Art of Living

শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Muhammad Sajidul Islam -
Number of replies: 120

Write your opinion on the article by Tagore within 100/150 words

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Fairuj Maliha -
একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান মানুষ তার শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য তাকে পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়তে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা,,,যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয়,,,তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Nusrat Tafannum Moon -
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Afrin Akter -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। আমাদের শিক্ষার গ্রহণ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পপরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Asma Ankhi -
রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করলে কাজের সময় যে তাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।রবীন্দ্রনাথের মতে তার সময়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চলেছিল, তাতে হতে পারত না চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তাই তিনি তার পরবর্তী জীবনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান যে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হতে পারবে চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তার কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রদের কেবলই কিছু তথ্য প্রদান করা নয়; তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানো। যুক্তি বলতে বোঝায় বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়কে। শিক্ষার লক্ষ্য হতে হবে বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্ষমতা বাড়ানো। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রস্তাব রাখেন। কারণ, এর ফলে জ্ঞান সহজেই তাদের চেতনার অংশ হয়ে উঠবে। ফলে অনেক সহজেই পারবে তার প্রয়োগ ঘটাতে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sadia Afrin Tama -

ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট  কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষা অর্জন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের বাহক না হয়। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান আমাদেরজীবনে আবশ্যক যার জন্য দরকার দর্শন, সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, অন্যর উপর নির্ভরশীল হতে হয়৷ জীবনের প্রতিটি পদে চলার জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োজন। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।           

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Maimuna Akter Rikta -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।আমাদের দেশে শিক্ষাথীদের ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়বার জন্ন্যে বাধ্যবাধকতা করা হয়। যার ফলে আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির চিন্তা ধারা ছোট থেকে গড়েতুলতে পারি না, ফলে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারিনা। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র শিক্ষাগ্রহণ করাটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয় এতে আমরা কি এতে আমরা কি সঠিক শিক্ষা পাচ্ছি কিনা তা বিবেচনা করা হয় না। আমরা কেবল জীবিকার জন্য ধরাবাঁধা শিক্ষা গ্রহণ করছি ফলে প্রকৃত কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sabrina Ahasan Reeti -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sonia Akter Rumi -

জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Labiya Islam Sristy -
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড । আর এই মেরুদন্ডকে টিকে রাখার জন্য আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শুধু বই পড়লেই শিক্ষিত হওয়া যায়না মনের দিক থেকে যে বেশি উদার সেই বড় শিক্ষিত।বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষরা গ্রন্থগত বিদ্যা আর মধ্যে পড়ে থাকে।তারা মুখস্থ বিদ্যা ছাড়া কিছুই বোঝে না। এতে করে তারা জীবনে সফল করতে পারলেও মানবিক বিকাশটা পরিপূর্ণভাবে গড়ে ওঠে না। এই আধুনিক যুগে বাবা মা রা অন্যদের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চচাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাদের মতে ছোটবেলা থেকে চাপ সৃষ্টি না করলে তাহারা মানুষ হতে পারবে না । এতে করে বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তা শক্তির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাদের ভিতর কোনো প্রকার রস থাকে না। আর এই নিরস চিন্তাভাবনার জন্য তারা শিক্ষাকে ভালো হবে কাজে লাগাতে পারে না। কল্পনা চর্চা করতে না পারলে তার স্বাভাবিক বিকাশ কখনোই ঘটে না। বাহির সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলে শুধুমাত্র মুখস্ত বিদ্যার জোরে যতই অর্থ উপার্জন করা হোক না কেন আপাতদৃষ্টিতে তার কোন দাম নেই। কারণ শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্জন করার জন্য না নিজের মনুষ্যত্বকে বিকাশিত করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে কেউ তা করেনা ফলে শিক্ষার হেরফের সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রন্থগত বইয়ের পাশাপাশি বাহিরের সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কেবল প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব। শিক্ষিত মানুষ হয়ে যদি আশেপাশে মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারি তাহলে সেই শিক্ষাগ্রহণ টা নিরর্থক। কারণ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া সাহিত্য চর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতারা বাচ্চাদের এসব পড়তে দেয় না। ফলে তারা মানসিক বিকাশে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Humayra Asima Mim -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। আমাদের শিক্ষার গ্রহণ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পপরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে। আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sadia Zannat -

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবেন্ধর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরেছে ৷রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি| ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই।  শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া সাহিত্য চর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতারা বাচ্চাদের এসব পড়তে দেয় না। ফলে তারা মানসিক বিকাশে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না । এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিমানও বাড়বে। একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।

শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধ দ্বারা। 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Anamul Hoque -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ' শিক্ষার হেরফের ' প্রবেন্ধর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরেছে ৷রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি 'শিক্ষার হেরফের' নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে-আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি| ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া সাহিত্য চর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতারা বাচ্চাদের এসব পড়তে দেয় না। ফলে তারা মানসিক বিকাশে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না । এদেশের বেশির ভাগ বাবা-মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিমানও বাড়বে। একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান-ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।

শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Aisha Siddika -
বাঙালির সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষ রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন। তিনি তার "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার করুন রুপ তুলে ধরছেন।
"সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্ব-শিক্ষিত। " অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং বাস্তবিক জীবনের প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি থেকে অর্জিত শিক্ষায় সুশিক্ষা। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা। কিন্তু কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞানার্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। শিক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক শিক্ষার প্রয়োজন। বলা হয়ে থাকে,জ্ঞানেই পরম আনন্দ। প্রাণহীন জ্ঞান আনন্দের হয় না। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে তোলে। বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছে যাদের উচ্চতর ডিগ্রি আছে কিন্তু দেশের কল্যানে তেমন কিছুই করতে পারেনি। অতএব, শিক্ষার একমাত্র মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে জ্ঞানার্জন করা এবং একজন সঠিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Abida Zaman -

Sir my answer script are attached .

(Sorry for handwriting .. Bengali has not been written for a long time)

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Shanto Karmoker -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Israt Jahan Bristy -
একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে, 'শিক্ষার হেরফের 'প্রবন্ধে এটাই বোঝানো হয়েছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md. Almoshabir Haque Pranto -

রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখনীতে বাঙালির জীবন যাপন, সংস্কৃতিকে যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনি বাঙালির চিরদিনের হাসিকান্না, আনন্দ-বেদনারও রূপকার তিনি। জগতের সকল বিষয়কে তিনি তাঁর লেখায় ধারণ করেছেন। মানুষের এমন কোনো মানবিক অনুভূতি নেই যা রবীন্দ্রনাথের লেখায় পাওয়া যায় না। তাঁর সম্পর্কে কবি দীনেশ দাশ বলেছেন, ‘তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা’। সভ্যতার সকল সংকটে রবীন্দ্রনাথ আমাদের নির্বিশেষ আশ্রয়। অন্ধকারে এক আলোকবর্তিকা। বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে তিনি সারাজীবনের সাধনায় অসাধারণ রূপলাবণ্যমণ্ডিত করেছেন। অতুলনীয় ও সর্বতোমুখী প্রতিভা দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব মানে উন্নীত করে বাঙালিকে এক বিশাল মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন।বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সারা জীবনের লেখা অথবা রবীন্দ্র রচনাবলী এখন আন্তর্জালে সহজলভ্য। এই রবীন্দ্র-রচনাবলীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সমস্ত ছোটো গল্প, গান, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও রম্যরচনা আছে, যেগুলি আগেই বিশ্বভারতী ও সাহিত্য অকাদেমি (মূল ইংরেজি রচনা) থেকে পুস্তক হিসাবে বহু খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এই প্রকল্পে বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলীর সুলভ সংস্করণের পাঠ অনুসরণ করেছি। ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথের মূল ইংরেজি রচনা সম্ভারও (সাহিত্য অকাদেমি থেকে ৪ খণ্ডে প্রকাশিত) এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্তর্ভুক্ত হবে রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠিপত্রও যা বিশ্বভারতীর গ্রন্থনবিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্র সৃষ্টির সামগ্রিক পরিচয় এখানে ধরা থাকবে বাংলাভাষী এবং বাংলা ভাষা প্রেমী সকলের জন্য।


In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mir Monadil Hasan -
'শিক্ষার হেরফের' এই প্রবন্ধতে আমাদের শিক্ষার অপূর্ণতার বিষয়টি অত্যন্ত নিপুনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু পুথিগত শিক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকলে শিক্ষার মূল রস আহরণ করা সম্ভব না। তার জন্য পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও আমাদের চর্চা করা উচিত। আমাদের সকল দাপ্তরিক কাজে ইংরেজি ব্যবহার হওয়ায় আমাদের নিজের ভাষাই ঠিকঠাক রপ্ত করা হয় না, যার ফলে কোনো উপন্যাস বা কাব্য কে অনুভব করা সম্ভব হয় না।

আমরা বিদ্যা অন্বেষনে আনন্দ খুজে পাই না। আমাদের শিক্ষায় মুখস্ত করার চর্চা অধিক, ভালো ফলাফলের জন্য। আমরা জ্ঞান লাভের জন্য বই পড়ি না, পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আমাদের বই রটতে হয়।

মানুষের দেহ ৩ হাত তাই বলে আমরা জীবিত অবস্থায় ৩ হাতের ঘর বানিয়ে থাকতে পারি না, নড়াচড়ার জন্য জায়গা প্রয়োজন হয়। তেমন পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার ৩ হাত ঘরকে শ্বাস নেওয়ার উপযোগী করার জন্য সাহিত্য চর্চা করা জরুরি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Tofa Firdaosi -

পুঁথি গত বিদ্যা, পরহস্থে ধন !

নহে বিদ্যা নহে ধন ,হলে প্রয়োজন!!

জ্ঞান যখন সীমিত আকারে চর্চা করা হয় এবং তা কেবল হাতে গোনা কয়েকটা বই এর মাধ্যমে তখন তা মানুষের সত্তার খোরাক দিতে পারে না। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা অভ্যস্থ হয়ে গেছি যান্ত্রিক জীবনধারা তে ! এক্ষণ মানুষ লিখা পড়া বলতে বুঝে এমন এক কবজ যা যত তাড়াতাড়ি সাধন করতে পারবে ঠিক তত তাড়াতড়ি বিলাসিতা, চাকচিক্য তাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকবে ! নাই বা হোক আমার মনস্তাত্ত্বিক অগ্রগতি !

আমরা সভ্য সমাজের মানুষ এক্ষণ সফলতা পরিমাপ করি টাকা, বাড়ি ,গাড়ি দিয়ে ! হাস্যকর হলে ও সত্যি এক্ষণ আমরা এই জন্যে পড়ি না যে জ্ঞান অর্জন হবে এই জন্যে পড়ি যেন তাড়াতাড়ি টাকা অর্জন করা যায়!

উপর এ দেয়া এই উদৃতিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ' শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধের এক অংশ বিশেষ। 

এই প্রবন্ধে কবি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন বিদ্যা শব্দ ধারা কিছু হতে গোনা পাঠ্যপুস্তক বোঝায় না ! আর এর বাহিরে কোনো বই পড়লে সে নিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে না !

জ্ঞান এর পরিধি অনেক বড় অনেক বিস্তৃত...। অর্জন এর শেষ হয় না ,হবে না যদি তা হয় জ্ঞান অর্জন।


In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Golam Mohammad Rifat -

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হেরফের "প্রবন্ধ মাঝে আমাদের এই যুগের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে। এই যুগে আমারা বই মাঝে আমাদের শিক্ষা জ্ঞান- ধারণা নিয়ে থাকি।  আমাদের ছোটো কাল থেকেই ফ্যামেলি সবাই লোভ দেখিয়ে পড়া-শোনা করায়। মা বাবা স্বপ্ন দেখায় পড়া-শোনা করে আমরা ডাক্তার  ইঞ্জিনিয়ার  হবো, অনেক টাকা ইনকাম করবে। বাড়ি গাড়ি হবে অনেক টাকা মালিক হবে।

এইটা শিক্ষা কখনো সু-শিক্ষা হতে পারে না। এই শিক্ষা কখনো কোন জাতি দেশ কে উন্নতি এনে দিতে পারবে না। এমন শিক্ষা মানুষ কে একজন ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে না। মানুষের মত মানুষ হতে চাইলে টাকা ইনকামের  কথা মাথায় নিয়ে পড়া-শোনা করা যাবে না। বইয়ের বাহির থেকেও অনেক জ্ঞান ধারণ করতে হবে। পড়া-শোনা বাহিরেও অনেক বই পড়তে হবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।

আমাদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজের ভালো জন্য শিক্ষা গ্রহন করলে হবে না। ভাবতে হবে আমার শিক্ষা মাধ্যমে জেন দেশ ও জাতির উন্নতি হয়।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Saima Shila -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিচরণ করেননি এমন ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন।অনেকের অজানা হলেও সত্যি যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা বিষয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ রচনা করেছেন।বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা-কিছু নিতান্ত অবশ্যক তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমন করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু বিকাশলাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে; কিন্তু আহারটি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া খাওয়া দরকার। তেমনি একটা শিক্ষাপুস্তককে রীতিমত হজম করিতে অনেকগুলি পাঠ্যপুস্তকের সাহায্যে আবশ্যক। আনন্দের সহিত পড়িতে পড়িতে শক্তি অলক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পাইতে থাকে; গ্রহণশক্তি ধারণাশক্তি চিন্তাশক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বললাভ করে। .ইস্কুল বলিতে আমরা যা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। কল চলিতে আরম্ভ হয়, মাস্টারেরও মুখ চলিতে থাকে। চারটের সময় কারখানা বন্ধ হয়, মাস্টার-কলও তখন মুখ বন্ধ করেন; ছাত্ররা দুই-চার পাতা কলে-ছাঁটা বিদ্যা লইয়া বাড়ি ফেরে। তারপর পরীক্ষার সময় এই বিদ্যার যাচাই হইয়া তাহার উপরে মার্কা পড়িয়া যায়।ইংরেজিতে একটা প্রবাদ শুনিতে পাই, ইচ্ছা যেখানে পথ সেখানেই আছে।এ কথা কেহ বলে না, যুক্তি যেখানে আছে পথ সেইখানেই। আমরা জানিতাম, ইচ্ছা আমরা করিব, কিন্তু পথ করা না করা সে অন্যের হাত, তাহাতে আমাদের হাত কেবল দরখাস্তে সই করিবার বেলা। ...জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sharmin Nahar Shathy -
কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধের মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষার উদ্দেশ্য কে তুলে ধরেছেন।
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ড ছাড়া যেমন মানব শরীর কল্পনা করা যায় না ঠিক তেমনি শিক্ষা ছাড়া একটি সুসংঘটিত জাতি কল্পনা করা যায় না। তবে শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের মাঝেই শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে সেই শিক্ষা দেশ ও জাতির কোনো উপকারে আসে না। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে যে মানুষ শিক্ষা অর্জন করে সেই প্রকৃত শিক্ষিত।
বর্তমানে শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্থ উপার্জন। সুনির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ মানবজীবন কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারে না। মানব জীবন সঠিক ও সুসংগঠিত ভাবে পরিচালনার জন্য দরকার পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে জীবন থেকে নেওয়া কিছু শিক্ষার। যাকে Art Of Living এর ভাষায় 'Think Out Of The box' বলা হয়ে থাকে। 'Think Out Of The Box' মানে বর্তমানে পরিচালিত জীবন বা রীতিনীতির বাহিরে চিন্তা করা এবং পাঠ্য বইয়ের বাহিরে চিন্তা করে জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া।
প্রতিটি মানুষের উচিত পাঠ্যপুস্তক ও জীবন প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা যা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি জীবনের সকল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে। কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ' শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধে মূলত এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mosfique Alam Zidan -

