিতা, চাকচিক্য তাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকবে ! নাই বা হোক আমার মনস্তাত্ত্বিক অগ্রগতি !
আমরা সভ্য সমাজের মানুষ এক্ষণ সফলতা পরিমাপ করি টাকা, বাড়ি ,গাড়ি দিয়ে ! হাস্যকর হলে ও সত্যি এক্ষণ আমরা এই জন্যে পড়ি না যে জ্ঞান অর্জন হবে এই জন্যে পড়ি যেন তাড়াতাড়ি টাকা অর্জন করা যায়!
উপর এ দেয়া এই উদৃতিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ' শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধের এক অংশ বিশেষ।
এই প্রবন্ধে কবি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন বিদ্যা শব্দ ধারা কিছু হতে গোনা পাঠ্যপুস্তক বোঝায় না ! আর এর বাহিরে কোনো বই পড়লে সে নিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে না !
জ্ঞান এর পরিধি অনেক বড় অনেক বিস্তৃত...। অর্জন এর শেষ হয় না ,হবে না যদি তা হয় জ্ঞান অর্জন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হেরফের "প্রবন্ধ মাঝে আমাদের এই যুগের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে। এই যুগে আমারা বই মাঝে আমাদের শিক্ষা জ্ঞান- ধারণা নিয়ে থাকি। আমাদের ছোটো কাল থেকেই ফ্যামেলি সবাই লোভ দেখিয়ে পড়া-শোনা করায়। মা বাবা স্বপ্ন দেখায় পড়া-শোনা করে আমরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবো, অনেক টাকা ইনকাম করবে। বাড়ি গাড়ি হবে অনেক টাকা মালিক হবে।
এইটা শিক্ষা কখনো সু-শিক্ষা হতে পারে না। এই শিক্ষা কখনো কোন জাতি দেশ কে উন্নতি এনে দিতে পারবে না। এমন শিক্ষা মানুষ কে একজন ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে না। মানুষের মত মানুষ হতে চাইলে টাকা ইনকামের কথা মাথায় নিয়ে পড়া-শোনা করা যাবে না। বইয়ের বাহির থেকেও অনেক জ্ঞান ধারণ করতে হবে। পড়া-শোনা বাহিরেও অনেক বই পড়তে হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।
আমাদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজের ভালো জন্য শিক্ষা গ্রহন করলে হবে না। ভাবতে হবে আমার শিক্ষা মাধ্যমে জেন দেশ ও জাতির উন্নতি হয়।
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ড ছাড়া যেমন মানব শরীর কল্পনা করা যায় না ঠিক তেমনি শিক্ষা ছাড়া একটি সুসংঘটিত জাতি কল্পনা করা যায় না। তবে শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের মাঝেই শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে সেই শিক্ষা দেশ ও জাতির কোনো উপকারে আসে না। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে যে মানুষ শিক্ষা অর্জন করে সেই প্রকৃত শিক্ষিত।
বর্তমানে শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্থ উপার্জন। সুনির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ মানবজীবন কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারে না। মানব জীবন সঠিক ও সুসংগঠিত ভাবে পরিচালনার জন্য দরকার পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে জীবন থেকে নেওয়া কিছু শিক্ষার। যাকে Art Of Living এর ভাষায় 'Think Out Of The box' বলা হয়ে থাকে। 'Think Out Of The Box' মানে বর্তমানে পরিচালিত জীবন বা রীতিনীতির বাহিরে চিন্তা করা এবং পাঠ্য বইয়ের বাহিরে চিন্তা করে জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া।
প্রতিটি মানুষের উচিত পাঠ্যপুস্তক ও জীবন প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা যা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি জীবনের সকল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে। কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ' শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধে মূলত এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।
আমার মনে বলতেছে ধূর কাজটা ভালো লাগে না কিন্তু তাও আমি কাজটা করছি এই যে বিষয়টা আমি করছি কারন তা আমার জন্য প্রয়োজন।কিন্তু এই যে কাজটা আমি করলাম তার মাঝে যে বিষয়টা চিন্তা করে আমি কাজ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হলো শিক্ষার হেরফের এর মাঝে যে মানসিক শান্তির জন্য (হাওয়া খাওয়ার ফজিলত বলা হয়েছে)সাহিত্য, প্রবন্ধের প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তেমন।শব্দ গত অর্থের দিকে না ঝুকে ভাবগত এবং বোধগত দিকের গুরুত্ব বলেছেন প্রবন্ধে।কারন শান্তি,আমোদ ছাড়া কোন কিছুর সাথে মানুষ গা ভাষায় না।আমি মনে করি সাহিত্যের উপর বিচরনের মাধ্যমে মানুষ পুঁথিগত বিদ্যার কার্যকরী দিকে সকলে ধাবিত হবে।
"শিক্ষার হেরফের"প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার স্বরুপ তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন আমাদের বর্তমান শিক্ষার অবস্থা। বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। এতে তাদের আত্মিক উন্নতি হয় না। শুধু তাদের জীবনটা পাঠ্যবইের আড়ালে ঢেকে যায়। সাহিত্যের রস সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা জন্মানোর সুযোগ পায় না। কারণ এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে।
অপরদিকে আমাদের বাবা- মায়েরা মনে করেন তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নষ্ট করা। কিন্তু তারা বুঝেও মানতে চায় না যে একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয় আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এজন্য উচিত ছোট কাল থেকেই ইচ্ছাশক্তি ও কল্পনাশক্তির বিকাশের চর্চা করা। শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি।আর সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। এটিই কবি আমাদের বুঝতে চেয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে শিক্ষারই স্বরূপ তুলে ধরেছেন। আমরা গতানুগতিক ভাবে শিক্ষিত কিন্তু স্ব-ইচ্ছায় আমরা কতজন শিক্ষিত সেইটাই চিন্তার বিষয়। বর্তমানে শিশুদের তো ধরপাকড় করে শিক্ষার বাহ্যিক স্বাদ পেয়ে থাকে কিন্তু মনের যথেষ্ট বিকাশ সাধন ঘটে না।বর্তমানে আমরা পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছি।কিন্তু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে যদি বাহিরের জ্ঞানের সংমিশ্রণ না ঘটে তবে জ্ঞানের পূর্ন বিকাশ অর্জিত হয় না।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার এই প্রবন্ধে ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে বাংলায় শিক্ষাপ্রদানের বিষয়টি তাগিদ করেন।পরিশেষে এই প্রবন্ধে লেখক এই কথাটিই বুঝিয়েছেন পুথিগত বিদ্যার গন্ডি থেকে বের হয়ে এসে প্রকৃত জ্ঞানের প্রতি আমাদের অগ্রসর হতে হবে।তবেই আমরা প্রকৃত শিক্ষার স্বাদ নিতে পারবো।লেখক এটিই বুঝাতে চেয়েছেন।
শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধ দ্বারা।
রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’রবীন্দ্রনাথের মতে তার সময়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চলেছিল, তাতে হতে পারত না চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তাই তিনি তার পরবর্তী জীবনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান যে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হতে পারবে চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তার কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রদের কেবলই কিছু তথ্য প্রদান করা নয়; তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানো। যুক্তি বলতে বোঝায় বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়কে। শিক্ষার লক্ষ্য হতে হবে বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্ষমতা বাড়ানো। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রস্তাব রাখেন। কারণ, এর ফলে জ্ঞান সহজেই তাদের চেতনার অংশ হয়ে উঠবে। ফলে অনেক সহজেই পারবে তার প্রয়োগ ঘটাতে।
প্রায়শই একটা কথা শোনা যায় যে, "শিক্ষিত হলেই কেউ আসলে মানুষ হয় না!" কিন্তু মানুষ তো আমরা সকলেই। তাহলে এনারা ঠিক কোন শিক্ষায় শিক্ষিত আর কোন মানুষের কথা বলছেন?? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করে বেশ কিছু সনদপত্র সংগ্রহ করা ভদ্রলোকটাকে কি এখন অশিক্ষিত বলবো নাকি! কথায় আছে, কোনো কিছু শেখার, কোনো কিছু থেকে শিক্ষা নেওয়ার নাকি কোনো বয়স হয় না। মানুষ তার জীবনর প্রতিটা দিনই কিছু না কিছু শেখে। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে, আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’ রবীন্দ্রনাথের মতে তার সময়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চলেছিল, তাতে হতে পারত না চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তাই তিনি তার পরবর্তী জীবনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান যে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হতে পারবে চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তার কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রদের কেবলই কিছু তথ্য প্রদান করা নয় তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানো। যুক্তি বলতে বোঝায় বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়কে। শিক্ষার লক্ষ্য হতে হবে বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্ষমতা বাড়ানো। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রস্তাব রাখেন। কারণ, এর ফলে জ্ঞান সহজেই তাদের চেতনার অংশ হয়ে উঠবে। ফলে অনেক সহজেই পারবে তার প্রয়োগ ঘটাতে।
কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পুঁথিগত শিক্ষার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। কিন্তু যেখানে আমরা জানি যে শিক্ষার কোন সংজ্ঞা নেই শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমরা প্রতিনিয়ত ও করুণা কোন জিনিস থেকে শিক্ষা অর্জন করছি। কিন্তু আমাদের বিকাশ বা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে পুঁথিগত শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের অন্যান্য জ্ঞান অর্জন করা অনেকত আবশ্যকীয়। আমরা হয়তোবা পুঁথিগত শিক্ষা অর্জন করে আমাদের জীবনে সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি বা তার থেকে আমরা অর্থ উপার্জন করছি কিন্তু এই শিক্ষার নিরর্থক। কারণ আমরা জানি শুধু শিক্ষা নয় সুশিক্ষা এবং স্বশিক্ষিত হওয়া এক জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এটি বোঝাতে চেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধ দ্বারা।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিদ্যার কোন কেনা-বেচা নেই বলে এটি অমূল্য সম্পদ। মানুষ নিজের এবং পরের উপকার সাধনের জন্যই বিদ্যা অর্জন করে। প্রয়ােজনের সময় এ অর্জত বিদ্যা যথাযথ কাজে লাগাতে না পারলে তখন এটি সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে পড়ে।
বিদ্যা অর্জন করতে হলে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়, সাধনা করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি রাশি রাশি বই-পুস্তক কেবল তােতাপাখির মতাে মুখস্ত করে তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। আবার অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে তাও সার্থক হয় না। মলাটবদ্ধ নির্জীব বিদ্যাকে আত্মস্থ করে মানুষ তার মনােজগতের দ্বার উন্মােচন করে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। এর দ্বারাই মানুষ দেশ ও দশের কল্যাণে ব্রতী হয়। বিদ্যা অর্জন করে শুধু পৃথিবী জোড়া খ্যাতি লাভ করে কিংবা পণ্ডিত জ্ঞানী বলে পরিচিত হলে সে বিদ্যারও কোনাে সার্থকতা নেই। বরং অর্জিত বিদ্যার দ্বারা মনুষ্য জগতের কল্যাণ সাধনা করলে, সে বিদ্যাকে আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার কাজে লাগালে তবেই বিদ্যা অর্জন সার্থক হয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হয়। কিন্তু কেউ যদি তার বিপুল অর্থবিত্তকে মানুষের কাজে ও জগতের কল্যাণে ব্যবহার করতে না পারে, কৃপণের মতাে সেই সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখে তার উপযােগিতাকে কাজে লাগানাের সুযােগ না দেয় কিংবা সেই অর্থ প্রয়োজনের সময় কাজে না লাগিয়ে অন্যের কাছে গচ্ছিত রেখে দেয় তবে সেই অর্থ সম্পদ মানুষের কাছে হয়ে পড়ে অর্থহীন। সুতরাং সার্থক ও সুন্দর জীবনের জন্যে বিদ্যাকে বুদ্ধি দ্বারা আত্মস্থ করে বাস্তবের সঙ্গে সংযােগ করা দরকার এবং ধন-সম্পত্তি অন্যের কাজে অহেতুক গচ্ছিত না রেখে দেয় তবে সেই অর্থ-সম্পদ মানুষের কাছে হয়ে পড়ে অর্থহীন। সুতরাং সার্থক ও সুন্দর জীবনের জন্যে বিদ্যাকে বুদ্ধি দ্বারা আত্মস্থ করে বাস্তবের সঙ্গে সংযােগ করা দরকার যাতে প্রয়ােজনের সময় নিজের কাজে লাগানাে যায় বা অন্যকে সাহায্য করা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।।