Art of Living

শিক্ষার মাইন্ডসেট

শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Muhammad Sajidul Islam -
Number of replies: 148

Write your opinion on the article on Education Mindset within 100 words


https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md. Habibur Rahman (ShanTo) -
পেছনের সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্তমান ব্যবস্থা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলে আমরা একটা জিনিস খুব সহজে খুজে পাবো সেটি হচ্ছে বংশ পরম্পরায় কর্মব্যবস্থা ধরে রাখা। দাদার অবস্থানে বাবা আর বাবার অবস্থানে ছেলে ঐতিহ্যকে ধরে রেখে চলেছে। কিন্তু এই পরম্পরা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মাইন্ডসেট। আমরা অনেকেই হয়তো ভেবে থাকি আমি রিক্সাওয়ালার ছেলে রিক্সাওয়ালা হবো। আর এই ভাবনা আমাদেরকে অনেকটুকুই এগিয়ে দেয়, যদিও আমরা তখনও রিক্সা সম্পর্কে কিছু বুঝিনা। তার মানে এই না যে তাতির ছেলে একজন দক্ষ জেলে হতে পারবেনা। এটা হতে পারবে শুধুনাত্র মাইন্ডসেটের মাধ্যমে। যদি মনের ইচ্ছা প্রবল হয়, আর তীব্র ভালোবাসা, আন্তরিকতা থাকে তাহলে মনের স্বাদ জুগিয়ে যে কেউ তার সাফল্যের চরম শিখরে পৌছাতে পারবে। এমন অনেক সময়ই দেখা যায় আমরা হয়তোবা মেডিকেল সায়েন্সে পড়ি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, কিন্তু আমরা গ্র‍্যাজুয়েশনে পড়ে অনেকে নিজেকে অন্য বিভাগে ট্রান্সপার করি। কেউ প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার হতে চায় কেউবা অন্য কিছু। আমরা যদি নিজের বিভাগে থেকে নিজেকে পরিপূর্ণ না ভাবি এতে করে আমাদের যে মানসিকতা সেটিও নষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে আমরা ভালভাবে দক্ষ হতে পারবোনা। এতে করে আমাদের কাছে মনে হবে দেশে ভালো চাকুরি নেই, আর চাকুরি প্রদানকারীরা খুজে পাবেনা দক্ষ কর্মী। এখানে এক ধরনের গোলযোগ বেধে যাবে। মোট কথা আমাদের কাজ করবার আগেই সেখানে মাইন্ডসেটটা আগে বসাতে হবে। কথায় আমরা অনেক সময় বলে থাকি 'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না' । তানাহলে আমাদের যে সনদ বা দক্ষতা সব কিছুর আয়োজন অনর্থক হয়ে যাবে। সব চাইতে বড় বিষয় হচ্ছে চাকুরি দানকারী প্রতিষ্ঠান এবং গ্র‍্যাজুয়েটদের মধ্যে একটি সমন্বয় করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Shanto Karmoker -
জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য, আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন এবং গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে সন্তানদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হওয়ার জন্য। কিন্তু একবারও লক্ষ্য রাখা হয় না সন্তান কিসের উপর বেশি ইন্টারেস্টেড। সেজন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট করা সম্ভব হয় না। মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। আমাদের মাইন্ডসেট এর সমস্যার জন্যই হয়তো গ্রাজুয়েশন শেষে সকলে বিসিএস এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। গ্রাজুয়েটরা কমপ্লেন করে তারা জব পাচ্ছে না। আর যারা জব দিবে তারা বলে যে তারা যোগ্য মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আমাদের নিজেদের দক্ষতা অর্জনের জন্য এবং নিজের মনের তৃপ্তির জন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মাইন্ডসেট তখনই সম্ভব যখন আমরা কি চাচ্ছি সেটা আমরা করতে পারবো। অনেকেই আছে অনেক ভালো জব করে কিন্তু তৃপ্তি পাচ্ছে না। কারণ তার মাইন্ডসেট হয়নি, তাই সে মনোযোগ দিতে পারছে না। তাই শিক্ষার মাইন্ডসেটে নিজের আত্মিক তৃপ্তিটা কে প্রাধান্য দিতে হবে এবং সকলের দৃষ্টি ভঙ্গি, মানসিকতা পরিবর্তন আনতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jannatul Maoa -
মাইন্ডসেটআপ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমাদের একটা ধারণা থাকে পূর্বপুরুষ যা করে পরবর্তী প্রজন্ম তাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে।এতে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ থাক বা না থাক।যেমন কোন ময়রা যদি মিষ্টি ভালো বানিয়ে থাকে তবে তার ছেলের যদি প্রশিক্ষণ না থাকে তাও আমাদের একটি ধারণা থাকে তার ছেলের মিষ্টি ও ভালই হবে । এরকম এক প্রকার ধারনাতেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে।কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত যদি এটি ঘটে থাকতো তবে পেশার বৈচিত্রতা কোনদিন ঘটতো না । বাংলা একটি কবিতার আছে সেখানে ছেলে তার মাকে বলছে,মা রাজি হলে সে খেয়া ঘাটের মাঝি হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে তার পূর্বপুরুষ মাঝি ছিল যার ফলে মাঝি হওয়াতে তার মাইন্ডসেটআপ হয়ে গেছে। এতে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু কাজের প্রতি তার আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আছে যা দক্ষতা তৈরি পূর্বশর্ত। আমাদের ছাত্ররা লেখাপড়া করছে এক বিষয়ে কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি করছে অন্য কাজে। তাদের মধ্যে মাইন্ডসেট নেই কারণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য চাকরি করা যার ফলে কেউ বা ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনে চলে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের দেশে যখন কোনো দরকার হয় তখন বিদেশ থেকে লোক এনে সে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mst. Bushra Khatun Sumaiya -
আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, ময়রার সন্তান ময়রা,জেলের জেলে,রিকশাচালকের সন্তান রিকশাচালক।কিন্তু আদৌ কি তাই ই হয়! হ্যা এটা অবশ্যই স্বাভাবিক যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে যতটা জানবে,একজন দিন আনি দিন খায় রিকশাওয়ালার সন্তান সেটা জানবে না।এবং একই ভাবে একজন ময়রার সন্তান জানবে না যে কিভাবে তাঁতে কাপড় বুনতে হয়।কিন্তু যতক্ষণ না তাদের মাঝে এই মাইন্ডসেটটার সৃষ্টি হয়।আমাদের চারিপাশে এমন উদাহরণের শেষ নেই। অনেক রিকশাচালকের সন্তান বড় ডাক্তার হন শুধু মাত্র তার দৃঢ় মাইন্ডসেটের জন্য। আবার অনেক ডাক্তারের সন্তান ও সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবে বুঝতেও পারে না যে সে কি হতে চায় বা তার মাঝে কোন দক্ষতা টা আছে সেটাই সে বুঝতে পারে না।

এখন আমরা আসি এই যে মাইন্ডসেটের সাথে আমাদের জীবন কতটা রিলেটেড। লক্ষ্য করবেন,একজন ময়রার সন্তান কিন্তু স্বভাবতই জানবে যে কিভাবে মিষ্টি তৈরি করতে হয়, এটা তার স্বভাবত অর্জন।কিন্তু যখন একজন ময়রার সন্তান তার বংশ পরম্পরাকে পেছনে ছাড়িয়ে অন্য যেকোনো পেশায় সফল হয়,তখন সেটা একান্তই তার মাইন্ডসেটের দরুন।

মাইন্ডসেট বিষয়টা কিন্তু একদিনে হয় না।আমরা আমাদের পাঠ্যপুস্তকের মাঝে নিজের মাইন্ড সেট করতে পারি না বলেই,গ্র্যাজুয়েট হবার পরেও আমাদের হাত শূন্য। আমরা বেকার। কিন্তু কেন?অথচ,আমাদের জনশক্তি আমদানি করতে হয়।এই ১৬ কোটির দেশে কি জনসংখ্যার খুব অভাব?না।আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষার অভাবে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে বোঝা মনে করছি।এই অভাবে আমাদের এতো বেকারত্ব। যদি আমাদের মাঝে সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা থাকতো,তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম।

শুধু মাত্র সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা,দক্ষতা -যোগ্যতার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা টেকনিক্যালি স্কিলড ম্যান পাওয়ার ক্রিয়েট করতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Shayma Aziz -
উপরের "শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন " এই আর্টিকেল টি থেকে আমরা প্রথমত এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সমই আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানষিকতা। তবে মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর এভাবেই সে তার মাইন্ডসেট তৈরি করে নেয়।
পার্সিয়ান কবি রুমি একবার লিখেছিলো, গতকাল আমি চতুর ছিলাম, তাই আমি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। আজ আমি জ্ঞানী, তাই আমি নিজেকে পরিবর্তন করছি। তার মানে বুঝা যাচ্ছে নিজের মাইন্ডসেট তৈরি করা আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
একজন শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী, তবে তাকে যদি সেদিকে না রাখা যায় তাহলে দেশে যে পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবার কথা স্বাভাবিকভাবেই তা হবে না। কারন জোর করে কোনো কিছু করা সম্ভব না। হয়ত সে পারবে কিন্তু সে জিনিসটা আনন্দের সাথে করতে পারবে না, ভালবাসার সাথে করতে পারবে না। আর আমরা জানি পড়ালেখাটা হচ্ছে আনন্দের জায়গা, ভালবাসার জায়গা। তাই আমার মতে যার যার মাইন্ডসেট তার নিজেরি তৈরি করে নেয়া উচিত। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী, ভবিষ্যতে, আমিও বাবার মতো একজন ব্যবসায়ী হতে চাই না বলে, আজ আমি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছি।তাই বলে আমার বাবার কাজকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমি কোনো কাজকেই ছোট মনে করি না। আমি বোঝাতে চেয়েছি যার যার অবস্থান থেকে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তার নিজের মাইন্ডসেট তার নিজেরি তৈরি করতে হবে। তার ঔ মাইন্ডসেটে সে যাতে আনন্দ পায়, ভালবাসা পায় সে দিকটা তার দেখতে হবে। তাহলেই সে একদিন অনেক বড় হতে পারবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Fairuj Maliha -
মাইন্ড সেট শিক্ষা- এই শব্দটি বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে ব্যাবহার করা হয় নাকি সেটাই ভাবার বিষয়। তারপর আসি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কথায়। একটা দেশ ঠিক তখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে যখন তার প্রত্যেক টা মানুষ তার নিজ নিজ যোগ্যতা দ্বারা তার পচ্ছন্দের কাজ করে দেশের জন্য ভালো কিছু প্রদান করতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষার অগ্রগতির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা গ্রহণ করছে বাধ্যবাধকতা স্বরূপ। মাইন্ডসেট শিক্ষার প্রধান বাধাদাতা হচ্ছে শিক্ষর্থীদের বাবা মায়েরা,, সবারই প্রধান উদ্দেশ্য টাকা উপার্জনের জন্য শিক্ষা নেওয়া। কিন্তু এই ব্যাবস্থা যদি একটু ভিন্ন রকম হতো, যদি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের তাদের ইচ্ছে মতো স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া,,তাদের চাওয়াটাকে প্রাধান্য দেওয়া। এরকম ব্যবস্থা থাকলে হয়তো বাংলাদেশের উন্নয়ন আরো শত গুনে বেড়ে যেত। শিক্ষার মাইন্ড সেট এর ক্ষেত্রে আরেকটা প্রধান বাধা দিচ্ছে সমাজ ব্যাবস্থা। আমাদের সমাজের নিয়ম অনুসারে ব্যাক্তি তার পূর্ব পুরুষ অনুযায়ী শিক্ষার অগ্রগতি লাভ করবে। এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু দেশ আর মানুষের জীবন উন্নয়নের জন্য সব কিছুরই পরিবর্তন আনা জরুরি। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ড সেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক টা মানুষকে যেন তার স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া হয় এটারই মূল লক্ষ্য শিক্ষার মাইন্ড সেট।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Aisha Siddika -
আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। উদাহরণ স্বরুপ- যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেকে প্রকৌশলী পড়েও বিসিএস এর পেছেনে ছুটে পুশিল হতে চান। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে নিজেকে তৈরি করবে।এক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবেই আজ চাকরি পাচ্ছেনা।
তাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনা অত্যাবশ্যক।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Humayra Asima Mim -
আমাদের সমাজব্যবস্থা পেশাগত দিগ দিয়ে আগের যেমন ছিল এখন তেমন। মানে বংশক্রমে করম বাব স্থা ধরে রাখা। মানে জেলের ছেলেকে জেলে হতে হবে আর তাতির ছেলেকে তাতি হতে হবে। কিন্তু একটা জেলের ছেলে একজন দক্ষ তাতি হতে পারে। এই সমাজব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে একটা জিনিস দরকার আর সেটা হল মাইন্ডসেট । এই mindset এর অন্যতম কারণ হলো পেশার পারিবারিক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা। মাইন্ডসেট গরে উঠে বলে একজন মানুষ কোন প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ছাড়া একটা জিনিশ এ সাফল্য পেতে পারে। যদি কোন কাজ এর প্রতি ভালবাসা থাকে, তাহলে যে কেও সাফল্য হবে।তাই শিক্ষা এর প্রতি আগ্রহ যদি না থাকে তাহলে শুধু traditional শিক্ষা এর সনদ দিয়ে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যাবে না। আজকাল মানুষ মাইন্ডসেট ছারাই মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশুনা করে। ফলে গ্র‍্যাজুয়েশন এর আগে তারা বিভাগ পরিবর্তন করে। মাইন্ডসেট থাকে না বলে অনেক এমবিবিএস ডাক্তার আজ বিসিএস দিয়ে প্রশাসন এ যেতে চান। মানে শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসিকতা গরে উঠেতে পারে নাই। ফলে ডিগ্রি দেওয়া হলেও দেশের উন্নয়ন এ যে ধরনের লোক দরকার তা তৈরি হচ্চে না। ফলে ডিগ্রি প্রাপ্ত বেকার এর সংখ্যা দিন দিন বারছে। আমরা যদি মাইন্ডসেট না করে যে কোন একটা বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেই তাহলে আমাদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাইন্ডসেট একটা গুরুত্তপূর্ণ অংশ। তানাহলে আমাদের সনদ এর কোন মুল্লায়ন থাকবে না। যদি আমাদের মাঝে সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা থাকতো,তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম। তাহলেই সে একদিন অনেক বড় হতে পারবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Israt Jahan Bristy -
ছাত্ররা লেখাপড়া করছে এক বিষয়ে কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি করছে অন্য কাজে। তাদের মধ্যে মাইন্ডসেট নেই কারণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য চাকরি করা যার ফলে কেউ বা ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনে চলে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের দেশে যখন কোনো দরকার হয় তখন বিদেশ থেকে লোক এনে সে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Saima Shila -
পৃথিবীর অনেক দেশে স্কুল পর্যায়েপাঠ্যসূচিতে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা, বিরূপ পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাওয়াতে বাস্তব জ্ঞান অর্জনে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, পাঠ্যসূচির ব্যাবহারিক অংশে সেগুলো সমাধানের উপায় সংযোজিত হতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে। এটি শুধু যে চালকের অদক্ষতা ও যানবাহনের ত্রুটির কারণেই সংঘটিত হচ্ছে তা নয়, পথচারীদের অসাবধানতা ও আইন না মানাও এর একটি বড় কারণ। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুকে রাস্তায় চলাচল ও পারাপার, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলার পদ্ধতি রাস্তায় নিয়ে সরেজমিনে শেখানোর বিষয়টি প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ইদানীং বজ্রপাতে মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। গ্রাম-শহর সব জায়গায়ই বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে আসছে। বৃষ্টির দিনে বৈরী আবহাওয়ায় একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে সারা দেশে ব্যাপক হারে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন করা যেতে পারে পাঠ্যসূচির মাধ্যমে।পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও পরীক্ষাপদ্ধতি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই দেশের কনটেক্সটকে, প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেমন পরিবেশে বেড়ে উঠছে, সেটি একটি বিবেচ্য বিষয়। তা না হলে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আওতায় আনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। দেশীয় ও বৈশ্বিক চাহিদার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সেই পরিবর্তনের কাজটি গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়ে হওয়ার কথা। মালয়েশিয়া তাদের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কিউএস র্যাংকিংয়ে ৩০০-এর মধ্যে আনতে পেরেছে, যেখানে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাঠদানের পাশাপাশি গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানচর্চার কাজটি কতটুকু করতে পেরেছে, সেটি ভাবার বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পার হয়ে। এগুলোর সঙ্গে শিক্ষাক্রমের একটি সামঞ্জস্য থাকা উচিত। কারণ এ শিক্ষাব্যবস্থা টেকনোলজি বেইসড নয়। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই, আমরা যে ডিজিটাল বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা ভাবছি, সেটি বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পঠন ও পাঠনে পরিবর্তন আনতে হবে, টেকনোলজির সংযোগ ঘটাতে হবে। আমাদের দেশে যেমন শিক্ষিত বেকার আছে, তেমনি আবার দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। কাজেই শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, প্রযুক্তিভিত্তিক করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যায়। আবার শুধু প্রযুক্তিনির্ভর করলেই হবে না, শিক্ষিতদের মানবিক হতে হবে, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে হবে। কাজেই কারিকুলাম তৈরি করা অত্যন্ত দুরূহ একটি কাজ। এটি হুট করে বা কয়েকজন মিলে তৈরি করলেই হবে না। এখানে সব স্টকহোল্ডারের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যমে করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে ফরমাল, ইনফরমাল ও নন-ফরমাল—এই তিন ধরনের শিক্ষাই শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃত। শুধু বিদ্যালয়ে যাতায়াত করলে ও পড়লে পুরো বা আদর্শ শিক্ষা অর্জিত হয় না। মানুষ বিভিন্নভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষা ও দক্ষতা একটি অপরটির পরিপূরক। একটি ছাড়া অন্যটি পঙ্গু। ‘লার্নিং বাই ডুয়িং’ পদ্ধতির প্রবর্তন এ ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে বলে আমাদের বিশ্বাস। শিক্ষার শেষে দেশগড়ার কাজে একজন আদর্শ নাগরিকের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকা প্রয়োজন তা যখন তারা কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে ও উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।তখনই একজন আদর্শ শিক্ষকের মূল উদ্দেশ্য হবে সফল এবং সার্থক, অর্জিত হবে তাঁর লক্ষ্য ।
হচ্ছে কি তেমনটি? পাচ্ছি কি প্রত্যাশিত উৎপাদন শিক্ষকদের থেকে? না পাবার কারণ কী? কীভাবে তা অর্জন করা সম্ভবসুশিক্ষার কারিগর পেতে হলে এবং মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হলে দরকার। এই বিশেষাযিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টের মধ্যে জানতে হবে।

জানতে হলে শিখতে হব, শিখতে হলে পড়তে হবে, আর পড়তে হলে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Golam Mohammad Rifat -

আমাদের সবার কাছে  মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে  আমার বাবা যা ছিল আমি তা হবো। বা আমি যা আছি আমার ছেলে তা হবে। যেমন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষ,  বিজনেসম্যান এর ছেলে বিজনেস করবে। রিক্সা চালকের ছেলে রিক্সা চালাবে। এই টা সিম্পল যে এক জন বিজনেসম্যান এর ছেলের বিজনেস নিয়ে ভালো আইডিয়া থাকবে যা রিক্সা চালকের ছেলের থাকবে না। তাই বলে যে রিক্সা চালকের ছেলে বিজনেস করতে পারবে না এমনটা না। এর জন্য তাকে চ্যাঞ্জ করতে হবে মাইন্ডসেট।  আমরা তখনি লাইফে ভালো কিছু করতে পারবো যখন আমাদের মাইন্ডসেট ভালো হবে।  আমরা একটা বিষয়ের উপড়  পড়া-শোনা করি গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করতেছি।  বাট চাকরি ইন্টার্ভিউ দিয়ে যেয়ে ফেল হচ্ছি। বা আমি যে উপড় গ্রাজুয়েট কম্পলিট করছি তা তে চাকরি পাচ্ছি না।  তখন অন্য জায়গায় চাকরি খোজতে যেয়ে পাচ্ছি না। আমরা যদি আমাদের মাইন্ডসেট ভালো ভাবে ঠিক করি তাহলে এই সব প্রব্লেম শলভ করতে পারবো।  আর এতে আমাদের দেশর জনগণ জনশক্তি তে পরিণত হবে।