আমার মনে বলতেছে ধূর কাজটা ভালো লাগে না কিন্তু তাও আমি কাজটা করছি এই যে বিষয়টা আমি করছি কারন তা আমার জন্য প্রয়োজন।কিন্তু এই যে কাজটা আমি করলাম তার মাঝে যে বিষয়টা চিন্তা করে আমি কাজ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হলো শিক্ষার হেরফের এর মাঝে যে মানসিক শান্তির জন্য (হাওয়া খাওয়ার ফজিলত বলা হয়েছে)সাহিত্য, প্রবন্ধের প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তেমন।শব্দ গত অর্থের দিকে না ঝুকে ভাবগত এবং বোধগত দিকের গুরুত্ব বলেছেন প্রবন্ধে।কারন শান্তি,আমোদ ছাড়া কোন কিছুর সাথে মানুষ গা ভাষায় না।আমি মনে করি সাহিত্যের উপর বিচরনের মাধ্যমে মানুষ পুঁথিগত বিদ্যার কার্যকরী দিকে সকলে ধাবিত হবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Suraiya Islam Meem -

"শিক্ষার হেরফের"প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার স্বরুপ তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন আমাদের বর্তমান শিক্ষার অবস্থা। বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে।  এতে তাদের আত্মিক উন্নতি হয় না। শুধু তাদের জীবনটা পাঠ্যবইের আড়ালে ঢেকে যায়। সাহিত্যের রস সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা জন্মানোর সুযোগ পায় না। কারণ এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে।

  অপরদিকে আমাদের বাবা- মায়েরা মনে করেন তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নষ্ট করা। কিন্তু তারা বুঝেও মানতে চায় না যে একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয় আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এজন্য উচিত ছোট কাল থেকেই ইচ্ছাশক্তি ও কল্পনাশক্তির বিকাশের চর্চা করা। শিক্ষার নির্দিষ্ট  কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি।আর সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। এটিই কবি আমাদের বুঝতে চেয়েছেন। 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Rayhan Sobhan -
আমরা সকলেই শিক্ষিত হতে চাই।কেউই অশিক্ষার অন্ধকার গহব্বরে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চায় না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে শিক্ষারই স্বরূপ তুলে ধরেছেন। আমরা গতানুগতিক ভাবে শিক্ষিত কিন্তু স্ব-ইচ্ছায় আমরা কতজন শিক্ষিত সেইটাই চিন্তার বিষয়। বর্তমানে শিশুদের তো ধরপাকড় করে শিক্ষার বাহ্যিক স্বাদ পেয়ে থাকে কিন্তু মনের যথেষ্ট বিকাশ সাধন ঘটে না।বর্তমানে আমরা পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছি।কিন্তু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে যদি বাহিরের জ্ঞানের সংমিশ্রণ না ঘটে তবে জ্ঞানের পূর্ন বিকাশ অর্জিত হয় না।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার এই প্রবন্ধে ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে বাংলায় শিক্ষাপ্রদানের বিষয়টি তাগিদ করেন।পরিশেষে এই প্রবন্ধে লেখক এই কথাটিই বুঝিয়েছেন পুথিগত বিদ্যার গন্ডি থেকে বের হয়ে এসে প্রকৃত জ্ঞানের প্রতি আমাদের অগ্রসর হতে হবে।তবেই আমরা প্রকৃত শিক্ষার স্বাদ নিতে পারবো।লেখক এটিই বুঝাতে চেয়েছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MD.Fuad Hasan Pulok -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবেন্ধর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরেছে ৷রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি| ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া সাহিত্য চর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতারা বাচ্চাদের এসব পড়তে দেয় না। ফলে তারা মানসিক বিকাশে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না । এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিমানও বাড়বে। একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।

শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Jannatul Nipa -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। এ জন্য তাকে পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়তে হবে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ।মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sajia Afrin -

Sir I have attached my script here.   

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Nahin Afrose -

রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’রবীন্দ্রনাথের মতে তার সময়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চলেছিল, তাতে হতে পারত না চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তাই তিনি তার পরবর্তী জীবনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান যে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হতে পারবে চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তার কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রদের কেবলই কিছু তথ্য প্রদান করা নয়; তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানো। যুক্তি বলতে বোঝায় বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়কে। শিক্ষার লক্ষ্য হতে হবে বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্ষমতা বাড়ানো। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রস্তাব রাখেন। কারণ, এর ফলে জ্ঞান সহজেই তাদের চেতনার অংশ হয়ে উঠবে। ফলে অনেক সহজেই পারবে তার প্রয়োগ ঘটাতে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sudipta Biswas -

প্রায়শই একটা কথা শোনা যায় যে, "শিক্ষিত হলেই কেউ আসলে মানুষ হয় না!" কিন্তু মানুষ তো আমরা সকলেই।  তাহলে এনারা ঠিক কোন শিক্ষায় শিক্ষিত আর কোন মানুষের কথা বলছেন?? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করে বেশ কিছু সনদপত্র সংগ্রহ করা ভদ্রলোকটাকে কি এখন অশিক্ষিত বলবো নাকি! কথায় আছে, কোনো কিছু শেখার, কোনো কিছু থেকে শিক্ষা নেওয়ার নাকি কোনো বয়স হয় না।  মানুষ তার জীবনর প্রতিটা দিনই কিছু না কিছু শেখে। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে, আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’ রবীন্দ্রনাথের মতে তার সময়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চলেছিল, তাতে হতে পারত না চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তাই তিনি তার পরবর্তী জীবনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান যে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হতে পারবে চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তার কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রদের কেবলই কিছু তথ্য প্রদান করা নয় তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানো। যুক্তি বলতে বোঝায় বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়কে। শিক্ষার লক্ষ্য হতে হবে বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্ষমতা বাড়ানো। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রস্তাব রাখেন। কারণ, এর ফলে জ্ঞান সহজেই তাদের চেতনার অংশ হয়ে উঠবে। ফলে অনেক সহজেই পারবে তার প্রয়োগ ঘটাতে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Bipa Sarker -
শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে। আত্মশক্তি অর্থাৎ মানুষ নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্যকে বাড়ানোই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। আত্মশক্তি মানুষের মাঝে সুপ্ত অবস্থায় থাকে বলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে শক্তিকে বুঝতে পারেনা। সেই শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। জগতে নিজের অবস্থানকে মজবুত করে ধরে রাখতে শিক্ষার প্রয়োজন। তাই শিক্ষাকে সারাবিশ্বে একটা নির্দিষ্ট ধরা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। কারণ জ্ঞানীগুণীরা জানেন শিক্ষা গ্রহণ না করে কেউ সফল হতে পারে না। আর যারা অশিক্ষিত, শিক্ষা গ্রহণ করে না তারা নিজেদের শক্তিকে বিকশিত করতে পারেনা। তবে শুধুমাত্র পুঁথিগত শিক্ষা মানুষকে সফল করতে পারে না। এমন শিক্ষা অর্জন করতে হবে যা মানুষের যোগ্যতা ও সামর্থ্য কে বাড়িয়ে তোলে এবং প্রতিকূল পরিবেশের সাথে খাওয়াতে সাহায্য করে। আত্মশক্তি মানুষকে স্বনির্ভর হতে শেখায়, মানুষকে যোগ্য‌ করে গড়ে তোলে এবং দৃঢ় মনোবলের অধিকারী করে তোলে।

কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পুঁথিগত শিক্ষার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। কিন্তু যেখানে আমরা জানি যে শিক্ষার কোন সংজ্ঞা নেই শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমরা প্রতিনিয়ত ও করুণা কোন জিনিস থেকে শিক্ষা অর্জন করছি। কিন্তু আমাদের বিকাশ বা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে পুঁথিগত শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের অন্যান্য জ্ঞান অর্জন করা অনেকত আবশ্যকীয়। আমরা হয়তোবা পুঁথিগত শিক্ষা অর্জন করে আমাদের জীবনে সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি বা তার থেকে আমরা অর্থ উপার্জন করছি কিন্তু এই শিক্ষার নিরর্থক। কারণ আমরা জানি শুধু শিক্ষা নয় সুশিক্ষা এবং স্বশিক্ষিত হওয়া এক জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

এটি বোঝাতে চেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by REZOANA TABASSUM -
'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অপূর্ণতার বাস্তব দিকটিকে কাগজে কলমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাল্যকাল থেকে আমাদের শিক্ষার মধ্যে আনন্দ মিশ্রিত নেই শুধু আবশ্যক শিক্ষাকে কন্ঠস্থ করে থাকি এতে সাময়িক ভালো ফলাফল হয়তো হয় কিন্তু প্রকৃত বিকাশ সাধিত হয় না। বাল্যকাল থেকে কৈশোরে এবং কৈশর থেকে যৌবনে প্রবেশ করি কেবল কতগুলো পাঠ্যপুস্তকের বোঝা টেনে। এভাবে আমরা যে নিরস শিক্ষাগ্রহন করি তা আমাদের বিকশিত হতে কখনোই সহায়তা করে না। পুথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। বিদেশি ভাষা রপ্ত করে ভালো চাকরি অর্থবিত্ত করাই যেখানে মূল উদ্দেশ্য সেখানে আর যাই হোক বুদ্ধির বিকাশ অসম্ভব। সাহিত্যের বিকাশ জীবন এর রূপকে সুন্দর করে তুলতে পারে কিন্তু আমাদের শিক্ষার মধ্যে তার কোন রূপ পরিলক্ষিত হয় না। কবিগুরু শিক্ষার এই বিষয়টিকেই ফুটিয়ে তুলেছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mst. Bushra Khatun Sumaiya -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি ব্যঙ্গ বিদ্রুপ মূলক রচনা।যতটুকু দরকার শুধু তার মাঝে আবদ্ধ হয়ে থাকলে আমাদের মনন সৃজনশীলতা সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে না।আমরা যদি স্বাধীন ভাবে চলাচল করতে না পারি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য এবং আনন্দের ব্যাঘাত ঘটে।শিক্ষা সমন্ধেও একই কথা খাটে।পুঁথিগত শিক্ষার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকলে আমাদের সৃজনশক্তির বিকাশ হয় না।দেখা যায় অভিভাবকেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশি ভাষা শিক্ষা করে,যতদ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থী কে চাকরিতে প্রবেশ করার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। ফলে,শিশুকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পড়া মুখস্থ ছাড়া আর কিছু ই শিখতে পারে না।কারণ, শিক্ষার্থীদের হাতে কোনো শখের বই দেখলেই অভিভাবকেরা তা ছিনিয়ে নেয়।কাজেই বাঙালি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই পুঁথিগত বিদ্যার মাঝেই আবদ্ধ থাকতে হয়।অন্য দেশের শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষার সাথে আনন্দ মিলিয়ে নিজেদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে থাকে,তখন বাঙালি শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত বিদ্যার চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ে, কেননা এদেশীয় শিক্ষার সাথে কোনো আনন্দের মিশ্রণ নেই। ফলে,মানসিক ভাবে শিক্ষার্থীরা পরিপক্বতা লাভ করে না। রাশি রাশি বই পড়ে, এম.এ,বি.এ ডিগ্রি অর্জন করে,কিন্তু সাথে সাথে তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে না বলে প্রাবন্ধিক ধারণা করেন।আমাদের যতটুকু দরকার,আমরা শুধু ততটুকুই মুখস্থ করি,এতে হয়তো আমাদের সাময়িক কাজ চলে যায় কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হয় না।শিক্ষার্থীরা যা শিখে তা যদি আনন্দের সাথে শিখে, তাহলে তাদের চিন্তাশক্তি এবং কল্পনা শক্তির বিকাশ হয়।বাল্যকাল থেকেই চিন্তাশক্তি ও কল্পনা শক্তির চর্চা না করলে কাজের সময় বিপাকে পড়তে হয়।কিন্তু, আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সে পথ বন্ধ। শিশুকাল থেকে শুধু স্মরণশক্তির উপর নির্ভর না করে,চিন্তা শক্তি ও কল্পনা শক্তির উপর স্বাধীন পরিচালনার অধিকার শিক্ষার্থীকে দিতে হবে। আমরা ২০/২২ বছরে যে নিরস শিক্ষা অর্জন করি তা আমাদের বিকশিত হতে কখনোই সাহায্য করে না। বাল্যকাল থেকে যদি ভাষার সাথে ভাবের শিক্ষা হয়,এবং ভাবের সাথে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে,শুধুমাত্র তখনই আমরা সহজ মানুষের মতো হতে পারি।শিক্ষাকে জীবনের সাথে সামঞ্জস্য সাধনই বর্তমানের সর্বপ্রধাব মনোযোগের বিষয় -একথাই প্রাবন্ধিক তার প্রবন্ধে বলেছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mohimenul Islam -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। আমাদের শিক্ষার গ্রহণ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পপরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sonia Afrose -

 বিদ্যার কোন কেনা-বেচা নেই বলে এটি অমূল্য সম্পদ। মানুষ নিজের এবং পরের উপকার সাধনের জন্যই বিদ্যা অর্জন করে। প্রয়ােজনের সময় এ অর্জত বিদ্যা যথাযথ কাজে লাগাতে না পারলে তখন এটি সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে পড়ে।

বিদ্যা অর্জন করতে হলে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়, সাধনা করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি রাশি রাশি বই-পুস্তক কেবল তােতাপাখির মতাে মুখস্ত করে তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। আবার অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে তাও সার্থক হয় না। মলাটবদ্ধ নির্জীব বিদ্যাকে আত্মস্থ করে মানুষ তার মনােজগতের দ্বার উন্মােচন করে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। এর দ্বারাই মানুষ দেশ ও দশের কল্যাণে ব্রতী হয়। বিদ্যা অর্জন করে শুধু পৃথিবী জোড়া খ্যাতি লাভ করে কিংবা পণ্ডিত জ্ঞানী বলে পরিচিত হলে সে বিদ্যারও কোনাে সার্থকতা নেই। বরং অর্জিত বিদ্যার দ্বারা মনুষ্য জগতের কল্যাণ সাধনা করলে, সে বিদ্যাকে আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার কাজে লাগালে তবেই বিদ্যা অর্জন সার্থক হয়।  কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হয়। কিন্তু কেউ যদি তার বিপুল অর্থবিত্তকে মানুষের কাজে ও জগতের কল্যাণে ব্যবহার করতে না পারে, কৃপণের মতাে সেই সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখে তার উপযােগিতাকে কাজে লাগানাের সুযােগ না দেয় কিংবা সেই অর্থ প্রয়োজনের সময় কাজে না লাগিয়ে অন্যের কাছে গচ্ছিত রেখে দেয় তবে সেই অর্থ সম্পদ মানুষের কাছে হয়ে পড়ে অর্থহীন। সুতরাং সার্থক ও সুন্দর জীবনের জন্যে বিদ্যাকে বুদ্ধি দ্বারা আত্মস্থ করে বাস্তবের সঙ্গে সংযােগ করা দরকার এবং ধন-সম্পত্তি অন্যের কাজে অহেতুক গচ্ছিত না রেখে দেয় তবে সেই অর্থ-সম্পদ মানুষের কাছে হয়ে পড়ে অর্থহীন। সুতরাং সার্থক ও সুন্দর জীবনের জন্যে বিদ্যাকে বুদ্ধি দ্বারা আত্মস্থ করে বাস্তবের সঙ্গে সংযােগ করা দরকার যাতে প্রয়ােজনের সময় নিজের কাজে লাগানাে যায় বা অন্যকে সাহায্য করা যায়।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Habiba Ahmed -