আমাদের শিক্ষাপ্রণালী মনকে অত্যাবশ্যক বিষয়ে নিবদ্ধ রাখে এ কথা ভিত্তিহীন । সাধনায় প্রকাশিত প্রবন্ধে পূজনীয় শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে কেন বর্তমান শিক্ষার ঘাড়ে এই দোষ চাপাইয়াছেন বলিতে পারি না। দোষ যে কে কাহার ঘাড়ে কেন চাপায় বোঝা শক্ত ; অবশেষে অদৃষ্টকেই দোষী করিতে হয় । আমি যে ঠিক পূর্বোক্তভাবে কথা বলিয়াছি এ দোষ আমার ঘাড়েই বা কেন চাপানো হইল তাহা কে বলিতে পারে ।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তুলে ধরেছেন। মুখস্ত বিদ্যাই যে শিক্ষা নয় তিনি সেটাই তুলে ধরেছেন তার প্রবন্ধে। না বুঝে ইংরেজি শিক্ষা আর মুখস্ত বিদ্যার দ্বারা মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয় না। আর অবুঝের মতো শিক্ষা ব্যবস্থার কারনে আমরা চাকরী জীবনেও তেমন উন্নতি করতে পারি না। তাই আমাদের সুশিক্ষার জন্য যেমন পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান দরকার, তার সাথে বাহিরের জ্ঞান এবং অন্যান্য বইয়ের জ্ঞানও দরকার। বাহিরের জ্ঞান এবং দরকারি সকল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব গড়ে তুলতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।
আমরা জানি, শিক্ষা হলো সকল তালার চাবি। কিন্তু সেই শিক্ষা যদি হয় কিকো "পুঁথিগত বিদ্যা" তবে আসলে সেই শিক্ষা জীবনের কোন তালা খুলতে সাহায্য করে না।
আমরা যদি একটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের সাথে আমাদের বর্তমান যুগের তুলনা করি তাহলে বুঝতে পারব এবং সাথে হালকা আশ্চর্য হবো বটে। কারণ রবীন্দ্রনাথের সেই যুগ পার করে এসেছি অনেক আগে তারপরও মাঝখানে এতগুলো যুগ গিয়েছে, আমরা বাঙালিরা আজকে উন্নয়নশীল জাতি কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সেই একই রয়ে গিয়েছে, কোন পরিবর্তন নেই। বাঙালিরা আজও পাঠ্যবইয়ের বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। বাইরের জগত সম্পর্কে পাঠ্যবইয়ের বাইরে যদি কোন জাতির ধারণাই না থাকে তবে সে জাতি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হবে কি করে?? এখনো বাঙালি জাতি সাহিত্যচর্চা করাকে মনে করে সময় নষ্ট, পাঠ্যবইয়ের বাইরে সকল কিছু তাদের জন্য বিলাসিতা। তারা এই সকল কিছু করতে বাধা দেয় আমরা বাঙালি পড়াশোনা করি অর্থ উপার্জনের লাভের আসায়। প্রতিটি মানুষের উচিত প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞানের পরিধি ও বাড়বে এবং জাতি হিসেবে উন্নতি করতে পারবে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্জনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটা খেয়াল রাখা উচিত প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধ ধারা। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে অধিকাংশ মানুষ পুঁথিগত বিদ্যার প্রকৃতি তার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে |
অপরদিকে আমাদের বাবা- মায়েরা মনে করেন তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নষ্ট করা। কিন্তু তারা বুঝেও মানতে চায় না যে একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয় আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এজন্য উচিত ছোট কাল থেকেই ইচ্ছাশক্তি ও কল্পনাশক্তির বিকাশের চর্চা করা। শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি।আর সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। এটিই কবি আমাদের বুঝতে চেয়েছেন।
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। আমাদের বতমান সমাজের মানুষ একান্ত যত্নে শিশুদের ইংরেজি শিক্ষার উপর জোর দেয়। যার ফলে সাহিত্যের স্বাধীন ভাবোচ্ছ্বাস তাদের মধ্য সহজে প্রকাশ পায় না।এতে তারা প্রকত শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাহাদের মন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়তে পারছে না।পূথিগত জ্ঞান অজন করলেই প্রকত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায় না। কারারুদ্ধ হইয়া থাকা মানবজীবনের ধর্ম নহে। অত্যাবশ্যক শিক্ষার সাথে স্বাধীন পাঠ না থাকলে প্রকত শিক্ষিত হওয়া যায় না।এতে বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে অনেকটা পরিমাণে অজানাই থেকে যায়।কিন্তু আজকাল শিক্ষা এমন পর্যায়ে এসে দাড়াইছে যে পড়াশোনা শেষ করে কাজে প্রবিষ্ট হতে চায়। টাকা পয়সা উপাজর্নের জন্য। ফলে সাহিত্যচর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । তাই প্রকত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করতে হবে।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক।পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী।রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া।
আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং অন্যান্য শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জনের জন্য।
ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।
প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
আমাদের বঙ্গসাহিত্যে নানা অভাব আছে সন্দেহ নাই; দর্শন বিজ্ঞান এবং বিবিধ শিক্ষণীয় বিষয় এ পর্যন্ত বঙ্গভাষায় যথেষ্ট পরিমাণে প্রকাশিত হয় নাই; এবং সেই কারণে রীতিমত শিক্ষালাভ করিতে হইলে বিদেশীয় ভাষার সাহায্য গ্রহণ করা ব্যতীত উপায়ান্তর দেখা যায় না। কিন্তু আমার অনেক সময় মনে হয় সেজন্য আক্ষেপ পরে করিলেও চলে, আপাতত শিশুদের পাঠ্যপুস্তক দুই চারিখানি না পাইলে নিতান্ত অচল হইয়া দাঁড়াইয়াছে।
বর্ণবোধ, শিশুশিক্ষা এবং নীতিপুস্তকের অভাব নাই, কিন্তু তাহাকে আমি শিশুদিগের পাঠ্যপুস্তক বলি না।
পৃথিবীর পুস্তকসাধারণকে পাঠ্যপুস্তক এবং অপাঠ্যপুস্তক, প্রধানত এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। টেক্সট বুক কমিটি হইতে যে-সকল গ্রন্থ নির্বাচিত হয় তাহাকে শেষোক্ত শ্রেণীতে গণ্য করিলে অন্যায় বিচার করা হয় না।
কেহ-বা মনে করেন আমি শুদ্ধমাত্র পরিহাস করিতেছি। কমিটি দ্বারা দেশের অনেক ভালো হইতে পারে; তেলের কল, সুরকির কল, রাজনীতি এবং বারোয়ারি পূজা কমিটির দ্বারা চালিত হইতে দেখা গিয়াছে, কিন্তু এ পর্যন্ত এ দেশে সাহিত্য সম্পর্কীয় কোনো কাজ কমিটির দ্বারা সুসম্পন্ন হইতে দেখা যায় নাই। মা সরস্বতী যখন ভাগের মা হইয়া দাঁড়ান তখন তাঁহার সদ্গতি হয় না। অতএব কমিটি-নির্বাচিত গ্রন্থগুলি যখন সর্বপ্রকার সাহিত্যরসবর্জিত হইয়া দেখা দেয় তখন কাহার দোষ দিব। আখমাড়া কলের মধ্য দিয়া যে-সকল ইক্ষুদণ্ড বাহির হইয়া আসে তাহাতে কেহ রসের প্রত্যাশা করে না;’সুকুমারমতি’হীনবুদ্ধি শিশুরাও নহে।