এতে দেশ ও জাতি উন্নতি হবে। বেকারত্ব দূর হবে। দেশের বাহিরেও জব পাবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sonia Akter Rumi -
আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। উদাহরণ স্বরুপ- যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেকে প্রকৌশলী পড়েও বিসিএস এর পেছেনে ছুটে পুশিল হতে চান। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে নিজেকে তৈরি করবে।এক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবেই আজ চাকরি পাচ্ছেনা।
তাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনা অত্যাবশ্যক।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Biplob Dutta -
আমরা যদি আমাদের পুরাতন সমাজব্যবস্থার দিকে দৃষ্টি দিই তাহলে দেখতে পাবো, আমাদের জীবিকা নির্বাহ ছিল বংশ পরম্পরায়। পূর্বপুরুষের জীবিকা অর্জনের পথকেই বেছে নিত নতুন বংশধর। এমনকি এখনো আমাদের সমাজে এই ধরণের মানসিকতা বিরাজমান। যদিও বংশের জীবিকার সাথে পরিচয় হয় শিশু বয়স থেকেই এবং নিজের অজান্তেই একজন মানুষ তার পূর্বপুরুষের জীবিকা কিছুটা হলেও আত্মস্থ করতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে তাকেও ঐ পথেই যেতে হবে। এমন হলে সমাজের কেন্দ্রিক হয়ে পড়ার যুঁকি আছে।
যদি কোন ব্যক্তি তার পুরতান বংশপরম্পরা থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু করতে চাই, তার জন্য সব থেকে বেশি দরকার তার মানসিক সিদ্ধান্ত। মাইন্ড সেটাপের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তি তার নিজের গন্ডিকে ছাড়িয়ে আসতে পারে। এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও অনেক সময় সাফল্য পাওয়া যায়। এমন উদাহরণও আছে। তবুও যদি আমরা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে একবার নজর দিই তাহলে দেখা যাবে ব্যাপারটা কিছুটা উল্টে গেছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষার্থীর বদলে শিক্ষার্থীর পরিবার ঠিক করে দেয় কোন বিষয় নিয়ে সে পড়বে। অথচ ঐ শিক্ষার্থীর উক্ত বিষয়ের প্রতি কোন আগ্ৰহই নেই। আগ্ৰহ নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার উপর। আর মানসিকতা আমাদের ভালো লাগা থেকেই সৃষ্টি। কোন শিক্ষার্থী সেই বিষয়ের প্রতি আগ্ৰহী হবে যা তার ভালো লাগে এবং তাহলেই সে নিজের মাইন্ডকে সেট করে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যে বিষয়ের প্রতি কোন আগ্ৰহ ই নেই সেখানে মাইন্ড সেট কীভাবে সম্ভব? ফলস্বরূপ যা হয় তা হলো, শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে সাইন্স নিয়ে গ্ৰাজুয়েশন করা ব্যক্তি ব্যাংকার হয়। অথচ সে কখনো এ বিষয়ে পড়াশোনা করেনি। আমাদের কর্মক্ষেত্রগুলোতে নাকি যগ্য ব্যক্তির অভাব। অভাব তো হবেই, যার ব্যাংকে চাকরির যোগ্যতা আছে সে গেছে টেকনিক্যাল ফার্মে। আর ঐখানকার উপযুক্ত ব্যক্তি গেছে ব্যাংকে। আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তবুও আমাদের এই অবস্থা। কারণ আমরা আমাদের মাইন্ডটাকে আমাদের সাবজেক্টের সাথে সেট করে উঠতে পারি না। এর কারণ হলো ঐ সাবজেক্টে আমাদের আগ্ৰহ নেই। যে ব্যক্তির মানসিকতা ভাত খাওয়ার তাকে দামি ফাস্টফুড দিলেও তা তার জন্য উপযুক্ত হবে না। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষত্রে উচিত আমাদের মাইন্ডসেট করা এবং তার জন্য নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী সাবজেক্টে নির্বাচন করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sabrina Ahasan Reeti -
উল্লেখিত 'শিক্ষার মাইন্ডসেট' আর্টিকেল থেকে আমরা এটা বলতে পারি যে,প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল, সেটি হলো মানসিকতা। এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা সম্পর্কে অনেক সময়ই বলি, একটি জায়গায় আটকে থাকব না, বের হয়ে যাব। এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কথার পেছনে আরেকটি সত্য লুকিয়ে থাকে। সেটি হলো 'মাইন্ডসেট'। মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা।জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য, আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন এবং গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে সন্তানদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হওয়ার জন্য। কিন্তু একবারও লক্ষ্য রাখা হয় না সন্তান কিসের উপর বেশি ইন্টারেস্টেড। সেজন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট করা সম্ভব হয় না। মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। আমাদের মাইন্ডসেট এর সমস্যার জন্যই হয়তো গ্রাজুয়েশন শেষে সকলে বিসিএস এর দিকে ঝুঁকে পড়ে।মাইন্ডসেট থাকে না বলে অনেক এমবিবিএস ডাক্তার আজ বিসিএস দিয়ে প্রশাসন এ যেতে চান। মানে শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসিকতা গরে উঠেতে পারে নাই। ফলে ডিগ্রি দেওয়া হলেও দেশের উন্নয়ন এ যে ধরনের লোক দরকার তা তৈরি হচ্চে না। ফলে ডিগ্রি প্রাপ্ত বেকার এর সংখ্যা দিন বারছে। আমরা যদি মাইন্ডসেট না করে যে কোন একটা বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেই তাহলে আমাদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে।কিন্তু যদি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের তাদের ইচ্ছে মতো স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া হয় তাদের চাওয়াটাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তবে সহজেই জনগণকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।তাই শিক্ষার মাইন্ডসেট গড়ে তুলতে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে, সকলের দৃষ্টি ভঙ্গি এবং মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sharmin Nahar Shathy -
শিক্ষার মাইন্ডসেট ঃ-
মাইন্ডসেট মানে মানসিকতা। কোনো বিষয়ের প্রতি শুরু থেকেই লক্ষ্য স্থাপন করাকে মাইন্ডসেট বলে।
মাইন্ডসেট বা লক্ষ্যনির্ধারণ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় সন্তান দের লক্ষ্য নির্ধারক হিসেবে বাবা-মার ভূমিকা সবথেকে বেশি। যার বিরূপ প্রভাব পরছে সন্তানদের পছন্দ অপছন্দের উপর। যার কারনে তারা নিজেদের পছন্দের লক্ষ্য ছেড়ে বাবা-মার লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সর্বস্ব হারায়।
আবার আমাদের বর্তমান সমাজে একটা প্রথা প্রচলিত রয়েছে "আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, ময়রার সন্তান ময়রা,জেলের জেলে,রিকশাচালকের সন্তান রিকশাচালক"। আমাদের এই চিন্তা চেতনা থেকে বার হয়ে আস্তে হবে। সন্তানদের নিজেদের পছন্দের মতো মাইন্ডসেট করতে দিতে হবে। তবে তারা তাদের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে পারবে এবং জীবনে সফলতা অর্জন করবে।
শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।
সঠিক মাইন্ডসেটের মাধ্যমে দেশ, দশ ও রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা সম্ভব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nahin Afrose -

জ্ঞানের পিতা সক্রেটিস থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অনেক দার্শনিক, চিন্তাবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদ শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করে গেছেন, করছেন। তবে আজও তারা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো অভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের মধ্যে তিন ধরনের মতবাদ লক্ষ্য করা যায়।কাজেই অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দান অসমীচীন। আর এক শ্রেণির দার্শনিকগণ বিশ্বাস করতেন যে, বিদ্যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত্ আয়-বাড়িয়ে দেয়, কাজেই অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দেওয়া ন্যয়সঙ্গত। তৃতীয় মতবাদের প্রবক্তারা মনে করতেন বিদ্যার জন্য, অর্থের ঠিকই প্রয়োজন আছে। তবু বিদ্যাকে অর্থের দাসে পরিণত করা মোটেও বাঞ্ছনীয় হবে না।

শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, ধর্মীয় অনুশাসনের অনুমোদিত পবিত্র কার্যক্রমের মাধ্যমে সুখ লাভ করা। কমেনিয়াস-এর মতে, শিশুর সামগ্রিক বিকাশই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আর মানুষের শেষ লক্ষ্য হবে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে সুখ লাভ করা।


অন্যদিকে যারা শিক্ষার উদ্দেশ্যের সঙ্গে ধর্মকে এক করে দেখেননি অর্থাত্ যারা সাধারণভাবে শিক্ষার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ হার্বার্ট, জনলক, জনডিউক, পার্কার প্রমুখ দার্শনিক ও শিক্ষাবিদগণ।


শরীর ও আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ও উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবই শিক্ষার উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায়, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেসব গুণাবলীর যথাযথ বিকাশ সাধন যেসকল গুণাবলী নিয়ে একটি শিশু এই পৃথিবীতে আগমন করেছে। অন্যদিকে শুধু পয়সা উপার্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। তবে এটা পরোক্ষ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রত্যক্ষ বা আসল উদ্দেশ্য হবে জ্ঞানদান ও জ্ঞান আহরণ।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sajia Afrin -
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা নির্দষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত এবং সেটা নির্ভর করা উচিত তার ইচ্ছাশক্তির উপর। কিন্তু আমাদের পূর্ববর্তী এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে বিষয়টি প্রতীয়মান হয় সেটি হচ্ছে আমাদের জীবনের লক্ষ্য বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে আমাদের অর্জিত শিক্ষাটা আত্নকেন্দ্রিক না হয়ে 'সাটিফিকেট' কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দেশে যে মানের জনশক্তি তৈরি হওয়ার কথা ছিলো এবং সামর্থ তৈরী হওয়ার কথা, সেই লক্ষ্য ব্যহত হচ্ছে। ছোটবেলায়ই আমাদের উপর পরিবার থেকে একটা লক্ষ্য চাপিয়ে দেওয়া হয়। বাবা মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে যেয়ে আমরা ভুলেই যাই যে আমার নিজের কিছু চাওয়া থাকতে পারে! আর এই কারনেই আমাদের মানসিক বিকাশটা হয় না। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তিই পারে মানুষকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে। সুতরাং সর্বপ্রথম আমাদের মাইন্ডসেট করতে হবে যে 'আমি কি চাই?' কোন পেশায় গেলে আমি মন থেকে কাজ করতে পারবো,নিজের আত্নিক প্রশান্তি জাগ্রত হবে। আমার দাদা,বাবা কি ছিলো! আমাকেও তাই হতে হবে! এই ভ্রান্ত ধারণা আমাদের বদলাতে হবে, নিজের ইচ্ছাশক্তির প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই বদলে যাবে সমাজের এই ধারাবাহিকতার রীতিনীতি। মানসিকতায় ও আসবে পরিবর্তন এবং তৈরী হবে দক্ষ জনশক্তি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sadia Afrin Tama -

শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন। 

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বংশ পরম্পরায় কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। যেমনঃ ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ময়রার ছেলে ময়রা, রিকশা চালকের ছেলে রিকশাচালক। এভাবে যদি পেশার বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তাহলে বিশাল জনগোষ্ঠীর এদেশ উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারবে না। একজন কৃষকের সন্তান মাইন্ড সেটের মাধ্যমে আগ্রহের জোরে, দক্ষতা ও পরিশ্রমের সাথে নিজের অবস্থান করে নিতে পারে। 

আর একটি বিষয় প্রাচীন কালে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিলো সেটি হলো মানসিকতা, দৃঢ় মানসিকতা, পরিশ্রম এর মাধ্যমেই লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব। 

লোকে কি বলবে তা না ভেবে নিজের আত্মিক তৃপ্তিকে প্রধান্য দিয়ে মাইন্ডসেট করতে হবে।   


          

             

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Rayhan Sobhan -
প্রতিটি কাজ করার জন্য মাইন্ডসেট খুবই জুরুরি। মাইন্ডসেট সঠিক না হলে কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা যায় না।তাই প্রতিটি কাজ করার পূর্বে মাইন্ডসেট এক বিশাল তাৎপর্য বহন করে থাকে।
আমরা অনেকেই ভেবে থাকি জেলের ছেলে জেলে তাতির ছেলে তাতি ইত্যাদি বংশ পরম্পরায় চলে আসছে।আসলে বিষয়টি ওইরকম না।জেলের ছেলে পড়াশুনা করে অন্য কোন পেশায় যেতে পারে।যদি মনে তীব্র ইচ্ছা,আন্তরিকতা, আকাঙ্ক্ষা থাকে তবে সে কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে সেইটা দেখার বিষয় না। আমাদের ভিতরে অনেকেই স্কুল,কলেজ দুই জায়গায়ই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করে কিন্তু ভার্সিটিতে গিয়ে বিভাগ পরিবর্তন করে ফেলে।আবার অনেকেই ভার্সিটি তেও বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করে চাকরির সময় বিসিএস,ব্যাংক জব ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এইসকল উদাহরণ দিয়েই বোঝা যায় আমাদের ভিতরে শিক্ষাকে নিয়ে যেই মাইন্ডসেট থাকা দরকার ছিল তার অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে। আমাদের উচিত আমরা যেইটাকে বেছে নিয়েছি সেই পেশাতেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা।তবেই আমাদের যেইসকল বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা রয়েছে তারা উপযুক্ত কর্মী পেতে পারবে।তা না হলে একটি দেশের ভারসাম্য হারাবে বলে আমি মনে করি।
আমাদের উচিত বড় হয়ে খালি চাকরিই করতে হবে এইরকম মনোভাব গড়ে না তোলা।বড় হয়ে যাতে উদ্যক্তা হতে পারে সেই বিষয়ে স্কুল জীবন থেকেই মাইন্ডসেট করানো।আমাদের ভিতর যদি শিক্ষার সঠিক মাইন্ডসেট থাকতো তবে আমরা আমাদের এই বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারতাম।আমাদের দেশে বেকারত্ব বলে যেই অভিশাপ রয়েছে সেইটিও অনেকাংশে মিটে যেত।তাই শিক্ষার সঠিক মাইন্ডসেট করাটা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ।এইটা ঠিক করতে পারলে তবেই আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে নিজেদের নামটি লিখাতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Abida Zaman -
প্রতিটি জাতির পেশাগত জীবনে বৈচিত্র্য তা থাকা দরকার । বৈচিত্র্য তাই পারে সেই জাতিকে উন্নয়নশীল জাতিতে রূপান্তরিত করতে । আর এই বৈচিত্র্য তা নির্ভর করে মানুষের মানসিক অবস্থার উপর । কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মানসিকতা বংশপরম্পরায় প্রবহমান ।

আমাদের সফলতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে আমাদের মানসিক অবস্থা । যে কোনো কাজ শুরু করার আগে আমাদের কে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হয় । প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে "দক্ষতার আগে আসে মানসিকতা" । তাই সর্বপ্রথম আমাদের কে অবশ্যই মাইন্ড সেট করতে হবে । এই বিষয়টিই আসলে প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য ।

আমাদের মানসিক অবস্থার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে আমাদের শিক্ষাগত জীবনে । আমরা যে বিষয়ে পড়াশোনা করছি আমরা সে বিষয়ে যদি আগ্রহ , ভালোবাসা , আন্তরিকতাই না আনতে পারি তাহলে আসলে সেই ঞ্জান মূল‍্যহীন । এবং অবশ্যই সেই শিক্ষা ব‍্যবস্থাও ব‍্যর্থ । তাই সবার আগে আমাদের কে মাইন্ড সেট করে নিতে হবে , ইচ্ছা শক্তি আনতে হবে যে কোন বিষয়ের উপর । তাহলে একমাত্র আমরা সত্যি কার অর্থে শিক্ষিত হতে পারবো । আর একটি শিক্ষিত জাতিই পারে উন্নত দেশ গড়তে ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Faria Rimi -
"শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড"। একজন শিক্ষিত জাতি পারে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে।একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই দেশের মানুষকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর সম্ভব।উপরোক্ত "শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন " নামক আর্টিকেলে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।বংশপরম্পরা,বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা এই শব্দগুলো বর্তমানে পারিবারিক গন্ডি থেকে বের হয়ে শিক্ষার মধ্যেও দেখা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগেরকালে যেমন পারিবারিক রীতি, আচার-অনুষ্ঠান বংশপরম্পরায় এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের মধ্যে দেখা যেত, বর্তমানে শিক্ষা কর্মস্থলেও যেন ঠিক সেদিকেই প্রতিফলিত হচ্ছে।যেমন ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, রিকশা চালকের ছেলে রিকশাচালক, ময়রার ছেলে ময়রা। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বর্তমানে দেখা যায় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়েও বিসিএস দিয়ে অন্য প্রফেশনে যেতে চায়।চীন,জাপান,কোরিয়ার মত দেশগুলো আজ বিশ্বের দরবারে প্রযুক্তিতে এতটা উন্নত দেশে পরিনত হয়েছে একমাত্র জনশক্তিকে সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে।আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যখন বিসিএসের পিছে ছুটে,সেসকল দেশের ছেলে মেয়েরা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু আবিষ্কার করছে।যার কারণে দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার থাকলেও, দক্ষ লোকের অভাব।এক্ষেত্রে আমাদের পরিবার, প্রতিবেশী সমাজ অনেকাংশেই দ্বায়ী। তাই আমাদের উচিত প্রথমে মাইন্ডসেট করা এবং স্ব-স্ব স্থানে দক্ষ হওয়া।আর এতেই দেশ ধীরেধীরে উন্নত দেশে পরিনত হতে পারবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sudipta Biswas -

ব্যাবসায়ীর ছেলে ব্যাবসায়ী হবে চিকিৎসকের ছেলে চিকিৎসক হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে কিছু না কিছু গুণ থাকে। তার কিছু শখ থাকে ইচ্ছা থাকে। তার শখটাই যদি তার প্রফেশন হয়, তখন সে সেই প্রফেশনে আরও প্রফেশনাল হয়ে ওঠে..  সে ওই কাজটা অনেক আগ্রহ নিয়ে যত্নসহকারে করতে পারবে। একটা মানুষ ছোট থেকে তার চারপাশে অনেক জিনিস দেখতে দেখতে বড় হয়, এর মধ্যে কিছু জিনিসের প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়। সে চায় যে আমিও ওটা করবো, আমিও ওই অবস্থানে যাবো। আমি চাই ওই ক্ষেত্রটার আরো উন্নতি হোক বা সে ভাবে, সে যদি ওই অবস্থানে থাকতো তো তার আগ্রহের জিনিসপত্রে সে নতুন রুপ দিতো।

ধরা যাক কেউ ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসে, সে তার আঁকা ছবির মাধ্যমে অনেক কিছু তুলে ধরতে চায়। সে স্বপ্ন দেখে চিত্রশিল্পী হওয়ার। কিন্তু তার বাবা-মা ডাক্তার এবং তারা চায় যে তাদের সন্তানও বড় হয়ে ডাক্তারই হবে। সে বেচারা হয়তো তার বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরনের জন্য ডাক্তার হয়েও যায়। কিন্তু ডাক্তার হয়ে যাওয়ার পর, যে সময়টা তার প্রাকটিস করে কাটানোর কথা ছিলো বা মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা ছিলো সে ওসবের মধ্যে না জড়িয়ে আবার তার রং-তুলি নিয়ে বসে পড়েছে। সে তার দু'দিকে ঠিকমতো না পারবে সময় দিতে আর না পারবে মনোনিবেশ করতে।  এভাবে আমাদের সমাজ না পাবে একজন ভালো চিকিৎসক আর না পাবে একজন পরিপূর্ণ শিল্পী।   

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Tofa Firdaosi -

প্রবন্ধটি পাঠ করলে দেখা যাবে দুইটি শব্দ বেশ কয়েক বার এসেছে। প্রথমত হলো 'মাইন্ডসেট' যার সোজা বাংলা হবে লক্ষ্য নির্ধারণ। অন্যটি হলো 'দক্ষতা ' যা ধারা কোনো কাজের সুক্ষতা বুঝায়। 

শিক্ষার মাইন্ডসেট ধারা ঠিক কি বিষয়ে পড়াশোনা হবে তার লক্ষ্য নির্ধারণ করা বুঝি। 

মানুষ উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রাণী হলে ও অনুকরণ প্রিয়তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি বলেই অনেক ক্ষেত্রে কাজ থাকলেও কাজের মানুষের হাহাকার থেকেই যাচ্ছে ! কেনো বললাম?

শিক্ষক যখন ছাত্র পড়ান তার ছোট মেয়েটা এসে দেখে , সে ভাবে একদিন তাকে ও এভাবে পড়াতে হবে অথবা তার বাবার কাছে শুনে "মা তোমাকে আমার থেকে বড় শিক্ষক হতে হবে!" কিন্তু আদৌ কি সে ভালোবাসে গণিতকে? জবাব আসে না! ঠিক তেমনই চলে আসছে ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার সহ আরো কত পেশার ক্ষেত্রে ! 

আটে পিঠে দড় তবে ঘোড়ায় চড়!!

দক্ষতা তখনই আশে যখন কাজে থাকে ভালোবাসা ,ইচ্ছা শিক্ষার আগ্রহ! কারণ অনেক ক্ষেত্রেই বংশগত পেশা বেছে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করা যায় না তাই এই অনুকরণ করা বাদ দিয়ে যে কর্মে অথবা পড়ায় ভালোবাসা আছে তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজে বা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে তবেই দক্ষ কর্মী সাথে যোগ্য হওয়া যাবে।




In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mohimenul Islam -
শিক্ষার মাইন্ডসেট যদি না থাকে আমরা আমাদের জিবনকে সঠিক দিকে নিয়ে যেতে পারবোনা। আমাদের সমাজে এমন আনেক মানুষ দেখা যায় যাদের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পর ও তাদের মাইন্ডসেট ঠিক রাখার কারনে তা লখে যেতে পেরেছে। এইটা আমাদের জিবিকার জন্য হতে পারে কিন্তু সঠিক শিক্ষা আমাদের জীবনে থাকলে কাজ করমের পরিবর্তন হতে পারে।
এখন আমরা আসি এই যে মাইন্ডসেটের সাথে আমাদের জীবন কতটা রিলেটেড। লক্ষ্য করবেন,একজন ময়রার সন্তান কিন্তু স্বভাবতই জানবে যে কিভাবে মিষ্টি তৈরি করতে হয়, এটা তার স্বভাবত অর্জন।কিন্তু যখন একজন ময়রার সন্তান তার বংশ পরম্পরাকে পেছনে ছাড়িয়ে অন্য যেকোনো পেশায় সফল হয়,তখন সেটা একান্তই তার মাইন্ডসেটের দরুন।

মাইন্ডসেট বিষয়টা কিন্তু একদিনে হয় না।আমরা আমাদের পাঠ্যপুস্তকের মাঝে নিজের মাইন্ড সেট করতে পারি না বলেই,গ্র্যাজুয়েট হবার পরেও আমাদের হাত শূন্য। আমরা বেকার। কিন্তু কেন?অথচ,আমাদের জনশক্তি আমদানি করতে হয়।এই ১৬ কোটির দেশে কি জনসংখ্যার খুব অভাব?না।আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষার অভাবে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে বোঝা মনে করছি।এই অভাবে আমাদের এতো বেকারত্ব। যদি আমাদের মাঝে সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা থাকতো,তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jannatul Nipa -
মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যুগ যুগ ধরেই একটি ধারণা প্রচলিত তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। কবিতায় আছে, ‘মা যদি হও রাজি, বড় হলে আমি হব, খেয়াঘাটের মাঝি।’ ছোটবেলা থেকে নদী ও নৌকার সঙ্গে সখ্য ওই কিশোরকে মাঝি হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা মাঝি হতে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে। অনেক ক্ষেত্রে ছেলেবেলা থেকে জেলের ছেলের একটি মাইন্ডসেট তৈরি হয়ে যায় যে আমি জেলে হব।এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে, মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করে, কিন্তু ওই বিষয়ে পড়ার মানসিকতা তার তৈরি হয় না। অনেকেই আছে অনেক ভালো জব করে কিন্তু তৃপ্তি পাচ্ছে না। কারণ তার মাইন্ডসেট হয়নি, অনেক এমবিবিএস চিকিৎসক, বহু প্রকৌশলী রয়েছেন যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান । মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে ।আমাদের যদি সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা প্রদান করা হয় তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Suraiya Islam Meem -

রসগোল্লাতে যেমন চিনির পরিবর্তে লবন দিলে তা স্বাদহীন ঠিক তেমনি শিক্ষায় আনন্দ না থাকলে তাও মূল্যহীন। জ্ঞান অর্জনে যে জায়গায় নতুন কিছু শেখার আনন্দ থাকা উচিত ছিল সে জায়গায় আমরা প্রতি বছর ক্লাস টপকানোর ভয়ে থাকি। আর এভাবে প্রতি বছর হাজার হাজার অযোগ্য জনসম্পদ তৈরি হচ্ছে। এর এভাবে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দেশ যেমন পিছনে থাকার তেমন পিছনেই আছে। কারণ আমাদের কোন সাইডে যথেষ্ট লোক থাকা সত্ত্বেও  বড় কোন সংকটে পরলে আমাদের বাইরে থেকে লোক আনতে হয়। 

কিছু নির্দিষ্ট গোরামি যেমন বংশ পরম্পরায় একই কাজ করা। এভাবে আমরা সামনে যেতে পারছি না। আর বাবা মার মন রাখতে অপছন্দের বিষয় গুলো তো আছেই। এতে ভালো ভাবে শেখা যায় না। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেট করতে হবে। 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Maimuna Akter Rikta -
" শিক্ষার্থীদের মাইন্ডসেট নিয়ে কাজ করার আগে মাইন্ডসেট পরিবর্তনকারীদের মাইন্ডসেট নিয়ে বিস্তর কাজ রয়েছে "
হ্যা, কথাটি আমাদের দেশের শিক্ষা ও সমাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জনগন কে জনশক্তিতে রূপান্তর করার জন্য আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন।আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যে,, ময়রার ছেলে ময়রা, জেলের ছেলে জেলে, রিকশাওয়ালার ছেলে রিক্সাওয়ালা হবে কিন্তু এগুলি শুধুমাত্র মাইন্ডসেটের অনুভূতি। আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কেননা একজন ময়রার ছেলে তার বংশ পরম্পরায় সেই বিষয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকতে পারে কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা জন্মানোর পূবেই সকলে তার ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে ফেলে যার জন্য আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ জনগণ আদৌ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারেনি। তাই শুধু মাত্র সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা,দক্ষতা, যোগ্যতার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা টেকনিক্যাল ইস ক্যালড ম্যানপাওয়ার ক্রিয়েট করতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by alma akondo -