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।।আমাদের শিক্ষাপ্রণালী মনকে অত্যাবশ্যক বিষয়ে নিবদ্ধ রাখে এ কথা ভিত্তিহীন । সাধনায় প্রকাশিত প্রবন্ধে পূজনীয় শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে কেন বর্তমান শিক্ষার ঘাড়ে এই দোষ চাপাইয়াছেন বলিতে পারি না। দোষ যে কে কাহার ঘাড়ে কেন চাপায় বোঝা শক্ত ; অবশেষে অদৃষ্টকেই দোষী করিতে হয় । আমি যে ঠিক পূর্বোক্তভাবে কথা বলিয়াছি এ দোষ আমার ঘাড়েই বা কেন চাপানো হইল তাহা কে বলিতে পারে ।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Faria Rimi -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার করুন রূপের কথা তুলে ধরা হয়েছে।বর্তমান সময়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যেন শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়েই আবদ্ধ।পাঠ্যবইয়ের বাহিরেও যে শিখার আরো অনেক কিছু আছে তা যেন আমাদের অজানা।কথায় বলে "শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড "। কিন্তু বর্তমানে সে শিক্ষা শুধুমাত্র পাঠ্যবই, মূখস্তবিদ্যা , কিছু সার্টিফিকেট এসবেই আবদ্ধ হয়ে পরেছে।বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করছে তা শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষ তখনেই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান-ধারণা, চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র পাঠ্যবই বা উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষাগ্রহণ ছাড়াও পারিপার্শ্বিক জগৎ সম্পর্কে সঠিক ধারনা নিতে পারে।আবার শুধুমাত্র ধারনা থাকলেও হবে না তার সঠিক ব্যবহারবিধিও জানতে হবে। পুথিগতবিদ্যা অনেকটা সুকুমার রায়ের "ষোল আনাই মিছা" কবিতার বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাইয়ের মত।বর্তমানে বেশিরভাগ মা-বাবারা মনে করেন তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যতীত অন্য বই পড়া মানে সময় নস্ট করা।যার জন্য আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির চিন্তার ধারা ছোট থেকে গড়ে তুলতে পারিনি।যার ফলে সঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। প্রাবন্ধিক শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ে আবদ্ধ না থেকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠার কথাই তার প্রবন্ধে বুঝাতে চেয়েছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by alma akondo -

জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md. Habibur Rahman (ShanTo) -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে আমরা শিক্ষার দশা সম্পর্কে জানতে পারি। বর্তমান যে শিক্ষা আমরা লাভ করি সেটা অনেকটা জোর করে মা যেমন সন্তানকে খাইয়ে দেয় অনেকটাই সেরকম। জিহ্বার মতো মস্তিকও স্বাদ নিতে পারে, সেটা জ্ঞানের। কিন্তু আমরা যেভাবে শিক্ষাটা নিচ্ছি সেটা মূলত আমাদের প্রয়োজনীয়তার জন্যে। নিজেকে সুশীল করার জন্যে না। প্রয়োজনীয়তার জন্য আমরা যতটুকু সম্ভব করতে পারি কিন্তু নিজেকে প্রকৃত দক্ষের জন্য আমরা বাইরের কোনো বই পড়ে কিছু অর্জন করতে মোটেও প্রস্তুত নই। কারণ সেটা বড্ড অপ্রয়োজনীয় আমাদের জন্য, সময়নষ্টকর। শিক্ষার এই ধরনের এপার অপারগুলোই কবি তার প্রবন্ধে আলোচনা করে গেছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Tasnim Reza Mahi -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে ফুটিয়ে তুলেছেন ‘বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সাথে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সাথে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করলে কাজের সময় যে তাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।রবীন্দ্রনাথের মতে তার সময়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চলেছিল, তাতে হতে পারত না চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তাই তিনি তার পরবর্তী জীবনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চেয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হতে পারবে চিন্তা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ। তার কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে ছাত্রদের কেবল কিছু তথ্য প্রদান করা নয়, তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানো। যুক্তি বলতে বোঝায় বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়কে। শিক্ষার লক্ষ্য হতে হবে বিভিন্ন ঘটনাবলির মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্ষমতা বাড়ানো। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রস্তাব রাখেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mehedi Hasan Shaiham -

'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তুলে ধরেছেন। মুখস্ত বিদ্যাই যে শিক্ষা নয় তিনি সেটাই তুলে ধরেছেন তার প্রবন্ধে। না বুঝে ইংরেজি শিক্ষা আর মুখস্ত বিদ্যার দ্বারা মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয় না। আর অবুঝের মতো শিক্ষা ব্যবস্থার কারনে আমরা চাকরী জীবনেও তেমন উন্নতি করতে পারি না। তাই আমাদের সুশিক্ষার জন্য যেমন পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান দরকার, তার সাথে বাহিরের জ্ঞান এবং অন্যান্য বইয়ের জ্ঞানও দরকার।  বাহিরের জ্ঞান এবং দরকারি সকল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব গড়ে তুলতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Shayma Aziz -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে আমাদের শিক্ষার অপূর্ণতার বিষয়টি অত্যন্ত নিপুণভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমরা জানি, শিক্ষা হলো সকল তালার চাবি। কিন্তু সেই শিক্ষা যদি হয় কিকো "পুঁথিগত বিদ্যা" তবে আসলে সেই শিক্ষা জীবনের কোন তালা খুলতে সাহায্য করে না।
আমরা যদি একটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের সাথে আমাদের বর্তমান যুগের তুলনা করি তাহলে বুঝতে পারব এবং সাথে হালকা আশ্চর্য হবো বটে। কারণ রবীন্দ্রনাথের সেই যুগ পার করে এসেছি অনেক আগে তারপরও মাঝখানে এতগুলো যুগ গিয়েছে, আমরা বাঙালিরা আজকে উন্নয়নশীল জাতি কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সেই একই রয়ে গিয়েছে, কোন পরিবর্তন নেই। বাঙালিরা আজও পাঠ্যবইয়ের বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। বাইরের জগত সম্পর্কে পাঠ্যবইয়ের বাইরে যদি কোন জাতির ধারণাই না থাকে তবে সে জাতি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হবে কি করে?? এখনো বাঙালি জাতি সাহিত্যচর্চা করাকে মনে করে সময় নষ্ট, পাঠ্যবইয়ের বাইরে সকল কিছু তাদের জন্য বিলাসিতা। তারা এই সকল কিছু করতে বাধা দেয় আমরা বাঙালি পড়াশোনা করি অর্থ উপার্জনের লাভের আসায়। প্রতিটি মানুষের উচিত প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞানের পরিধি ও বাড়বে এবং জাতি হিসেবে উন্নতি করতে পারবে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্জনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটা খেয়াল রাখা উচিত প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধ ধারা। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে অধিকাংশ মানুষ পুঁথিগত বিদ্যার প্রকৃতি তার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে |
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sanzida Zaman Mim -
"শিক্ষার হেরফের"প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার স্বরুপ তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন আমাদের বর্তমান শিক্ষার অবস্থা। বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। এতে তাদের আত্মিক উন্নতি হয় না। শুধু তাদের জীবনটা পাঠ্যবইের আড়ালে ঢেকে যায়। সাহিত্যের রস সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা জন্মানোর সুযোগ পায় না। কারণ এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে।

অপরদিকে আমাদের বাবা- মায়েরা মনে করেন তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নষ্ট করা। কিন্তু তারা বুঝেও মানতে চায় না যে একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয় আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এজন্য উচিত ছোট কাল থেকেই ইচ্ছাশক্তি ও কল্পনাশক্তির বিকাশের চর্চা করা। শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি।আর সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। এটিই কবি আমাদের বুঝতে চেয়েছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Liza Akter -

জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। আমাদের বতমান সমাজের মানুষ একান্ত যত্নে শিশুদের ইংরেজি শিক্ষার উপর জোর দেয়। যার ফলে সাহিত্যের স্বাধীন ভাবোচ্ছ্বাস তাদের মধ্য সহজে প্রকাশ পায় না।এতে তারা প্রকত শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাহাদের মন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়তে পারছে না।পূথিগত জ্ঞান অজন করলেই প্রকত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায় না। কারারুদ্ধ হইয়া থাকা মানবজীবনের ধর্ম নহে। অত্যাবশ্যক শিক্ষার সাথে স্বাধীন পাঠ না থাকলে প্রকত শিক্ষিত হওয়া যায় না।এতে বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে  অনেকটা পরিমাণে অজানাই থেকে যায়।কিন্তু আজকাল শিক্ষা এমন পর্যায়ে এসে দাড়াইছে যে পড়াশোনা শেষ করে কাজে প্রবিষ্ট হতে চায়। টাকা পয়সা উপাজর্নের জন্য। ফলে সাহিত্যচর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ।     তাই প্রকত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে  পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করতে হবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mohammad Ali -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। আমাদের শিক্ষার গ্রহণ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পপরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md Ibrahim Hossen -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্যবই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Farzana Rahman Prottasha -
'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অপূর্ণতার বাস্তব দিকটির কথা বলেছেন।
ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক।পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী।রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mahima Afroz -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধি বাড়বে। শিক্ষা শুধু যেন অর্থ উপার্জনের পথ না হয় এই বিষয়টি সব সময় মনে রাখতে হবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Jahid Hasan -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না এবং আমাদেরকে আমাদের প্রকৃত শিক্ষা দেওয়া হয় না। আমরা কেবলমাত্র নামের সুশিক্ষিত হচ্ছি কিন্তু আমাদের পুঁথিগত শিক্ষার বাহিরে আর কোনো শিক্ষা নেই।যদি মানুষের মতো মানুষ হতে হয় তবে শুধু পুঁথিগত শিক্ষা দিতে হবে।অতএব বাল্যকাল হতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা পুঁথিগত শিক্ষা এর বাহিরে শিখতে হবে জানতে হবে।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Muntasir Mahmud -
"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ ফুটিয়ে তুলেছেন।

আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং অন্যান্য শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জনের জন্য।

ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।

প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md Forkan Sikder -

আমাদের বঙ্গসাহিত্যে নানা অভাব আছে সন্দেহ নাই; দর্শন বিজ্ঞান এবং বিবিধ শিক্ষণীয় বিষয় এ পর্যন্ত বঙ্গভাষায় যথেষ্ট পরিমাণে প্রকাশিত হয় নাই; এবং সেই কারণে রীতিমত শিক্ষালাভ করিতে হইলে বিদেশীয় ভাষার সাহায্য গ্রহণ করা ব্যতীত উপায়ান্তর দেখা যায় না। কিন্তু আমার অনেক সময় মনে হয় সেজন্য আক্ষেপ পরে করিলেও চলে, আপাতত শিশুদের পাঠ্যপুস্তক দুই চারিখানি না পাইলে নিতান্ত অচল হইয়া দাঁড়াইয়াছে।

বর্ণবোধ, শিশুশিক্ষা এবং নীতিপুস্তকের অভাব নাই, কিন্তু তাহাকে আমি শিশুদিগের পাঠ্যপুস্তক বলি না।

পৃথিবীর পুস্তকসাধারণকে পাঠ্যপুস্তক এবং অপাঠ্যপুস্তক, প্রধানত এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। টেক্সট বুক কমিটি হইতে যে-সকল গ্রন্থ নির্বাচিত হয় তাহাকে শেষোক্ত শ্রেণীতে গণ্য করিলে অন্যায় বিচার করা হয় না।

কেহ-বা মনে করেন আমি শুদ্ধমাত্র পরিহাস করিতেছি। কমিটি দ্বারা দেশের অনেক ভালো হইতে পারে; তেলের কল, সুরকির কল, রাজনীতি এবং বারোয়ারি পূজা কমিটির দ্বারা চালিত হইতে দেখা গিয়াছে, কিন্তু এ পর্যন্ত এ দেশে সাহিত্য সম্পর্কীয় কোনো কাজ কমিটির দ্বারা সুসম্পন্ন হইতে দেখা যায় নাই। মা সরস্বতী যখন ভাগের মা হইয়া দাঁড়ান তখন তাঁহার সদ্‌গতি হয় না। অতএব কমিটি-নির্বাচিত গ্রন্থগুলি যখন সর্বপ্রকার সাহিত্যরসবর্জিত হইয়া দেখা দেয় তখন কাহার দোষ দিব। আখমাড়া কলের মধ্য দিয়া যে-সকল ইক্ষুদণ্ড বাহির হইয়া আসে তাহাতে কেহ রসের প্রত্যাশা করে না;’সুকুমারমতি’হীনবুদ্ধি শিশুরাও নহে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Faiza Fariha -
"আমাদের এই শিক্ষার সহিত জীবনের সামঞ্জস্য সাধনই এখনকার দিনের সর্বপ্রধান মনোযোগের বিষয় হইয়া দাঁড়াইয়াছে।"

যখন জ্ঞান আহরণ করা হয়,তখন সেই জ্ঞান বাস্তবিক জীবনের সাথে কি সংযোগ স্থাপন করে,তার প্রকৃত পরিচয়,সঠিক ব্যবহার কি সেইসব জানা অতি জরুরী।এটাই রীতিমত শিক্ষা।"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছে যেখানে সাহিত্যচর্চা না হয়ে শুধুমাত্র পুঁথিগতবিদ্যা অর্জন করে নামের পাশে ডিগ্রি নিয়ে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় সেই চর্চা হয়।আমারা শৈশব থেকে পাঠ্যপুস্তক থেকে শুধু অত্যাবশ্যক শিক্ষা গ্রহণ করি,এতে করে আমাদের বয়স বৃদ্ধি হলেও বুদ্ধি, চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি, মানবিক মূল্যবোধ এসব বিস্তৃত হয় না। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে মানুষ সমাজে শিক্ষিত হিসাবে পরিচিত হয়েও শিক্ষার প্রকৃত দিক,আসল বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞাতই থাকে।এদেশের শিক্ষিত সমাজের চিন্তাধারা হলো,ইংরেজি না শিখলে শিক্ষিত হওয়া যায় না।তাদের এরুপ ধ্যানধারণার কারণে বাঙালি শিশুরা ছোটথেকে ইংরেজি ভাষা রসকষহীনভাবে না বুঝে মুখস্থ করে যায়।এতে করে জ্ঞান লাভ তো হচ্ছেই না সাথে বুদ্ধিও বলিষ্ঠ এবং পরিপক্ক হচ্ছে না।আনন্দের সহিত শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত তাহলে অলক্ষিতভাবে পড়ার শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এর ফলে শিক্ষার পাশাপাশি,গ্রহণশক্তি,ধারণাশক্তি, চিন্তাশক্তি, মানসিকশক্তিও বেশ সহজ এবং স্বাভাবিকভাবে বিস্তার লাভ করে।

ইংরেজি ভাষা আমাদের কাজের ভাষা কিন্তু ভাব প্রকাশ করতে আমারা যতোই ইংরেজি শিখি না কেনো বাংলার বিকল্প কিছুই নেই।মনের ভাব প্রকাশের বড় মাধ্যম নিজের মাতৃভাষা।
এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান আহরণের শিক্ষা কম।কিভাবে পরীক্ষায় পাস করা যায়,নামের পাশে ডিগ্রি অর্জন করা যায়,মূলত অর্থ উপার্জন কিভাবে কত উপায়ে করা যায় সেই মনোভাব নিয়েই এদেশের মানুষ শিক্ষিত হতে চায়।