যখন জ্ঞান আহরণ করা হয়,তখন সেই জ্ঞান বাস্তবিক জীবনের সাথে কি সংযোগ স্থাপন করে,তার প্রকৃত পরিচয়,সঠিক ব্যবহার কি সেইসব জানা অতি জরুরী।এটাই রীতিমত শিক্ষা।"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছে যেখানে সাহিত্যচর্চা না হয়ে শুধুমাত্র পুঁথিগতবিদ্যা অর্জন করে নামের পাশে ডিগ্রি নিয়ে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় সেই চর্চা হয়।আমারা শৈশব থেকে পাঠ্যপুস্তক থেকে শুধু অত্যাবশ্যক শিক্ষা গ্রহণ করি,এতে করে আমাদের বয়স বৃদ্ধি হলেও বুদ্ধি, চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি, মানবিক মূল্যবোধ এসব বিস্তৃত হয় না। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে মানুষ সমাজে শিক্ষিত হিসাবে পরিচিত হয়েও শিক্ষার প্রকৃত দিক,আসল বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞাতই থাকে।এদেশের শিক্ষিত সমাজের চিন্তাধারা হলো,ইংরেজি না শিখলে শিক্ষিত হওয়া যায় না।তাদের এরুপ ধ্যানধারণার কারণে বাঙালি শিশুরা ছোটথেকে ইংরেজি ভাষা রসকষহীনভাবে না বুঝে মুখস্থ করে যায়।এতে করে জ্ঞান লাভ তো হচ্ছেই না সাথে বুদ্ধিও বলিষ্ঠ এবং পরিপক্ক হচ্ছে না।আনন্দের সহিত শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত তাহলে অলক্ষিতভাবে পড়ার শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এর ফলে শিক্ষার পাশাপাশি,গ্রহণশক্তি,ধারণাশক্তি, চিন্তাশক্তি, মানসিকশক্তিও বেশ সহজ এবং স্বাভাবিকভাবে বিস্তার লাভ করে।
ইংরেজি ভাষা আমাদের কাজের ভাষা কিন্তু ভাব প্রকাশ করতে আমারা যতোই ইংরেজি শিখি না কেনো বাংলার বিকল্প কিছুই নেই।মনের ভাব প্রকাশের বড় মাধ্যম নিজের মাতৃভাষা।
এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান আহরণের শিক্ষা কম।কিভাবে পরীক্ষায় পাস করা যায়,নামের পাশে ডিগ্রি অর্জন করা যায়,মূলত অর্থ উপার্জন কিভাবে কত উপায়ে করা যায় সেই মনোভাব নিয়েই এদেশের মানুষ শিক্ষিত হতে চায়।
অর্থ নিয়ে শঙ্করাচার্যের বাণী আছে সেটা নিম্নরূপ :
"অর্থমনর্থং ভাবর নিত্যং
নাস্তি ততঃ সুখলেশঃ সত্যম্।
অর্থকে অনর্থ বলিয়া জানিয়ো, তাহাতে সুখও নাই এবং সত্যও নাই।"
সুতরাং এদেশের মানুষের চিন্তাধারা, ধ্যানধারণা,মনোভাব পাল্টানোর সাথে সাথে শিক্ষাব্যবস্থারও পরিবর্তন করতে হবে তবেই প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারবো আমরা।ইংরেজি সাহিত্যর পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যও চর্চা করা উচিত আমাদের এতে করে আমারা নিজেদের কর্মক্ষেএের সাথে নিজেদের মনের ভাব সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারবো এবং সেই সাথে সারাবিশ্বের কাছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও সাহিত্য উপস্থাপন করতে পারবো।
শিক্ষিত হওয়া ও জ্ঞান অর্জন করা এই দুটি কথার মধ্যে পার্থক্য আছে।আমরা যারা শিক্ষিত বলে নিজেদের দাবি করি তারা বেশিরভাগ সবাই পাঠ্যপস্তুকের শিক্ষায় শিক্ষিত।কিন্তু যারা দিনের পর দিন বিভিন্ন বই পড়ার মধ্যে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াচ্ছেন তারাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" নামক প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি শিক্ষা নিয়েই তার এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে-
আমরা বাস্তব জীবনে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তুকের পড়ার মধ্যে আবদ্ধ।এর বাইরে অতিরিক্ত পড়তে আমরা কেউই আগ্রহ দেখাই না।মনে করি পাঠ্যপস্তুকের পড়া পড়লেই যথেষ্ট।কিন্তু না জ্ঞান অর্জন করার জন্য এতো অল্প পড়ায় সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না।আমাদের অনেক কবি,লেখকরা প্রাতেষ্ঠেনিক শিক্ষা অর্জন করে নি তারা স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।তার জ্ঞান অন্য সাধারণ মানুষদের থেকে অনেক বেশি।কারণ তারা নিজের মতো করে বই পড়েছেন জ্ঞানের চর্চা করেছেন।তাই পড়াশোনা ও শিক্ষা অর্জনে শুধু এক দুটে পাঠ্য বইের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আরো বেশি বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে এবং জ্ঞানচর্চা করতে হবে।
আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং অন্যান্য শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জনের জন্য।
ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।
প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।
একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
"শিক্ষার হেরফের"প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার স্বরুপ তুলে ধরতে চেয়েছেন। মুখস্ত বিদ্যাই যে শিক্ষা নয় তিনি সেটাই তুলে ধরেছেন তার প্রবন্ধে। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হতে বাদ দিলে চলে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক যার ফলে আমাদের ছাত্ররা সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে না।শিশুকাল থেকে তাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে লক্ষ্য পূরণের জন্য,অর্থ উপার্জনের জন্য।আমাদের বাবা-মায়েরা শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ান যার ফলে শিশুরা সাহিত্য বা অন্য কোনো বই পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে না। ইংরেজি ভাষা আমাদের কাজের ভাষা কিন্তু ভাব প্রকাশ করতে আমারা যতোই ইংরেজি শিখি না কেনো বাংলার বিকল্প কিছুই নেই।মনের ভাব প্রকাশের বড় মাধ্যম নিজের মাতৃভাষা।এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান আহরণের শিক্ষা কম।কিভাবে পরীক্ষায় পাস করা যায়,নামের পাশে ডিগ্রি অর্জন করা যায়,মূলত অর্থ উপার্জন কিভাবে কত উপায়ে করা যায় সেই মনোভাব নিয়েই এদেশের মানুষ শিক্ষিত হতে চায়। একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়|প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