ব্যাবসায়ীর ছেলে ব্যাবসায়ী হবে চিকিৎসকের ছেলে চিকিৎসক হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে কিছু না কিছু গুণ থাকে। তার কিছু শখ থাকে ইচ্ছা থাকে। তার শখটাই যদি তার প্রফেশন হয়, তখন সে সেই প্রফেশনে আরও প্রফেশনাল হয়ে ওঠে..  সে ওই কাজটা অনেক আগ্রহ নিয়ে যত্নসহকারে করতে পারবে। একটা মানুষ ছোট থেকে তার চারপাশে অনেক জিনিস দেখতে দেখতে বড় হয়, এর মধ্যে কিছু জিনিসের প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়। সে চায় যে আমিও ওটা করবো, আমিও ওই অবস্থানে যাবো। আমি চাই ওই ক্ষেত্রটার আরো উন্নতি হোক বা সে ভাবে, সে যদি ওই অবস্থানে থাকতো তো তার আগ্রহের জিনিসপত্রে সে নতুন রুপ দিতো।ধরা যাক কেউ ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসে, সে তার আঁকা ছবির মাধ্যমে অনেক কিছু তুলে ধরতে চায়। সে স্বপ্ন দেখে চিত্রশিল্পী হওয়ার। কিন্তু তার বাবা-মা ডাক্তার এবং তারা চায় যে তাদের সন্তানও বড় হয়ে ডাক্তারই হবে। সে বেচারা হয়তো তার বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরনের জন্য ডাক্তার হয়েও যায়। কিন্তু ডাক্তার হয়ে যাওয়ার পর, যে সময়টা তার প্রাকটিস করে কাটানোর কথা ছিলো বা মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা ছিলো সে ওসবের মধ্যে না জড়িয়ে আবার তার রং-তুলি নিয়ে বসে পড়েছে। সে তার দু'দিকে ঠিকমতো না পারবে সময় দিতে আর না পারবে মনোনিবেশ করতে।  এভাবে আমাদের সমাজ না পাবে একজন ভালো চিকিৎসক আর না পাবে একজন পরিপূর্ণ শিল্পী।   

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sadia Zannat -

"শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমরা প্রথমত এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সমই আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানষিকতা। তবে মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে।


In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Someya Reza -
শিক্ষা শব্দটির সাথে মূলত আমাদের পুরো জীবনটাই জরিত । জন্ম থেকে মৃত্যু --আমরা শিখেই চলি। কিন্তু শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমাদের মন কিছু সার্টিফিকেটেই আবদ্ধ হয়ে আছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু উচ্চতর ডিগ্রি এবং তার কিছু সার্টিফিকেট প্রমান করে দিবে আপনি শিক্ষিত এবং আমরা আমাদের মনকে এভাবেই তৈরি করে নিয়েছি । আমাদের মাইন্ড এভাবেই সেট করা শুধু সার্টিফিকেটওয়ালা মানুষ গুলোই শিক্ষিত বাকিরাই মূর্খ । তাই বলে আমি তাদের (সার্টিফিকেট -ওয়ালাদের) অশিক্ষিত বলছি এমন দুঃসাহস আমার নেই। আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমাদের মনের পরিধি টা এখানেই। অথচ শিক্ষার প্রধান যে কাজ তা হলো জ্ঞানের পরিধি কে বাড়িয়ে আত্মার বিকাশ । ভালোকে গ্ৰহন মন্দকে ত্যগ। তাই আমাদের মাইন্ডকে এমন ভাবে সাজাতে হবে আমরা যেন সার্টিফিকেট কেই প্রাধান্য না দেই বরং নিজেকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলি। তবে এটি ও সত্য অবশ্যই সকলের একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে কেননা জীবনকে আরো সহজ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে । কিন্তু আমরা আমাদের মাইন্ডকে যেন সার্টিফিকেট এই আবদ্ধ না করি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mahmuda Huq -
আমারা জানি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু অনুকরণ প্রিয়তা থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের সৃজনশীলতা বিকাশ করতে পারে না। ফলে সমাজে দক্ষ মানুষের বদলে উচ্চশিক্ষিত সার্টিফিকেটধারী মানুষ সৃষ্টি হচ্ছে।

কারণ দক্ষতা অর্জনের পূর্বতম শর্ত হচ্ছে মানসিকতা। দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধের প্রয়োজন।

কিন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য বর্তমানে অনুকরণ প্রিয়তার ফলে সমাজে নতুন দক্ষ মানুষ তৈরি হচ্ছে না। যার প্রেক্ষাপট আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিফলিত হচ্ছে। শিক্ষিত মানুষ চাকরি পাচ্ছে না আর অন্য দিকে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো দক্ষ মানুষের অভাবে বিদেশি মানুষদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যা কিনা দেশের জন্য চরম হুমকি নিয়ে আনছে।

সতরাং পরিশেষে বলা যায় যে, দক্ষতা তখনই আসবে  যখন কাজে থাকবে ভালোবাসা ,ইচ্ছা শিক্ষার আগ্রহ! তাই এই অনুকরণ করা বাদ দিয়ে যে কর্মে অথবা পড়ায় ভালোবাসা আছে তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজে মনোযোগ দিতে হবে তবেই শিক্ষার সাথে দক্ষতা অর্জন  করা  যাবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by REZOANA TABASSUM -
প্রবাদে বলা হয়ে থাকে- ‘জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো।’ যেমন বলা হয়- ‘পাঁকে পদ্ম জন্মে।’ কিংবা ‘গোলাপ ফুল ফোটাতেও গোবর লাগে।’ ফুলের মধ্যে পদ্ম এবং গোলাপের সুখ্যাতি সর্বত্র। তদ্রুপ মাইন্ডসেট অথাৎ মানসিকতা যদি সঠিক হয় তাহলে রিকশাচালকের সন্তান ও একজন প্রকৌশলী হতে পারেন। তার জন্য লক্ষ্য স্থাপন করা এবং সে অনুসারে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে লক্ষ্যনির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের পরিবার থেকে তাদের ইচ্ছে গুলোকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই ইচ্ছেপূরণের উদ্দেশ্যে ভুলে যায় নিজের কিছু ইচ্ছে ছিল । পরিবারের ইচ্ছেপূরেণ হয়তো পড়াশুনা শেষ হয় কিন্তু নিজের মানসিকতার মধ্যে বিরূপ প্রভাব পরে যার ফলে যোগ্যতাহীন বা অভিজ্ঞতাহীন বাহ্যিক আবরণ সম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠে। শিক্ষার বিশেষ বিষয়ের সঙ্গে যদি আন্তরিকতা ও মধুর সম্পর্ক গড়ে না ওঠে, তবে শুধু ট্র্যাডিশনাল স্কুলিং, সনদ এগুলোর অর্থমূল্যহীন হয়ে পড়ে। মানসিকতা পরবর্তীতে পরিবর্তন করার পূর্বেই সঠিক মাইন্ডসেট করা প্রয়োজন।আর জেলের ছেলে জেলে,তাঁতির ছেলে তাঁতি এই বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মাইন্ডসেট সঠিক হলে অবশ্যই ভালো কিছু করা আর যোগ্যতা অনুসারে যোগ্য চাকরি করাও সম্ভব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nusrat Tafannum Moon -

প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল, সেটি হলো মানসিকতা। এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। আজকের পৃথিবীতে আমরা দেখি, একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে, মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করে, কিন্তু ওই বিষয়ে পড়ার মানসিকতা তার তৈরি হয় না। ফলে দেখা যায়, অনেক এমবিবিএস চিকিৎসক আছেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান, কেউ পুলিশ হতে চান। বহু প্রকৌশলী রয়েছেন যাঁরাও একই পথের পথিক। এর অর্থ দাঁড়ায়, শিক্ষাক্ষেত্রে মানসিকতা তৈরিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যে বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করাই, শেখাই, সে বিষয়ে মানসিকতা তৈরির অভাবে সারা দেশে যে মানের জনশক্তি তৈরির কথা ছিল, যে সামর্থ্য তৈরি হওয়ার কথা ছিল, সেই লক্ষ্য পূরণ হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে বিভাগ–সংশ্লিষ্ট মানসিকতা তৈরি হলে প্রয়োজনীয় দক্ষতা-যোগ্যতা-জ্ঞান—সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী বেড়ে উঠবে, গড়ে উঠবে, নিজেকে তৈরি করবে। সেই সমন্বয় সৃষ্টি না হলে মানুষ শুধু বাহ্যিক আচরণ দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করার চেষ্টা করে। তার ভেতরে ‘সিম্পলিসিটির’ অভাব তৈরি হয়। স্মার্টনেস বা অনেক সময় কথিত সফট স্কিলসের নামে আমরা তাদের যোগ্যতাহীন বা অভিজ্ঞতাহীন বাহ্যিক আবরণসম্পন্ন মানুষ তৈরি করি। ফলে দেশে প্রকৃত অর্থে টেকনিক্যাল স্কিলড লোকের অভাব দেখা দেয়। অন্য দেশ থেকে লোক আনতে হয়। কারণ, ওই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করে, দক্ষ হয়ে গড়ে উঠে একটি ‘অথরিটি’ গ্রহণ করতে হবে, সেই মানসিকতাও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে তৈরি হয় না।


দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিচ্ছে কিন্তু শিল্পকারখানায় বা দেশের উন্নয়নে যে ধরনের লোক প্রয়োজন, তা তৈরি হচ্ছে না। একদিকে আমাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বলছে তারা প্রয়োজনমতো জনবল পাচ্ছে না, অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েটরা বলছেন বাজারে চাকরি নেই। এই দুইয়ের মধ্যে একটি সম্পর্ক ও সমন্বয় তৈরি হতে হবে। সে ক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের মাইন্ডসেট নিয়ে কাজ করার আগে মাইন্ডসেট পরিবর্তনকারীদের মাইন্ডসেট নিয়ে বিস্তর কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। বিভাগ-ডিসিপ্লিন নির্বিশেষে সব গ্র্যাজুয়েটকে যদি দিন শেষে বিসিএসের পেছনে ছুটতে হয়, তবে প্রচলিত ধারার শিক্ষার পেছনে সরকারি-বেসরকারি এত এত অর্থ খরচের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়। এসব গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে আমাদের।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mir Monadil Hasan -
বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন ছাত্রের উপর প্রফেশন চাপিয়ে দেয়া হয়। আমাদের চিন্তাধারা এমন যে, কোন প্রফেশনে মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার হবে।
সব মানুষেরই কোনো না কোনো প্রফেশনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু স্বপ্ন তো গুরুজনদের মতের তুলনায় ভারী হতে পারে না। তো, যে লেজ ধরিয়ে দেয়া হয় তা ধরেই সামনে আগাতে হবে। যে বিষয় নিয়ে আগ্রহ নেই সে বিষয়ে পড়লে হয়ত এক সময় গ্রাজুয়েট হওয়া সম্ভব। কিন্তু এর মাঝে অনেক বড় ঘাটতি থেকে যায়।
একজন মানুষের ইলেক্ট্রিক জিনিস নাড়াচাড়া করতে ভালো লাগে, কারো নতুন ডিজাইনের ড্রেস বানানোর শখ, কেউ খাদ্য-পুষ্টি সম্পর্কে জানতে ও অন্যকে জানাতে ভালোবাসে। তাদের যদি তাদের পছন্দের সেক্টরে পড়ানো হয়, তবে আমাদের দক্ষ জনশক্তি অনেক বেড়ে যাবে। তাই মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা জরুরি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mosfique Alam Zidan -

আমরা পুঁজিবাদী ধনতান্ত্রিক সমাজে বাস করি।যে কারনে আমাদের বেশির ভাগ মানুষের মাঝে শিক্ষার সাথে শেখার মিলন না হয়ে শেখার সাথে মিলন হয় উপার্জনের।শিক্ষার কোন সময় নাই কিন্তু একটা বয়সে সবাই একটা সিকিউর ইনকাম এর চিন্তা করি।পৃথিবী চলে ৫ উপাদানের উপর কিন্তু এখন আরও ১টি উপাদান তা হলো টাকা যে কারনে সকলেই তার জন্য  একটা স্থায়ী ইনকাম চায়।আমার প্রশ্ন কেন তাহলে দূর্নিতী?জবাব প্রথেমেই সমাজ ব্যবস্থা।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md Forkan Sikder -

দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিচ্ছে কিন্তু শিল্পকারখানায় বা দেশের উন্নয়নে যে ধরনের লোক প্রয়োজন, তা তৈরি হচ্ছে না। একদিকে আমাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বলছে তারা প্রয়োজনমতো জনবল পাচ্ছে না, অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েটরা বলছেন বাজারে চাকরি নেই। এই দুইয়ের মধ্যে একটি সম্পর্ক ও সমন্বয় তৈরি হতে হবে। সে ক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের মাইন্ডসেট নিয়ে কাজ করার আগে মাইন্ডসেট পরিবর্তনকারীদের মাইন্ডসেট নিয়ে বিস্তর কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। বিভাগ-ডিসিপ্লিন নির্বিশেষে সব গ্র্যাজুয়েটকে যদি দিন শেষে বিসিএসের পেছনে ছুটতে হয়, তবে প্রচলিত ধারার শিক্ষার পেছনে সরকারি-বেসরকারি এত এত অর্থ খরচের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়। এসব গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে আমাদের।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Labiya Islam Sristy -
যে শিক্ষা জাতিকে উন্নতির সর্ব শিখরে পৌঁছে দেয়,সে শিক্ষার বিষয়ে যথার্থ মাইন্ড সেট করা আমাদের উচিত। বর্তমানে নানা মানুষ হরেক রকমের মতবাদ দিয়ে থাকেন এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর এই মেরুদণ্ডকে টিকে রাখার জন্য আমাদের সঠিক শিক্ষার ওপর মাইন্ডসেট আপ করা প্রয়োজন।আধুনিক যুগে শিক্ষার ক্ষেত্রে নানা বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে, নামিদামি সাবজেক্টের পেছনে না ঘুরে যেসব সাবজেক্ট পারব তার ওপর মাইন্ডসেট করা দরকার। আজ আমাদের সমাজে যারা নিম্নবিত্ত নামে পরিচিত,তাদের সন্তানকে ভালো যে কিছু করতে পারবে না এগুলা ভাবা ঠিক না। কারণ মানুষ তার ইচ্ছাশক্তি তারা সবকিছু করতে পারে। একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যে ইঞ্জিনিয়ারি হবে এটা আগে থেকে কখনও বলা যায়না।বরং একটা রিকশাওয়ালার ছেলে ও কঠোর পরিশ্রম করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যায়। আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন তার থেকে ভালো কিছু করার জন্য আমাদের মাইন্ড সেট করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Afrin Akter -
মাইন্ডসেট বলতে আমরা বুঝি কোন বিষয়ে মনকে স্থির করা।আমাদের সমাজব্যবস্থা পেশাগত দিক দিয়ে আগের যেমন ছিল এখন তেমনই আছে। জেলের ছেলেকে জেলে হতে হবে আর তাতির ছেলেকে তাতি হতে হবে। কিন্তু একটা জেলের ছেলে একজন দক্ষ তাতি বা অন্য কিছুও হতে পারে। এই সমাজব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে একটা জিনিস দরকার আর সেটা হল মাইন্ডসেট ।এর অন্যতম কারণ হলো পেশার পারিবারিক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা। মাইন্ডসেট গড়ে উঠে বলে একজন মানুষ কোন প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ছাড়া একটা জিনিস এ সাফল্য পেতে পারে। যদি কোন কাজ এর প্রতি ভালবাসা থাকে, তাহলে যে কেও সাফল্য হবে।তাই শিক্ষা এর প্রতি আগ্রহ যদি না থাকে তাহলে শুধুমাএ শিক্ষা এর সনদ দিয়ে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যাবে না। মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করবে। সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে।
সবক্ষেত্রে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনা অত্যাবশ্যক।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Bipa Sarker -
প্রথমত মাইন্ডসেট বলতে আমরা কি বুঝি বা কী বোঝায়? মাইন্ডসেট বলতে আমরা যেটাু মূলত বুঝি সেটি হচ্ছে আমাদের মনস্থির করা। কোনো কিছু করার জন্য যে একটি মানসিকতা যেটি আমি করবই বা করতে চাই সেটিকে স্থির করা যে হ্যাঁ এটি আমি করতে চাই এবং এটাই আমাকে করতে হবে মূলত সেই জিনিসটাকেই মাইন্ডসেট বা নিজের মন মানসিকতাকে স্থির করা বা সিদ্ধান্ত নেয়া। 
কিন্তু এই মাইন সেটে আমাদের অনেক সমস্যা আছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা যেটি শিখে আসছি যে ছেলে ছেলে জেলে তাঁতির ছেলে তাঁতি তাকে বংশপরম্পরায় হোক বা বড়দের দাঁড়া চাপিয়ে দেওয়া হোক তাকে তার নিজের ইচ্ছেমতো নয় কিন্তু তাদের ইচ্ছেমতো তার নিজের কাজকে বেছে নিতে হচ্ছে। কিন্তু একজন তাতির ছেলে যে ভালো শিক্ষক হতে পারবেনা এটা কিন্তু একদমই নয়। একজন তাদের ছেলে যদি ছোটবেলা থেকে সেই ইচ্ছে নিয়ে বড় হয় যে আমি বড় হয়ে একজন ভালো শিক্ষক হব তাহলে সে পারবে আর সেটার জন্য যেটি প্রয়োজন তা হচ্ছে তার নিজের ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত নেয়া বা তার নিজের মাইন্ড সেট করা। তবে এখানে যেটি বলা হয়েছে একজন ময়রা মিষ্টির সুগন্ধি তার ছোট সন্তান ধীরে ধীরে তার মনে এই মেলাটি বলতে থাকে যে আমিও একজন দক্ষ ময়রা হব। কিন্তু আমাদের দেশের অনুযায়ী জিডি করা হয় যে বড় হয়ে একজন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে অথবা একজন ভালো ব্যবসায়ী হতে হবে সম্পূর্ণই তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিজের ইচ্ছাটা কে কখনো প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না সে আসলে কি চায় তার কি ইচ্ছা কোন পেশা সে বেছে নিতে চায় এটিকে কখনোই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না বরঞ্চ তার উপরে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই তথাকথিত নিয়মটি আমাদের পরিবর্তন করা উচিত আরেকটি পরিবর্তন করার জন্য আমাদের মাইন্ডসেট করা উচিত এই মন মানসিকতা থাকা উচিৎ যে একটি সন্তান কি ইচ্ছা নিয়ে বড় হয়ে উঠছে তার কোন পেশাটি ভাল লাগছে তার পছন্দ কে অবশ্যই প্রাধান্য দিয়ে তাকে উৎসাহিত করা। 
এখানে বলা হয়েছে "মা তুমি যদি হও রাজি আমি হব খেয়া ঘাটের মাঝি" । তাই আমাদের সমাজের উচিত ছোটরা তাদের মনে কি ইচ্ছা আছে তাদের উৎসাহ কোন দিকে সেটি ভেবে তাকে উৎসাহিত করা। 
এটি এখানে বলা হয়েছে যে আমাদের শিক্ষার এই পরিবর্তনে তথাকথিত সমাজের এই নিয়মগুলো পরিবর্তনে আমাদের মাইন্ডসেট প্রয়োজন। 
কারণ একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্বাচনই মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। 
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mohammad Ali -
আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যে,, ময়রার ছেলে ময়রা, জেলের ছেলে জেলে, রিকশাওয়ালার ছেলে রিক্সাওয়ালা হবে কিন্তু এগুলি শুধুমাত্র মাইন্ডসেটের অনুভূতি। আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কেননা একজন ময়রার ছেলে তার বংশ পরম্পরায় সেই বিষয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকতে পারে কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা জন্মানোর পূবেই সকলে তার ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে ফেলে যার জন্য আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ জনগণ আদৌ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারেনি। তাই শুধু মাত্র সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা,দক্ষতা, যোগ্যতার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা টেকনিক্যাল ইস ক্যালড ম্যানপাওয়ার ক্রিয়েট করতে পারবো।মাইন্ডসেট সঠিক হলে অবশ্যই ভালো কিছু করা আর যোগ্যতা অনুসারে যোগ্য চাকরি করাও সম্ভব।কারণ দক্ষতা অর্জনের পূর্বতম শর্ত হচ্ছে মানসিকতা।একজন মানুষের ইলেক্ট্রিক জিনিস নাড়াচাড়া করতে ভালো লাগে, কারো নতুন ডিজাইনের ড্রেস বানানোর শখ, কেউ খাদ্য-পুষ্টি সম্পর্কে জানতে ও অন্যকে জানাতে ভালোবাসে। তাদের যদি তাদের পছন্দের সেক্টরে পড়ানো হয়, তবে আমাদের দক্ষ জনশক্তি অনেক বেড়ে যাবে। তাই মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা জরুরি। দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধের প্রয়োজন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Tasnim Reza Mahi -
আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী পেশা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক ধারাবাহিকতা মেনে চলে৷ কিন্তু যদি পারিবারিক পেশা গ্রহনের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে পেশার বৈচিত্র্যও তৈরি হবে না। আর দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অনুসারে একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে মানুষ ওই সেক্টরে কর্মক্ষেত্র বানাতে ইচ্ছুক না। এটার মুল কারণ হলো আমাদের মাইন্ডসেট৷ মাইন্ডসেট গড়ে ওঠার কারণেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ হয়ে ওঠে। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা। আমাদের দেশে একটা বিশাল অংশ ইন্জিনিয়ার বা ডাক্তার তাদের নিজেদের পেশা বাদ দিয়ে সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে আগ্রহী৷ এভাবে চলতে থাকলে ক্ষেত্র বিশেষে দক্ষ জনবল পাওয়া কঠন হবে৷ তাই কাজের ক্ষেত্র অনুযায়ী ওই ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল ওই পেশায় আগ্রহী হওয়া জরুরি৷ যার জন্য আমাদের প্রথম থেকেই নিজেদের মাইন্ডসেট করতে হবে৷ এই ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ ভূমিকা রাখে৷
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Farzana Rahman Prottasha -
'মাইন্ডসেট' যার সোজা বাংলা হবে লক্ষ্য নির্ধারণ।শিক্ষার মাইন্ডসেট ধারা ঠিক কি বিষয়ে পড়াশোনা হবে তার লক্ষ্য নির্ধারণ করা বুঝি। মাইন্ডসেট বিষয়টা কিন্তু একদিনে হয় না।আমরা আমাদের পাঠ্যপুস্তকের মাঝে নিজের মাইন্ড সেট করতে পারি না বলেই,গ্র্যাজুয়েট হবার পরেও আমাদের হাত শূন্য। আমরা বেকার। কিন্তু কেন?অথচ,আমাদের জনশক্তি আমদানি করতে হয়।এই ১৬ কোটির দেশে কি জনসংখ্যার খুব অভাব?না।আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষার অভাবে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে বোঝা মনে করছি।এই অভাবে আমাদের এতো বেকারত্ব। যদি আমাদের মাঝে সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা থাকতো,তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম।আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, ময়রার সন্তান ময়রা,জেলের জেলে,রিকশাচালকের সন্তান রিকশাচালক"। আমাদের এই চিন্তা চেতনা থেকে বার হয়ে আস্তে হবে।শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।
সঠিক মাইন্ডসেটের মাধ্যমে দেশ, দশ ও রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা সম্ভব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Tania Nasrin -
মাইন্ডসেটঃ
কোন কাজ শুরু করার আগে আমাদের উচিত সে বিষয়ে ভাল্ভাবে জেনে এবং সে বিষয়ে আমার আগ্রহ(মানসিকতা) কতটুকু এসব বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া । কারন কোন কাজের প্রতি আমারদের যদি আগ্রহ না থাকে , তাহলে আমাদের ঐ কাজের প্রতি সফল হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম । তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে মাইন্ডসেট ব্যাপারটা খুবই জরুরি । মাইন্ডসেট হল, জীবনের কোন মূহূর্তে আমরা যদি কোন কিছু করার অথবা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ,তাহলে আমাদের কে সর্ব প্রথমে ভাবতে হবে যে ,ঐ সিদ্ধান্ত এর প্রতি আমাদের আগ্রহ আছে কিনা ।

ছাত্রজীবনে মাইন্ডসেট খুব ই জ্রুরি । মাইন্ডসেট না থাকলে ছাত্রজীবনে সফল হওয়া যায় না ।
যেমনঃ কোন ছাত্রের যদি প্রকোশলী উপর আগ্রহ থাকে , আর সে সে যদি মেডিকেল সায়েন্সে পড়ে , সে ছাত্র এই মেডিকেল সায়েন্স পড়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ।