অর্থ নিয়ে শঙ্করাচার্যের বাণী আছে সেটা নিম্নরূপ :
"অর্থমনর্থং ভাবর নিত্যং
নাস্তি ততঃ সুখলেশঃ সত্যম্‌।
অর্থকে অনর্থ বলিয়া জানিয়ো, তাহাতে সুখও নাই এবং সত্যও নাই।"

সুতরাং এদেশের মানুষের চিন্তাধারা, ধ্যানধারণা,মনোভাব পাল্টানোর সাথে সাথে শিক্ষাব্যবস্থারও পরিবর্তন করতে হবে তবেই প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারবো আমরা।ইংরেজি সাহিত্যর পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যও চর্চা করা উচিত আমাদের এতে করে আমারা নিজেদের কর্মক্ষেএের সাথে নিজেদের মনের ভাব সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারবো এবং সেই সাথে সারাবিশ্বের কাছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও সাহিত্য উপস্থাপন করতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Afia Tasnim -

শিক্ষিত হওয়া ও জ্ঞান অর্জন করা এই দুটি কথার মধ্যে পার্থক্য আছে।আমরা যারা শিক্ষিত বলে নিজেদের দাবি করি তারা বেশিরভাগ সবাই পাঠ্যপস্তুকের শিক্ষায় শিক্ষিত।কিন্তু যারা দিনের পর দিন বিভিন্ন বই পড়ার মধ্যে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াচ্ছেন তারাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" নামক প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি শিক্ষা নিয়েই তার এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে-

আমরা বাস্তব জীবনে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তুকের পড়ার মধ্যে আবদ্ধ।এর বাইরে অতিরিক্ত পড়তে আমরা কেউই আগ্রহ দেখাই না।মনে করি পাঠ্যপস্তুকের পড়া পড়লেই যথেষ্ট।কিন্তু না জ্ঞান অর্জন করার জন্য এতো অল্প পড়ায় সীমাবদ্ধ  থাকলে হবে না।আমাদের অনেক কবি,লেখকরা প্রাতেষ্ঠেনিক শিক্ষা অর্জন করে নি তারা স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।তার জ্ঞান অন্য সাধারণ মানুষদের থেকে অনেক বেশি।কারণ তারা নিজের মতো করে বই পড়েছেন জ্ঞানের চর্চা করেছেন।তাই পড়াশোনা ও শিক্ষা অর্জনে শুধু এক দুটে পাঠ্য বইের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আরো বেশি বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে এবং জ্ঞানচর্চা করতে হবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mayeen Ahmed -
"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ অত্যন্ত নিপুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং অন্যান্য শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জনের জন্য।

ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।

প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MD Sufian -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।
একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sadia Srity -
" শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তুলে ধরেছেন আমাদের সমাজের শিক্ষা বেবস্থার অন্ন আরেক দিক যেখানে আমরা আমাদের প্রকৃত শিক্ষাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে ছুটে চলি ডিগ্রি আর অর্থ উপার্জন এর পিছনে। শুধু মাত্র বই পরে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারে না যদি তার জীবন সম্পর্কে প্রকৃত শিক্ষা না থাকে।একজন মানুষ শুধুমাত্র বইয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই তাকে প্রকৃত শিক্ষিত বলা যাবে না।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক যার ফলে আমাদের ছাত্ররা সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে না।শিশুকাল থেকে তাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে লক্ষ্য পূরণের জন্য,অর্থ উপার্জনের জন্য।আমাদের বাবা-মায়েরা শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ান যার ফলে শিশুরা সাহিত্য বা অন্য কোনো বই পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে না।আমাদের সমাজে বিভিন্ন উৎসবে যেভাবে কমিটি গঠন করে টাকা তোলা হয় সেভাবে সাহিত্য অর্জনের জন্য কখনো কমিটি গঠন করা হয় না।আমাদের ছাত্র সমাজ শিক্ষা নামক কারাগারে আটকে আছে যার ফলে তারা স্বাধীন ভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না।আমরা আবার বৈদেশিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ যেতে চাই দূর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের ছাত্ররা সেটাও সঠিক ভাবে জানে না।আমাদের প্রকৃত শিক্ষা থেকে আমরা দূরে সরে আসছি।আমাদের উচিত আমাদের ছাত্রসমাজকে পাঠ্যপুস্তক এর পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তোলা উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Azfar Alvee -

"শিক্ষার হেরফের"প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার স্বরুপ তুলে ধরতে চেয়েছেন। মুখস্ত বিদ্যাই যে শিক্ষা নয় তিনি সেটাই তুলে ধরেছেন তার প্রবন্ধে। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হতে বাদ দিলে চলে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক যার ফলে আমাদের ছাত্ররা সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে না।শিশুকাল থেকে তাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে লক্ষ্য পূরণের জন্য,অর্থ উপার্জনের জন্য।আমাদের বাবা-মায়েরা শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ান যার ফলে শিশুরা সাহিত্য বা অন্য কোনো বই পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে না। ইংরেজি ভাষা আমাদের কাজের ভাষা কিন্তু ভাব প্রকাশ করতে আমারা যতোই ইংরেজি শিখি না কেনো বাংলার বিকল্প কিছুই নেই।মনের ভাব প্রকাশের বড় মাধ্যম নিজের মাতৃভাষা।এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান আহরণের শিক্ষা কম।কিভাবে পরীক্ষায় পাস করা যায়,নামের পাশে ডিগ্রি অর্জন করা যায়,মূলত অর্থ উপার্জন কিভাবে কত উপায়ে করা যায় সেই মনোভাব নিয়েই এদেশের মানুষ শিক্ষিত হতে চায়। একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়|প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Raisa Ferdush (201-15-3142) -

At the time of writing, no one thought that anyone would be offended by the shortcomings of the current education system or the university. We have not enjoyed education since childhood.  The air does not fill the stomach, the food fills the stomach;  But you need to eat air to digest the food properly.  Similarly, a textbook needs to be digested properly with the help of many textbooks.  Reading with joy tends to increase energy invisibly;  The power of perception, the power of perception, the power of thought are quite easy and normal.  This is what Rabindranath wanted everyone to realize in this article.  A person will find the essence of his life only when he can develop his thinking power and imagination. And this power will be achieved when a person goes beyond his textbook and tries to know something and can use it for the welfare of the people.  It could not have developed any thought and imagination.  To him, the main purpose of education is not only to provide some information to the students, but also to teach them to think about information. In my opinion, the main purpose of education should be to make connections between different events.  This is what I came to understand after reading this article.

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Minhajul Abedin -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন একজন লেখক যার সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে বিচরণ ছিল। তারই সুন্দর উদাহরণ এই শিক্ষার হেরফের নামক প্রবন্ধটি। এই প্রবন্ধে তিনি আমাদের দেশের তথা তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যার দিক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। তিনি প্রথমেই যে বিষয়টি বলেছেন তা হলো যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি নির্দিষ্ট দিক ত্রুটি যুক্ত নয় মূলত আমাদের শিশুকাল থেকেই যে শিক্ষা প্রদান করা হয় সেখান থেকেই ভুলভাবে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে আসছে। যেমন একটি শিশু সে নিজে কি শিখতে চায় সেদিকে নজর না দিয়ে আমরা নির্দিষ্ট কিছু পুঁথিগত বিদ্যা তার সামনে নিয়ে যাই এবং মুখস্থ করিয়ে মনে করি যে তার শিক্ষার হাতে খড়ি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি শিশুর শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তার চিন্তা শক্তি এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করা কিন্তু আমরা করি তার বিপরীত। আমাদের দেশে মনে করা হয় একটি ছেলে বড় বড় কেতাব মুখস্ত করে যত বড় ডিগ্রী আনতে পারবে সে তত বড় জ্ঞানী কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এভাবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আস্তে আস্তে পিছিয়ে পড়ছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Redul Redul(201-15-3193) -
শিশুকাল থেকে ভাষাশিক্ষার সাথে ভাবশিক্ষার বিষয়টি সাথে নিয়মিত হতে থাকে।প্রাবন্ধিকের মতে চিন্তা এবং কল্পনাশক্তি জীবন নির্বাহের জন্য দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি।তথ্য প্রদান না করে তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানোই হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য।
অন্যদিকে ইংরেজি শিক্ষায় সংকট বিচ্ছিন্নতার।আর এই বিচ্ছিন্নতায় আমাদের ভাব ভাষা এবং জীবনের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা দূর করে দিয়েছে। যার ফলে মানুষ অবিচ্ছিন্ন হয়ে অখণ্ড ঐক্যলাভ করে বলিষ্ঠ হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Ananna Saha 202-15-3821 -
আমাদের বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন ধরনের অভাব লক্ষণীয়। আমাদের যে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান দর্শন বিষয়াবলি রয়েছে এগুলোতেও বাংলা সাহিত্যের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায় না। তাই আমাদের বিদেশি ভাষার সাহায্য নিতে হয় । কত বর্ণশিক্ষা, নীতিশিক্ষা রয়েছে তবে এগুলো শুধু শিক্ষাপুস্তক বলাই চলে। আমাদের দেশের কমিটি নামক শব্দটি শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা কমিটি ইত্যাদিতেই ভালো প্রভাব ফেলে কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো সুস্থ প্রতিফলন ঘটে না।
আমাদের পুস্তক সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ১. পাঠ্যপুস্তক ২. অপাঠ্যপুস্তক।
আমাদের দেশের যে শিক্ষা প্রদ্ধতি তাতে দেশের ছেলে মেয়েদের যা পাঠ্য করা হয় তা শুধুই শিক্ষাপুস্তক, তাতে কোনো ধরনের পাঠ্যপুস্তক না। শুধু মাত্র শিক্ষাপুস্তক পড়ে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার বিকাশ ঘটে না, তা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্য পড়া হয়। শিক্ষার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে হলে অবশ্যই ছেলে মেয়েদের শুধুমাত্র পাঠ্য সূচিতে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না বিবিধ জ্ঞান লাভ করে শিক্ষা পরিসরকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। শিক্ষা আমাদের মুক্তি দেয়, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে শেখায় তাই শুধু মাত্র পাঠ্যপুস্তক অবধি না থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা শুধু কোণথাসা হয়ে মুখস্থ বিদ্যায় সীমাবদ্ধ যে কারণে তারা গল্পের বইগুলোই তাদের কাছে সহজলভ্য হয় না। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা ইংলিশেও তেমন দক্ষ না তাই প্রতিক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরিশেষে বলা যায় শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ অতিব জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে । যার যথাযত বিকাশের মাধ্যমে আমাদের বাংলা সাহিত্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Jessika Alam -

শিক্ষা হোক এমন,যা খোলবে মনের দোর।শুধু মাত্র পাঠ্য বই পড়ে সকল তথ্য এবং জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়।আর মনের দার খোলাও সম্ভব নয়।আসল শিক্ষা হলো শিক্ষার্থীর মধ্যকার ঘুমন্ত প্রতিভা বা সম্ভবনার পথ নির্দেশক।কিছু শিক্ষাবিদ বলেছেল(Education denotes the realization of innate human potentialities of individuals through the accumulation of knowledge)

