পুঁথি গত বিদ্যা, পরহস্থে ধন !
নহে বিদ্যা নহে ধন ,হলে প্রয়োজন!!
জ্ঞান যখন সীমিত আকারে চর্চা করা হয় এবং তা কেবল হাতে গোনা কয়েকটা বই এর মাধ্যমে তখন তা মানুষের সত্তার খোরাক দিতে পারে না। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা অভ্যস্থ হয়ে গেছি যান্ত্রিক জীবনধারা তে ! এক্ষণ মানুষ লিখা পড়া বলতে বুঝে এমন এক কবজ যা যত তাড়াতাড়ি সাধন করতে পারবে ঠিক তত তাড়াতড়ি বিলাসিতা, চাকচিক্য তাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকবে ! নাই বা হোক আমার মনস্তাত্ত্বিক অগ্রগতি !
আমরা সভ্য সমাজের মানুষ এক্ষণ সফলতা পরিমাপ করি টাকা, বাড়ি ,গাড়ি দিয়ে ! হাস্যকর হলে ও সত্যি এক্ষণ আমরা এই জন্যে পড়ি না যে জ্ঞান অর্জন হবে এই জন্যে পড়ি যেন তাড়াতাড়ি টাকা অর্জন করা যায়!
উপর এ দেয়া এই উদৃতিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ' শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধের এক অংশ বিশেষ।
এই প্রবন্ধে কবি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন বিদ্যা শব্দ ধারা কিছু হতে গোনা পাঠ্যপুস্তক বোঝায় না ! আর এর বাহিরে কোনো বই পড়লে সে নিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে না !
জ্ঞান এর পরিধি অনেক বড় অনেক বিস্তৃত...। অর্জন এর শেষ হয় না ,হবে না যদি তা হয় জ্ঞান অর্জন।