At the time of writing, no one thought that anyone would be offended by the shortcomings of the current education system or the university. We have not enjoyed education since childhood. The air does not fill the stomach, the food fills the stomach; But you need to eat air to digest the food properly. Similarly, a textbook needs to be digested properly with the help of many textbooks. Reading with joy tends to increase energy invisibly; The power of perception, the power of perception, the power of thought are quite easy and normal. This is what Rabindranath wanted everyone to realize in this article. A person will find the essence of his life only when he can develop his thinking power and imagination. And this power will be achieved when a person goes beyond his textbook and tries to know something and can use it for the welfare of the people. It could not have developed any thought and imagination. To him, the main purpose of education is not only to provide some information to the students, but also to teach them to think about information. In my opinion, the main purpose of education should be to make connections between different events. This is what I came to understand after reading this article.
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্যদিকে ইংরেজি শিক্ষায় সংকট বিচ্ছিন্নতার।আর এই বিচ্ছিন্নতায় আমাদের ভাব ভাষা এবং জীবনের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা দূর করে দিয়েছে। যার ফলে মানুষ অবিচ্ছিন্ন হয়ে অখণ্ড ঐক্যলাভ করে বলিষ্ঠ হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের পুস্তক সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ১. পাঠ্যপুস্তক ২. অপাঠ্যপুস্তক।
আমাদের দেশের যে শিক্ষা প্রদ্ধতি তাতে দেশের ছেলে মেয়েদের যা পাঠ্য করা হয় তা শুধুই শিক্ষাপুস্তক, তাতে কোনো ধরনের পাঠ্যপুস্তক না। শুধু মাত্র শিক্ষাপুস্তক পড়ে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার বিকাশ ঘটে না, তা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্য পড়া হয়। শিক্ষার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে হলে অবশ্যই ছেলে মেয়েদের শুধুমাত্র পাঠ্য সূচিতে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না বিবিধ জ্ঞান লাভ করে শিক্ষা পরিসরকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। শিক্ষা আমাদের মুক্তি দেয়, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে শেখায় তাই শুধু মাত্র পাঠ্যপুস্তক অবধি না থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা শুধু কোণথাসা হয়ে মুখস্থ বিদ্যায় সীমাবদ্ধ যে কারণে তারা গল্পের বইগুলোই তাদের কাছে সহজলভ্য হয় না। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা ইংলিশেও তেমন দক্ষ না তাই প্রতিক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরিশেষে বলা যায় শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ অতিব জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে । যার যথাযত বিকাশের মাধ্যমে আমাদের বাংলা সাহিত্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে।
শিক্ষা হোক এমন,যা খোলবে মনের দোর।শুধু মাত্র পাঠ্য বই পড়ে সকল তথ্য এবং জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়।আর মনের দার খোলাও সম্ভব নয়।আসল শিক্ষা হলো শিক্ষার্থীর মধ্যকার ঘুমন্ত প্রতিভা বা সম্ভবনার পথ নির্দেশক।কিছু শিক্ষাবিদ বলেছেল(Education denotes the realization of innate human potentialities of individuals through the accumulation of knowledge)
মূলত এসব বিষয় গুলিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রবন্ধের মধ্যে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।তিনি আর বুঝিয়েছেন শিক্ষা মানুষ শুধু অর্থ উপার্জনের মাদ্ধম হিসেবে ব্যবহার করছে।কিন্তু প্রকৃত শিক্ষার অনেক অভাব এবং কেও বাহিরের কোন জ্ঞান লাভ করতে চাইলেও তাতে পরিবারের বাধার সম্মুখীন হতে হয় কারন আমাদের ধারণা পাঠ্যবই এর শিকলের মধ্যে বন্দী। এখনকার সমাজের ধারনা অন্য বই পড়ে কি লাভ, যদিই না সেখানে অর্থ হয় লাভ। আসলে প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো মিথ্যার বিনাশ আর সত্যের আবিষ্কার।শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে শিশুর সম্ভবনা ও অনুরাগের পূর্ণ বিকাশ ও তার নৈতিক চরিত্রের প্রকাশ।পূর্ণাঙ্গ মানুষের আত্ম প্রকাশের জন্যে যেসব গুনাবলী নিয়ে শিক্ষার্থী এ পৃথিবীতে আগমন করেছে, শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে সেসব গুনাবলীর যথাযথ বিকাশ সাধন।আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের প্রিও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তা 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্দ দ্বারা পরিপূর্ণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । শিক্ষা উপার্জন এর যে কোন রাস্তা হয়ে না এ কথা টাই সে তার প্রবন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শিশুদের বইয়ের অভাব নাই কিন্তু আসলে সেগুলো পাঠ্যপুস্তক না। অনেক কিছুই পাবলিশ করে কিন্তু সাহিত্য সম্পর্কে কোনো কাজেই তারা সুসম্পন্ন করতে পারেনি। ব্যাকরণ অভিধান ভূগোল নীতিগুলো পৃথিবীর পাঠ্যপুস্তক এর মধ্যে হতে পারে না কারণ এটা শিক্ষা পুস্তক।
আমরা একমাত্র আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই নিয়ে থাকি। আমাদের স্বাধীন হওয়ার জন্য আরো অনেক কিছুর জানা প্রয়োজন কিন্তু আমরা সেগুলো জানার ইচ্ছা পোষণ করিনা। আমাদের টেনশন শুধু ডিগ্রী নিয়ে|
প্রবন্ধে কবি এটাই বুঝতে চেয়েছেন যে, আমাদের শুরু পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রিক শিক্ষার পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকের বাইরের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আর এ জন্য আমাদের সাহিত্য চর্চা করতে হবে এবং সাহিত্যের রস বুঝতে হবে। পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রিক পড়াশোনা সবসময় আমাদের কাজে আসে না।
তাই আমাদের উচিত আমাদের ছাএসমাজে
পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার বিস্তার ঘটানো উচিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
We believed that our qualities and attributes are fixed traits not only we can't change it but also there is no real way to improve our intelligence and skills. Rather than working to develop and improve,we often give up and don’t seek out new challenges.we also believe that talent alone leads to success, and effort is largely irrelevant.