মূলত এসব বিষয় গুলিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রবন্ধের মধ্যে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।তিনি আর বুঝিয়েছেন শিক্ষা মানুষ শুধু অর্থ উপার্জনের মাদ্ধম হিসেবে ব্যবহার করছে।কিন্তু প্রকৃত শিক্ষার অনেক অভাব এবং কেও বাহিরের কোন জ্ঞান লাভ করতে চাইলেও তাতে পরিবারের বাধার সম্মুখীন হতে হয় কারন আমাদের ধারণা পাঠ্যবই এর শিকলের মধ্যে বন্দী।  এখনকার সমাজের ধারনা অন্য বই পড়ে কি লাভ, যদিই না সেখানে অর্থ হয় লাভ। আসলে প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো মিথ্যার বিনাশ আর সত্যের আবিষ্কার।শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে শিশুর সম্ভবনা ও অনুরাগের পূর্ণ বিকাশ ও তার নৈতিক চরিত্রের প্রকাশ।পূর্ণাঙ্গ মানুষের আত্ম প্রকাশের জন্যে যেসব গুনাবলী নিয়ে শিক্ষার্থী এ পৃথিবীতে আগমন করেছে, শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে সেসব গুনাবলীর যথাযথ বিকাশ সাধন।আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Shimul chakraborty 202-15-3840 -
শিক্ষার হেরফের’ নামক প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের সমাজে শিক্ষা ব্যবস্থায় অপূর্ণতার বাস্তবিক দিকটি তুলে ধরেছেন। তিনি তার রচনায় শিক্ষার প্রতি ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কালে যে শিক্ষা ব্যাবস্থার চালু ছিল,তাতে শিক্ষা লাভ হতো কিন্তু কোন চিন্তা,কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটতো না, তাঁর কাছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রদের শিক্ষা প্রদান করাই নয়,বরং শিক্ষার আদর্শ নিয়ে ভাবতে শেখানো।পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা তখনই পূর্ণতা লাভ করবে, যখন সেটির বাস্তবিক প্রয়োগ শিখে আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে শিখবো। পাঠ্যপুস্তকে খচিত বর্ণমালা মুখস্থ করলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না।বাল্যকাল থেকে আমাদের শিক্ষাটা আনন্দের সহিত হতে পারত কিন্তু দুঃভাগ্যক্রমে তা হয়ে উঠে নি। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কখনোই কেবল অর্থ উপার্জন হওয়া উচিত নয় কিন্তু বর্তমান আধুনিক সভ্যতার নিকট শিক্ষার মানদণ্ড অর্থ দিয়ে মূল্যায়ন করতেই আমরা বেশি অভ্যস্ত। পুঁথিগত বিদ্যা লাভে শিক্ষিত হওয়া সম্ভব তবে সুশিক্ষিত হওয়া বড্ড শ্রমসাধ্য ও কঠিন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by saikat Sarkar (202-15-3836). -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধটি পঠিত হয় একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীদের সামনে। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার নাম করে একজন শিক্ষার্থীকে জীবিকা উপার্জনের মেশিনে পরিণত করে।ছোটো থেকেই বাচ্চাদের শিখিয়ে দেয়া হয় তাকে একটা সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে ভালো কাজ করতে হবে যার দ্বারা ভালো উপার্জন হবে।কিন্তু বাচ্চাদের মস্তিষ্ক উন্নতির জন্য কোনো প্রকার আগ্রহ প্রদান করা হয় না যার দ্বারা তারা অনেক কিছু জানতে বুঝতে ও শিখতে পারবে নিজে থেকে।তাদেরকে বাংলা শিক্ষার চাইতে ইংরেজী শিক্ষায় বেশি জোড় দেয়া হয় কিন্তু সেটাও ভালো করে আয়ত্তে আনতে পারে নাহ্ অর্থাত পাঠ্য বইয়ের বাইরে শিশুদের কিছু দিতে চায় না গার্ডিয়ানরা।তারা সার্টিফিকেট চায়,উন্নত মস্তিষ্কের প্রয়োজন নিয়ে চিন্তা করে না।আর সে জন্যই বাংলা সাহিত্যের প্রসার লাভ হয় না, আবার ইংরেজীটাও বাঙালীরা সঠিক ভাবে আয়ত্তে নিতে পারে নাহ্।যার অর্থ হলো শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যায় সিদ্ধহস্ত এ সমাজ কিভাবে একজনকে শিল্প , সাহিত্য চর্চা করা থেকে সুকৌশলে বিরত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে তার প্রমাণ হচ্ছে রবীন্দ্র পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যে মৌলিক উপন্যাস, প্রবন্ধ, গদ্য, কবিতার পরিমাণ খুবই নগণ্য।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sabbir hossain rifat(201-15-3324) -
আমরা মানুষ। আমরা পৃথিবীর সব থেকে উত্তম জীব । শুধু পুথিগত বিদ্দা শিখলেই বা বই এর শিক্ষা গ্রহণ করলেই আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারব না । বাইরের জগত সম্পর্কে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে অনেক এই সক্ষম হইনা। আমাদের সমাজে আমন কিছু লোক আছে যারা বাইরের শিক্ষা বা সমাজ থেকে প্রদানকৃত শিক্ষাকে বরন না করেই বই এর শিক্ষাকে বরন করে নিচ্ছে । ফলে যা হয় তারা একটা বয়সে গিয়ে তারা নিজ বেক্তিত্ত কেই হারিয়ে ফেলে প্রকৃত শিক্ষার রস উপভোগ করতে পারছে না। আমরা সুধু উপারজন এর জন্য বই এর শিক্ষাকে কাজে লাগাচ্ছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। কিন্তু যেখানে আমরা জানি যে শিক্ষার কোন সংজ্ঞা নেই শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমরা প্রতিনিয়ত ও কোনো না কোন জিনিস থেকে শিক্ষা অর্জন করছি। কিন্তু আমাদের বিকাশ বা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে পুঁথিগত শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের অন্যান্য জ্ঞান অর্জন করা অনেকত আবশ্যকীয়। আমরা হয়তোবা পুঁথিগত শিক্ষা অর্জন করে আমাদের জীবনে সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি বা তার থেকে আমরা অর্থ উপার্জন করছি কিন্তু এই শিক্ষার নিরর্থক। কারণ আমরা জানি শুধু শিক্ষা নয় সুশিক্ষা এবং স্বশিক্ষিত হওয়া এক জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো দিক জায়গা নির্বিশেষে সকল জায়গা থেকে শিক্ষাকে গ্রহণ করা একজন প্রকৃত মানুষের এর কর্তব্য।
আমাদের প্রিও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তা 'শিক্ষার হেরফের' প্রবন্দ দ্বারা পরিপূর্ণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । শিক্ষা উপার্জন এর যে কোন রাস্তা হয়ে না এ কথা টাই সে তার প্রবন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Radiful Islam 202-15-3837 -
শিক্ষা অর্জনের একটি প্রচলিত এবং সহজ মাধ্যম হলো বই। তবে সেই বই পড়া যদি কেবলমাত্র হয় পরীক্ষার জন্য কিংবা শুধু কাগজে কলমে তাহলে সেই শিক্ষার কোন মূল্য নেই বললেই চলে। দুর্ভাগ্যবশত অনেক পিতা মাতা তাদের সন্তানের জন্য কেবল পুঁথিগত বিদ্যাই যথেষ্ট মনে করেন। কাগজে কলমে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তাত্ত্বিক জ্ঞানও যে প্রয়োজনীয় সেটা অনেকেই বুঝতে চান না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সেই খুঁত নিখুঁতভাবে ব্যাখা করেছেন। আমরা স্কুল কলেজ প্রচলিত যে ব্যাপারটা সহজে লক্ষ্য করি সেটা হলো কেতাবী জ্ঞানকে পুঁজি করে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করার প্রবনতা। এতে যেমন প্রতিভার বিকাশ স্থবির হয়ে পড়ছে তেমনি হাতে কলমে শিক্ষার গুরুত্বও আমরা ভুলতে বসেছি। তবুও কোন কারনে যদি কোন জ্ঞান পিপাসু যদি পাঠ্য বই ব্যাতীত অন্য কিছুতে আগ্রহী হয়ে উঠে তাহলে তাকে উৎসাহ প্রদান করা তো দূরের কথা বরং ব্যাপারটাকে নেতিবাচক হিসাবে দেখা হয় এবং নিরুৎসাহিত করা হয়। সৃজনশীলতার অভাব সমাজে তাই চরমভাবে দৃশ্যমান। শিক্ষা ব্যবস্থার এমন দুরাবস্থা কাটানো অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এর জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, জীবনমুখী শিক্ষা প্রদান, অভিজ্ঞতায় জ্ঞান অর্জন এবং সর্বোপরি পাঠ্য বইয়ের বাইরে সৃজনশীলতায় উদ্বুদ্ধ করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Rashik Shahriar 202-15-3825 -
জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত৷ কিন্তু আমরা বেশীরভাগই জ্ঞানার্জনের চেয়ে সেটাকে পুজি করে অর্থ উপার্জনের উপর বেশী জোর দেই। যার ফল স্বরুপ আমরা শিক্ষাগ্রহনের আনন্দ টা থেকে বঞ্চিত হই। আবার, আমরা পুথিগত বিদ্যাকে এতটাই প্রাধান্য দিয়ে ফেলি যে এর বাইরেও অনেক কিছু শিখতে পারার আছে সেটি ভুলে যাই । প্রচলিত এই শিক্ষা ব্যাবস্থার মারপ্যাচ এ পড়ে প্রতিভার বিকাশ ঠিকভাবে আর হয়ে ওঠে না। শিক্ষা অর্জন করে আমরা যদি সেটা মানবজাতির কল্যানে না লাগাতে পারি তবে সে শিক্ষার মূল্যই বা কোথায়! আমরা তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবো যখন আমরা জ্ঞানার্জন এর উদ্দ্যেশ্যে শিক্ষা গ্রহন করবো। আর সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্যই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পাশাপাশি সৃজনশীলতা বাড়ানো উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Monir Husain Shuvo 202-15-3853 -
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'শিক্ষার হেরফের’ নামক প্রবন্ধে আমাদের সমাজে শিক্ষা ব্যবস্থায় অপূর্ণতার বাস্তবিক দিকটি তুলে ধরেছেন।এই সমাজে সৃজনশীলতা সৃষ্টিতে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষাটাও যে ভীষণ জরুরি তাও তিনি বেশ নিপুণভাবে উপস্থাপন করেছেন।এভাবে যদি শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকগত জ্ঞ্যান অর্জনের রীতি চলতে থাকে তাহলে কখনোই যে সৃজনশীলতা কখনো অগ্রসর হবে না তা তাঁর বর্ণনায় অত্যন্ত সুস্পষ্ট।সৃজনশীলতা ও সুশিক্ষা ছাড়া,শূধু পুথিগত শিক্ষা গ্রহণ করলে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার স্বাদ কখনোই পাওয়া হয়ে উঠবে না।তখন শুধু অন্তঃস্বার শূন্য হয়ে গোটা সমাজ এগিয়ে যাবে।অর্থের পিছনে ছুটে যাবে । কিন্তু সুশিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠবে না। আর তাই অন্তঃ বিকাশ এবং বৃহৎ পরিসরে আন্তঃ বিকাশ অধরাই রয়ে যাবে। তাই বৃহৎ পরিসরে সুশিক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি সৃজনশীলতার প্রতিও গভীর মনোনিবেশ করা উচিত।এতেই সমাজের বৃহত্তর হিত সাধন সম্ভব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Nausin Onti 202-15-3827 -
শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ অত্যন্ত নিপুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।আমরা যেভাবে শিক্ষাটা নিচ্ছি সেটা মূলত আমাদের প্রয়োজনীয়তার জন্যে। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে আমাদের সমাজের মানুষ একান্ত যত্নে শিশুদের ইংরেজি শিক্ষার উপর জোর দেয়। ।না বুঝে ইংরেজি শিক্ষা আর মুখস্ত বিদ্যার দ্বারা মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয় না।পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে।অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে।বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ অথচ আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। বাহিরের জ্ঞান এবং দরকারি সকল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব গড়ে তুলতে হবে।জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Deen Mohammad (201-15-3180) -
বাঙালির সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষ রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন। তিনি তার "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার করুন রুপ তুলে ধরছেন। শিশুকাল থেকে ভাষাশিক্ষার সাথে ভাবশিক্ষার বিষয়টি সাথে নিয়মিত হতে থাকে।প্রাবন্ধিকের মতে চিন্তা এবং কল্পনাশক্তি জীবন নির্বাহের জন্য দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি।তথ্য প্রদান না করে তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানোই হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য।অন্যদিকে ইংরেজি শিক্ষায় সংকট বিচ্ছিন্নতার।আর এই বিচ্ছিন্নতায় আমাদের ভাব ভাষা এবং জীবনের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা দূর করে দিয়েছে। যার ফলে মানুষ অবিচ্ছিন্ন হয়ে অখণ্ড ঐক্যলাভ করে বলিষ্ঠ হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Deen Mohammad (201-15-3180) -
বাঙালির সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষ রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন। তিনি তার "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার করুন রুপ তুলে ধরছেন। শিশুকাল থেকে ভাষাশিক্ষার সাথে ভাবশিক্ষার বিষয়টি সাথে নিয়মিত হতে থাকে।প্রাবন্ধিকের মতে চিন্তা এবং কল্পনাশক্তি জীবন নির্বাহের জন্য দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি।তথ্য প্রদান না করে তথ্য নিয়ে ভাবতে শেখানোই হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য।অন্যদিকে ইংরেজি শিক্ষায় সংকট বিচ্ছিন্নতার।আর এই বিচ্ছিন্নতায় আমাদের ভাব ভাষা এবং জীবনের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা দূর করে দিয়েছে। যার ফলে মানুষ অবিচ্ছিন্ন হয়ে অখণ্ড ঐক্যলাভ করে বলিষ্ঠ হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by shuvojit shil -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে প্রবন্ধিক প্রচলিত শিক্ষার ব্যাঙ্গবিদ্যুপ করেছেন।তিনি বলেছেন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু এর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকা জীবনের ধর্ম নয়।আমরা যদি স্বাধীনভাবে চলাফেরা না করতে পারি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ও আনন্দের ব্যাঘাত ঘটে। তেমনি যদি শিশুকে প্রচলিত শিক্ষার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখি তাহলে শিশুর মন যথেষ্ট পরিমাণে বিকশিত হতে পারে না,ফলে তাদের মানসিক পরিপক্কতা আসেনা।অভিভাবকেরা বিদেশি ভাষার চর্চা করে তাড়াতাড়ি চাকরি ঢুকায় অনুপ্রেরণা দেন এবং যে সময় তাদের খেলার বয়স সেই সময় তাদের বাংলা অভিধান এর মধ্যে মুখ গুঁজে থাকতে হয়।বাল্যকাল থেকে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই আমাদের যা আবশ্যক তাই কণ্ঠস্থ করি। কিন্তু এতে প্রকৃত বিকাশ সাধিত হয় না। চিন্তা ও কল্পনা শক্তির দুটি আবশ্যক জিনিস ছোটবেলা থেকে এর চর্চা করলে কাজের সময় পড়তে হয়।সুতরাং পরিশেষে বলা যায় আমাদের জীবনের সামঞ্জস্যতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mohaimenul Siam -
অনেক জরুরী জিনিস যেগুলো বাংলায় এখনো প্রকাশ হয়নি। যার জন্য বিদেশী ভাষায় আমাদের হেল্প নিতে হচ্ছে।
শিশুদের বইয়ের অভাব নাই কিন্তু আসলে সেগুলো পাঠ্যপুস্তক না। অনেক কিছুই পাবলিশ করে কিন্তু সাহিত্য সম্পর্কে কোনো কাজেই তারা সুসম্পন্ন করতে পারেনি। ব্যাকরণ অভিধান ভূগোল নীতিগুলো পৃথিবীর পাঠ্যপুস্তক এর মধ্যে হতে পারে না কারণ এটা শিক্ষা পুস্তক।
আমরা একমাত্র আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই নিয়ে থাকি। আমাদের স্বাধীন হওয়ার জন্য আরো অনেক কিছুর জানা প্রয়োজন কিন্তু আমরা সেগুলো জানার ইচ্ছা পোষণ করিনা। আমাদের টেনশন শুধু ডিগ্রী নিয়ে|
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Omar Faruk -
শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে সাহায্য করে।একজন মানুষ শুধুমাত্র বইয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই তাকে প্রকৃত শিক্ষিত বলা যাবে না।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক যার ফলে আমাদের ছাত্ররা সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে না।শিশুকাল থেকে তাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে লক্ষ্য পূরণের জন্য,অর্থ উপার্জনের জন্য।আমাদের বাবা-মায়েরা শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ান যার ফলে শিশুরা সাহিত্য বা অন্য কোনো বই পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে না।আমাদের সমাজে বিভিন্ন উৎসবে যেভাবে কমিটি গঠন করে টাকা তোলা হয় সেভাবে সাহিত্য অর্জনের জন্য কখনো কমিটি গঠন করা হয় না।আমাদের ছাত্র সমাজ শিক্ষা নামক কারাগারে আটকে আছে যার ফলে তারা স্বাধীন ভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না।আমরা আবার বৈদেশিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ যেতে চাই দূর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের ছাত্ররা সেটাও সঠিক ভাবে জানে না।আমাদের প্রকৃত শিক্ষা থেকে আমরা দূরে সরে আসছি।আমাদের উচিত আমাদের ছাত্রসমাজকে পাঠ্যপুস্তক এর পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তোলা
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MEHEDI HASAN -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাহাল দশা ও সাহিত্য প্রসারে যে প্রতিবন্ধকতা তা উল্লেখ করেছেন । বাল্যকাল হতেই আমরা বাংগালী শিশু দিগকে বিদ্যালয় নিবন্থিত পাঠ্যপুস্তক ধরিয়ে দেই। যততুকু আবশ্যক কেবল তার মধেই কারারুদ্ধ থাকা মানব জীবনের ধম নয়।তাই তাহাদের মন পরিনত হয় না। বয়স হইলে ও তাদের বুদ্ধি অপরিপক্ক রয়ে যায়।জোর জবরদস্তি করে, মুখস্ত বিদ্যা একদিকে শিক্ষার আনন্দ এবং মূল উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত করচ্ছে অন্যদিকে বুদ্ধিমওা, মানসিকশক্তি,চিন্তাশক্তি,কল্পনাশক্তি,সৃজনশীলতা ইত্যাদি হ্রাস করছে।বহুকাল ভাষা শিক্ষায় মগ্ন থাকিয়া না পারিল বাল্লকালের পরিতৃপ্তি লাভ করিতে না হইল সাহিত্তের কল্পনা রাজ্জে প্রবেশ করব না হইল I ভাষা শিক্ষা বাল্লকালের জিবন্ত ভাব ও নবীন কল্পনা সকল যদি সাহিত্তের নতুন দিগন্ত উদঘাটনে ব্যয় হত তবে শিক্ষা পরিপূর্ণ হত।তবে বতমানে আমাদের সমস্ত বিদ্যাকে আমরা তুলিয়া রাখিয়া দিই, আটপৌরে দৈনিক জীবনে তাহার যে কোনো ব্যবহার নাই। ছাএদিগকে দোষ দেয়াও অন্যায়। তাদের শিক্ষা শুধু জীবিকার প্রয়োজনে।আমাদের হেরফের ঘুচিলেই আমরা চরিতার্থ হই। শীতের সহিত শীতবস্ত্র, গ্রীষ্মের সহিত গ্রীষ্মবস্ত্র কেবল একত্র করিতে পারিতেছি না বলিয়াই আমাদের এত দৈন্য, নহিলে আছে সকলই; এখন আমরা বিধাতার নিকট এই বর চাহি, আমাদের ক্ষুধার সহিত অন্ন, শীতের সহিত বস্ত্র, ভাবের সহিত ভাষা, শিক্ষার সহিত জীবন কেবল একত্র করিয়া দাও। অভাব গুছিলে যেন আমদের এই শিক্ষার হেরফের দূর হয়।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Ashita Elin -
The main goal of education is gain more knowledge. But now-a days it's become a business , a store of certificate ,way to get a job. Hope and Faith give people the courage to live. They help people to move on from the past and start there life a new with new dreams. And these hope and faith come from our imaginary world . And the world of our imagination is created from literature . But it is a matter of sorrow that, we don't have any interest on literature . We just read the books which are necessary to pass the examination. As a result people of now days don't have there imaginary world and the is no creativity in them. People can't express there feelings properly ,as there is no importance of literature in our education system. And this thing is very dangerous for our nation.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MD.Mustakim Hasan -
এই প্রবন্ধে লেখক আমাদের সমাজের প্রকৃত শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে সাহিত্যের কোনো নামগন্ধ নেই। আর এই রসহীন কাজের কারিগর কমিটিকে লেখক উপহাসে করেছে। এছাড়া আমাদের সমাজেও প্রকৃত শিক্ষা প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরফলে শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না। জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। বেশির ভাগ সময় আমরা এই জ্ঞান অর্জনের বিষয়টিকে পুজি করে অর্থ উপার্জনের দিকে মনোনিবেশকরি।এর ফলে আমরা প্রকৃত শিক্ষার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হই। প্রকৃত এই শিক্ষার মারপেঁচে আমাদের পরিপূর্ণ ভাবে মেধার বিকাশ ঘটে না। এছাড়া যে শিক্ষা দিয়ে আমরা সমাজের কোনো কাজে না লাগতে পারি, ঐ শিক্ষার মূল্যই বা কতটুকু! সুতরাং আমাদের মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে,সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে। আর সেই সৃজনশীলতার কাজটি করে থাকে সাহিত্য চর্চা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sabbir Rahman -
এই প্রবন্ধে লেখক আমাদের সমাজের প্রকৃত শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে সাহিত্যের কোনো নামগন্ধ নেই। আর এই রসহীন কাজের কারিগর কমিটিকে লেখক উপহাসে করেছে। এছাড়া আমাদের সমাজেও প্রকৃত শিক্ষা প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছেনা। এরফলে শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না। জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। বেশির ভাগ সময় আমরা এই জ্ঞান অর্জনের বিষয়টিকে পুজি করে অর্থ উপার্জনের দিকে মনোনিবেশকরি।এর ফলে আমরা প্রকৃত শিক্ষার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হই। এই শিক্ষার মারপেঁচে আমাদের পরিপূর্ণ ভাবে মেধার বিকাশ ঘটে না। এছাড়া যে শিক্ষা দিয়ে আমরা সমাজের কোনো কাজে না লাগতে পারি, ঐ শিক্ষার মূল্যই বা কতটুকু! সুতরাং আমাদের মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে,সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে। আর সেই সৃজনশীলতার কাজটি করে থাকে সাহিত্য চর্চা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sayed Sarker -
শিক্ষা মুলত কী? শিক্ষা শব্দটা থেকেই বলা যায় যে এখানে কোন কিছু শিখার কথা বলা হয়েছে। এখন এটা ভালো-খারাপ, সহজ-কঠিন ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। এখন প্রশ্ন হতে পারে আমরা কিভাবে শিখবো আর কতটুকু শিখব ? প্রথমটার উত্তরে আমার মতে বলা যায় যে কোন একটা কিছু দেখে, বুঝে, শুনে সেটাকে চিন্তা -ভাবনাও কল্পনায় আনতে পারে এবং এই চিন্তা ভাবনাও কল্পনা অনুযায়ী বাস্তবে কাজ করে সেটাকে রূপদান করতে পারায় মূলত শিক্ষা। আর দ্বিতীয় টার উত্তর বলা যায় যে শিক্ষার কোন নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ নেই পবিত্র কোরআনের প্রথম শব্দ হলো 'ইক্বরা'। যার অর্থ পড়ো, শেখো, লেখ। কিন্তু এখানে বলা হয়নি কতটুকু শিক্ষা অর্জন করতে হবে কারণ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিয়ত শিক্ষা অর্জন করতে হয়। কিন্তু আমাদের আধুনিক সমাজ এই শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তক এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। আর এই পাঠ্যপুস্তক এর মাধ্যমে কেবল আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারি, তবে এর বাইরে আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় যে শিক্ষা রয়েছে তা আমরা শিখতে পারি না। এবং এই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য সেই সকল প্রয়োজনীয় দিকগুলো শেখার সময়ই পাইনা। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অপূর্ণ দিকগুলো কথা উল্লেখ করে ' শিক্ষার হেরফের ' রচনাটি লিখেছেন আর তাঁর রচনায় বলেছেন - যখন আমরা একবার ভালো করিয়া ভাবিয়া দেখি যে, আমরা যে-ভাবে জীবন-নির্বাহ করিব আমাদের শিক্ষা তাহার আনুপাতিক নহে; আমরা যে-গৃহে আমৃত্যুকাল বাস করিব সে-গৃহের উন্নতচিত্র আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নাই; যে-সমাজের মধ্যে আমাদিগকে জন্ম যাপন করিতে হইবে সেই সমাজের কোনো উচ্চ আদর্শ আমাদের নূতন শিক্ষিত সাহিত্যের মধ্যে লাভ করি না; আমাদের পিতা মাতা আমাদের সুহৃৎ বন্ধু, আমাদের ভ্রাতা ভগ্নীকে তাহার মধ্যে প্রত্যক্ষ দেখি না; আমাদের দৈনিক জীবনের কার্যকলাপ তাহার বর্ণনার মধ্যে কোনো স্থান পায় না; আমাদের আকাশ এবং পৃথিবী, আমাদের নির্মল প্রভাত এবং সুন্দর সন্ধ্যা, আমাদের পরিপূর্ণ শস্যক্ষেত্র এবং দেশলক্ষ্মী স্রোতস্বিনীর কোনো সংগীত তাহার মধ্যে ধ্বনিত হয় না; তখন বুঝিতে পারি আমাদের শিক্ষার সহিত আমাদের জীবনের তেমন নিবিড় মিলন হইবার কোনো স্বাভাবিক সম্ভাবনা নাই; উভয়ের মাঝখানে একটা ব্যবধান থাকিবেই থাকিবে; আমাদের শিক্ষা হইতে আমাদের জীবনের সমস্ত আবশ্যক অভাবের পূরণ হইতে পারিবেই না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MD Rokonuzzaman Bappy -
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই আমাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। আর এই শিক্ষা শুরু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের শিক্ষা অর্জন করতে হবে আর এটাই প্রকৃত শিক্ষা।
প্রবন্ধে কবি এটাই বুঝতে চেয়েছেন যে, আমাদের শুরু পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রিক শিক্ষার পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকের বাইরের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আর এ জন্য আমাদের সাহিত্য চর্চা করতে হবে এবং সাহিত্যের রস বুঝতে হবে। পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রিক পড়াশোনা সবসময় আমাদের কাজে আসে না।
তাই আমাদের উচিত আমাদের ছাএসমাজে
পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার বিস্তার ঘটানো উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md.Rakibul Hasan Zihad -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘বাল্যকাল হইতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হইতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হইতে পারে- আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হইতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরিতে পারি’। তিনি তার এই প্রবন্ধে কিছু আগে আরও বলেন যে, ‘চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যদি মানুষের মতো মানুষ হইতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবন হইতে বাদ দিলে চলে না। অতএব বাল্যকাল হইতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করিলে কাজের সময় যে তাহাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by shakil anower -