তাই আমাদের ছাত্রজীবনে প্রত্যক ছাত্রের মাইন্ডসেট থাকা উচিত ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Anamul Hoque -
প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত এবং এটি তার ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভর করে। তবে আমাদের অতীত ও বর্তমান প্রসঙ্গে যে বিষয়টি প্রদর্শিত হয় তা হ'ল আমাদের জীবনের লক্ষ্য বংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ফলস্বরূপ, আমরা যে শিক্ষা অর্জন করেছি তা স্বকেন্দ্রিক নয় বরং 'শংসাপত্র' কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ, দেশে যে জনবল ও সক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা ছিল তা হ্রাস করা হচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিবারের দ্বারা আমরা একটি গোলের জন্য বাধ্য হয়েছি। আমরা যখন আমাদের পিতামাতার ইচ্ছা পূরণ করতে যাই, আমরা ভুলে যাই যে আমি নিজের কিছু চাইতাম! এবং এটিই আমাদের মানসিক বিকাশের কারণ নয়। কেবল ইচ্ছাশক্তিই মানুষকে দক্ষ করে তুলতে পারে। সুতরাং আমাদের প্রথমে যে কাজটি করা দরকার তা হ'ল 'আমি কী চাই? আমি যদি কোনও পেশায় যাই, আমি হৃদয় থেকে কাজ করতে সক্ষম হব, আমার অভ্যন্তরীণ শান্তি জাগ্রত হবে। আমার দাদা, বাবা কী ছিল! আমারও এমন হতে হবে! আমাদের এই ভুল ধারণাটি বদলাতে হবে, আমাদের নিজের ইচ্ছাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবেই সমাজের ধারাবাহিকতা বদলে যাবে। মানসিকতাও বদলে যাবে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sonia Afrose -

প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পঠন ও পাঠনে পরিবর্তন আনতে হবে, টেকনোলজির সংযোগ ঘটাতে হবে। আমাদের দেশে যেমন শিক্ষিত বেকার আছে, তেমনি আবার দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। কাজেই শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, প্রযুক্তিভিত্তিক করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যায়। আবার শুধু প্রযুক্তিনির্ভর করলেই হবে না, শিক্ষিতদের মানবিক হতে হবে, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে হবে। কাজেই কারিকুলাম তৈরি করা অত্যন্ত দুরূহ একটি কাজ। এটি হুট করে বা কয়েকজন মিলে তৈরি করলেই হবে না। এখানে সব স্টকহোল্ডারের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যমে করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে ফরমাল, ইনফরমাল ও নন-ফরমাল—এই তিন ধরনের শিক্ষাই শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃত। শুধু বিদ্যালয়ে যাতায়াত করলে ও পড়লে পুরো বা আদর্শ শিক্ষা অর্জিত হয় না। মানুষ বিভিন্নভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষা ও দক্ষতা একটি অপরটির পরিপূরক। একটি ছাড়া অন্যটি পঙ্গু। ‘লার্নিং বাই ডুয়িং’ পদ্ধতির প্রবর্তন এ ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে বলে আমাদের বিশ্বাস। শিক্ষার শেষে দেশগড়ার কাজে একজন আদর্শ নাগরিকের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকা প্রয়োজন তা যখন তারা কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে ও উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।তখনই একজন আদর্শ শিক্ষকের মূল উদ্দেশ্য হবে সফল এবং সার্থক, অর্জিত হবে তাঁর লক্ষ্য ।শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।

সঠিক মাইন্ডসেটের মাধ্যমে দেশ, দশ ও রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা সম্ভব।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mahima Afroz -
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা। গতানুগতিক নিয়ম অনুযায়ী সবার এমনটাই ধারণা হয়ে যায় বাবা দাদা যা করে আসছে পরবর্তী প্রজন্ম ও একই ধরনের কাজ করবে। কিন্তু এই ধারণাটাই ভুল। এইগুলো না ভেবে অনুপ্রেরণা দিলে হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম অনেকদূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। আর এগিয়ে যাওয়ার জন্যই মাইন্ডসেট থাকাটা ভীষণ জরুরি। আমাদের যদি দৃঢ় প্রত্যয় থাকে এবং ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয় অবশ্যই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাত পারবো। আমাদের দেশের সংস্কৃতি এমন জায়গায় দাড়িয়েছে বিসিএস কে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় চাকরিক্ষেত্রে। কেউ মেডিকেল বা প্রকৌশলী নিয়ে পরে বিসিএস দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। একটি জাতির উন্নতির ক্ষেত্রে সবথেকে বাধাদায়ক এই ধরনের মানুষ। এই ধারার পরিবর্তন করতে হবে। সবার আগে মাইন্ডসেট করতে হবে। যে কাজটাতে নিজের তৃপ্তি পাওয়া যাবে সেই কাজটিই বেছে নিতে হবে।
তাহলেই উন্নতি হবে
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Ashita Elin -
প্রাচীনকালে মানুষের যে বিষয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ থাকত, তারা উক্ত বিষয়েই শিক্ষা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদের উক্ত বিষয়ের প্রতি উৎসর্গ করতো। ফলে তারা যেমন তাদের কাজে দক্ষ হতো, তেমনি তারা কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করতো। কারণ তাদের সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল।
কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, নিজের মনের বিরুদ্ধে যেয়ে পারিপার্শ্বিক চাপে অন্য বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করে। ফলে আগ্রহ না থাকায় তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। তাদের কাজে থাকে না কোনো সৃষ্টিশীলতা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD.Mustakim Hasan -
শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বংশ পরম্পরায় কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। যেমনঃ ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ময়রার ছেলে ময়রা, রিকশা চালকের ছেলে রিকশাচালক। এভাবে যদি পেশার বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তাহলে বিশাল জনগোষ্ঠীর এদেশ উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারবে না। একজন কৃষকের সন্তান মাইন্ড সেটের মাধ্যমে আগ্রহের জোরে, দক্ষতা ও পরিশ্রমের সাথে নিজের অবস্থান করে নিতে পারে।

আর একটি বিষয় প্রাচীন কালে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিলো সেটি হলো মানসিকতা, দৃঢ় মানসিকতা, পরিশ্রম এর মাধ্যমেই লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব।

লোকে কি বলবে তা না ভেবে নিজের আত্মিক তৃপ্তিকে প্রধান্য দিয়ে মাইন্ডসেট করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Abdullah Al Mostaed Sefat -
Sikkhar mul lokkho o uddesho kokhono taka uparjon kora noi. Amdr mon stir krte hobe je ami ashole ki krte chai ebong nijer jei aim ache sta ke bujte hobe. Ke ki krlo ba ke kon job kore sta boro kotha noi nijer own ability ke proman krte nije niomonuborti o porisromi hote hobe.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Tasfia Jahan -
আমাদের সবার কাছে মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে আমার বাবা যা ছিল আমি তা হবো। বা আমি যা আছি আমার ছেলে তা হবে। যেমন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, বিজনেসম্যান এর ছেলে বিজনেস করবে। রিক্সা চালকের ছেলে রিক্সা চালাবে। এই টা সিম্পল যে এক জন বিজনেসম্যান এর ছেলের বিজনেস নিয়ে ভালো আইডিয়া থাকবে যা রিক্সা চালকের ছেলের থাকবে না। তাই বলে যে রিক্সা চালকের ছেলে বিজনেস করতে পারবে না এমনটা না। এর জন্য তাকে চ্যাঞ্জ করতে হবে মাইন্ডসেট। আমরা তখনি লাইফে ভালো কিছু করতে পারবো যখন আমাদের মাইন্ডসেট ভালো হবে। আমরা একটা বিষয়ের উপড় পড়া-শোনা করি গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করতেছি। বাট চাকরি ইন্টার্ভিউ দিয়ে যেয়ে ফেল হচ্ছি। বা আমি যে উপড় গ্রাজুয়েট কম্পলিট করছি তা তে চাকরি পাচ্ছি না। তখন অন্য জায়গায় চাকরি খোজতে যেয়ে পাচ্ছি না। আমরা যদি আমাদের মাইন্ডসেট ভালো ভাবে ঠিক করি তাহলে এই সব প্রব্লেম শলভ করতে পারবো। আর এতে আমাদের দেশর জনগণ জনশক্তি তে পরিণত হবে।এতে দেশ ও জাতি উন্নতি হবে। বেকারত্ব দূর হবে। দেশের বাহিরেও জব পাবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MEHEDI HASAN -
শিক্ষা কোনো ধরা বাধা কিছু নয়।শিক্ষা হচ্ছে নিজের আগ্রহ ও মানসিকতার উপর নির্ভরশীল। পারিবারিক পেশা কে সন্তান এর পেশা হিসেবে বা পারিপার্শ্বিক চাপ এর জন্যে নিজের পেশা ঠিক করা উচিত নয়।শুধু মাত্র নিজের ভাললাগা এবং সেই পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেই সেই দিকে জাওয়া উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Shreerup Bhattacharjee -
Education Mindset is a thing that helps a man to set up his mind what he should do or not to do to reach his goal. Everyone should neglect what outsiders say. Everyone should do what his own decission said. If we set up our mind being depend on others that will not be good for our future's life. So; everyone should at first set up his mind then take disission which is our own choice..
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD Rifat Sarkar -
সবকিছুর ক্ষেত্রে মাইন্ডসেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার ক্ষেত্র এর ব্যাতিক্রম নয়।
শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মাইন্ডসেট করা। একজন শিক্ষার্থী যে বিষয়ের উপর আগ্রহী সে বিষয় নিয়ে তার পড়াশোনা করা উচিত। আমাদের সমাজের বর্তমানের একটা বড় সমস্যা হলো পারিবারিক চাপে অনেকে নিজের মনের বিরুদ্ধে একটা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে। যেমন কারো ইচ্ছা ছিলো সে ডাক্তার হবে সে এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।
এর ফলে আসলে শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরী হয় কিন্তু আদর্শ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কয়জন তৈরী হয় এ নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
তাই স্বশিক্ষিত হতে হলে অন্যের চাপানো স্বিদ্ধান্ত অথবা বংশ পরম্পরায় কিছু না করে অবশ্যই মাইন্ডসেট করতে হবে এবং নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mahbubul Haque Shaon -
আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। উদাহরণ স্বরুপ- যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেকে প্রকৌশলী পড়েও বিসিএস এর পেছেনে ছুটে পুশিল হতে চান। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে নিজেকে তৈরি করবে।এক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবেই আজ চাকরি পাচ্ছেনা।
তাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনা অত্যাবশ্যক।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md Reajul Islam -
'শিক্ষার মাইন্ডসেট' অনুধাবন করে আমরা এটা বলতে পারি যে,প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল, সেটি হলো মানসিকতা। এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা সম্পর্কে অনেক সময়ই বলি, একটি জায়গায় আটকে থাকব না, বের হয়ে যাব। এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কথার পেছনে আরেকটি সত্য লুকিয়ে থাকে। সেটি হলো 'মাইন্ডসেট'। মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা।জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য, আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন এবং গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে সন্তানদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হওয়ার জন্য। কিন্তু একবারও লক্ষ্য রাখা হয় না সন্তান কিসের উপর বেশি ইন্টারেস্টেড। সেজন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট করা সম্ভব হয় না। মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। আমাদের মাইন্ডসেট এর সমস্যার জন্যই হয়তো গ্রাজুয়েশন শেষে সকলে বিসিএস এর দিকে ঝুঁকে পড়ে।মাইন্ডসেট থাকে না বলে অনেক এমবিবিএস ডাক্তার আজ বিসিএস দিয়ে প্রশাসন এ যেতে চান। মানে শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসিকতা গরে উঠেতে পারে নাই। ফলে ডিগ্রি দেওয়া হলেও দেশের উন্নয়ন এ যে ধরনের লোক দরকার তা তৈরি হচ্চে না। ফলে ডিগ্রি প্রাপ্ত বেকার এর সংখ্যা দিন বারছে। আমরা যদি মাইন্ডসেট না করে যে কোন একটা বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেই তাহলে আমাদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে।কিন্তু যদি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের তাদের ইচ্ছে মতো স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া হয় তাদের চাওয়াটাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তবে সহজেই জনগণকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।তাই শিক্ষার মাইন্ডসেট গড়ে তুলতে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে, সকলের দৃষ্টি ভঙ্গি এবং মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by shoun islam -
আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বংশ পরম্পরায় কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। যেমনঃ ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ময়রার ছেলে ময়রা, রিকশা চালকের ছেলে রিকশাচালক। এভাবে যদি পেশার বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তাহলে বিশাল জনগোষ্ঠীর এদেশ উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারবে না। একজন কৃষকের সন্তান মাইন্ড সেটের মাধ্যমে আগ্রহের জোরে, দক্ষতা ও পরিশ্রমের সাথে নিজের অবস্থান করে নিতে পারে। এরকম এক প্রকার ধারনাতেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে।কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত যদি এটি ঘটে থাকতো তবে পেশার বৈচিত্রতা কোনদিন ঘটতো না । বাংলা একটি কবিতার আছে সেখানে ছেলে তার মাকে বলছে,মা রাজি হলে সে খেয়া ঘাটের মাঝি হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে তার পূর্বপুরুষ মাঝি ছিল যার ফলে মাঝি হওয়াতে তার মাইন্ডসেটআপ হয়ে গেছে। এতে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু কাজের প্রতি তার আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আছে যা দক্ষতা তৈরি পূর্বশর্ত। তাই আমার মতে যার যার মাইন্ডসেট তার নিজেরি তৈরি করে নেয়া উচিত। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী, ভবিষ্যতে, আমিও বাবার মতো একজন ব্যবসায়ী হতে চাই না বলে, আজ আমি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছি।তাই বলে আমার বাবার কাজকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমি কোনো কাজকেই ছোট মনে করি না। আমি বোঝাতে চেয়েছি যার যার অবস্থান থেকে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তার নিজের মাইন্ডসেট তার নিজেরি তৈরি করতে হবে। তার ঔ মাইন্ডসেটে সে যাতে আনন্দ পায়, ভালবাসা পায় সে দিকটা তার দেখতে হবে। তাহলেই সে একদিন অনেক বড় হতে পারবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Rabbi Hasan -
Learning is a part of Education and can be learned from anyone around us, even from an ant, who teaches us to try until we achieve success. Therefore, one needs to adapt, learn, and educate oneself to become knowledgeable. Education refers to ‘the process of providing and receiving instructions, through academic and scholastic efforts.’ Education is a process that begins at home. It differentiates humans from other living things..
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nazifa Tasnim Binte Taher Elma -
জীবনের যুদ্ধে এগিয়ে যাবার জন্য মাইন্ড সেট আপ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের পরিবারগুলোর মধ্যে দেখা যায় যে, একটি শিশুর মধ্যে ছোটবেলা থেকেই একটি প্রবণতা দেখা যায় যে, তাকে তার পারিবারিক পেশা কে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।অর্থাৎ,তার মধ্যে পারিবারিক পরম্পরাকে অনুসরণ করার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে দেখা যায়, একজন ইঞ্জিনিয়ার এর ছেলে মনস্থির করে যে সে ও ইঞ্জিনিয়ার হবে। একটা সময়ের পরে দেখা যায়, তার আর এই পেশা ভালো লাগে না। আর সে তখন বিসিএস এর পিছনে ছুটে। এর ফলে, তার শিক্ষা অপূর্ণ থেকে যায়। তাই সর্বপ্রথম একজন শিক্ষার্থীকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য মনস্থির করতে হবে এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by hriday deb nath -
শিক্ষার মাইন্ডসেট এর এখানে আমাদের বর্তমান প্রচলিত নিয়ম কে তুলে ধরেছেন।আমাদের ছোটো বেলার সময় থেকে আমরা আমাদের মাইন্ডসেট করি না যার ফলে আমাদের উপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়।আমার বাবা মা আমাকে পেশা নির্ধারণ করে দেয় যদিও আমরা সেটা কে মেনে নেই। কিন্ত তাতে আমাদের কি কোনো লাভ হয়।একটি নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে জেলের ছেলে জেলে হবে যদিও সে ততটা পারে না।তাই বলতে পারি যে আমাদের জিবনকে নিজের মতো করে গড়ে তুলেত হইবে তাতেই সবার ভালো হইবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Estiak Ahamed joy -
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার নিয়ম হচ্ছে কৃষকের ছেলে কৃষক হবে জেলের ছেলে জেলে হবে আর ডাক্তারের ডাক্তার কিন্তু আমাদের মনের ইচ্ছার কোন প্রাধান্য দেয়া হয় না এর জন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। সন্তান জন্মের পরে বাবা-মা ঠিক করে ফেলে তার সন্তান ডঃ অথবা ইঞ্জিনিয়ার হবে কিন্তু তার মতামতের কোনো প্রাধান্য দেয়া হয় না। তাই আগে আমাদের মনস্থির করতে হবে আমরা কি হতে চাই আমাদের মধ্যে কি কি গুণাবলী আছে যেমন দেখবেন অনেকে এসএসসিতে সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন আবার ইন্টারে কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন কিন্তু জব করে আর্টসের কোন সাবজেক্ট তাহলে সে এতদিন যা পড়াশোনা করল থার প্রয়োগে কোথায় করবে সত্যিকার অর্থে কোনো দামই নেই তাই আমাদের সবার আগে মনস্থির করতে হবে আমরা কি হতে চাই সেটা নির্ধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পরিশ্রম এবং চেষ্টা করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Saju Kundu -

"শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন " এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা প্রথমত জানতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সময় আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানসিকতা। আমাদের একটা ধারণা থাকে যে পূর্বপুরুষ যা করে পরবর্তী প্রজন্ম তাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে। এতে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ থাক বা না থাক। যেমন কোনো ময়রা যদি ভালো মিষ্টি বানিয়ে থাকে তবে তার ছেলের যদি প্রশিক্ষণ না থাকে তাও আমাদের একটি ধারণা থাকে তার ছেলের মিষ্টি ও ভালই হবে। এরকম এক প্রকার ধারনাতেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে। কিন্তু এটা সবসময় হয় না। হ্যা এটা অবশ্যই স্বাভাবিক যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে যতটা জানবে, একজন রিকশাওয়ালার সন্তান সেটা জানবে না এবং একই ভাবে একজন ময়রার সন্তান জানবে না যে কিভাবে তাঁতে কাপড় বুনতে হয়। কিন্তু যতক্ষণ না তাদের মাঝে এই মাইন্ডসেটটার সৃষ্টি হয়। অনেক রিকশাচালকের সন্তান বড় ডাক্তার হন শুধু মাত্র তার দৃঢ় মাইন্ডসেটের জন্য। আবার অনেক ডাক্তারের সন্তান ও সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবে বুঝতেও পারে না যে সে কি হতে চায়। এমন অনেক সময়ই দেখা যায় আমরা মেডিকেল সায়েন্সে পড়ি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, কিন্তু আমরা গ্র‍্যাজুয়েশনে পড়ে অনেকে অন্য বিভাগে চলে যায়। কেউ প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার হতে চায় কেউবা অন্য কিছু। আমরা যদি নিজের বিভাগে থেকে নিজেকে পরিপূর্ণ না ভাবি এতে করে আমাদের যে মানসিকতা সেটিও নষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে আমরা ভালভাবে দক্ষ হতে পারবোনা। এতে করে আমাদের কাছে মনে হবে দেশে ভালো চাকুরি নেই, আর চাকুরি প্রদানকারীরা খুজে পাবেনা দক্ষকর্মী।  আমাদের কাজ করবার আগেই সেখানে মাইন্ডসেটটা আগে বসাতে হবে। কথায় আছে আগে ভেবে পরে কাজ করা উচিৎ। তানাহলে আমাদের যে সার্টিফিকেট বা দক্ষতা সব কিছুই অনর্থক হয়ে যাবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sayed Sarker -
শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে বোঝানো হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা কি রকম চিন্তা ধারা ধারণ করব এবং কিভাবে সেই চিন্তা ধারা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব। কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের মাইন্ডসেট টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যে রকম চিন্তাভাবনা ধারণ করি সেই চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা সফল ভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারব। সামাজিক পারিবারিক দিক চিন্তা ভাবনা করে শিক্ষা অর্জন করলে সে শিক্ষা সমাজের এবং নিজের কোনো কাজেই আসবে না। শিক্ষার যে দিকটা আমরা সবচেয়ে ভালো বুঝি যে দিকটা আমাদের কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে এবং যার দ্বারা আমরা ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবো মনে হয় সেই দিকটা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত তাহলে আমরা ভালভাবে সফল হতে পারব এবং সমাজ এবং দেশের কল্যাণে আসতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md. Naved Anzum Abir -
সন্তান জন্মগ্রহণের পর দেখা যায় পরিবারের পেশার লিগেসি বা বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সন্তানের অনিচ্ছা থাকা সত্বেও পারিবারিক চাপে কিংবা তাদের দিকে তাকিয়ে বংশানুক্রমিক পেশায় তারা চলে আসে।যার ফলে পেশার বৈচিত্র্য তৈরি হয় না।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার ফলেও একজন মানুষ তার পেশায় দক্ষ হিসেবে পরিচিতি পায় আবার অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের ইচ্ছায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব হয় না।শিক্ষাক্ষেত্রে মানসিকতা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD Rokonuzzaman Bappy -
এই আর্টিকেল থেকে প্রধান দিক ফুটে উঠেছে তা হলো মাইন্ড সেট আর দক্ষতা।
জীবনে সফলতা অর্জনের প্রথম কাজটি করতে হবে আমাদের মাইন্ড সেট করা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষিত না হয়েও শুধু মাইন্ডসেট গড়ে তোলার জন্য একজন দক্ষ তাতি হচ্ছে, একজন দক্ষ কৃষক হচ্ছে। তারা শিক্ষায় শিক্ষিত না। শুধু মাইন্ডসেট গড়ে তোলার জন্য তারা সফল।
তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের উচিত জীবনের সফলতার জন্য নিজের মাইন্ডসেট নিয়ে কাজ করা উচিত এবং এর বিস্তার ঘটানো প্রয়োজন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Asrat Jahan Rupa -
We need to focus on what our minds want, not on what our people teach us.The first thing we need to do is set our mindset on what I want.If I go to any profession, I will be able to work from my mind and I will have peace of mind.You have to give priority to your own will. Only then can we be transformed into skilled manpower.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jannat Ara Richi -
মাইন্ডসেট বলতে এক কথায় বোঝায় যে কোনো কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ । হতে পারে এটা জীবনের লক্ষ্য বা অন্য কোনো কাজ যা করতে হলে নিজের আগ্রহ বা মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। কেননা লক্ষ্যহীন মানুষ বৈঠা ছাড়া নৌকার সমতুল্য।

তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এতটাই আধুনিক যে পূর্ব পুরুষদের ধরে রাখা পেশা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কখনোই পিছপা হয় না। কিন্তু এই মানসিকতা থেকে বের না হতে পারলে আমরা নিজেরাই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ব্যর্থ বলে গণ্য হবো।