But this is totally wrong. If we believe that we can do that we can.we can develop our intelligence and skill if we want but we have to be patience and we have to believe in our self.
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শিক্ষা মানুষের মানসিক ও বাহ্যিকভাবে উন্নত হতে সাহায্য করে।একজন মানুষ যখন যথাযথ শিক্ষা পায় তবেই তার মধ্যকার মানুষটি পূর্নরুপে জেগে ওঠার ধাপগুলো পেরোতে সামর্থ্যবান হয়।এখন শিক্ষা বা মনুষ্যত্বের বিকাশ তো বইয়ের নির্দিষ্ট কিছু পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধে কবি এটাই বুঝিয়েছেন জ্ঞানের সীমা সীমিত রাখলে একজন মানুষের শিক্ষা পরিপূর্ণ হবে না।আর আজকালকার পড়াশুনা হলো বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ।উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে গেলে সেটা নিজের ভাষায় করার সুযোগ নেই করতে হয় ইংরেজি ভাষায়।কিন্তু কজন বোঝে ইংরেজি যেখানে একটি বাংলা ভাষায় রচিত একটি কবিতা পড়লে তার সম্পূর্ণ রস বোঝা আমাদের জন্য দুস্কর আর সেখানে আমাদের পড়াশোনা সব ইংরেজিতে। আজকালকার মানুষের ধারণা কেউ যদি পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কোনো বই পড়ে তা হচ্ছে সময় নস্ট কিন্তু এটা ভুল ধারণা। পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও আমাদের একটি জগত রয়েছে সেখানে বইয়ের সীমিত কিছু লেখা আমাদের এই জগতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনে যথেষ্ট নয় তার জন্য বাহিরের পুস্তকও পড়া উচিত।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Rabindranath Tagore has very skillfully portrayed the nature of our education system through his article named as “শিক্ষার হেরফের”. The way we are taking education is basically for our needs. The education that most of the people in this country receive is just for the sake of earning money. The people of our society insist on teaching English to their children with utmost care. Humanity is not awakened by English education and memorization without understanding. With the knowledge of textbooks, one can become truly educated only if he has knowledge of the outside world. If the acquired knowledge is not useful for human welfare, then that knowledge is of no use. Outside of the textbook there are opportunities for us to develop real knowledge but for the education system and the family we are far from getting real education. That’s what basically my understanding is after reading through this particular article.
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিকবিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে, 'শিক্ষার হেরফের 'প্রবন্ধে এটাই বোঝানো হয়েছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রবন্ধের শুরুতেই আমাদের বাংলা সাহিত্যের কথা বলেছেন । আমাদের বাংলা সাহিত্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকরণের অভাব ।জানার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এদেশে সাহিত্য, প্রবন্ধ লেখাই হয় না। ফলশ্রুতিতে আমাদের সাহায্য নিতে হয় অন্য ভাষার।এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ। চিন্তা ভাবনার উন্নতি হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও এই কথাটি বলেছেন। তিনি বিশেষভাবে যে বিষয়ে জোর দিয়েছেন তা হলো শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষার ব্যবহার। ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয় তবুও বাংলা ভাষাকে ছেড়ে ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব দাওয়া হচ্ছে। ফলে আমরা দু দিক দিয়েই দূর্বল থেকে যাচ্ছি। শৈশবকাল থেকেই বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার চর্চা করা হয় । কিন্তু এই ভাষার আমাদের থাকে না কোনো ভালোবাসা। কবিগুরু আরেকটি কথা ও উল্লেখ করেছেন ইংরেজিকে শুধু কাজের ভাষা বলা চলে ভাবের ভাষা নয়। কেননা এ ভাষার সঙ্গে আমাদের আত্মার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরো একটি জিনিস বোঝাতে চেয়েছেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের পরাধীন চিন্তাধারার অধিকারি করে তুলছে। তিনি আরেকটি বিষয়ও তুলে ধরেছেন তা হচ্ছে শুধু ভাষাশিক্ষা না ভাব শিক্ষার ও প্রয়োজন রয়েছে। কেননা আমরা প্রয়োজনের বাহিরে বেশি দূর এগোতে চাই না। এ সকল বিষয়বস্তু দেখলে বোঝা যায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা ত্রুটি সম্পন্ন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।
শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হতে হবে আত্মতৃপ্তি।
বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা,,,যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয় |
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন।
একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না ,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে।
মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে,
সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।।
একজন সঠিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা ।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি কেবল বলিয়াছিলাম আমাদের দেশে শিশুদের স্বেচ্ছাপাঠ্য গ্রন্থ নাই। ইংরেজের ছেলে কেবল যে ভূগোল এবং জ্যামিতির সূত্র কণ্ঠস্থ করিয়া মরে তাহা নহে, বিবিধ আমোদজনক কৌতুকজনক গল্পের বই, ভ্রমণবৃত্তান্ত, বীরকাহিনী, সুখপাঠ্য বিজ্ঞান ইতিহাস পড়িতে পায়। বিশেষত তাহারা স্বভাষায় শিক্ষালাভ করে বলিয়া পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে যতটুকু সাহিত্যরস থাকে তাহা অনায়াসে গ্রহণ করিতে পারে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা কায়ক্লেশে কেবলই শিক্ষণীয় বিষয়ের শুষ্ক অংশটুকু মুখস্থ করিয়া যায়। এ স্থলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে কোনো কথাই বলি নাই।