"শিক্ষার হেরফের"

              →রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md Reajul Islam -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।আমাদের দেশে শিক্ষাথীদের ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়বার জন্ন্যে বাধ্যবাধকতা করা হয়। যার ফলে আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির চিন্তা ধারা ছোট থেকে গড়েতুলতে পারি না, ফলে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারিনা। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র শিক্ষাগ্রহণ করাটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয় এতে আমরা কি এতে আমরা কি সঠিক শিক্ষা পাচ্ছি কিনা তা বিবেচনা করা হয় না। আমরা কেবল জীবিকার জন্য ধরাবাঁধা শিক্ষা গ্রহণ করছি ফলে প্রকৃত কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md. Mehedi Hasan 202-15-3845 -
বিদ্যালয়ই দেশের ভিত্তি। আরও কী, এই মেরুদণ্ডকে সমর্থন করার জন্য আমাদের জ্ঞানী হওয়া উচিত। কেবল বই বুঝে শেখানো হবে বলে আশা করা কল্পনার ক্ষেত্রের বাইরে যার মস্তিষ্ক যত উদার হয় সে তত বেশি নির্দেশিত। এই লাইনের পাশাপাশি, তারা প্রতিদিনের জীবন জুড়েই বিজয়ী হতে পারে নির্বিশেষে, মানুষের অগ্রগতি পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। এই প্রবীণ বয়সে অভিভাবকরা অন্যদের সাথে থাকার শুরু থেকেই তাদের বাচ্চাদের প্রতি মনোনিবেশ করেন। তাদের মতে, তারা যুবা থেকে চাপ তৈরি না করে এমন ইভেন্টে তারা মানুষ হতে পারে না। এই ক্ষতিকারকভাবে বাচ্চাদের সৃজনশীল মন এবং চিন্তা শক্তিকে প্রভাবিত করে। এগুলিতে কোনও প্রকার লাভ নেই বরং ক্ষতি। এছাড়াও, তারা এই নিস্তেজ যুক্তির জন্য প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারে না। সৃজনশীল মন ড্রিল না করা ইভেন্টে, এর সাধারণ অগ্রগতি কখনও ঘটবে না। একা ধরে রাখার মাধ্যমে যে পরিমাণ নগদ করা হয় তা নির্বিশেষে বাইরের বিষয়ে আপনার কোনও ধারণা নেই বলে এই বিভাগ এর উপর এর কোনও স্পষ্ট মূল্য নেই। যেহেতু প্রশিক্ষণ কেবল নিজের মানবজাতি গড়ে তোলার পাশাপাশি নগদ আনা নয়। যাইহোক, বর্তমানে কেউ এটি করছে না এবং তাই প্রশিক্ষণ হারাতে বসেছে । বাইরের বিষয়ে যেমন আপনার বইয়ের মতোই চিন্তাভাবনা আছে ঠিক তখনই খাঁটি ব্যক্তি হওয়া অনুধাবনযোগ্য। সাফল্যের সম্ভাবনাময় সম্ভাবনা যা আমরা আশেপাশের ব্যক্তিরা যেমন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসাবে দেখাতে পারি না, সে সময় নির্দেশটি নিরর্থক। যেহেতু স্কুল শিক্ষার পিছনে প্রাথমিক অনুপ্রেরণা মানবজাতির কাজ সম্পাদন করা। লেখার জন্য বোর্ড বইয়ের ঠিক বিভিন্ন বইয়ের মতোই অন্য বই গুলোর প্রতিও তেমন শেখার কাজ করা উচিত। তবুও, বর্তমানে অভিভাবকরা বাচ্চাদের এগুলি বোঝার অনুমতি দেন না। তদনুসারে তারা ইভেন্টগুলির মানসিক ঘোরায় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাদের সত্যিকারের পড়াশোনা শেখানো যায় না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md.Arman Hosen Patoary -

We  believed that our qualities and attributes are fixed traits not only we can't change it but also there is no real way to improve our intelligence and skills. Rather than working to develop and improve,we often give up and don’t seek out new challenges.we also believe that talent alone leads to success, and effort is largely irrelevant.

But this is totally wrong. If we believe that we can do that we can.we can develop our intelligence and skill if we want but we have to be patience and we have to believe in our self.

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mostafizur Rahman 202-15-3850 -
শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ অত্যন্ত নিপুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । তিনি বলেছেন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু এর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকা জীবনের ধর্ম নয় । আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে হওয়া উচিত জ্ঞানার্জন । শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছেন যেখানে সাহিত্যচর্চা না হয়ে শুধুমাত্র পুঁথিগতবিদ্যা অর্জন করে নামের পাশে ডিগ্রি নিয়ে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় সেই চর্চা হয় । পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায় । আমাদের উচিত প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এর মাধ্যমে মানবজাতির কল্যানে কাজ করা । আর তা যদি না পারি তাহলে এই জ্ঞান অর্জন করে কি লাভ । পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এর মাধ্যমে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হবে ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Jaima Jannat Shikha -
মানুষের জীবনে শিক্ষার গুরুত্বটা অনেক।
শিক্ষা মানুষের মানসিক ও বাহ্যিকভাবে উন্নত হতে সাহায্য করে।একজন মানুষ যখন যথাযথ শিক্ষা পায় তবেই তার মধ্যকার মানুষটি পূর্নরুপে জেগে ওঠার ধাপগুলো পেরোতে সামর্থ‍্যবান হয়।এখন শিক্ষা বা মনুষ্যত্বের বিকাশ তো বইয়ের নির্দিষ্ট কিছু পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধে কবি এটাই বুঝিয়েছেন জ্ঞানের সীমা সীমিত রাখলে একজন মানুষের শিক্ষা পরিপূর্ণ হবে না।আর আজকালকার পড়াশুনা হলো বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ।উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে গেলে সেটা নিজের ভাষায় করার সুযোগ নেই কর‍তে হয় ইংরেজি ভাষায়।কিন্তু কজন বোঝে ইংরেজি যেখানে একটি বাংলা ভাষায় রচিত একটি কবিতা পড়লে তার সম্পূর্ণ রস বোঝা আমাদের জন্য দুস্কর আর সেখানে আমাদের পড়াশোনা সব ইংরেজিতে। আজকালকার মানুষের ধারণা কেউ যদি পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কোনো বই পড়ে তা হচ্ছে সময় নস্ট কিন্তু এটা ভুল ধারণা। পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও আমাদের একটি জগত রয়েছে সেখানে বইয়ের সীমিত কিছু লেখা আমাদের এই জগতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনে যথেষ্ট নয় তার জন্য বাহিরের পুস্তকও পড়া উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Tabassum Islam Mim 202-15-3848 -
Rabindranath Tagore has very skillfully portrayed the nature of our education system through his article named as “শিক্ষার হেরফের”. The way we are taking education is basically for our needs. The education that most of the people in this country receive is just for the sake of earning money. The people of our society insist on teaching English to their children with utmost care. Humanity is not awakened by English education and memorization without understanding. With the knowledge of textbooks, one can become truly educated only if he has knowledge of the outside world. If the acquired knowledge is not useful for human welfare, then that knowledge is of no use. Outside of the textbook there are opportunities for us to develop real knowledge but for the education system and the family we are far from getting real education. That’s what basically my understanding is after reading through this particular article.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Eshan Eshan -
Rabindranath Tagore wants to highlight the lack of education in the society. There is no shortage of educated people in the society, but there is a dearth of real educated people.  Our education system has been developed to earn money. Our parents have been teaching their children only textbooks since childhood. We should make the student community interested in textbooks as well as literature.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md.Mashudur Rahman Limon -
In this article, Rabindranath Tagore has explained the faults in our education system. From an early age, the students try to learn English where the teachers aren't enough educated to teach English. This makes the students unable to learn that topic properly, unable to accept the topic from the heart. They just memorize and write on the exam paper. Thus they are getting a degree but not the education. The education should be in the language they feel free, they know most. The education or prefession will be they love more to do. Otherwise, we have to suffer in the long run.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sayma Sworna -

একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে।রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিকবিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে, 'শিক্ষার হেরফের 'প্রবন্ধে এটাই বোঝানো হয়েছে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mahfuz Shawon -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। আমাদের শিক্ষার গ্রহণ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পপরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Someya Reza -