সুতরাং, নিজেদের অবস্থান গড়ে তোলার প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার হলো নিজের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের মাইন্ডসেট আপ করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Ahmad Ullah -
জীবনের প্রত্যেক টা ক্ষেত্রেই সর্বপ্রথম মাইন্ডসেট করাটা জরুরি। কোনো কাজে মাইন্ডসেট করা না থাকলে সে কাজে ভালোভাবে সফল হওয়া সম্ভব না। তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রেও মাইন্ডসেট করাটা খুব জরুরি। আমাদের বর্তমান সমাজে শিক্ষার মাইন্ডসেট করা থাকে না বলে, পারিবারিক চাপে বা সমাজের লোক দেখানোর জন্য মানুষ ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়েও বি সি এস দিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। জ্ঞান অর্জন করছে এক বিষয়ের উপর, কিন্তু কাজ করছে অন্য বিষয়ে। যার জন্য প্রতিটা ক্ষেত্রেই দক্ষ লোকের অনেক অভাব। আর একটা বড় বিষয় হলো, আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। উদাহরণ স্বরুপ- যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে। তাই এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। পারিবারিক সূত্রে নয়, যার যার যোগ্যতার বলে এগিয়ে যেতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Eshan Eshan -
Outlook up is vital to push ahead in the skirmish of life. It is found in the groups of our country that there is an inclination in a youngster since the beginning that he will carry on his family vocation later on. That is, there is a propensity in him to follow the family custom. Thus, a designer's child chooses to turn into a specialist. Sooner or later, he doesn't care for this work any longer. And afterward he pursued BCS. Thus, his schooling stays fragmented. So above all else an understudy needs to set a particular objective to be set up throughout everyday life and continue likewise.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jahid Hasan -
জীবনে মাইন্ডসেট খুবই গুরত্বপূর্ন।আমাদের আগামীতে কি করবো আমাদের দক্ষতা কিসে সেটা কাজে লাগিয়ে মাথায় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু আমাদের সমাজ এ এখন হচ্ছে ময়রার ছেলে ময়রা হবে জেলের ছেলে জেলে হবে এটা আমাদের দক্ষতা আমাদের মাইন্ডসেট ঠিক মত হচ্ছে না।আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখন দিন শেষে সবাই বিসিএস এর পিছনে দৌড়াচ্ছে।জ্ঞান অর্জন করছে এক বিষয়ের উপর, কিন্তু কাজ করছে অন্য বিষয়ে। যার জন্য প্রতিটা ক্ষেত্রেই দক্ষ লোকের অনেক অভাব। আর একটা বড় বিষয় হলো, আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। পারিবারিক সূত্রে নয়, যার যার যোগ্যতার বলে এগিয়ে যেতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md.Mashudur Rahman Limon -
Mindset refers to that planning about our career and mental preparation what we intend to do in future for living. There is a tendency to do what our forefathers did,we feel interested to do the same. Sometimes it's opposite. Depending on various reasons we sometimes choose a sector to study and acquire a degree but do don't feel interest in that sector..This makes our knowledge limited. The amount of knowledge and profeciency we should acquire,we fail to do so. That's because of our mental preparation and satisfaction. This is causing our nation a lack of manpower and unemployment.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Bappi Shahriar Srabon -

আমরা অনেকেই শুনেছি যার যে বিষয়ের উপর মনোযোগ আছে যে যে বিষয়টি পছন্দ করে তার ওই বিষয়ের উপরে থাকা উচিত। কিন্তু অধিকাংশ সময় দেখা যায় আমাদের যে বিষয়ের উপর মনোযোগ নেই সেই বিষয়ের উপর আমরা পারিবারিক চাপে অথবা অন্য কোন কারনে চলে যায়।এর দরুন আমরা ঐ বিষয়ের উপর মনোনিবেশ করতে পারি না। মনোযোগ থাকে না বলে আমরা সেই বিষয়ের উপর দক্ষ হতে পারি না এবং জীবনে ব্যর্থ হওয়ার একটা সুযোগ থেকে যায়। আমরা যদি সফল হতে চায় তাহলে আমাদের ওই বিষয়ের উপর সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে হবে। বিষয়টিকে মন দিয়ে আঁকড়ে ধরতে হবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jannatul Ferdous -
জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা। এই যে কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ এইটাই মূলত ঐ বিষয়ের প্রতি মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা।জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য, আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন এবং গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে সন্তানদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হওয়ার জন্য। কিন্তু একবারও লক্ষ্য রাখা হয় না সন্তান কিসের উপর বেশি ইন্টারেস্টেড। সেজন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট করা সম্ভব হয় না। মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। আমাদের মাইন্ডসেট এর সমস্যার জন্যই হয়তো গ্রাজুয়েশন শেষে সকলে বিসিএস এর দিকে ঝুঁকে পড়ে।মাইন্ডসেট থাকে না বলে অনেক এমবিবিএস ডাক্তার আজ বিসিএস দিয়ে প্রশাসন এ যেতে চান। মানে শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসিকতা গরে উঠেতে পারে নাই। ফলে ডিগ্রি দেওয়া হলেও দেশের উন্নয়ন এ যে ধরনের লোক দরকার তা তৈরি হচ্চে না। ফলে ডিগ্রি প্রাপ্ত বেকার এর সংখ্যা দিন বারছে। আমরা যদি মাইন্ডসেট না করে যে কোন একটা বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেই তাহলে আমাদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে।কিন্তু যদি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের তাদের ইচ্ছে মতো স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া হয় তাদের চাওয়াটাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তবে সহজেই জনগণকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।তাই শিক্ষার মাইন্ডসেট গড়ে তুলতে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে, সকলের দৃষ্টি ভঙ্গি এবং মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md shahadat Hosain -
প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল, সেটি হলো মানসিকতা। এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। আজকের পৃথিবীতে আমরা দেখি, একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে, মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করে, কিন্তু ওই বিষয়ে পড়ার মানসিকতা তার তৈরি হয় না। ফলে দেখা যায়, অনেক এমবিবিএস চিকিৎসক আছেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান, কেউ পুলিশ হতে চান। বহু প্রকৌশলী রয়েছেন যাঁরাও একই পথের পথিক। এর অর্থ দাঁড়ায়, শিক্ষাক্ষেত্রে মানসিকতা তৈরিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যে বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করাই, শেখাই, সে বিষয়ে মানসিকতা তৈরির অভাবে সারা দেশে যে মানের জনশক্তি তৈরির কথা ছিল, যে সামর্থ্য তৈরি হওয়ার কথা ছিল, সেই লক্ষ্য পূরণ হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে বিভাগ–সংশ্লিষ্ট মানসিকতা তৈরি হলে প্রয়োজনীয় দক্ষতা-যোগ্যতা-জ্ঞান—সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী বেড়ে উঠবে, গড়ে উঠবে, নিজেকে তৈরি করবে। সেই সমন্বয় সৃষ্টি না হলে মানুষ শুধু বাহ্যিক আচরণ দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করার চেষ্টা করে। আমাদের সমাজের নিয়ম অনুসারে ব্যাক্তি তার পূর্ব পুরুষ অনুযায়ী শিক্ষার অগ্রগতি লাভ করবে। এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু দেশ আর মানুষের জীবন উন্নয়নের জন্য সব কিছুরই পরিবর্তন আনা জরুরি। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ড সেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক টা মানুষকে যেন তার স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া হয় এটারই মূল লক্ষ্য শিক্ষার মাইন্ড সেট।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by shuvojit shil -
আমাদের সমাজে এমন একটা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে যে জেলের ছেলে জেলে-তাঁতী ছেলে তাতিই হবে,ছোটবেলা থেকেই তারা এটি দেখেই বড় হয় এবং তাদের মাইন্ডসেট এভাবেই গড়ে ওঠে।প্রতিটি কাজ করার জন্য মাইন্ডসেট খুবই জুরুরি। মাইন্ডসেট সঠিক না হলে কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা যায় না । আমরা অনেকেই যে বিষয়ের উপর পড়াশোনা করি তাতে আমাদের আগ্রহ নাই।আমাদের ভালো লাগা কাজ করে কোন একটা অন্য বিষয়ের উপর কিন্তু আমরা পড়ি কোন একটা অন্য সাবজেক্ট, এজন্য আমাদের ওই বিষয়ের উপর দক্ষতা তৈরি হয় না।আমরা সার্টিফিকেট পাচ্ছি ঠিকই কিন্তু আমাদের ওই বিষয়ের উপর দক্ষতা নেই বলে আমরা চাকরি পাচ্ছি না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mohaimenul Siam -
শিক্ষা মূলত জীবনের অনেক বড় একটি অর্জন। এটি আমরা নিজেদের ইচ্ছা শক্তি দ্বারাই সম্পূর্ণ করতে পারি। বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা শিক্ষায় কার্যকরী হবে না। আমরা যে কাজটি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমরা যদি সেটাকেই আমাদের ভবিষ্যৎ পেশা হিসেবে নিজেদের চালনা করে সে অনুযায়ী শিক্ষা অর্জন বা মাইন্ডসেট করি তাহলে আমাদের জীবনে পিছুপা হতে হবে না। আমরা এক জায়গায় আটকে থাকবো না। আমাদের স্বেচ্ছায় শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতা আনতে হবে। জোরপূর্বক কোন শিক্ষা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিলে আমরা সেটিতে পরিপূর্ণতা অর্জন করতে কোনদিনই পারবোনা। শিক্ষার মাইন্ডসেট এর অভাবে আমাদের ডিগ্রির অভাব নেই কিন্তু চাকরির অভাব আছে। তাই নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে গড়ার জন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sharmin Sultana Mim -
আগের সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্তমান ব্যবস্থা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলে আমরা একটা জিনিস খুব সহজে খুজে পাবো সেটি হচ্ছে বংশ পরম্পরায় কর্মব্যবস্থা ধরে রাখা। দাদার অবস্থানে বাবা আর বাবার অবস্থানে ছেলে ঐতিহ্যকে ধরে রেখে চলেছে। কিন্তু এই পরম্পরা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মাইন্ডসেট। আমরা অনেকেই হয়তো ভেবে থাকি আমি চা ওয়ালার ছেলে চা ওয়ালা হবো। আর এই ভাবনা আমাদেরকে অনেকটুকুই এগিয়ে দেয়, যদিও আমরা তখনও চা সম্পর্কে কিছু বুঝিনা। তার মানে এই না যে তাতির ছেলে একজন দক্ষ জেলে হতে পারবেনা। এটা হতে পারবে শুধুনাত্র মাইন্ডসেটের মাধ্যমে। যদি মনের ইচ্ছা প্রবল হয়, আর তীব্র ভালোবাসা, আন্তরিকতা থাকে তাহলে মনের স্বাদ জুগিয়ে যে কেউ তার সাফল্যের চরম শিখরে পৌছাতে পারবে। এমন অনেক সময়ই দেখা যায় আমরা হয়তোবা মেডিকেল সায়েন্সে পড়ি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, কিন্তু আমরা গ্র‍্যাজুয়েশনে পড়ে অনেকে নিজেকে অন্য বিভাগে ট্রান্সপার করি। কেউ প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার হতে চায় কেউবা অন্য কিছু। আমরা যদি নিজের বিভাগে থেকে নিজেকে পরিপূর্ণ না ভাবি এতে করে আমাদের যে মানসিকতা সেটিও নষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে আমরা ভালভাবে দক্ষ হতে পারবোনা। এতে করে আমাদের কাছে মনে হবে দেশে ভালো চাকুরি নেই, আর চাকুরি প্রদানকারীরা খুজে পাবেনা দক্ষ কর্মী। এখানে এক ধরনের গোলযোগ বেধে যাবে। মোট কথা আমাদের কাজ করবার আগেই সেখানে মাইন্ডসেটটা আগে বসাতে হবে। কথায় আমরা অনেক সময় বলে থাকি 'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না' । তা নাহলে আমাদের যে সনদ বা দক্ষতা সব কিছুর আয়োজন অনর্থক হয়ে যাবে। সব চাইতে বড় বিষয় হচ্ছে চাকুরি দানকারী প্রতিষ্ঠান এবং গ্র‍্যাজুয়েটদের মধ্যে একটি সমন্বয় করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by shakil anower -

My opinion on the article on Education Mindset 

Attachment IMG_20210210_100229.jpg
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Limon Hossain -
মাইন্ডসেট আমাদের সফলতার চেয়ে কাজের প্রক্রিয়া, পরিশ্রম বা চেষ্টাকে অধিক গুরুত্ব দিতে উৎসাহ দেয়। কোন একটা কাজে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করার পরও যদি আমরা বিফল হই, তাহলে কিআমাদের সব পরিশ্রমও ব্যর্থ হয়ে যাবে না। কোন কাজে অংশগ্রহণ করলে, সেটা করার চেষ্টা করলেই কিন্ত অনেক কিছু শেখা হয়, জানা হয়। আর সে অভিজ্ঞতার মূল্য সফলতার চেয়ে কম নয়।শিক্ষাক্ষেত্রে সকলেই নিজের ইচ্ছায় না পড়ে পরিবারের চাপে ডাক্তারি বা ইন্জিনিয়ারিংএ পড়ে। কিন্তু এতে তার কোন ইচ্ছা নেই।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Zahid Hasan Fahim -
মাইন্ডসেটআপ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমাদের একটা ধারণা থাকে পূর্বপুরুষ যা করে পরবর্তী প্রজন্ম তাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে।এতে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ থাক বা না থাক।যেমন কোন ময়রা যদি মিষ্টি ভালো বানিয়ে থাকে তবে তার ছেলের যদি প্রশিক্ষণ না থাকে তাও আমাদের একটি ধারণা থাকে তার ছেলের মিষ্টি ও ভালই হবে । এরকম এক প্রকার ধারনাতেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে।কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত যদি এটি ঘটে থাকতো তবে পেশার বৈচিত্রতা কোনদিন ঘটতো না ।তাছারা আমরা অনেকেই আছি নিজের ইচ্ছেশক্তির বাইরে গিয়ে কাজ করি।আমরা কেও পড়ালেখা সেস করে ভাবি এই জিনিস করব কিন্তু পরিসেসে সেটা ভিন্ন হয়ে জায় কারন আমাদের মাইন্ডসেট ঠিক নাই। পরিসেসে একটা কথাই বলতে চাই আমরা জাই করিনা কেন আমাদের মাইন্ড সবসময় ঠিক রাখতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nahid Najuse -

আমাদের জীবনকে সুন্দর মতো গড়ে তোলার জন্য আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেট গড়ে তোলতে হবে । কারন এই প্রবন্ধে মধ্যে দেখা আমাদের প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে আসছে যে জেলে হবে এই রকম কিছু কিন্তু আমাদের এসব বাধা অতিক্রম করে আসার পরেও অনেক সমস্যা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আমরা হয়তো আমাদের শিক্ষা গ্রহন করছি । কিন্তু তা আমাদের মনে বিপরীতে হচ্ছে এই কারনে আমরা জিনিসগুলো ঠিকমতো আয়ত্ত পারছিনা । এর ফলে আমাদের দেশের বেকারত্ব হার বাড়ছে। আমাদের দেশের আর্থিক সমস্যা হচ্ছে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jahid Hasan -
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর্টিকেলটিতে। বংশ পরম্পরায় মানুষ তার পারিবারিক কর্মের দিকে ঝুকে পড়ে। পারিবারিক চাপে অনেকে তার নিজের ইচ্ছা থাকা সত্তেও তার ইচ্ছা মত পেশায় যেতে পারেনা
তাই আমাদের সবার আগে মাইন্ডসেট করতে হবে যাতে নিজের ইচ্ছা মত পেশা বেছে নিতে পারে। এবং দক্ষ জন শক্তিতে রুপান্তর করতে পারে।
প্রথমে প্রয়োজন মাইন্ডসেট করা এবং স্ব-স্ব স্থানে দক্ষ হওয়া। দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে ধীরে ধীরে জাতির উন্নতি করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md Abdullah 202-15-3842 -
Academic Mindsets are four key beliefs which deeply influence our behaviors as learners, and which enable learning success. These mindsets affect our motivation, strategies, and perseverance. They are:

I belong in this learning community.
I can change my abilities through effort (a growth mindset).
I can succeed.
This work has value and purpose for me.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Rashik Shahriar 202-15-3825 -
মাইন্ডসেট আমাদের জীবনে সব কিছুর ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। শিক্ষার ক্ষেত্রেও একই। কিন্তু আমাদের বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা মাইন্ডসেট টা ঠিক ভাবে না করেই পড়াশুনো করি যার ফলে আমরা আমাদের কর্মক্ষত্রে ততটাও দক্ষ হয়ে উঠতে পারি না। আমাদের সেটাই করা উচিত যেটা করলে আমরা নিজেরা স্যাটিস্ফাই হবো এবং কাজের মধ্যে আনন্দ খুজে পাবো। তাই আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেট এর পরিবর্তন প্রয়োজন এবং নিজেরা যেটা করতে পারলে কাজের মাঝে আনন্দ খুজে পাবো সেটাই করা উচিত। এতে করে আমরা দেশের কাজে আসতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Rafin Ahammed(202-15-3829) -
"শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমরা প্রথমত এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সমই আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানষিকতা। তবে মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Redul Redul(201-15-3193) -
আমাদের সবার মানসিকতা এক রকম না।এক না হওয়া টাই স্বাভাবিক। আমাদের নিজেদের মানসিকতা অনুযায়ী নিজেদের পেশা নির্বাচন করা উচিত।কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। মা বাবার কথা রাখতে গিয়ে আমরা নিজদের বিরুদ্ধে পেশা নির্বাচন করি।যে কাজে আমরা হয়ত সম্পূর্ণ ইচ্ছুক না।ফলে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারি না।সেজন্য জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য নিজের মানসিকতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD Ridwan202-15-3826 -
We need to develop a mindset of learning to make our lives better. Because as we have seen in this article, it has been our mindset since ancient times that something like this will happen in prison, but we are still having a lot of problems after overcoming these obstacles. It turns out we may be receiving our education. But it's the opposite in our minds because we can't control things properly. As a result, the unemployment rate of our country is increasing. Our country is having financial problems.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD. Lutfor Rahman(201-15-3313) -
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত শিক্ষার মাইন্ডসেট করে নেয়া। নয়ত আমরা কখনোই আমাদের সমাজের সম্পদ হতে পারবো না। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সমাজে একটা বিষয় লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে, পরিবার অথবা বড়রা যে পেশা বেছে নিয়েছে আমরাও সে পেশার দিকে ঝুঁকে পরি। এতে করে আমাদের শিক্ষার মুল্য ই থাকলো না। ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কেউ যদি বি সি এস কেডার হতে চায় তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি আমাদের মাইন্ডসেট ঠিক নেই।যদি আমরা আমাদের মাইন্ডসেট ঠিক করতে পারি তাহলেই সমাজ ও দেশ এর কল্যাণ অন্যথায় লেখা পড়া ঠিকই করবো কিন্তু যা নিয়ে পড়বো সে বিষয়ে সমাজ এর উপকারে আসতে পারবো না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Tabassum Islam Mim 202-15-3848 -
Learning mindsets are important factors that affect students’ motivation, engagement, and achievement. Mindsets are students’ beliefs about learning and school. Students who hold learning mindsets are more motivated to take on challenging work, persist in the face of setbacks, and achieve at higher levels. Learning mindsets affect whether or not students engage with challenges because they affect the way in which students make meaning of those challenges. More broadly, mindsets are the lenses through which students interpret their day-to-day experiences in school, particularly experiences of challenge and uncertainty. Thus, it is very important for students of any ages to have their mindset fixed about their goals before going into any educational fields for better success rates.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Shimul chakraborty 202-15-3840 -
মাইন্ডসেট শব্দটি ছোট হলেও তার তাৎপর্য বিশাল। মাইন্ডসেট সেই বিষয়ের দিকেই করা উচিত যেই কাজে আমরা নিজেরা নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রাখতে পারি। শিক্ষিত হয়ে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজে যুক্ত হলে সেই কাজে অনীহা চলে আসে।
তাই কোন কাজে অনীহা পোষণ না করে বরং দক্ষতার পরিচিত তখনই মিলবে যখন
সেই কাজে আগ্রহ, ভাললাগা কাজ করবে।
এতে যেমন নিজেরা স্বাধীন স্বাচ্ছন্দ্য ভাবে কাজ করতে পারব তেমনি নিজেদের স্বকীয়তার সহিত জীবন যাপন করতে পারব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Omar Faruk -
From that article we can understand that we plan our education life or Futuree a lot like we want our family. But in this case one thing that is left out is our own desire, our own love, our own interest. There should be no goal. Because at some point that profession will not feel good anymore and we will not be able to improve there. It is not just that we are losing here. It's a huge chain of events. For example, if I leave the profession I am in, there will be a vacuum, so the whole system will break. There would be no break. So without following the tradition, you have to find your own desire and move forward in life.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD RAKIBUL ISLAM 201-15-3369 -
মাইন্ডসেট শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা ছোটবেলা থেকে যা দেখে বড় হয়েছি তার প্রতি আমাদের অগ্রহ বেশি। প্রবন্ধে বলা হয়েছে একজন জেলের ছেলে ছোটবেলা থেকে তার বাবাকে মাছ ধরতে দেখে বড় হয়েছে। তার মনের মধ্যে সে এই পেশাটাকে নিয়ে সে বড় হতে থাকে। ঠিক তেমনি আমারা ছোটবেলায় যা দেখি তার প্রতি আমারা আকৃষ্ট হই। আর আমরা যদি শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ড সেট না করি তাহলে তার ক্ষতিকর প্রভাব অনেক। ছাত্রজীবন থেকে যদি মাইন্ডসেট না করই তাহলে আমরা পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের মধ্যে আনেকে আছে যাদের উপর একটা বিষয়ে পড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তাতে যদিও সে অই বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে কিন্তু তার তখন সে বিষয়ের প্রতি কোনো আগ্রহ থাকে না। তাই পরিশেষে বলতে চাই শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেট এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nausin Onti 202-15-3827 -
যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট।লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বংশ পরম্পরায় কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। যেমনঃ ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ময়রার ছেলে ময়রা, রিকশা চালকের ছেলে রিকশাচালক। এভাবে যদি পেশার বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তাহলে বিশাল জনগোষ্ঠীর এদেশ উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারবে না।একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যে ইঞ্জিনিয়ারি হবে এটা আগে থেকে কখনও বলা যায়না।বরং একটা রিকশাওয়ালার ছেলে ও কঠোর পরিশ্রম করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যায়।দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিচ্ছে কিন্তু শিল্পকারখানায় বা দেশের উন্নয়নে যে ধরনের লোক প্রয়োজন, তা তৈরি হচ্ছে না বিভাগ-ডিসিপ্লিন নির্বিশেষে সব গ্র্যাজুয়েটকে যদি দিন শেষে বিসিএসের পেছনে ছুটতে হয়, তবে প্রচলিত ধারার শিক্ষার পেছনে সরকারি-বেসরকারি এত এত অর্থ খরচের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়।তাদের যদি তাদের পছন্দের সেক্টরে পড়ানো হয়, তবে আমাদের দক্ষ জনশক্তি অনেক বেড়ে যাবে। তাই মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা জরুরি। দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধের প্রয়োজন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jannatul Ferdous Konok 202-15-3828 -
Education is a great achievement in life. We can accomplish this by our own will power. Hereditary continuity will not be effective in education. We don't have to lag behind in our lives if we get the education or mindset according to the work that we feel comfortable doing as our future profession. We will not be stuck in one place. We need to bring the mentality of voluntary education. We will never be able to achieve perfection if we are forced to do so. We do not lack degrees due to lack of mindset of education but lack of jobs. So the mindset of education is very important for building oneself in a perfect way.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Ramjan Mia(201-15-3626) -
আমরা প্রথাগত শিক্ষা দিকে ধাবিত হয়ছি।আমাদের প্রথাগত শিক্ষা থেকে বের হয়ে কারিগরি শিক্ষা দিকে ধাবিত হতে হবে।আমাদের এটা নিয়ে বসে থাকলে হবে না আমার বাবা কৃষক আমি ও বড় হয়ে কৃষক হব। কৃষক বাবার ছেলে ও ডাক্তার, বিসিএস ক্যাডার হয়ছে,ইঞ্জিনিয়ার হয়ছে,সচিবালয়ে চাকরি করছে।তাই আমাদের শিক্ষা কে পাঠ্যবই মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না।তার সাথে অন্যান্য দিকে খেয়াল করতে হবে।আমাদের সমাজ কে মুখস্থ বিদ্যা ধ্বংস করে দিচ্ছে।যদি মনের ইচ্ছা প্রবল হয়, আর তীব্র ভালোবাসা, আন্তরিকতা থাকে তাহলে মনের স্বাদ জুগিয়ে যে কেউ তার সাফল্যের চরম শিখরে পৌছাতে পারবে। তাই আমাদের ইচ্ছাশক্তি মাধ্যমে অসম্ভব কে সম্ভব করতে পারি।তাই আমাদের প্রথমেই মাইন্ডসেট ঠিক করা আমি বড় হয়ে কি হতে চাই এবং সেটা জন্য আমাদের কি করতে হবে তাই করা।তাহলে আমরা সাফল্যের চরম শিখরে আরোহন করতে পারবো। সরকার যদি শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mostafizur Rahman 202-15-3850 -
মাইন্ডসেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় । আমরা আমাদের জীবনে কি হতে চাই ,কি করতে চাই সেই ভাবে আমাদের মন কে গঠন করাটাই হল মাইন্ড সেট ।জীবনে মাইন্ডসেট আপ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি । অনেক ক্ষেত্রে ছেলেবেলা থেকে একটি মাইন্ডসেট তৈরি হয়ে যায় যে আমি কি হব । বংশ পরম্পরায় মানুষ তার পারিবারিক কর্মের দিকে ঝুকে পড়ে । সে খেয়াল করে না তার মন কি চাই এবং সে কি স্বপ্ন দেখে । আমরা আমাদের মাইন্ডসেট ঠিক ভাবে না করেই পড়াশুনো করি যার ফলে আমরা আমাদের কর্মক্ষত্রে ততটাও দক্ষ হয়ে উঠতে পারি না । আমাদের উচিত আমাদের মন কি চাই সেই দিকে খেয়াল রাখা তাহলে সেই কাজ করে আনন্দ পাব এবং সেই কাজের মাধমে সফলতা আসবে ।সেজন্য জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য নিজের মাইন্ড কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Faisal Habib -
আমাদের উচিত আমাদের নিজেদের দক্ষতা কিশে সেটা খুজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী পথ তৈরি করে অগ্রসরহ হওয়া । কিন্তু অধিকাংশ সময় পরিবার থেকে চাপ দেয়া হয় ওই সব বিষয়ের প্রতি যেখানে আমাদের মনোযোগ থাকে কম ।এর দরুন আমরা ঐ বিষয়ের উপর মনোনিবেশ করতে পারি না। মনোযোগ থাকে না বলে আমরা সেই বিষয়ের উপর দক্ষ হতে পারি না এবং জীবনে ব্যর্থ হওয়ার একটা সুযোগ থেকে যায়। আমরা যদি সফল হতে চাই তাহলে, যে বিষয়ে আমাদের মন সারা দেয়, আমাদের ওই বিষয়ের উপর সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে হবে । বিষয়টিকে মন আঁকড়ে ধরতে হবে মন দিয়ে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Ananna Saha 202-15-3821 -
আমাদের যেকোনো কাজ করার আগে মাইন্ডসেট করা উচিত। আমরা মাইন্ডসেট না করে কাজ করার ফলে আমরা রোজ অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। যেমন : অনেকে মেডিকেলে পড়াশোনা শেষ করে পুলিশ হতে চায় আবার অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভালো বিষয়ে পড়ার পরেও সে চাকরির বাজারে চাকরি পাচ্ছে না। এইসবের কারণ হচ্ছে কোনো কাজ করার আগে মাইন্ডসেট না করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যার জন্য আমাদের দেশের বাইরে থেকে লোক আনতে হচ্ছে। মানসিকভাবে যদি কোনো কাজের প্রতি আসক্ত না হই তবে সেইখানে সফলতা আনা খুবই কষ্টকর। যেমন একজন জেলের ছেলে জেলে হয়, একজন তাতির ছেলে তাতি হয়। একজন জেলের ছেলে কখনো নদীতে জাল ফেলে নি সে এই কাজে দক্ষতার সাথে করতে পারবে কারণ এই কাজের প্রতি তার আগ্রহ কাজ করে। আবার অনেকেই খাদ্য ও পুষ্টি প্রকোশলে পড়াশুনা না করেও খাদ্যের মান সম্পর্কে বলে দিতে পারে এর কারণ হচ্ছে তার কাজকে মানসিকভাবে মেনে নিয়েছে এবং অনেক আগ্রহের সাথে এই কাজ করে যার জন্য সে এই বিষয়ে না পড়েও অনেক দক্ষ। সর্বশেষে এইটাই বলা যায় যে মাইন্ডসেট করে কাজ করলে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করা যায় এবং নিজেদেরকে সেই কাজে দক্ষ একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by NAHID ARMAN FAHIM 202-15-3831 -
জীবনে মাইন্ডসেট খুবই গুরত্বপূর্ন। আমাদের জিবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই মাইন্ডসেট থাকা খুবি গুরুত্বপূর্ণ। কারন, আমরা যেই কাজ করবো সেই কাজে আমাদের ইচ্ছা না থাকলে আমরা কোনদিন সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারব না। আমরা যখন কোন কাজে মাইন্ডসেট তৈরি করে নিবো, তখন সেই কাজে সফল হওয়ার সম্ভবনা অনেকগুনে বেড়ে যায়। তাই, আমাদের জীবনকে সুন্দর মতো গড়ে তোলার জন্য আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেট গড়ে তোলতে হবে ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Fardin Riad 202-15-3846 -
আমরা আমাদের জীবনে যা কিছুই করি না কেন সকল ক্ষেত্রেই আমাদের মাইন্ডসেট থাকাটা জুরুরি। হোক সেটা শিক্ষাক্ষেত্রে বা কর্মক্ষেত্রে। বর্তমান সমাজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সমাজে একজন সফল হলে তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরে নিয়ে সকলে সেই দিকেই চলতে শুরু করে। হয়তো কেও নিজের ইচ্ছায় না বুঝে অথবা কেও পরিবারের বা নিজের অনিচ্ছায় নানা দিকে ধাবিত হয়। কিন্ত আমাদের সকলেরই উচিত মাইন্ডসেট করে আমাদের যে কাজটা ভাল লাগে সেটা করা। এতে করে যেমন আমরা নিজেদের সাফল্যের দোড়গুরায় পৌঁছাতে পারব ঠিক একইভাবে আমরা দেশের কাজে আসতে পারব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Rudra Prashad Shil 201-15-3338 -
শিক্ষাক্ষেত্রে মাইন্ডসেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিদ্যমান। আমরা অনেক আগে থেকি এটা জেনে আসছি যে- জেলের ছেলে জেলে হবে, উকিলের ছেলে উকিল কিংবা ডাক্তারের ছেল ডাক্তার হবে। আর এই ভাবনা আমাদেরকে অনেকটুকুই এগিয়ে দেয়। এটা ভেবে যাদের জীবনের অন্য পেশায় দক্ষতা আছে তারা সেটি নিয়ে এগোতে ভয় পায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন জেলের ছেলে ডাক্তার হতে চায় কিন্তু সমাজের চোখে হেয় হওয়ার ভয়ে বা পারবেনা এটা ভেবে অনেকে পিছিয়ে পড়ে। সে আগে থেকেই মাইন্ডসেটাপ করে রেখেছে যে তার জেলেই হয়ে হবে। একইভাবে একজন ডাক্তারের ছেলেও আগে থেকে মাইন্ডসেটাপ করে রাখে যে তার ডাক্তারই হতে হবে। তাই জীবনে সফল হতে হলে কোনোপ্রকার চাপমুক্ত থেকে মাইন্ডসেট করতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md. Mehedi Hasan 202-15-3845 -
যেমনটি আমাদের জাতির সামাজিক পরিকল্পনার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, আহ্বান জানানো এবং বৃহত্তরভাবে পারিবারিক বোধগম্যতার বিষয়টি ধরে রাখে তবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থার এই সংঘটি যদি রক্ষা করা হয় তবে জীবনধারণের কারণগুলি বাছাই করা হবে না। অধিকন্তু, দেশের ক্রিয়াকলাপের স্ট্যান্ডার্ড টিউটরিং কোর্সের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, লোকেরা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উচ্চ স্তরের প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানে কাজ করতে পারে না। এর পেছনের প্রধান কারণটি আমাদের আচরণের কারণ, মাইন্ডসেট উন্নতির কারণে, এভাবে সকল ব্যক্তি সব ব্যবস্থা বা অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে সক্ষম হন। নির্দিষ্ট একটি উপাত্তে সক্ষমতা তৈরির মৌলিক বিষয় হ'ল রাজস্ব, ভালবাসা এবং সত্যের সাথে সেই বিষয়ে বাছাই করা। আমাদের দেশের অসংখ্য পরিকল্পনাকারী বা বিশেষজ্ঞরা সরকারী পেশা সম্পর্কে প্রবৃত্ত হন, জীবনযাপনের নিজস্ব কারণ রেখে দেন যদি এই প্রত্যাবর্তন হয় তবে বিশেষত ক্ষেত্রে দক্ষ কাজ পাওয়া কঠিন হবে তাই কাজের ক্ষেত্র দ্বারা প্রদর্শিত হিসাবে, এটি গুরুত্বপূর্ণ সেই আহ্বান সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রতিভাধর কাজ যার জন্য আমাদের সবচেয়ে দন্ডিত সময় সূচনার পর্যায়ে থেকে আমাদের অবস্থান নির্ধারণ করা প্রয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের তথ্যমূলক সংস্থার একটি ব্যতিক্রমী কাজ রয়েছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Minhajul Abedin -
আমাদের সবার জীবনে সফল হওয়ার জন্য মাইন্ড সেট খুবই প্রয়োজন। এটি এমন একটি বিষয় যা নির্ধারণ করে আমরা আমাদের জীবনে কতটুকু সফল হব বা বিফল। আমাদের সমাজে যদিও মাইন্ডসেটের খারাপ দিকটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে অভিভাবক রা তারা তাদের নিজস্ব মতামত এর উপর তাদের ছেলেমেয়েদের মাইন্ডসেট করতে চায়। যেমন মা বা বাবা ডাক্তার হলে ছেলেমেয়েদের ও তাই হতে হবে। কিন্তু মাইন্ড সেট এর গুরুত্ব অন্য দিকে। এটি নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থী নিজের উপর সে নিজে কি ভালো পারে বা কিসের উপর আগ্রহ বেশি সেই হিসেবে সে তার মাইন্ড সেট আপ করবে যাতে সে সহজেই সফল হতে পারে। বিশেষ করে এটি যদি স্কুল কলেজে শেখানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক উপকার হবে
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jessika Alam -
মানব মস্তিষ্ক মানব মাথা কম্পিউটার আইকন, মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা, সাদাকালো, মস্তিষ্ক এর কাজ মস্তিষ্ক ঠিক করে নেয় একেক সময় নিজেই। তবে একথাও ঠিক পরিণত মানুষের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা কঠিন।আমরা বেশিরভাগ মানুষ হয়তো ভেবে থাকি আমি যার ছেলে বড় হয়ে তার মতই হবো। আর এই চিন্তাধারা আমাদেরকে অনেকটুকুই এগিয়ে দেয়, যদিও আমরা তখনও বংসের কাজ সম্পর্কে কিছু জানি ।অনেকে বংসগত ভাবে কামার,মুচি,জেলে এবং তারা ভাবে বড় হয়ে তাই হবে। কিন্তু আসলে তা নয় যে মুচির ছেলে ডাক্তার হতে পারবেনা।আর এটা হতে পারে এটা হতে পারবে শুধুনাত্র মাইন্ডসেটের মাধ্যমে।এখন কার দিনে সুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে টাকা উপার্জন এর লক্ষে চাকরি করার জন্য। কিন্তু তারা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না।কিন্তু তারা নিজেরাও ত চাকরি করার জন্য কম্পানি বানাতে পারে জেটাতে তারা আনন্দ পায় সেটাও করতে পারে। ভালবাসার কাজ টা বাছাই করতে পারে।আর এটা জদি সবাই করতে পারে তাহলে তারা অবশ্যই বড় কিছু হতে পারবে৷ তাই আমাদের সঠিকভাবে মাইন্ডসেট করা উচিৎ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sabbir hossain rifat(201-15-3324) -
একজন মানুষ জীবন এ পরিপূর্ণতা এবং সাফল্য অর্জন করে কান খিত জায়গা তে যেতে তখন ই পারবেন যদি তার মদ্ধে নিজ মানসিকতা এবং কাজ এর প্রতি বা নিজ লক্ষের প্রতি ভালবাসা থাকে।আমাদের বর্তমান সমাজ এক অজানা গন্তব্বের দিকে ছুটছে। আমরা ডাক্তার হতে চাই আমরা বি সি এস ক্যাডার হতে চাই কিন্তু আমাদের মদ্ধে তা অনুশিলন করে নিজ লক্ষে যেতে পারি না। যা হতে চাই কোন এক কারনে সেখান থেকে সরে যাই যার প্রধান কারন আমরা লক্ষ করি মানুষ এর প্রাপ্তি কিন্তু তার পিছনে যে অই মানুষ অক্লান্তভাবে শ্রম দিএছে তা আমরা লক্ষ করিনা। ফলে আমরা আমাদের লক্ষে পৌছাতে পারিনা।যার অন্নতম কারন আমাদের লক্ষের প্রতি যে মানসিকতা বা মাইন্ডসেট এর অভাব। আমরা ডাক্তার হতে চাই কিন্তু পরিপূর্ণ ভাবে সাধনা করার মানসিকতা জন্ম দিতে পারিনা। আমাদের সরকার আমদের জন্যে আমাদের নিজের পা এ দারানর সুযোগ করে দিচ্ছে কিন্তু আমরা এ ভাবে নিজ দেশের টাকা খুইয়ে আমরা দেশের অবনতি করছি দিন দিন। টাকা তা আসছে আমাদের দেশের মজুর স্রমিক মজুর দের কাছ থেকে।যে তাকা আমরা ফেলে দিচ্ছি তা তাদের প্রসিক্ষন এর পিছন এ খরচ করলে ও দেশের উন্নতি হত।

তাই আমরা নিজ দেশের উন্নতির কথা মাথাএ রাখব এবং নিজ লক্ষে পৌছাতে নিজের মানসিকতা এবং মাইন্ডসেট করব এবং লক্ষ পুরন করে দেশের সেবা করব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Radiful Islam 202-15-3837 -
মাইন্ডসেট বা মানসিকতা হলো একজন মানুষের চিন্তা চেতনার মূল। মাইন্ডসেটের বড় একটা প্রভাবক হলো আমাদের চারাপাশের পরিবেশ, মানুষজন, পরিবার এবং সংস্কৃতি। একজন মানুষ যদি পারিবারিক পেশার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে বেড়ে উঠে তাহলে তার মাইন্ডসেটে ঐ পেশার একটি বিশেষ প্রভাব থাকে এবং এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে সেও ঐ পেশায় নিজেকে সরাসরি যুক্ত করতে চায়।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের মাইন্ডসেট এমন যে, শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্থিব অর্জন হোক সেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বা পেশা পছন্দনীয় কিংবা অপছন্দনীয়।ফলস্বরূপ এমন মাইন্ডসেটের নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় ব্যাক্তিগত জীবন থেকে আরাম্ভ করে জাতীয় পর্যায়ে। একজন ব্যাক্তি যখন জীবনের ১৫ বছর পড়াশোনা করে নিজের পছন্দে জায়গাটা খুজে পান না তখন এতে যেমন ঐ ব্যাক্তির বিশাল সময়ের অপচয় হয় তেমনি অপমৃত্যু হয় একটি সম্ভাবনা এবং সংস্থানের। সব শেষে দেখা যাচ্ছে দেশে সংস্থান প্রদানকারী এবং সংস্থান গ্রগনে আগ্রহীদের মধ্যে তৈরী হয়ে যায় এক অদৃশ্য দেয়াল। তবে অনেকেই ব্যাপারটা দেরিতে হলেও অনুধাবন করতে পারেন এবং নিজ ডিপার্টমেন্টের বাইরে কোন ভালো লাগার বিষয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন এবং বেছে নেন নিজের পছন্দনীয় পেশা।

মাইন্ডসেটের বৈচিত্র্যতার অভাবে লক্ষনীয় হয়ে উঠে সৃজনশীলতার অভাব। শিক্ষার মাইন্ডসেটের পরিবর্তন তাই অতীব জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে। শিক্ষা কিংবা কাজের জায়গাটা হওয়া উচিত আনন্দের, ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Raisa Ferdush (201-15-3142) -

The word mindset is small but its meaning is huge.  Mindset should be directed towards the subject in which we can retain our own identity.  When one is educated and engages in work against one's will, reluctance comes to work.

 So without reluctance in any work, but only when the skill is known

 Interest in that work, will work well.

 In this way, just as we will be able to work in an independent and comfortable way, we will be able to live our own lives.

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by saikat Sarkar (202-15-3836). -
আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক একটা ধারার মধ্য দিয়ে বড় হয়।
তাদের তাদের পরিবারের কেউ যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার এমন কোনো নিরাপদ প্রফেশনে থাকলে তাহলে তারা নিজেদের মধ্যে একটা মাইন্ডসেট করে ফেলে আমিও বড় হয়ে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হব।কিন্তু তারা তখনো জানে না এটা তাদের পছন্দের কর্মস্থল কিনা? ছোটবেলার এই ইচ্ছার কারণে অনেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা এমন কোনো নিরাপদ পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা অবস্থায় তারা বুঝতে পারে এটা তাদের কমফোর্ট জোন না।
তারা অন্য কিছু হতে চায় তখন দেখা গেছে আমাদের দেশের একটা ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করার পরে সে প্রশাসনে চাকরি করতে চায়. ডাক্তারি পড়াশোনা করে প্রশাসনে চলে আসে তখন দেশের ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারের একটা ঘাটতি দেখা যায় এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্ট হয়।এ সমস্যার জন্য দায়ী মাইন্ডসেট।আর এখানে আমরা নিজেরা যেমন দায়ী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও দায়ী।কারণ আমরা যেমন যথাযথ সময়ে নিজেদের পছন্দের বিষয়টা নির্ধারণ পারি না তেমনি শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থাও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী দের আগ্রহ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, আর তখনই এই সমস্যাটা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আমাদের মা-বাবা যেমন উচিত তাদের সন্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের উচিত কার্যত ব্যবস্থা নেওয়া যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব-স্ব বিষয়ে পড়াশোনা এবং কর্মস্থলে নিজেদের ইচ্ছায় কাজ করার স্বাধীনতা এবং আগ্রহ খুঁজে পায় তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Bijoy Dhar 202-15-3830 -
একটি মানব শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই তাকে যেভাবে পরিচালনা করা হয় ঠিক সেভাবেই তিনি গড়ে ওঠে এবং একই সাথে সে যখন কৈশোরে পদার্পণ করে তখন তার কিছু স্বপ্ন নিয়ে সে বড় হয়ে উঠতে শিখেআর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় উক্ত স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকে যায়।এর প্রধান মূল কারণই হচ্ছে আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া।কারণ প্রত্যেকটি বাবা-মা'ই তার সন্তানদের কে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বানাতে যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব স্বপ্নের বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হয় না। আর এই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেরই ইচ্ছা থাকে না এরকম পেশায় নিযুক্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে অনেকেরই নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা থাকে যেমন অনেকে হতে চাই উদ্যোক্তা।এবং এভাবে একটি পর্যায়ে তাদের গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন হয় এক ধরনের হতাশা হীনমন্যতার মধ্য দিয়েই।আর এই বিশাল জনগোষ্ঠীর যখন চাকরির বাজারে যায় তখন ফলশ্রুতিতে তাদের সফলতা প্রায় শূন্যের দরবারে।আর উক্ত সমস্যা থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী মাইন্ডসেট পরিবর্তন। যে যে পেশায় নিযুক্ত হতে চায় তাকে সেই পেশ।য় নিযুক্ত করার দিকে ধাবিত করা এ ক্ষেত্রে অভিভাবকসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলেই আমাদের সফলতা আমাদের হাতের মুঠোয় এসে পড়বে।এখন যেমন প্রয়োজন অনুভব হয় চাকরির বাজারে দক্ষতা সম্পন্ন লোক ঠিক তখন এই বিষয়টি থাকবে না।ফলে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো।আর দেরি না করে এখনই প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন এর ফলে উপকৃত হবে দেশ সমাজ ও রাষ্ট্র।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by saif pramanik(202-15-3847) -
মাইন্ডসেটের অর্থ হলো মনস্থির করা বা মানসিকতা। অর্থাৎ কোনো কাজ করার আগে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করাই হলো মাইন্ডসেট। অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মন-মানসিকতার এতটুকু পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও আমরা এটায় ভাবি যে, জেলের ছেলে জেলে, শিক্ষকের ছেলে শিক্ষক, মুচির ছেলে মুচি, কৃষকের ছেলে কৃষক হবে। এমনকি এখনও একটা শিশু জন্মের পর কি হবে সেটাও বাবা-মাই ঠিক করে দেয়। একারণে তারা কি করবে সে বিষয়ে সঠিকভাবে মাইন্ডসেটাপ করতে পারে না। কোনো কাজ করার আগে মাইন্ডসেটাপ করাটা জরুরি। কেননা একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া কখনোই সেই কাজে সফলতা আসে না।
তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যে, যে যেই কাজই করুক না কেন নিজের পছন্দ অনুযায়ী একটা পেশায় গিয়ে দৃঢ়ভাবে মাইন্ডসেটাপ করা। তাছাড়া জনগণকে জনশক্তিতে রুপান্তর করার জন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে এবং নিজে কিছু করতে পারবে। এতে করে দেশে শিক্ষার সঠিক ব্যবহার হবে বলে আমি মনে করি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Monir Husain Shuvo 202-15-3853 -
"মাইন্ডসেট" একটি ছোট কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ।অনুচ্ছেদটিতে অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গলদ,শিক্ষার জন্য আমাদের অতি প্রয়োজনীয় আগ্রহ,আন্তরিকতা ও মানসিকতা। এই দুর্লভ মানসিকতার অভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করেও দেশে শিক্ষিতের হার বাড়লেও যোগ্য লোকের হার বাড়ছে না।ফলশ্রুতিতে,দেশীয় কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল পাচ্ছে না।তাই,বিদেশী লোকবলেরও প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে,দেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।অন্যদিকে,দেশের বেকারত্ব বাড়ছে।সঠিক মানসিকতার অভাবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করে, দক্ষ হয়ে গড়ে উঠে একটি ‘অথরিটি’ গ্রহণ করতে হবে, সেই মানসিকতাও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে তৈরি হয় না।জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা। তাই,একতরফাভাবে এক দিকে না ঝুঁকে আগ্রহ নিয়ে নিজ নিজ বিভাগে দক্ষ হলেই ব্যক্তি,সমাজ পরিশেষে দেশের বৃহৎ হীত সাধন হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mehedi Hasan Shaiham -

রসগোল্লাতে যেমন চিনির পরিবর্তে লবন দিলে তা স্বাদহীন ঠিক তেমনি শিক্ষায় আনন্দ না থাকলে তাও মূল্যহীন। জ্ঞান অর্জনে যে জায়গায় নতুন কিছু শেখার আনন্দ থাকা উচিত ছিল সে জায়গায় আমরা প্রতি বছর ক্লাস টপকানোর ভয়ে থাকি। আর এভাবে প্রতি বছর হাজার হাজার অযোগ্য জনসম্পদ তৈরি হচ্ছে। এর এভাবে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দেশ যেমন পিছনে থাকার তেমন পিছনেই আছে। কারণ আমাদের কোন সাইডে যথেষ্ট লোক থাকা সত্ত্বেও  বড় কোন সংকটে পরলে আমাদের বাইরে থেকে লোক আনতে হয়। কিছু নির্দিষ্ট গোরামি যেমন বংশ পরম্পরায় একই কাজ করা। এভাবে আমরা সামনে যেতে পারছি না। আর বাবা মার মন রাখতে অপছন্দের বিষয় গুলো তো আছেই। এতে ভালো ভাবে শেখা যায় না। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেট করতে হবে,যেন আমাদের নিজেদের পছন্দের বিষয়ে পড়তে পারি, জানতে পারি এবং দিন শেষে কাজে লাগাতে পারি। তাহলে জনশক্তি জনবলে পরিণত হবে আর আমাদের উন্নতি হবে। তাই আমাদের সকলের শিক্ষার মাইন্ডসেট দরকার। 