মনে আছে আমরা বাল্যকালে কেবলমাত্র বাংলাভাষায় শিক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলাম, বিদেশী ভাষার পীড়নমাত্র ছিল না। আমরা পণ্ডিতমহাশয়ের নিকট পাঠ সমাপন করিয়া কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশীরামদাসের মহাভারত পড়িতে বসিতাম। রামচন্দ্র ও পাণ্ডবদিগের বিপদে কত অশ্রুপাত ও সৌভাগ্যে কী নিরতিশয় আনন্দলাভ করিয়াছি তাহা আজিও ভুলি নাই। কিন্তু আজকাল আমার জ্ঞানে আমি একটি ছেলেকেও ঐ দুই গ্রন্থ পড়িতে দেখি নাই। অতি বাল্যকালেই ইংরেজির সহিত মিশাইয়া বাংলা তাহাদের তেমন সুচারুরূপে অভ্যস্ত হয় না এবং অনভ্যস্ত ভাষায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া গ্রন্থ পাঠ করিভে স্বভাবতই তাহারা বিমুখ হয়, এবং ইংরেজিতেও শিশুবোধ্য বহি পড়া তাহাদের পক্ষে অসাধ্য, অতএব দায়ে পড়িয়া আমাদের ছেলেদের পড়াশুনা কেবলমাত্র কঠিন শুষ্ক অত্যাবশ্যক পাঠ্যপুস্তকেই নিবদ্ধ থাকে ; এবং তাহাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি বহুকাল পর্যন্ত খাদ্যাভাবে অপুষ্ট অপরিণত থাকিয়া যায়। বাংলার শস্য, বাংলার ভাষা, বাংলার সাহিত্যের প্রতি আমাদের কৃপাদৃষ্টি নাই, তাহার প্রতি আমাদের অন্তরের প্রীতি এবং একান্ত বিশ্বাস আছে, এ কথায় যাঁহাদের ‘সন্দেহ’ হয় তাঁহারা পুনর্বার ধীরভাবে আলোচ্য প্রবন্ধগুলির যথার্থ মর্ম গ্রহণ করিয়া পড়িয়া দেখিবেন। এবং যদি কোথাও দৈবক্রমে কোনো একঢি বা দুটি কথায় কোনো ত্রুটি বা কোনো অলংকারদোষ ঘটিয়া থাকে তবে তাহা অনুগ্রহপূর্ব্বক মার্জনা করিবেন ; কারণ, আমরা তর্কের ইন্ধন সংগ্রহ করিবার জন্য প্রবন্ধগুলি লিখি নাই, যথার্থই আবশ্যক এবং বেদনা অনুভব করিয়া লিখিয়াছি।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নির্ধারিত ও আবশ্যক একটি পাঠ্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে নিজেকে কারাবন্দি করা কখনো মানব জীবনের ধর্ম নয়। সুবিস্তৃত সাহিত্য জগতে বিচরণ করতে না পারলে, এর সুমধুর রস আস্ফালন করতে না পারলে আবশ্যকশৃঙ্খলে বন্দি হয়ে সাহিত্য রসবর্জিত হয়ে উঠে শিক্ষিত সমাজ। আপাঠ্য পুস্তকগুলো যেখানে মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষার প্রধান মাধ্যম সেখানে সাহিত্যচর্চা বা স্বাধীন পাঠকে অবহেলা করে বা অপরাধ হিসেবে প্রাপ্য করে, ব্যক্তিকে ব্যক্তির মনের বিনোদন ও আনন্দপোভোগময় শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। আমাদের দেশে শিশুকে যখন শিক্ষা দেয় তখন শুদ্ধভাবে বাংলাভাষা শেখানো হয় না উপরন্তর তাকে ইংরেজি ভাষার সাহিত্যে উৎসাহিত করা হয় যার সহিত আমাদের ভাষার ভাবগত শব্দবিন্যাস,পদবিন্যাস সম্বন্ধে কোনপ্রকার মিল নেই। বরং বিদেশি সাহিত্যকে সর্বখ্যাত অধিক গুরত্ত দিয়ে কাজের এ ভাষাকে ভাবের ভাষা গণ্যকরে এবং সেইগুলো আশ্রয় করে বিদেশে শিক্ষা অর্জনের তকমা লাগানো নিছক তিক্তস্বাদ গ্রহন মাত্র। তখন ভাষার সাথে সাথে ভাব হতে বর্জিত হয়ে যেন হতভাগ্য শিশুদিগকে কোনো বিদেশি কারাগারে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হয়। তাই শিশু থেকে সাহিত্যচর্চা না করলে পরবর্তীতে তা দুঃসহ হয়ে উঠে ও একসময় গ্রন্থজগত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভাষার প্রতি অবিশ্বাস ও অস্রদ্ধা জন্মে। মানসিক শক্তি হ্রাসকারী নিরানন্দ শিক্ষাজীবনে সেই মহেন্দ্রখন অতীত হয়ে যায়, যদি আমাদের বিদ্যাপীঠগুলো পরিপূর্ণ স্বাধীনভাবে আমাদের শিক্ষাবেবস্থায় স্থান করে নিতে পারে তবে আমাদের সমাজ, দেশ কিংবা রাষ্ট্র পূর্ণ শিক্ষায় বিকশিত, উদ্দিপ্ত ও সৃজনশীল হবে। আজ আমাদের সাহিত্যকে বিকশিত না করলে শখ বা ইচ্ছার পাঠ্যবইগুলো সংযোগ না করলে, স্বাধীন পাঠ না করলে শিক্ষার গুনগতমান ও শিশুশিক্ষাকে পূর্ণ ও উন্নতি কোনোভাবে সম্ভব নয়। শিশু কিংবা শিক্ষার্থীদের মন শুধু পাঠ্যশুচিতে আবদ্ধ থাকলে, স্বাধীনপাঠের মাধুর্যতা উপলব্ধি করতে না পারলে সাহিত্যচর্চা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে আর নিরসপাঠক্রম কখনই শিক্ষণীয় মাধ্যম হয়ে উঠে না এবং বিদেশি সাহিত্য বা শিক্ষাও শিশু শিশু সময়ে যথোপযুক্ত নয়।
আমাদের বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন ধরনের অভাব লক্ষণীয়। আমাদের যে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান দর্শন বিষয়াবলি রয়েছে এগুলোতেও বাংলা সাহিত্যের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায় না। তাই আমাদের বিদেশি ভাষার সাহায্য নিতে হয় । কত বর্ণশিক্ষা, নীতিশিক্ষা রয়েছে তবে এগুলো শুধু শিক্ষাপুস্তক বলাই চলে। আমাদের দেশের কমিটি নামক শব্দটি শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা কমিটি ইত্যাদিতেই ভালো প্রভাব ফেলে কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো সুস্থ প্রতিফলন ঘটে না।
আমাদের পুস্তক সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ১. পাঠ্যপুস্তক ২. অপাঠ্যপুস্তক।