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার হের ফের প্রবন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রবন্ধের শুরুতেই আমাদের বাংলা সাহিত্যের কথা বলেছেন । আমাদের বাংলা সাহিত্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকরণের অভাব ।জানার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এদেশে সাহিত্য, প্রবন্ধ লেখাই হয় না। ফলশ্রুতিতে আমাদের সাহায্য নিতে হয় অন্য ভাষার।এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ। চিন্তা ভাবনার উন্নতি হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও এই কথাটি বলেছেন। তিনি বিশেষভাবে যে বিষয়ে জোর দিয়েছেন তা হলো শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষার ব্যবহার। ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয় তবুও বাংলা ভাষাকে ছেড়ে ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব দাওয়া হচ্ছে। ফলে আমরা দু দিক দিয়েই‌ দূর্বল থেকে যাচ্ছি। শৈশবকাল থেকেই বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার চর্চা করা হয় । কিন্তু এই ভাষার আমাদের থাকে না কোনো ভালোবাসা। কবিগুরু আরেকটি কথা ও উল্লেখ করেছেন ইংরেজিকে শুধু কাজের ভাষা বলা চলে ভাবের ভাষা নয়। কেননা এ ভাষার সঙ্গে আমাদের আত্মার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরো একটি জিনিস বোঝাতে চেয়েছেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের পরাধীন চিন্তাধারার অধিকারি করে তুলছে। তিনি আরেকটি বিষয়ও তুলে ধরেছেন তা হচ্ছে শুধু ভাষাশিক্ষা না ভাব শিক্ষার ও প্রয়োজন রয়েছে। কেননা আমরা প্রয়োজনের বাহিরে বেশি দূর এগোতে চাই না। এ সকল বিষয়বস্তু দেখলে বোঝা যায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা ত্রুটি সম্পন্ন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by sumi 295 -
বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের।
শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হতে হবে আত্মতৃপ্তি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Baharun Nissa Borsha -
একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান মানুষ তার শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য তাকে পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়তে হবে।

বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা,,,যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয় |

জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন।

একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না ,

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে।

মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।

রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১ বছর, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন, ‘বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে,

সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।।

একজন সঠিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MD RAKIBUL ISLAM 201-15-3369 -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। আমাদের শিক্ষার গ্রহণ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। সুনির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ কখনো প্রকৃত সুশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে না এবং মানবজীবনকে সঠিক ভাবে পপরিচালিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সাথে বাহিরের জগতের জ্ঞান থাকলেই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। এদেশে সকল কিছুর চর্চা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সাহিত্যচর্চা গ্রহনযোগ্য নয় বরং সময় অপচয় বলে মনে করে থাকে। এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্য জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md shahadat Hosain -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষাপ্রণালী মনকে অত্যাবশ্যক বিষয়ে নিবদ্ধ রাখে এ কথা ভিত্তিহীন । সাধনায় প্রকাশিত প্রবন্ধে পূজনীয় শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে কেন বর্তমান শিক্ষার ঘাড়ে এই দোষ চাপাইয়াছেন বলিতে পারি না। দোষ যে কে কাহার ঘাড়ে কেন চাপায় বোঝা শক্ত ; অবশেষে অদৃষ্টকেই দোষী করিতে হয় । আমি যে ঠিক পূর্বোক্তভাবে কথা বলিয়াছি এ দোষ আমার ঘাড়েই বা কেন চাপানো হইল তাহা কে বলিতে পারে।

আমি কেবল বলিয়াছিলাম আমাদের দেশে শিশুদের স্বেচ্ছাপাঠ্য গ্রন্থ নাই। ইংরেজের ছেলে কেবল যে ভূগোল এবং জ্যামিতির সূত্র কণ্ঠস্থ করিয়া মরে তাহা নহে, বিবিধ আমোদজনক কৌতুকজনক গল্পের বই, ভ্রমণবৃত্তান্ত, বীরকাহিনী, সুখপাঠ্য বিজ্ঞান ইতিহাস পড়িতে পায়। বিশেষত তাহারা স্বভাষায় শিক্ষালাভ করে বলিয়া পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে যতটুকু সাহিত্যরস থাকে তাহা অনায়াসে গ্রহণ করিতে পারে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা কায়ক্লেশে কেবলই শিক্ষণীয় বিষয়ের শুষ্ক অংশটুকু মুখস্থ করিয়া যায়। এ স্থলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে কোনো কথাই বলি নাই।

মনে আছে আমরা বাল্যকালে কেবলমাত্র বাংলাভাষায় শিক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলাম, বিদেশী ভাষার পীড়নমাত্র ছিল না। আমরা পণ্ডিতমহাশয়ের নিকট পাঠ সমাপন করিয়া কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশীরামদাসের মহাভারত পড়িতে বসিতাম। রামচন্দ্র ও পাণ্ডবদিগের বিপদে কত অশ্রুপাত ও সৌভাগ্যে কী নিরতিশয় আনন্দলাভ করিয়াছি তাহা আজিও ভুলি নাই। কিন্তু আজকাল আমার জ্ঞানে আমি একটি ছেলেকেও ঐ দুই গ্রন্থ পড়িতে দেখি নাই। অতি বাল্যকালেই ইংরেজির সহিত মিশাইয়া বাংলা তাহাদের তেমন সুচারুরূপে অভ্যস্ত হয় না এবং অনভ্যস্ত ভাষায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া গ্রন্থ পাঠ করিভে স্বভাবতই তাহারা বিমুখ হয়, এবং ইংরেজিতেও শিশুবোধ্য বহি পড়া তাহাদের পক্ষে অসাধ্য, অতএব দায়ে পড়িয়া আমাদের ছেলেদের পড়াশুনা কেবলমাত্র কঠিন শুষ্ক অত্যাবশ্যক পাঠ্যপুস্তকেই নিবদ্ধ থাকে ; এবং তাহাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি বহুকাল পর্যন্ত খাদ্যাভাবে অপুষ্ট অপরিণত থাকিয়া যায়। বাংলার শস্য, বাংলার ভাষা, বাংলার সাহিত্যের প্রতি আমাদের কৃপাদৃষ্টি নাই, তাহার প্রতি আমাদের অন্তরের প্রীতি এবং একান্ত বিশ্বাস আছে, এ কথায় যাঁহাদের ‘সন্দেহ’ হয় তাঁহারা পুনর্বার ধীরভাবে আলোচ্য প্রবন্ধগুলির যথার্থ মর্ম গ্রহণ করিয়া পড়িয়া দেখিবেন। এবং যদি কোথাও দৈবক্রমে কোনো একঢি বা দুটি কথায় কোনো ত্রুটি বা কোনো অলংকারদোষ ঘটিয়া থাকে তবে তাহা অনুগ্রহপূর্ব্বক মার্জনা করিবেন ; কারণ, আমরা তর্কের ইন্ধন সংগ্রহ করিবার জন্য প্রবন্ধগুলি লিখি নাই, যথার্থই আবশ্যক এবং বেদনা অনুভব করিয়া লিখিয়াছি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Fardin Riad 202-15-3846 -
শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে বস্তুত লক্ষ করা যায় যে-
নির্ধারিত ও আবশ্যক একটি পাঠ্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে নিজেকে কারাবন্দি করা কখনো মানব জীবনের ধর্ম নয়। সুবিস্তৃত সাহিত্য জগতে বিচরণ করতে না পারলে, এর সুমধুর রস আস্ফালন করতে না পারলে আবশ্যকশৃঙ্খলে বন্দি হয়ে সাহিত্য রসবর্জিত হয়ে উঠে শিক্ষিত সমাজ। আপাঠ্য পুস্তকগুলো যেখানে মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষার প্রধান মাধ্যম সেখানে সাহিত্যচর্চা বা স্বাধীন পাঠকে অবহেলা করে বা অপরাধ হিসেবে প্রাপ্য করে, ব্যক্তিকে ব্যক্তির মনের বিনোদন ও আনন্দপোভোগময় শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। আমাদের দেশে শিশুকে যখন শিক্ষা দেয় তখন শুদ্ধভাবে বাংলাভাষা শেখানো হয় না উপরন্তর তাকে ইংরেজি ভাষার সাহিত্যে উৎসাহিত করা হয় যার সহিত আমাদের ভাষার ভাবগত শব্দবিন্যাস,পদবিন্যাস সম্বন্ধে কোনপ্রকার মিল নেই। বরং বিদেশি সাহিত্যকে সর্বখ্যাত অধিক গুরত্ত দিয়ে কাজের এ ভাষাকে ভাবের ভাষা গণ্যকরে এবং সেইগুলো আশ্রয় করে বিদেশে শিক্ষা অর্জনের তকমা লাগানো নিছক তিক্তস্বাদ গ্রহন মাত্র। তখন ভাষার সাথে সাথে ভাব হতে বর্জিত হয়ে যেন হতভাগ্য শিশুদিগকে কোনো বিদেশি কারাগারে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হয়। তাই শিশু থেকে সাহিত্যচর্চা না করলে পরবর্তীতে তা দুঃসহ হয়ে উঠে ও একসময় গ্রন্থজগত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভাষার প্রতি অবিশ্বাস ও অস্রদ্ধা জন্মে। মানসিক শক্তি হ্রাসকারী নিরানন্দ শিক্ষাজীবনে সেই মহেন্দ্রখন অতীত হয়ে যায়, যদি আমাদের বিদ্যাপীঠগুলো পরিপূর্ণ স্বাধীনভাবে আমাদের শিক্ষাবেবস্থায় স্থান করে নিতে পারে তবে আমাদের সমাজ, দেশ কিংবা রাষ্ট্র পূর্ণ শিক্ষায় বিকশিত, উদ্দিপ্ত ও সৃজনশীল হবে। আজ আমাদের সাহিত্যকে বিকশিত না করলে শখ বা ইচ্ছার পাঠ্যবইগুলো সংযোগ না করলে, স্বাধীন পাঠ না করলে শিক্ষার গুনগতমান ও শিশুশিক্ষাকে পূর্ণ ও উন্নতি কোনোভাবে সম্ভব নয়। শিশু কিংবা শিক্ষার্থীদের মন শুধু পাঠ্যশুচিতে আবদ্ধ থাকলে, স্বাধীনপাঠের মাধুর্যতা উপলব্ধি করতে না পারলে সাহিত্যচর্চা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে আর নিরসপাঠক্রম কখনই শিক্ষণীয় মাধ্যম হয়ে উঠে না এবং বিদেশি সাহিত্য বা শিক্ষাও শিশু শিশু সময়ে যথোপযুক্ত নয়।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Taslima Islam Srity -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে আমাদের শিক্ষার অপূর্ণতার বিষয়টি অত্যন্ত নিপুণভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমাদের বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন ধরনের অভাব লক্ষণীয়। আমাদের যে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান দর্শন বিষয়াবলি রয়েছে এগুলোতেও বাংলা সাহিত্যের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায় না। তাই আমাদের বিদেশি ভাষার সাহায্য নিতে হয় । কত বর্ণশিক্ষা, নীতিশিক্ষা রয়েছে তবে এগুলো শুধু শিক্ষাপুস্তক বলাই চলে। আমাদের দেশের কমিটি নামক শব্দটি শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা কমিটি ইত্যাদিতেই ভালো প্রভাব ফেলে কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো সুস্থ প্রতিফলন ঘটে না।
আমাদের পুস্তক সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ১. পাঠ্যপুস্তক ২. অপাঠ্যপুস্তক।
আমাদের দেশের যে শিক্ষা প্রদ্ধতি তাতে দেশের ছেলে মেয়েদের যা পাঠ্য করা হয় তা শুধুই শিক্ষাপুস্তক, তাতে কোনো ধরনের পাঠ্যপুস্তক না। শুধু মাত্র শিক্ষাপুস্তক পড়ে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার বিকাশ ঘটে না, তা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্য পড়া হয়। শিক্ষার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে হলে অবশ্যই ছেলে মেয়েদের শুধুমাত্র পাঠ্য সূচিতে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না বিবিধ জ্ঞান লাভ করে শিক্ষা পরিসরকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। শিক্ষা আমাদের মুক্তি দেয়, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে শেখায় তাই শুধু মাত্র পাঠ্যপুস্তক অবধি না থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা শুধু কোণথাসা হয়ে মুখস্থ বিদ্যায় সীমাবদ্ধ যে কারণে তারা গল্পের বইগুলোই তাদের কাছে সহজলভ্য হয় না। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা ইংলিশেও তেমন দক্ষ না তাই প্রতিক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরিশেষে বলা যায় শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ অতিব জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে । যার যথাযত বিকাশের মাধ্যমে আমাদের বাংলা সাহিত্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Jannatul Ferdous Konok 202-15-3828 -
Achieving success in life requires a number of qualities or skills, be it personal life or career. There are many examples of successful people who have mastered various subjects through their own efforts. Books are the best resources of human beings. With which no earthly wealth can be compared. One day all the worldly possessions will be destroyed, but the knowledge gained from a good book will never be exhausted, it will keep the lamp of knowledge burning in the heart forever. A person is well educated only when his knowledge is able to take accurate knowledge or ideas about the outside world, including textbooks or purposeful learning. And no one can take this knowledge only from textbooks. For this, everyone should read books other than text books. Reading Rabindranath Tagore's article "Shikshar Her Fer", I understand that most of the people in this country take education only for the purpose of earning money. But no one receives real education. Most parents in this country think that reading to their children other than textbooks is a waste of time. So they are prevented from reading any book other than textbook. Every human being should get real education and this will increase the scope of his knowledge. Education is not just a way to earn money and every person should keep in mind that knowledge should be gained in it. This is what Rabindranath wanted to convey to everyone through his essay "Shikshar Her Fer".
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by MD. JUNAYED -

শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধ তে রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুর মূলত আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ধারাকে তুলে ধরেছেন। তিনি আরও  তুলে ধরেছেন আমরা শিক্ষা অজর্ন করতে করতে কবে যে শিক্ষার মূল লক্ষ্য ভুলে গেছি  আমরা নিজেরাই জানি না। আমরা জানি, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।কিন্তু কথাটা হল আমরা কয়জনই বা প্রকৃত শিক্ষাই শিক্ষিত হতে পারি। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা আমাদের শিশুদের একটি পাঠ্যপুস্তক এর মধ্য সীমাবদ্ধ  রাখে। যার ফলে, তারা বড় হয় ঠিকই কিন্তু তাদের চিন্তাধারার বিকাশ হয় না।এখন আমাদের  শিক্ষা গ্রহণের একটিই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছেন কিভাবে টাকা উপাজর্ন করা যায়। আর যার ফলে, আমরা বাংলা ভাষা শিখার বদলে ইংরেজি ভাষার উপর জোড় দিতে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই ইংরেজি ভাষাও আমাদের ভালো মতো শিখা হয় না। 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by saif pramanik(202-15-3847) -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে ধরেছে। তিনি শিক্ষা নিয়ে অনেক ভেবেছেন। তার বয়স যখন ৩১, তখন তিনি ‘শিক্ষার হেরফের’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যাতে তিনি বলেন যে, ‘বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে এবং আমরা বেশ সহজ মানুষের মতো হতে পারি এবং সকল বিষয়ের একটা যথাযথ পরিমাণ ধরতে পারি’।
প্রবন্ধটি পড়ার পর বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। জীবনে সাফল্যের জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md. Naved Anzum Abir -
মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষাগ্রহণ না হয়ে বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা রাখে তখনই সে মানুষ হিসেবে গণ্য হয়। আর এসব জ্ঞান মানুষ  শুধুমাত্র তার পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য তাকে পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়তে হয়। চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি জীবনযাত্রা-নির্বাহের পক্ষে দুইটি অত্যাবশ্যক শক্তি তাতে কোনো সন্দেহ নাই। অর্থাৎ মানুষকে  যদি মানুষের মতো হতে হয় তবে ওই দুটো পদার্থ জীবনে অতীব জরুরি। অতএব বাল্যকাল হতে চিন্তা ও কল্পনার চর্চা না করলে কাজের সময় যে তাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে না এ কথা অতি পুরাতন। এই আধুনিক যুগে বাবা-মা অন্যদের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চচাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাদের মতে ছোটবেলা থেকে চাপ সৃষ্টি না করলে তারা মানুষ হতে পারবে না । এতে করে বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তা শক্তির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাদের ভিতর কোনো প্রকার রস থাকে না। আর এই নিরস চিন্তাভাবনার জন্য তারা শিক্ষাকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারে না। যে কল্পনা চর্চা করতে পারে না তার স্বাভাবিক বিকাশ কখনোই ঘটে না। বাহির সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলে শুধুমাত্র মুখস্ত বিদ্যার জোরে যতই অর্থ উপার্জন করা হোক না কেন আপাতদৃষ্টিতে তার কোন দাম নেই।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Bijoy Dhar 202-15-3830 -
The form of our education system has been highlighted through Rabindranath Tagore's essay 'Sikshar Herafer'. In our country, students are forced to read only textbooks from an early age. As a result, we cannot develop our thinking and imagination from a young age, so we cannot develop as a proper human being. In our society, only education is given priority and it does not take into consideration whether we are getting proper education or not. We are only getting education for a living so we cannot be educated in any real education. Outside of the textbook there are opportunities for us to develop real knowledge but for the education system and the family we are far from getting real education. Therefore, in order to develop as a proper person, it is very important to change our social system and education system. For success in life, everyone should be interested in acquiring real knowledge, not scriptural. This is what the poet wants to convey.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Mahmuda Huq -

শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ অত্যন্ত নিপুনভাবে ফুটিয়ে  তুলেছেন

আমাদের সমাজে পুঁথিগত  শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং অন্যান্য শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না অথচ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণআমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জনের জন্য 

ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও  বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি  আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না  আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে আমাদের কাছে  শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে  উপস্থাপণ করা  হচ্ছে  অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।

প্রয়োজনীয়তা  পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য  আমাদের বিভিন্ন ধরনের বই অধ্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরীএসব বই অনুধাবনের মাধ্যমেই আমরা গড়ে তুলতে পারি এক সুন্দর সুশীল শিক্ষিত সমাজ যে সমাজের মানুষের মধ্যে মুল্যবোধ, ন্যায়পরায়নাতা, সত্যবাদিতা এবং অন্যায়ের প্রতি থাকবে প্রচন্ড ঘৃণা

 

 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sabikun Nahar -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষা অর্জন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের বাহক না হয়। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান আমাদেরজীবনে আবশ্যক যার জন্য দরকার দর্শন, সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, অন্যর উপর নির্ভরশীল হতে হয়৷ জীবনের প্রতিটি পদে চলার জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োজন। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Rudra Prashad Shil 201-15-3338 -
এই সমাজ ধরেই নিয়েছে পাস করে সার্টিফিকেট অর্জন করাই শিক্ষা। এরূপ অন্ধ ধারণা পোষণের কারণে আজ-কালকার দিনের অভিভাবকেরা নাছোড়বান্দার মতো শিক্ষার্থীর কাঁধে চেপে বসেছে। স্কুল শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে দেয়া হয় কোচিং সেন্টারগুলোতে। মাঝে মাঝে এমনও দৃশ্য চোখে পরে যে, একজন শিক্ষার্থীকে স্কুল শেষে তিন-চারটা কোচিংয়ে দৌড়াতে হয়। এর একটাই উদ্দেশ্য সিজিপিএ বাড়াতে হবে।দেশে শিক্ষার হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা একটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সত্যিকারের শিক্ষা আমরা কতজন গ্রহণ করতে পেরেছি। ভারি ভারি সার্টিফিকেট থাকলেই তাকে প্রকৃত শিক্ষিত বলা চলে না, যদি না তার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ​না ঘটে।ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথার মধ্যে একটা ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে কীভাবে ​ভালো রেজাল্ট করা যায়।বাল্যকাল থেকেই তাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যা কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাই তারা কণ্ঠস্থ করতেছে। এভাবে হয়তো ভারি ভারি সার্টিফিকেট অর্জন করা সম্ভব হবে কিন্তু প্রকৃত বিকাশলাভ সম্ভব না।অতএব, শিক্ষার্থীর বিকাশ ও শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্জনের ​জন্য আমাদের সবার উচিত একাগ্রতার সহিত কাজ করা। অভিভাবকদের উচিত শিক্ষার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো সন্তানদের মাঝে তুলে ধরা এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Zannatul Ferdousi193-15-2972 -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।
আমরা ধরেই নিয়েছি শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা আর সার্টিফিকেট অর্জন করাই শিক্ষা। যার ফলে দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও নিজেদের মাঝে উপস্থিত সুপ্ত প্রতিভা গুলো বাইরে আসতে পারে না।।
ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথার মধ্যে একটা ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে কীভাবে ​ভালো রেজাল্ট করা যায়।ভালো ফলাফলের পিছনে ছুটে আমরা শুধু পড়েই যাচ্ছি কিন্তু সে শিক্ষায় নেই কোনো আনন্দ।
মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে মানুষ হতে সাহায্য করবে।।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Farhana Akter Popy -

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রকৃত জ্ঞানের থেকে পুথিগত জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী বেশি থাকি। ঠিক কতটুকু শিক্ষা অর্জন করলে শিক্ষিত বলা হয়? শিক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা নেই।প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করছি। মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন অত্যাব্যশকীয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিশুকাল হতে বই পুস্তক কেবল তোতাপাখির মতো মুখস্থ করানো হয় যেনো বড় হয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়, তবে সেই পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নিরর্থক। অর্জিত বিদ্যা যদি মানব কল্যাণে কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যার কোনো সার্থকতা নেই। শিক্ষা অর্জন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের বাহক না হয়। পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান আমাদেরজীবনে আবশ্যক যার জন্য দরকার দর্শন, সাহিত্যে চর্চা কিন্তু দূর্ভাগা জাতী মনে করে সাহিত্য চর্চা মানে সময় অপচয়। যার জন্য বাঙ্গালী এত পিছিয়ে, অন্যর উপর নির্ভরশীল হতে হয়৷ জীবনের প্রতিটি পদে চলার জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োজন। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md Abdullah An Nayeem -
"শিক্ষার হেরফের"
প্রবন্ধে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সমূহ অত্যন্ত সুন্দর  ভাবে  সমালোচনা করেছেন এবং শিক্ষার ত্রুটি গুলো তুলে ধরেছেন।
আমাদের সমাজে পুঁথিগত শিক্ষাকেই মূল শিক্ষা হিসেবে ধরা হয় এবং পাঠ্যপুস্তক এর বাইরের শিক্ষা জ্ঞানকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আমরা নাম মাত্রই শিক্ষা গ্রহণ করি অর্থ উপার্জন ক্ষ্যতির জন্যে ।

ইংরেজি ভাষাকে অধিক প্রাধান্য দেয়ায় আমরা বাঙ্গালী হয়েও বাংলা সাহিত্যে দুর্বল এবং ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না হওয়ায় ইংরেজি ভাষাতেও সঠিকভাবে পারদর্শী হতে পারি না। আমরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যে শিক্ষা আমাদেরকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদের কাছে শিক্ষাকে এক পাহাড় সমান বোঝা হিসেবে উপস্থাপণ করা হচ্ছে অথচ বলা হয়ে থাকে, জ্ঞানেই পরম আনন্দ।
প্রয়োজনীয়তা ও পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তবে জীবনকে পরিপূর্ণ এবং অর্থময় করার জন্য সাহিত্য চর্চা অত্যন্ত জরুরী।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Sadid hosen -
A person is well-educated only when his knowledge-ideas are able to acquire accurate knowledge or ideas about the outside world, including textbooks or purposeful learning. And people cannot take this knowledge from his textbook alone. For this he has to read other books besides text books. Reading Rabindranath Tagore's article "Shikshar Her Fer", I understand that most of the people in this country receive education only for the purpose of earning money. But no one receives real education. Most parents in this country think that reading books other than textbooks to their children means wasting time so that they are not allowed to read any book other than textbooks. Every human being should get real education and this will increase the scope of his knowledge. Education is not just a way to earn money ,,, every human being should also take care of this aspect so that knowledge is gained in it. This is what Rabindranath wanted to convey to everyone through his essay "Shikshar Her Fer".
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Ripon Ahmad -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।আর আমাদের সমাজে শিক্ষিত লোকের অভাব নেই কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত লোকের অভাব আছে। একজন মানুষ শুধুমাত্র বইয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই তাকে প্রকৃত শিক্ষিত বলা যাবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক যার ফলে ছাত্ররা সঠিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে না। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা। কিন্তু কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞানার্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। শিক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক শিক্ষার প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে লক্ষ্য পূরণের জন্য,অর্থ উপার্জনের জন্য। আমাদের বাবা-মায়েরা শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ান যার ফলে শিশুরা সাহিত্য বা অন্য কোনো বই পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে না। আমাদের প্রকৃত শিক্ষা থেকে আমরা দূরে সরে আসতেছি। আমাদের উচিত আমাদের ছাত্রসমাজকে পাঠ্যপুস্তক এর পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তোলা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Ripon Ahmad -
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড । আর এই মেরুদন্ডকে টিকে রাখার জন্য আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শুধু বই পড়লেই শিক্ষিত হওয়া যায়না মনের দিক থেকে যে বেশি উদার সেই বড় শিক্ষিত।বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষরা গ্রন্থগত বিদ্যা আর মধ্যে পড়ে থাকে।তারা মুখস্থ বিদ্যা ছাড়া কিছুই বোঝে না। এতে করে তারা জীবনে সফল করতে পারলেও মানবিক বিকাশটা পরিপূর্ণভাবে গড়ে ওঠে না। এই আধুনিক যুগে বাবা মা রা অন্যদের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চচাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাদের মতে ছোটবেলা থেকে চাপ সৃষ্টি না করলে তাহারা মানুষ হতে পারবে না । এতে করে বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তা শক্তির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাদের ভিতর কোনো প্রকার রস থাকে না। আর এই নিরস চিন্তাভাবনার জন্য তারা শিক্ষাকে ভালো হবে কাজে লাগাতে পারে না। কল্পনা চর্চা করতে না পারলে তার স্বাভাবিক বিকাশ কখনোই ঘটে না। বাহির সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলে শুধুমাত্র মুখস্ত বিদ্যার জোরে যতই অর্থ উপার্জন করা হোক না কেন আপাতদৃষ্টিতে তার কোন দাম নেই। কারণ শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্জন করার জন্য না নিজের মনুষ্যত্বকে বিকাশিত করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে কেউ তা করেনা ফলে শিক্ষার হেরফের সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রন্থগত বইয়ের পাশাপাশি বাহিরের সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কেবল প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব। শিক্ষিত মানুষ হয়ে যদি আশেপাশে মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারি তাহলে সেই শিক্ষাগ্রহণ টা নিরর্থক। কারণ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন। বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া সাহিত্য চর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতারা বাচ্চাদের এসব পড়তে দেয় না। ফলে তারা মানসিক বিকাশে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Zahid Hasan Fahim -
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে । একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। আর এসব জ্ঞান কেউ শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকে নিতে পারে না। এ জন্য সকলের উচিত পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বইও পড়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।এদেশের বেশির ভাগ বাবা- মায়েরা মনে করে তাদের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবই ব্যাতীত অন্য বই পড়া মানে হচ্ছে সময় নস্ট করা।যাতে তা না করতে পারে এ জন্য পাঠ্যবই ছাড়া তাদের অন্য কোন বই পড়তে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা এতে করে তার জ্ঞান এর পরিধীও বাড়বে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md.Tofajjol hossain -
বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে , কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না , তা চিরকাল হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে ।
জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।একজন মানুষ ঠিক তখনই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান- ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধটি পড়ে বুঝতে পারি, এদেশের বেশির ভাগ মানুষ যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা শুধু অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কেউ গ্রহন করে না।রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অনেকটা মতবাদমুক্ত। জীবনকেন্দ্রিক বিষয়ের সেখানে প্রাধান্য ছিল। শুধু তাত্ত্বিক বা কেতাবি জ্ঞান নয়; হাতে-কলমে কিছু কর্মমুখী শিক্ষারও ছিল সেখানে। শিক্ষা শুধু অর্থ উপার্যনের পথ না হয় এবং তাতে যেন জ্ঞান লাভ হয় এই দিকটাও খেয়াল রাখা উচিৎ প্রতিটি মানুষের। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, অধিকাংশ মানুষ পুথিগত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষার থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে,, বিদেশি ভাষায় শিক্ষা অর্জন করে তারা উপার্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন তার " শিক্ষার হের ফের" প্রবন্ধ দ্বারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Md Omor Faruk -
"শিক্ষার হেরফের - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর"

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ শিক্ষার হেরফের ' প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে।আমাদের দেশে শিক্ষাথীদের ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়বার জন্যে বাধ্যবাধকতা করা হয়। যার ফলে আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির চিন্তা ধারা ছোট থেকে গড়েতুলতে পারি না, ফলে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারিনা। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র শিক্ষাগ্রহণ করাটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয় এতে আমরা কি এতে আমরা কি সঠিক শিক্ষা পাচ্ছি কিনা তা বিবেচনা করা হয় না। আমরা কেবল জীবিকার জন্য ধরাবাঁধা শিক্ষা গ্রহণ করছি ফলে প্রকৃত কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে রয়েছে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান বিকাশের সুযোগ কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবারের জন্য আমাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের থেকে দূরে রয়ে গেছি। তাই সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য আমাদের সমাজব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা একান্ত জরুরী। জীবনে সাফল্তার জন্য সবাইকে পুথিগত নয় বরং প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠতে হবে।কবি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার হেরফের-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Salman Rahman -

বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না । কিন্তু শুধু বই পড়লেই শিক্ষিত হওয়া যায়না । বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষরা গ্রন্থগত বিদ্যার মধ্যে পড়ে থাকে। তারা মুখস্থ বিদ্যা ছাড়া কিছুই বোঝে না। কিন্তু একজন মানুষ ঠিক তখনই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় যখন তার জ্ঞান ধারণা শুধু মাত্র পাঠ্য বই বা উদ্দেশ্য মূলক শিক্ষাগ্রহণ সহ বাইরের জগৎ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বা ধারনা নিতে সক্ষম হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " শিক্ষার হেরফের " প্রবন্ধ মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার রুপ তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের দেশের শিশুদেরকে তাদের শৈশবকাল থেকেই অত্যাবশ্যক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের বাহ্যিক বৃদ্ধি তো হতে থাকে কিন্তু যথেষ্ট মনের বৃদ্ধি হয় না। আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা অর্জন করছি। তবে মনুষ্যত্ব বিকাশ ঘটানোর জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান অর্জন করা অত্যাব্যশকীয়। এতে করে বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পাবে ।  মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু আমরা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাহিরের জগৎ এর জ্ঞান অর্জন করবো, যা আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।