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sadia Srity -
আমাদের সফলতার সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে থাকে আমাদের মানসিক অবস্থা । যে কোনো কাজ শুরু করার আগে আমাদের কে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হয় । তাই কোন কাজ করার আগে সর্বপ্রথম আমাদের কে অবশ্যই মাইন্ড সেট করতে হবে । আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, জেলের ছেলে জেলে-ই হয় তাতির ছেলে তাতি-ই হয়। এভাবে যদি পেশার বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তাহলে বিশাল জনগোষ্ঠীর এদেশ উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারবে না। ছোটবেলা থেকে বাবা-মা সন্তানদেরকে বলে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হওয়ার জন্য। কিন্তু একবারও লক্ষ্য রাখা হয় না যে তাদের সন্তানেরা কি চায়। সেজন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট করা সম্ভব হয় না। আমাদের মাইন্ডসেট এর সমস্যার জন্যই হয়তো গ্রাজুয়েশন শেষে অনেক ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররা বিসিএস এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। যার ফলে আমাদের দেশে যখন কোনো দরকার হয় তখন বিদেশ থেকে লোক এনে সে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। যার ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সঠিক মাইন্ডসেট-ই এইসব সমস্যা সমাধান করতে পারবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Azfar Alvee -

আমাদের সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, পূর্বপুরুষরা যে কাজ করে এসেছে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সেই কাজেই পারদর্শী হয়ে উঠবে। ব্যাবসায়ীর ছেলে ব্যাবসায়ী হবে, চিকিৎসকের ছেলে চিকিৎসক হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে কিছু না কিছু গুণ থাকে। তার কিছু শখ ও ইচ্ছা থাকে। তার শখটাই যদি তার প্রফেশন হয়, তখন সে সেই প্রফেশনে আরও প্রফেশনাল হয়ে ওঠে। দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিচ্ছে কিন্তু শিল্পকারখানায় বা দেশের উন্নয়নে যে ধরনের লোক প্রয়োজন, তা তৈরি হচ্ছে না। একদিকে আমাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বলছে তারা প্রয়োজনমতো জনবল পাচ্ছে না, অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েটরা বলছেন বাজারে চাকরি নেই। শিক্ষিত মানুষ চাকরি পাচ্ছে না আর অন্য দিকে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো দক্ষ মানুষের অভাবে বিদেশি মানুষদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমাদের উচিত শিক্ষাক্ষেত্রে সঠিকভাবে মাইন্ডসেট করা যার ফলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারব।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Liza Akter -

আমরা অনেকেই শুনেছি যার যে বিষয়ের উপর মনোযোগ আছে যে যে বিষয়টি পছন্দ করে তার ওই বিষয়ের উপরে থাকা উচিত।  জীবনে মাইন্ডসেট খুবই গুরত্বপূর্ন।আমাদের আগামীতে কি করবো আমাদের দক্ষতা কিসে সেটা কাজে লাগিয়ে মাথায় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হয়। মাইন্ডসেট করা না থাকলে কোন কাজে ভালোভাবে সফল হওয়া সম্ভব না। আমাদের বর্তমান সমাজে শিক্ষার মাইন্ডসেট করা থাকে না বলে, পারিবারিক চাপে বা সমাজের লোক দেখানোর জন্য মানুষ ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়েও বি সি এস দিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।অধিকাংশ সময় দেখা যায় আমাদের যে বিষয়ের উপর মনোযোগ নেই সেই বিষয়ের উপর আমরা পারিবারিক চাপে অথবা অন্য কোন কারনে চলে যায়।তাই শিক্ষার মাইন্ডসেট গড়ে তুলতে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে, সকলের দৃষ্টি ভঙ্গি এবং মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sanzida Zaman Mim -
আমরা যে দেশে বাস করি সেটি মূলত উন্নয়ণ শীল দেশ। প্রতিনিয়ত আরো উন্নততর থেকে আরো উন্নত হচ্ছে আমাদের এই দেশ।যায় কারণে সে এখন আর আগের পেশায় থাকতে চায় না। ময়রার ছেলে ময়রা হয় না,জেলার ছেলে জেলে হয় না।নিজে কিছু করতে চায়।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সে যেইটা হতে চায় আমাদের দেশে তার পর্যাপ্ত সুগোক না থাকার কারণে সেটাও হয়ে উঠে না।যায় ফলে তাকে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় দিকে যেতে হয়। এর পরিবর্তন আনতে হলে একদিন হবে না আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে আগে থেকে মাইন্ডসেট করতে হবে।আমাদের যে মানসিকতা সেটিও নষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে আমরা ভালভাবে দক্ষ হতে পারবোনা। এতে করে আমাদের কাছে মনে হবে দেশে ভালো চাকুরি নেই, আর চাকুরি প্রদানকারীরা খুজে পাবেনা দক্ষ কর্মী। এখানে এক ধরনের গোলযোগ বেধে যাবে। মোট কথা আমাদের কাজ করবার আগেই সেখানে মাইন্ডসেটটা আগে বসাতে হবে। তা নাহলে আমাদের যে সনদ বা দক্ষতা সব কিছুর আয়োজন অনর্থক হয়ে যাবে। চাকরি দানকারী প্রতিষ্ঠান এবং গ্র‍্যাজুয়েটদের মধ্যে একটি সমন্বয় করতে হবে। সবোপুরি আমাদের সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সকলের একটি মাইন্ডসেট করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে তবেই আমরা প্রকৃত অর্থে দক্ষ হয়ে উঠবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mayeen Ahmed -

নরসুন্দরের ছেলে নরসুন্দর হবে,

জেলের ছেলের জেলেই, হবে, এই পেশার লিগেসি টা

বিশাল  এক জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস!  যার জন্য তাদের আর্থিক দূর্গতি আদৌ কাটেনি, 

এই ক্ষেত্রে যদি একটা বিষয় যুক্ত করি ওই বিশাল জনগোষ্ঠীর লোকজন যদি তথাকথিত বাগধারা - "গোবরে ও পদ্মফুল ফোটে " 

এই উক্তি টি বিশ্বাস করতো,, 


তেমন জেলের ছেলে'ও  ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রাখে,  এই বিশ্বাস থাকলে হইতো পুরো সমাজ ব্যাবস্থা পরিবর্তন হয়ে যেতো,,,



এখন আসি  শিক্ষার মাইন্ডেস্ট এর বিষয়ে, আমরা যে  বিষয়ের উপর শিক্ষা নিচ্ছি তা কি আদৌ বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করছি?

সমাজে অনেক শিক্ষার্থী'ই  আছে, অনেকে পড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে, অনেকে পড়ছে মেডিক্যাল সাইন্স নিয়ে, বাট দিন শেষ দেখা যায় তাদের পড়ার বিষয়ে সঠিক মনমাসিকতা তৈরি হয়না, অর্থাৎ সঠিক মাইন্ডসেটের অভাব, এমবি বি এস ডাক্তার কে দেখা যায় প্রশাসন ক্যাডারে যেতে,আবার কেও হতে চাই পুলিশে, তাহলে আমরা আমদের শিক্ষার ফল কোথায় প্রয়োগ করলাম?

সেক্ষেত্রে আমরা শিক্ষার মাইন্ডসেট তৈরি করতে ব্যার্থ 

দেশের সরকারি - বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে অথরিটি বলে যোগ্য মনোবলের অভাব,

তারা তাদের কোম্পানিতে বিদেশি জনবল নিয়োগ দিচ্ছে,

অথচ বছর শেষে হাজার হাজার গ্রাজুয়েটরা গ্রাজুয়েশন নিয়ে বের হচ্ছে,

চাকরির বাজারে তাদের অবস্থান কোথায়?

তাই অতিসত্বর আমদের মাইন্ড চেইঞ্জ করতে হবে,

সঠিক ভাবে মাইন্ড সেট করতে হবে,

তাহলে আমাদের সমাজে যোগ্য জনবল তৈরি হবে!

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Muntasir Mahmud -
"শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমরা প্রথমত এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সমই আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানষিকতা। তবে মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Habiba Ahmed -

শিক্ষার মাইন্ডসেট ঃ-

মাইন্ডসেট মানে মানসিকতা। কোনো বিষয়ের প্রতি শুরু থেকেই লক্ষ্য স্থাপন করাকে মাইন্ডসেট বলে।

মাইন্ডসেট বা লক্ষ্যনির্ধারণ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় সন্তান দের লক্ষ্য নির্ধারক হিসেবে বাবা-মার ভূমিকা সবথেকে বেশি। যার বিরূপ প্রভাব পরছে সন্তানদের পছন্দ অপছন্দের উপর। যার কারনে তারা নিজেদের পছন্দের লক্ষ্য ছেড়ে বাবা-মার লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সর্বস্ব হারায়।

আবার আমাদের বর্তমান সমাজে একটা প্রথা প্রচলিত রয়েছে "আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, ময়রার সন্তান ময়রা,জেলের জেলে,রিকশাচালকের সন্তান রিকশাচালক"। আমাদের এই চিন্তা চেতনা থেকে বার হয়ে আস্তে হবে। সন্তানদের নিজেদের পছন্দের মতো মাইন্ডসেট করতে দিতে হবে। তবে তারা তাদের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে পারবে এবং জীবনে সফলতা অর্জন করবে।

শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।

সঠিক মাইন্ডসেটের মাধ্যমে দেশ, দশ ও রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা সম্ভব।

In reply to Habiba Ahmed

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by ariful islam sunny -
শিক্ষা শব্দটির সাথে মূলত আমাদের পুরো জীবনটাই জরিত । জন্ম থেকে মৃত্যু --আমরা শিখেই চলি। কিন্তু শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমাদের মন কিছু সার্টিফিকেটেই আবদ্ধ হয়ে আছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু উচ্চতর ডিগ্রি এবং তার কিছু সার্টিফিকেট প্রমান করে দিবে আপনি শিক্ষিত এবং আমরা আমাদের মনকে এভাবেই তৈরি করে নিয়েছি । আমাদের মাইন্ড এভাবেই সেট করা শুধু সার্টিফিকেটওয়ালা মানুষ গুলোই শিক্ষিত বাকিরাই মূর্খ । তাই বলে আমি তাদের (সার্টিফিকেট -ওয়ালাদের) অশিক্ষিত বলছি এমন দুঃসাহস আমার নেই। আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমাদের মনের পরিধি টা এখানেই। অথচ শিক্ষার প্রধান যে কাজ তা হলো জ্ঞানের পরিধি কে বাড়িয়ে আত্মার বিকাশ । ভালোকে গ্ৰহন মন্দকে ত্যগ। তাই আমাদের মাইন্ডকে এমন ভাবে সাজাতে হবে আমরা যেন সার্টিফিকেট কেই প্রাধান্য না দেই বরং নিজেকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলি। তবে এটি ও সত্য অবশ্যই সকলের একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে কেননা জীবনকে আরো সহজ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে । কিন্তু আমরা আমাদের মাইন্ডকে যেন সার্টিফিকেট এই আবদ্ধ না করি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD.Fuad Hasan Pulok -
আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। উদাহরণ স্বরুপ- যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেকে প্রকৌশলী পড়েও বিসিএস এর পেছেনে ছুটে পুশিল হতে চান। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে নিজেকে তৈরি করবে।এক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবেই আজ চাকরি পাচ্ছেনা।
তাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনা অত্যাবশ্যক।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Jaima Jannat Shikha -
আমাদের সমাজে তথাকথিত কিছু নিয়ম রয়েছে আর সমাজের মানুষ সেই নিয়মের মধ্যেই নিজেকে বেধে রেখেছে।কিছু নিয়মের যে পরিবর্তন দরকার তার কিছু দিকই শিক্ষার মাইন্ডসেট লেখাটিতে তুলে ধরা হয়েছে।জেলের ছেলে জেলেই হবে,ময়রার ছেলে ময়রাই হবে এমন একটি ধারণা সমাজের লোকেরা তাদের মনে পোষন করে থাকেন।কিন্ত জেলের ছেলে চাইলেই একজন বড় অফিসার হতেই পারেন শুধু ইচ্ছাশক্তিটা প্রয়োজন। অনেক সময় একজন তাতি তার ইচ্ছা,জ্ঞানশক্তির কারনে খুব ভালো কাপড় বোনেন কিন্তু দেখা যাবে তার পূর্বপুরুষ এই পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।আবার অনেকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবা মায়ের মতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল সে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়বেন তো সে ঠিকই ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন এবং তার পাস করতে যতটুকু পড়া দরকার সে ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন সে।এরুপ অনেক কারনে আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমানে স্কিলড লোকের অভাব দেখা যায় পরে বাহির থেকে লোক আনাতে হয়।সব ধরনের কাজের জন্য আগে নিজ ইচ্ছার প্রয়োজন হয় তাহলেই সে মন দিয়ে কাজটি সম্পূর্ন করা যায় এবং সেই কাজ ভবিষ্যতে সফলতা আনতে সাহায্য করে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Deen Mohammad (201-15-3180) -
Mindset is one of the most important thing in everyone's life to reach to his goal. he or she can't go much forward with out setting his mind or proper planning. we will not think about others because their intention will not match with us and if we hear about our mind we can find that what is suitable for us and what will match with us. if we can set our mind then we will have a less loss of our time and money. And we can also prepare ourselves for what our mind actually want. and can also take proper knowledge about what our mind actually want and can go much forward from the beginning.
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nasrin Akter -
আমাদের মূলত সব কাজের জন্য মনমানসিকত, আন্তরিকত, ভালোবাসা থাকা প্রয়োজন। দেখাযায় অনেক ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়,কিন্তু তাদের কাজের প্রতি কোন আন্তরিকতা, ভাল ভাসা থাকে না বলে তারা তাদের কাজে সাফল্য অর্জনকরতেপার না। কিন্তু অন্য দিকে কেউ কোন সনদপএ ছাড়া অনেক ভালো কাজ করতেপারে, কারণ তার অই কাজের প্রতি আন্তরিকতা থাকে,কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আমার বুলতে পারি আমাদের উচিত সকলকাজ আন্তরিকতার সাথে করেউচিত । আমাদের মাঝে যথাযথ অভিজ্ঞতা থাকে না বলে আমরা সকল কিছু তে পিছিয়েআছি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Asma Ankhi -
আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারা আছে তা হচ্ছে বংশপরম্পরায় তার কর্মসংস্থান ধরে রাখা।যেমন মাঝির ছেলে মাঝি হবে,তাঁতির ছেলে তাঁতি হবে,জেলের ছেলে জেলে হবে।কিন্তু তার মানে এই নয় যে জেলের ছেলে ভালো ডাক্তার হতে পারবে না। তাদের দ্বারা অন্য কিছু হওয়া সম্ভব তা তারা গুরুত্ব দেয় না।এই পরম্পরা থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে আমাদের প্রয়োজন শিক্ষার মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা।একজন তাঁতির ছেলে হলেও যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যাজিট্রেট হওয়া সম্ভব তা দৃঢ়বিশ্বাস থাকতে হবে।শিক্ষার মাইন্ডসেট তখনই সম্ভব যখন আমরা কি চাচ্ছি সেটা আমরা করতে পারবো।একটা দেশ ঠিক তখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে যখন তার প্রত্যেক টা মানুষ তার নিজ নিজ যোগ্যতা দ্বারা তার পচ্ছন্দের কাজ করে দেশের জন্য ভালো কিছু প্রদান করতে পারবে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা নিজের ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি অন্য ডিপার্টমেন্টের পড়াশোনা করে। ফলে ডিপার্টমেন্টের তেমন কিছু শিখতে পারে না।এইজন্য চাকরিও হয় না।তাই সবকিছু বাদ দিয়ে যেকোনো একটা লক্ষ্যকে স্থির করতে হবে।তাহলে জীবনে সফল হওয়া যাবে।আর যেকোনো কাজে আমাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা, বিশ্বাস, সাহস,ভালোবাসা থাকতে হবে।কথায় আছে,আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, দেশের ভার অর্পিত হবে তাদের হাতে।তাই তাদেরকে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার মাইন্ডসেট ঠিক রাখতে হবে।তাঁরা বড় হয়ে কি হতে চায় তাই প্রাধান্য দিতে হবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by sadia Snigdha -

'শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন " নামক প্রতিবেদনে প্রথমেই বংশপরম্পরায় পেশা ধরে রাখার প্রবনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রবনতা     টা মূলত  ওই কাজ দেখে বা বড়দের কাজ থেকে উৎসাহিত হয়ে সেই কাজের প্রতি যোক যায়। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা র কারনেই আমরা পিছিয়ে আছি যা আমাদের উন্নতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


২য় যে কারনটি উল্লেখ আছে তা হলো আমরা যেই বিষয়নিয়ে পড়াশোনা করি তা নিয়ে বিস্তর জ্ঞানঅর্জন করি না যার ফলস্বরূপ আমরা হতাশায় পড়ি আর চাকরি নেই বলে দেশকে দায়ি করি।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Afia Tasnim -

উদার মনে চিন্তা করা অনেক বড় একটি বিষয়।তাই নিজের মনমানসিকতা সেভাবেই গড়ে তোলা অনেক জরুরি।উন্মুক্ত চিন্তাধারা আমাদের নিজের মতো করে ভাবতে সাহায্য করে।আমাদের সমাজ যেভাবে চিন্তা করে থাকে সেটা আসলে ঠিক নয় যা আমরা "শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন" এর মাধ্যমে জানতে পারি।আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু বিষয় আছে যে বিষয়গুলো সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।

আমরা ছোট থেকেই একটি পরিবারে বড় হয়ে থাকি।সেখানে পরিবারে নানা সদস্যদের সাথে থাকতে যেয়ে আমরা নিজেদের মনস্থির করি বড় হয়ে কোন না কোনকিছু হবার জন্য।কিন্তু সমাজের মানুষরা সাধারণত ভেবে থাকে যে ছেলেটি ময়রার পরিবারে বড় হয়েছে সে তার পূর্ব পুরুষের মতো শুধু মিষ্টিই বানাবে।অন্যদিকে জেলের ছেলে জেলেই হবে এমন কিছু ধারণা।তারা যেন বড় করে ভাবতেই চায় না।অন্যদিকে অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নিজের আপন মনে অনেক কিছু ভাবে।তারা নানাজন নানা কিছু হতে চায়।সেখানে আমরা অনেকে বুজে সেটা হতে চাই অথবা না বুঝেই।আর সেক্ষেত্রে সেই কাজের প্রতি আমাদের একটি অদ্ভুত আগ্রহ জন্মে,আবেগ কাজ করে।তাই জন্য আমরা বিভিন্নভাবে সে বিষয়ে নিজে থেকে আরো জানার চেষ্টা করি আর এতে করে আমরা ভাল সেটিকে ভালভাবে আয়ত্ত করে ফেলি।কিন্তু পরিবারের অনেক সময় চাপে পড়ে সেটা আর করতে পারি না।অপর দিকে আগ্রহ না থাকায় সেটা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারি না যার ফলে আমাদের দক্ষতা কম থাকে সে কাজের জন্য যতটুকু দরকার হয় তা থাকে না।তাই পরবর্তীতে আমার কাজের সুযোগ পাই না দক্ষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে না পারার জন্য।

তাই নিজের চিন্তা,আগ্রহ ও আবেগ কাজ করে যেটায় সেটা নিয়েই চেষ্টা করা উচিত।জীবনে একটি বিষয়ে নিজেকে ভালভাবে গড়ে তুলতে নিজের শ্রম,ভালবাসা না থাকতে ভাল করা সম্ভব না।তাই চিন্তাধারার পরিবর্তন আনতে হবে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Faiza Fariha -
জ্ঞানের যেকোনো বিষয়ের শাখায় দক্ষ হতে হলে সর্বপ্রথম সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে শিক্ষা লাভ করতে হবে।" শিক্ষার মাইন্ডসেট " প্রতিবেদনের মূল কথা আসলে এটাই।

ছোটথেকেই আমরা একধরণের মানসিকতা নিয়ে বড় হই,যে আমাদের ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে অথবা পারিবারিক পেশা গ্রহণ করতে হবে।পরিবার ও এসব বিষয়ে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে।যে বিষয়ে শিক্ষা লাভ করবো সেটা পড়ে আমরা আগ্রহ, কৌতূহল বা আনন্দ পাচ্ছি কিনা তা আমরা নিজেরাই খেয়াল করি না সাথে পরিবারও লক্ষ্য করে না।এর ফলে দেখা যায়, অনেক এমবিবিএস চিকিৎসক আছেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চলে যায়, কেউ জীববিজ্ঞান বিষয় পড়ে ব্যংকের চাকরি করে। বহু প্রকৌশলী রয়েছেন যাঁরাও প্রকৌশলীর কাজে না যেয়ে ব্যবসা শুরু করে। এর মানে এই যে,শিক্ষার প্রকৃত অর্থ এবং শিক্ষার মানসিকতা তৈরিতে জাতি হিসাবে আমরা ব্যর্থ।

শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করে,শিক্ষা লাভ করে,জ্ঞান অর্জন করে সেসব বিষয়ে আগ্রহ না নিয়ে পড়ার মানসিকতা তৈরির অভাবের কারণে সারা দেশে যে মানের পারদর্শী জনশক্তি হবার কথা ছিলো, যে দক্ষতা তৈরি হওয়ার কথা ছিলো , সেই লক্ষ্য পূরণ হয় না।এতে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠে ঠিকই কিন্তু সঠিকভাবে তৈরি হতে পারে না।তারা তখন হয়ে উঠে যোগ্যতাহীন,অভিজ্ঞতাহীন,অদক্ষ,অপারদর্শী বাহ্যিক আবরণসম্পন্ন মানুষ। ফলে দেশে প্রকৃত অর্থে টেকনিক্যাল স্কিলড লোকের অভাব দেখা দেয়। অন্য দেশ থেকে অভিজ্ঞ লোক আনতে হয় দেশের কাজে জন্য।এতে করে সারা বিশ্বের কাছে আমারা নিজেদেরকে সঠিক ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারছি না।

দেশে বহু সরকারি - বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জন করছে ঠিকই কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য যেরূপ পারদর্শী লোক দরকার তা তৈরি হচ্ছে না।এই সমস্যা ঠিক করতে হলে প্রথমে শিক্ষাব্যবস্থার মাইন্ডসেট পরিবর্তন করার সাথে শিক্ষার্থীদের, তাদের পরিবারের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে তবেই শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে এসব জনশক্তি কাজে আসবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sayma Sworna -

আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, ময়রার সন্তান ময়রা,জেলের জেলে,রিকশাচালকের সন্তান রিকশাচালক।কিন্তু আদৌ কি তাই ই হয়! হ্যা এটা অবশ্যই স্বাভাবিক যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তারি পেশা সম্পর্কে যতটা জানবে,একজন দিন আনি দিন খায় রিকশাওয়ালার সন্তান সেটা জানবে না।এবং একই ভাবে একজন ময়রার সন্তান জানবে না যে কিভাবে তাঁতে কাপড় বুনতে হয়।কিন্তু যতক্ষণ না তাদের মাঝে এই মাইন্ডসেটটার সৃষ্টি হয়।আমাদের চারিপাশে এমন উদাহরণের শেষ নেই। অনেক রিকশাচালকের সন্তান বড় ডাক্তার হন শুধু মাত্র তার দৃঢ় মাইন্ডসেটের জন্য। আবার অনেক ডাক্তারের সন্তান ও সঠিক।মাইন্ডসেটের অভাবে বুঝতেও পারে না যে সে কি হতে চায় বা তার মাঝে কোন দক্ষতা টা আছে সেটাই সে বুঝতে পারে না।

শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমরা প্রথমত এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সমই আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানষিকতা। তবে মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণতশিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার  ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Mahfuz Shawon -
আমাদের সমাজব্যবস্থা পেশাগত দিগ দিয়ে আগের যেমন ছিল এখন তেমন। মানে বংশক্রমে করম বাব স্থা ধরে রাখা। মানে জেলের ছেলেকে জেলে হতে হবে আর তাতির ছেলেকে তাতি হতে হবে। কিন্তু একটা জেলের ছেলে একজন দক্ষ তাতি হতে পারে। এই সমাজব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে একটা জিনিস দরকার আর সেটা হল মাইন্ডসেট । এই mindset এর অন্যতম কারণ হলো পেশার পারিবারিক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা। মাইন্ডসেট গরে উঠে বলে একজন মানুষ কোন প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ছাড়া একটা জিনিশ এ সাফল্য পেতে পারে। যদি কোন কাজ এর প্রতি ভালবাসা থাকে, তাহলে যে কেও সাফল্য হবে।তাই শিক্ষা এর প্রতি আগ্রহ যদি না থাকে তাহলে শুধু traditional শিক্ষা এর সনদ দিয়ে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যাবে না। আজকাল মানুষ মাইন্ডসেট ছারাই মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশুনা করে। ফলে গ্র‍্যাজুয়েশন এর আগে তারা বিভাগ পরিবর্তন করে। মাইন্ডসেট থাকে না বলে অনেক এমবিবিএস ডাক্তার আজ বিসিএস দিয়ে প্রশাসন এ যেতে চান। মানে শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসিকতা গরে উঠেতে পারে নাই। ফলে ডিগ্রি দেওয়া হলেও দেশের উন্নয়ন এ যে ধরনের লোক দরকার তা তৈরি হচ্চে না। ফলে ডিগ্রি প্রাপ্ত বেকার এর সংখ্যা দিন দিন বারছে। আমরা যদি মাইন্ডসেট না করে যে কোন একটা বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেই তাহলে আমাদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাইন্ডসেট একটা গুরুত্তপূর্ণ অংশ। তানাহলে আমাদের সনদ এর কোন মুল্লায়ন থাকবে না। যদি আমাদের মাঝে সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা থাকতো,তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম। তাহলেই সে একদিন অনেক বড় হতে পারবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by sumi 295 -
আমাদের মধ্যে শিক্ষার সঠিক মাইন্ডসেটের অভাব। আমাদের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে সন্তানদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হওয়ার জন্য। কিন্তু একবারও লক্ষ্য রাখা হয় না সন্তান কিসের উপর বেশি ইন্টারেস্টেড। সেজন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট করা সম্ভব হয় না। মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। আমাদের মাইন্ডসেট এর সমস্যার জন্যই হয়তো গ্রাজুয়েশন শেষে সকলে বিসিএস এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। গ্রাজুয়েটরা কমপ্লেন করে তারা জব পাচ্ছে না। আর যারা জব দিবে তারা বলে যে তারা যোগ্য মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আমাদের নিজেদের দক্ষতা অর্জনের জন্য এবং নিজের মনের তৃপ্তির জন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মাইন্ডসেট তখনই সম্ভব যখন আমরা কি চাচ্ছি সেটা আমরা করতে পারবো। অনেকেই আছে অনেক ভালো জব করে কিন্তু তৃপ্তি পাচ্ছে না। কারণ তার মাইন্ডসেট হয়নি, তাই সে মনোযোগ দিতে পারছে না। তাই শিক্ষার মাইন্ডসেটে নিজের আত্মিক তৃপ্তিটা কে প্রাধান্য দিতে হবে এবং সকলের দৃষ্টি ভঙ্গি, মানসিকতা পরিবর্তন আনতে হবে। মূলত, সাবজেক্টের প্রতি আন্তরিকতা ও শিখার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে সবার আগে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Baharun Nissa Borsha -
প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল, সেটি হলো মানসিকতা।

আমাদের আজকের আলাপের জায়গাটি ভিন্ন। পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা সম্পর্কে অনেক সময়ই বলি, একটি জায়গায় আটকে থাকব না, বের হয়ে যাব। এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কথার পেছনে আরেকটি সত্য লুকিয়ে থাকে। সেটি হলো মাইন্ডসেট।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। খাদ্য ও পুষ্টি প্রকৌশলে না পড়েও খাবারের পুষ্টিজ্ঞান নিয়ে অনেককেই বেড়ে উঠতে ও সমাজে স্থান করে নিতে দেখি মাইন্ডসেট ও আগ্রহের জোরেই। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা।

রোথ মাইন্ডসেটের মানুষেরা সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। তারা পরাজয় থেকেও শিক্ষা নিতে পছন্দ করেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রজন্ম কে তাদের ফেলে আসা পুরনো প্রজন্মের দিক্ষা না দিয়ে নতুন প্রজন্মের সাথে তাল মিলিয়ে একটা “লারনিং কালচার” তৈরি করে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। খাদ্য ও পুষ্টি প্রকৌশলে না পড়েও খাবারের পুষ্টিজ্ঞান নিয়ে অনেককেই বেড়ে উঠতে ও সমাজে স্থান করে নিতে দেখি মাইন্ডসেট ও আগ্রহের জোরেই। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা।

মাইন্ডসেট শিক্ষক মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা |

মাইন্ডসেট সাফল্যের নতুন মনোবিজ্ঞান
মাইন্ড ড্রিল |

মাইন্ডসেট সাফল্যের শিক্ষার্থীর নতুন মনোবিজ্ঞান, বৃদ্ধি মানসিকতা |
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Taslima Islam Srity -
মাইন্ডসেট বা লক্ষ্য নির্ধারণ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।    
প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল, সেটি হলো মানসিকতা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ছেলেবেলা থেকে জেলের ছেলের একটি মাইন্ডসেট তৈরি হয়ে যায় যে আমি জেলে হব। হয়তো সে জালটা তখনো ছুড়তে শেখেনি ঠিকভাবে, কিন্তু দেখে হোক বা প্রয়োজনে হোক, ওই পেশার প্রতি একটি টান তৈরি হয় তার ভেতরে ভেতরে।এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। অন্যদিকে,একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে, মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করে, কিন্তু ওই বিষয়ে পড়ার মানসিকতা তার তৈরি হয় না। ফলে দেখা যায়, অনেক এমবিবিএস চিকিৎসক আছেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান, কেউ পুলিশ হতে চান। এর অর্থ দাঁড়ায়, শিক্ষাক্ষেত্রে মানসিকতা তৈরিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা। তাই জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য, আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Alif Ahad -
আমাদের সবার কাছে মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে আমার বাবা যা ছিল আমি তা হবো। বা আমি যা আছি আমার ছেলে তা হবে। যেমন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষ, বিজনেসম্যান এর ছেলে বিজনেস করবে। রিক্সা চালকের ছেলে রিক্সা চালাবে। এই টা সিম্পল যে এক জন বিজনেসম্যান এর ছেলের বিজনেস নিয়ে ভালো আইডিয়া থাকবে যা রিক্সা চালকের ছেলের থাকবে না। তাই বলে যে রিক্সা চালকের ছেলে বিজনেস করতে পারবে না এমনটা না। এর জন্য তাকে চ্যাঞ্জ করতে হবে মাইন্ডসেট। আমরা তখনি লাইফে ভালো কিছু করতে পারবো যখন আমাদের মাইন্ডসেট ভালো হবে। আমরা একটা বিষয়ের উপড় পড়া-শোনা করি গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করতেছি। বাট চাকরি ইন্টার্ভিউ দিয়ে যেয়ে ফেল হচ্ছি। বা আমি যে উপড় গ্রাজুয়েট কম্পলিট করছি তা তে চাকরি পাচ্ছি না। তখন অন্য জায়গায় চাকরি খোজতে যেয়ে পাচ্ছি না। আমরা যদি আমাদের মাইন্ডসেট ভালো ভাবে ঠিক করি তাহলে এই সব প্রব্লেম শলভ করতে পারবো। আর এতে আমাদের দেশর জনগণ জনশক্তি তে পরিণত হবে।

এতে দেশ ও জাতি উন্নতি হবে। বেকারত্ব দূর হবে। দেশের বাহিরেও জব পাবে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD. JUNAYED -

আমাদের সমাজের মাইন্ডসেট এমন হয়ে গেছে যেন আমরা এক্সপেক্টই করি যে একজন ডাক্তারের সন্তান ডাক্তার, শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক, ময়রার সন্তান ময়রা,জেলের জেলে,রিকশাচালকের সন্তান রিকশাচালক। কিন্তু আদৌ কি তাই ই হয়? জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য, আমাদের শিক্ষার মাইন্ড সেট প্রয়োজন এবং গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষার অভাবে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে বোঝা মনে করছি।এই অভাবে আমাদের এতো বেকারত্ব। যদি আমাদের মাঝে সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা থাকতো,তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Nishat 201-34-253 -

আমরা একটি জায়গায় যেন আটকে আছি, সেটা হচ্ছে পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা। উদাহরণ স্বরুপ- যুগ যুগ ধরেই আমাদের মাঝে একটি ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই খামখেয়ালি করে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেকে প্রকৌশলী পড়েও বিসিএস এর পেছেনে ছুটে পুশিল হতে চান। এক্ষেত্রে শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে নিজেকে তৈরি করবে।এক্ষেত্রে সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের সঠিক মাইন্ডসেটের অভাবেই আজ চাকরি পাচ্ছেনা।
তাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেটের পরিবর্তন আনা অত্যাবশ্যক।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md Omor Faruk -
মাইন্ডসেট সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আমরা যদি আমাদের পেছনের সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই পুর্ববতী প্রজন্ম যে কাজ করত তার পরবর্তী প্রজন্ম সেই ধারা ধরে রেখেছে। তারা তাদের বংশ পরম্পরায় তাদের কর্মব্যবস্থা ধরে রেখেছে। তাদের দ্বারা এসব সম্ভব হয়েছে সুধু মাইন্ডসেটের কারণে। কিন্তু তার মানে এইনা যে একজন রিক্সাওয়ালার ছেলে সুধু রিক্সাওয়ালা হবে, একজন ডাক্তারের ছেলের ডাক্তার হতে হবে তাদের দ্বারা অন্ন্য কিছু সম্ভব না। এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বের হতে হবে। একজন তার মাইন্ডসেটের মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে পৌছাতে পারে। কেউ যদি মনের প্রবল ইচ্ছা, তীব্র ভালবাসা ও আন্তরিকতা দিয়ে কনো কাজ করে তার দ্বারা যেকোনো কাজে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md. Almoshabir Haque Pranto -
ময়রার সন্তান মিষ্টির রূপ-রস-গন্ধ ও স্বাদের সঙ্গে ছোটবেলাতেই পরিচিত হয়। সাধারণত ময়রার সন্তান ময়রা হলে তার হাতের মিষ্টি একটি ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে যায়। আমরা ওই ব্র্যান্ডের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলি, ওটা তাদের বাবা-দাদা চৌদ্দ পুরুষের মিষ্টি। সেটি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে পারিবারিক ব্র্যান্ডিং হয়ে যায়। যেমন শুনি, ঘোষ অ্যান্ড সন্স অথবা ঘোষ অ্যান্ড গ্র্যান্ড সন্স। নরসুন্দরের ছেলে নরসুন্দর হবে, জেলের ছেলে জেলে—সব ক্ষেত্রে পেশার লিগেসি বা এই বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা কাম্য নয় বরং কোথাও কোথাও সেটি নাকচযোগ্যও বটে। নয়তো একটি বড় জনগোষ্ঠীর আর্থিক দুর্গতি কোনো দিন ঘুচবে না, পেশার বৈচিত্র্যও তৈরি হবে না।যা হোক, আমাদের আজকের আলাপের জায়গাটি ভিন্ন। পেশার পারিবারিক ধারাবাহিকতা সম্পর্কে অনেক সময়ই বলি, একটি জায়গায় আটকে থাকব না, বের হয়ে যাব। এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কথার পেছনে আরেকটি সত্য লুকিয়ে থাকে। সেটি হলো মাইন্ডসেট। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাইন্ডসেট গড়ে ওঠে বলেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ বা একাডেমিক সনদ না থাকলেও একজন মানুষ দক্ষ তাঁতি হিসেবে আবির্ভূত হন। খাদ্য ও পুষ্টি প্রকৌশলে না পড়েও খাবারের পুষ্টিজ্ঞান নিয়ে অনেককেই বেড়ে উঠতে ও সমাজে স্থান করে নিতে দেখি মাইন্ডসেট ও আগ্রহের জোরেই। জ্ঞানের কোনো বিশেষ শাখায় দক্ষতা তৈরির পূর্বশর্ত হলো সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে মনস্থির করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md Ibrahim Hossen -
জীবন চলার পথে সবথেকে যে বিষয়টা গুরুত্বপুর্ন সেটা হলো মাইন্ডসেট। মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যুগ যুগ ধরেই একটি ধারণা প্রচলিত তা হলো জেলের ছেলে জেলে হবে, তাতির ছেলে তাতি। কবিতায় আছে, ‘মা যদি হও রাজি, বড় হলে আমি হব, খেয়াঘাটের মাঝি।’ ছোটবেলা থেকে নদী ও নৌকার সঙ্গে সখ্য ওই কিশোরকে মাঝি হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা মাঝি হতে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে। অনেক ক্ষেত্রে ছেলেবেলা থেকে জেলের ছেলের একটি মাইন্ডসেট তৈরি হয়ে যায় যে আমি জেলে হব।এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান। একজন শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে, মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করে, কিন্তু ওই বিষয়ে পড়ার মানসিকতা তার তৈরি হয় না। অনেকেই আছে অনেক ভালো জব করে কিন্তু তৃপ্তি পাচ্ছে না। কারণ তার মাইন্ডসেট হয়নি, অনেক এমবিবিএস চিকিৎসক, বহু প্রকৌশলী রয়েছেন যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান । মাইন্ডসেট এমন একটি জিনিস, যার মাধ্যমে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করেও সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়। দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষার মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে ।আমাদের যদি সঠিক মাইন্ডসেটের শিক্ষা প্রদান করা হয় তাহলে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারবো।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Ananya Dutta -
জ্ঞানের পিতা সক্রেটিস থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অনেক দার্শনিক, চিন্তাবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদ শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করে গেছেন, করছেন। তবে আজও তারা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো অভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের মধ্যে তিন ধরনের মতবাদ লক্ষ্য করা যায়।কাজেই অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দান অসমীচীন। আর এক শ্রেণির দার্শনিকগণ বিশ্বাস করতেন যে, বিদ্যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত্ আয়-বাড়িয়ে দেয়, কাজেই অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দেওয়া ন্যয়সঙ্গত। তৃতীয় মতবাদের প্রবক্তারা মনে করতেন বিদ্যার জন্য, অর্থের ঠিকই প্রয়োজন আছে। তবু বিদ্যাকে অর্থের দাসে পরিণত করা মোটেও বাঞ্ছনীয় হবে না।

শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, ধর্মীয় অনুশাসনের অনুমোদিত পবিত্র কার্যক্রমের মাধ্যমে সুখ লাভ করা। কমেনিয়াস-এর মতে, শিশুর সামগ্রিক বিকাশই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আর মানুষের শেষ লক্ষ্য হবে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে সুখ লাভ করা।



অন্যদিকে যারা শিক্ষার উদ্দেশ্যের সঙ্গে ধর্মকে এক করে দেখেননি অর্থাত্ যারা সাধারণভাবে শিক্ষার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ হার্বার্ট, জনলক, জনডিউক, পার্কার প্রমুখ দার্শনিক ও শিক্ষাবিদগণ।



শরীর ও আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ও উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবই শিক্ষার উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায়, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেসব গুণাবলীর যথাযথ বিকাশ সাধন যেসকল গুণাবলী নিয়ে একটি শিশু এই পৃথিবীতে আগমন করেছে। অন্যদিকে শুধু পয়সা উপার্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। তবে এটা পরোক্ষ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রত্যক্ষ বা আসল উদ্দেশ্য হবে জ্ঞানদান ও জ্ঞান আহরণ।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Farhana Akter Popy -

আমাদের সমাজে অনেক কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।তার মধ্যে শিক্ষার মাইন্ডসেট ১টি।মাইন্ডসেট বলতে আমরা বুঝি কোন বিষয়ে মনকে স্থির করা।আমাদের সমাজব্যবস্থা পেশাগত দিক দিয়ে আগের যেমন ছিল এখন তেমনই আছে। জেলের ছেলেকে জেলে হতে হবে আর তাতির ছেলেকে তাতি হতে হবে। কিন্তু একটা জেলের ছেলে একজন দক্ষ তাতি বা অন্য কিছুও হতে পারে। এই সমাজব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে একটা জিনিস দরকার আর সেটা হল মাইন্ডসেট ।এর অন্যতম কারণ হলো পেশার পারিবারিক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা। মাইন্ডসেট গড়ে উঠে বলে একজন মানুষ কোন প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ছাড়া একটা জিনিস এ সাফল্য পেতে পারে। যদি কোন কাজ এর প্রতি ভালবাসা থাকে, তাহলে যে কেও সাফল্য হবে।তাই শিক্ষা এর প্রতি আগ্রহ যদি না থাকে তাহলে শুধুমাএ শিক্ষা এর সনদ দিয়ে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যাবে না। মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সবকিছু মিলিয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করবে। সুন্দর মাইন্ডসেট তৈরিই এখানে ভূমিকা রাখতে পারে।

In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Md Abdullah An Nayeem -
"শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমরা প্রথমত এটাই বুঝতে পারি যে, আমাদের জীবনে চলার পথে, অনেক সমই আমাদের মধ্যে দক্ষতার চেয়ে প্রথমেই স্থান পায় মানষিকতা। তবে মাইন্ডসেট এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
মাইন্ডসেট দুই ধরনের হয়। একটি হলো ফিক্সড মাইন্ডসেট অপরটি গ্রোথ মাইন্ডসেট। বাবা যে পেশায় নিয়োজিত ছেলেও তাই হবে এই চিন্তা টাই হচ্ছে ফিক্সড মাইন্ডসেট এবং যারা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রম করে বদলাতে পারে সেটা হচ্ছে গ্রোথ মাইন্ডসেট। আমাদের শিক্ষার মাইন্ডসেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকে তাদের বাবা মার ইচ্ছায় আবার অনেক ক্ষেত্রে না বুঝেই আমরা সে কোনো বিষয় নিয়ে ফেলি। দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়বে তার মানসিকতা তৈরি না করেই নিজের খামখেয়ালীভাবে যে কোনো বিষয়ে পড়ছে।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by MD Sufian -
শিক্ষা শব্দটির সাথে মূলত আমাদের পুরো জীবনটাই জরিত । জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিখেই চলি। কিন্তু শিক্ষার মাইন্ডসেট বলতে আমাদের মন কিছু সার্টিফিকেটেই আবদ্ধ হয়ে আছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু উচ্চতর ডিগ্রি এবং তার কিছু সার্টিফিকেট প্রমান করে দিবে আপনি শিক্ষিত এবং আমরা আমাদের মনকে এভাবেই তৈরি করে নিয়েছি । আমাদের মাইন্ড এভাবেই সেট করা শুধু সার্টিফিকেটওয়ালা মানুষ গুলোই শিক্ষিত বাকিরাই মূর্খ । তাই বলে আমি তাদের (সার্টিফিকেট -ওয়ালাদের) অশিক্ষিত বলছি এমন দুঃসাহস আমার নেই। আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমাদের মনের পরিধি টা এখানেই। অথচ শিক্ষার প্রধান যে কাজ তা হলো জ্ঞানের পরিধি কে বাড়িয়ে আত্মার বিকাশ । ভালোকে গ্ৰহন মন্দকে ত্যগ। তাই আমাদের মাইন্ডকে এমন ভাবে সাজাতে হবে আমরা যেন সার্টিফিকেট কেই প্রাধান্য না দেই বরং নিজেকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলি। তবে এটি ও সত্য অবশ্যই সকলের একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে কেননা জীবনকে আরো সহজ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে । কিন্তু আমরা আমাদের মাইন্ডকে যেন সার্টিফিকেট এই আবদ্ধ না করি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Sadid hosen -
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা নির্দষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত এবং সেটা নির্ভর করা উচিত তার ইচ্ছাশক্তির উপর। কিন্তু আমাদের পূর্ববর্তী এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে বিষয়টি প্রতীয়মান হয় সেটি হচ্ছে আমাদের জীবনের লক্ষ্য বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে আমাদের অর্জিত শিক্ষাটা আত্নকেন্দ্রিক না হয়ে 'সাটিফিকেট' কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দেশে যে মানের জনশক্তি তৈরি হওয়ার কথা ছিলো এবং সামর্থ তৈরী হওয়ার কথা, সেই লক্ষ্য ব্যহত হচ্ছে। ছোটবেলায়ই আমাদের উপর পরিবার থেকে একটা লক্ষ্য চাপিয়ে দেওয়া হয়। বাবা মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে যেয়ে আমরা ভুলেই যাই যে আমার নিজের কিছু চাওয়া থাকতে পারে! আর এই কারনেই আমাদের মানসিক বিকাশটা হয় না। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তিই পারে মানুষকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে। সুতরাং সর্বপ্রথম আমাদের মাইন্ডসেট করতে হবে যে 'আমি কি চাই?' কোন পেশায় গেলে আমি মন থেকে কাজ করতে পারবো,নিজের আত্নিক প্রশান্তি জাগ্রত হবে। আমার দাদা,বাবা কি ছিলো! আমাকেও তাই হতে হবে! এই ভ্রান্ত ধারণা আমাদের বদলাতে হবে, নিজের ইচ্ছাশক্তির প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই বদলে যাবে সমাজের এই ধারাবাহিকতার রীতিনীতি। মানসিকতায় ও আসবে পরিবর্তন এবং তৈরী হবে দক্ষ জনশক্তি।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Ripon Ahmad -
ছাত্ররা লেখাপড়া করছে এক বিষয়ে কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি করছে অন্য কাজে। তাদের মধ্যে মাইন্ডসেট নেই কারণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য চাকরি করা যার ফলে কেউ বা ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনে চলে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের দেশে যখন কোনো দরকার হয় তখন বিদেশ থেকে লোক এনে সে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।
In reply to Muhammad Sajidul Islam

Re: শিক্ষার মাইন্ডসেট

by Zahid Hasan Fahim -
মাইন্ডসেটআপ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমাদের একটা ধারণা থাকে পূর্বপুরুষ যা করে পরবর্তী প্রজন্ম তাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে।এতে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ থাক বা না থাক।যেমন কোন ময়রা যদি মিষ্টি ভালো বানিয়ে থাকে তবে তার ছেলের যদি প্রশিক্ষণ না থাকে তাও আমাদের একটি ধারণা থাকে তার ছেলের মিষ্টি ও ভালই হবে । এরকম এক প্রকার ধারনাতেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে।কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত যদি এটি ঘটে থাকতো তবে পেশার বৈচিত্রতা কোনদিন ঘটতো না । বাংলা একটি কবিতার আছে সেখানে ছেলে তার মাকে বলছে,মা রাজি হলে সে খেয়া ঘাটের মাঝি হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে তার পূর্বপুরুষ মাঝি ছিল যার ফলে মাঝি হওয়াতে তার মাইন্ডসেটআপ হয়ে গেছে। এতে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু কাজের প্রতি তার আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আছে যা দক্ষতা তৈরি পূর্বশর্ত। আমাদের ছাত্ররা লেখাপড়া করছে এক বিষয়ে কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি করছে অন্য কাজে। তাদের মধ্যে মাইন্ডসেট নেই কারণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য চাকরি করা যার ফলে কেউ বা ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনে চলে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের দেশে যখন কোনো দরকার হয় তখন বিদেশ থেকে লোক এনে সে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।