আমাদের দেশের যে শিক্ষা প্রদ্ধতি তাতে দেশের ছেলে মেয়েদের যা পাঠ্য করা হয় তা শুধুই শিক্ষাপুস্তক, তাতে কোনো ধরনের পাঠ্যপুস্তক না। শুধু মাত্র শিক্ষাপুস্তক পড়ে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার বিকাশ ঘটে না, তা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্য পড়া হয়। শিক্ষার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে হলে অবশ্যই ছেলে মেয়েদের শুধুমাত্র পাঠ্য সূচিতে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না বিবিধ জ্ঞান লাভ করে শিক্ষা পরিসরকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। শিক্ষা আমাদের মুক্তি দেয়, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে শেখায় তাই শুধু মাত্র পাঠ্যপুস্তক অবধি না থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা শুধু কোণথাসা হয়ে মুখস্থ বিদ্যায় সীমাবদ্ধ যে কারণে তারা গল্পের বইগুলোই তাদের কাছে সহজলভ্য হয় না। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা ইংলিশেও তেমন দক্ষ না তাই প্রতিক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরিশেষে বলা যায় শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ অতিব জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে । যার যথাযত বিকাশের মাধ্যমে আমাদের বাংলা সাহিত্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধ তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ধারাকে তুলে ধরেছেন। তিনি আরও তুলে ধরেছেন আমরা শিক্ষা অজর্ন করতে করতে কবে যে শিক্ষার মূল লক্ষ্য ভুলে গেছি আমরা নিজেরাই জানি না। আমরা জানি, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।কিন্তু কথাটা হল আমরা কয়জনই বা প্রকৃত শিক্ষাই শিক্ষিত হতে পারি। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা আমাদের শিশুদের একটি পাঠ্যপুস্তক এর মধ্য সীমাবদ্ধ রাখে। যার ফলে, তারা বড় হয় ঠিকই কিন্তু তাদের চিন্তাধারার বিকাশ হয় না।এখন আমাদের শিক্ষা গ্রহণের একটিই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছেন কিভাবে টাকা উপাজর্ন করা যায়। আর যার ফলে, আমরা বাংলা ভাষা শিখার বদলে ইংরেজি ভাষার উপর জোড় দিতে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই ইংরেজি ভাষাও আমাদের ভালো মতো শিখা হয় না।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রবন্ধটি পড়ার পর বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্যের জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে।
শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ অত্যন্ত নিপুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং অন্যান্য শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জনের জন্য।
ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।
প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের বই অধ্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরী।এসব বই অনুধাবনের মাধ্যমেই আমরা গড়ে তুলতে পারি এক সুন্দর সুশীল শিক্ষিত সমাজ। যে সমাজের মানুষের মধ্যে মুল্যবোধ, ন্যায়পরায়নাতা, সত্যবাদিতা এবং অন্যায়ের প্রতি থাকবে প্রচন্ড ঘৃণা।
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমরা ধরেই নিয়েছি শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা আর সার্টিফিকেট অর্জন করাই শিক্ষা। যার ফলে দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও নিজেদের মাঝে উপস্থিত সুপ্ত প্রতিভা গুলো বাইরে আসতে পারে না।।
ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথার মধ্যে একটা ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে কীভাবে ভালো রেজাল্ট করা যায়।ভালো ফলাফলের পিছনে ছুটে আমরা শুধু পড়েই যাচ্ছি কিন্তু সে শিক্ষায় নেই কোনো আনন্দ।
মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে মানুষ হতে সাহায্য করবে।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষা অর্জন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের বাহক না হয়। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান আমাদেরজীবনে আবশ্যক যার জন্য দরকার দর্শন, সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, অন্যর উপর নির্ভরশীল হতে হয়৷ জীবনের প্রতিটি পদে চলার জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োজন। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রবন্ধে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সমালোচনা করেছেন এবং শিক্ষার ত্রুটি গুলো তুলে ধরেছেন।
আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং পাঠ্যপুস্তক এর বাইরের শিক্ষা জ্ঞানকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জন ক্ষ্যতির জন্যে ।
ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।
প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।আমাদের দেশে শিক্ষাথীদের ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়বার জন্যে বাধ্যবাধকতা করা হয়। যার ফলে আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির চিন্তা ধারা ছোট থেকে গড়েতুলতে পারি না, ফলে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারিনা। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র শিক্ষাগ্রহণ করাটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয় এতে আমরা কি এতে আমরা কি সঠিক শিক্ষা পাচ্ছি কিনা তা বিবেচনা করা হয় না। আমরা কেবল জীবিকার জন্য ধরাবাঁধা শিক্ষা গ্রহণ করছি ফলে প্রকৃত কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। জীবনে সাফল্তার জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।।
বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । কিন্তু শুধু বই পড়লেই শিক্ষিত হওয়া যায়না । বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষরা গ্রন্থগত বিদ্যার মধ্যে পড়ে থাকে। তারা মুখস্থ বিদ্যা ছাড়া কিছুই বোঝে না। কিন্তু একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হেরফের " প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের দেশের শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা অর্জন করছি। তবে মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন করা অত্যাব্যশকীয়। এতে করে বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পাবে । মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।