Write your opinion on education mindset within 200 words.
শিক্ষকদের যথাযথ ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা উচিত ।কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী তাদের যথাযথ কাজের সুযোগ পাচ্ছেনা।এতে অনেক ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার তাদের শিক্ষার প্রয়োগ না করে কর্মজীবনে ভিন্ন পেশা অবলম্বন করছে।এতে করে আমরা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
Education mindset PDF
ID-211-15-3946
লেখক এখানে বুঝিয়েছেন যে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এক ধরনের প্রথা আছে যেটা, আমাদের বাবা-মা তারা চায় তাদের সন্তান যেন তাদের মতই পেশা অবলম্বন করে .যেমন:- কারো বাবা যদি হয় ব্যবসায়ী তিনি তার ছেলেকে ব্যবসায়ী রূপে দেখতে চান।কারো বাবা যদি হয় ডাক্তার কারো বাবা যদি মিষ্টির দোকান থাকে তাহলে তারা তাদের ছেলেকে ও তাদের মতো করে বড় করতে চান।তারা চায় তাদের ছেলে-মেয়ে যেন তাদের অবর্তমানে তাদের করা পেশায় যেন নিয়োজিত থাকে।কিন্তু এটা করলে তাদের ছেলে বা মেয়ের যে ইচ্ছা ভালো লাগা সেটা তারা উপভোগ করতে পারবে না।অনেকেরই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা থাকেনা,তার হয়তো শিক্ষক হবার ইচ্ছা থাকে কিন্তু সে ডাক্তার হয় তার বাবার ইচ্ছায়।তাদের পরিবারে হয় তার দাদা বা তার বাবা ডাক্তার ছিলেন তাই তারা তাদের সন্তানদের সেটাই করতে বলেন যেটা তারা করে বা করতেন।শিক্ষার মাইন্ডসেট এরকমটাই বুঝিয়েছে যে তাদের সন্তান বড় হয়ে তাদের মতই হবে।এটাই সে ছোটবেলা থেকে দেখে বড় হয়েছে তাই তারা বড় হয়ে এটাই হয়েছে।অনেকের ক্ষেত্রে এই পেশায় বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা কাম্য নয়।আবার লেখক বলেছেন কারো মাইন্ডসেট যদি কেউ আগে থেকেই ঠিক করে রাখে যে,সে এই কাজটাই করবে।তাহলে সে বড় হয়ে সেই কাজেই দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবে।কোন কাজের ওপর পারদর্শী হতে হলে তাকে সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ভালোবাসা ও আন্তরিকতাবোধ নিয়ে তাকে সেই কাজের প্রতি মনস্থির করতে হবে।
লেখক বলেছেন একজন শিক্ষার্থীকে শুধু একটি বিষয়ে পড়ালেখা শুরু করার আগে তাকে সেই বিষয়ের উপর আকর্ষণ খুঁজে বের করতে হবে যেন ভবিষ্যতে সে বিষয়ের উপর সে পারদর্শী হয়।তাকে ওই বিষয়ে পড়ার জন্য মনমানসিকতা আগে থেকেই তৈরী করতে হবে। কোনো কিছুর প্রতি ভালোলাগা বা ভালোবাসার কাজ না করে তাহলে ওই বিষয়ে বা কাজে আর মন বসে না।যে কারণে কোন বিষয়ে খুব পারদর্শী লোক গড়ে তোলা সম্ভব হয়না।যার ফলে উক্ত বিষয়ে পারদর্শী লোক খুঁজতে আমাদের বাইরে থেকে যোগ্য লোক আনতে হয়।
যে কোন মাইন্ডসেটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ধাপ হচ্ছে তীব্র আগ্রহ এবং দক্ষতা। শিক্ষার মাইন্ডসেটের ক্ষেত্রেও এর কোন ব্যাতিক্রম নেই। পৃথিবীর কোন একটি মানুষ একইসাথে সকল গুনের অধিকারী হতে পারেনা।প্রত্যেকেরই কোন একটি বিষয়ে অধীক জ্ঞান থাকলেও আবার অন্যান্য বিষয়গুলিতে ওই সমপরিমাণ জ্ঞান নাও থাকতে পারে। তাই যেই বিষয়ে অধীক জ্ঞান রয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তর গবেষণার আগ্রহের সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আর ব্যক্তি তার আগ্রহের দ্বারা সম্পাদিত গবেষণার মাধ্যমেই দক্ষতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই শিক্ষার্থীদের সেইসকল বিষয় নির্বাচন করতে হবে যেগুলোতে তারা বিশেষ পারদর্শী। এইক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে পরিবার ও প্রতিবেশী। প্রাক্তন ধারণা বা অন্যের সফলতা দেখে তারা অনেক সময় সন্তানের বিশেষ পারদর্শীতা না দেখেই উক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ফেলেন। হয়তো প্রকৌশল বিষয়ে পারদর্শী কোন শিক্ষার্থীকে ডাক্তার বা অন্য কোন পেশা নির্বাচন করার জন্য বাধ্য করা হয়ে থাকে যে বিষয়ে সে বিশেষ পারদর্শী নয়। অথচ প্রকৌশলে পারদর্শী উক্ত শিক্ষার্থীর ডাক্তার বিষয়ে জ্ঞান কম থাকায় শুরুতেই উক্ত শিক্ষার্থী আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলেন। আর আগ্রহ হাড়ানোর ফলে উক্ত বিষয়ে শিক্ষার্থীটি বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারেন না। তাই শিক্ষার বিষয়ে মাইন্ডসেটের পূর্ব শর্ত হচ্ছে, জোর করে শিক্ষার্থীকে কোন বিষয় নির্বাচনে বাধ্যা না করে তার বিশেষ পারদর্শীতা খুজে বের করতে হবে এবং সেই বিষয়ে বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে তার দক্ষতা অর্জনের জন্য তাকে সহায়তা প্রদান করতে হবে। তবেই তার শিক্ষার পূর্ণ বিকাশ তথা মাইন্ডসেট গঠন সম্ভব।
অবনতি হচ্ছে নৈতিক, সামাজিক মূল্যবোধের। এসব কারণে ছাত্ররা রাজনৈতিক দলগুলোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার মানের ঘটেছে চরম অবনতি। আজকাল জ্ঞানের থেকে ডিগ্রি অর্জনের দিকে অনেকের দৃষ্টি থাকে। তাই লেখাপড়ায় ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ অনেক কমে যাচ্ছে। কোনোরকমে একটা সার্টিফিকেট অর্জনই লক্ষ্য তাদের।
এসব সমস্যা সমাধানে সঠিক পরিকল্পনার পাশাপাশি উপযুক্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের হালনাগাদ প্রশিক্ষণ দিতে হবে, সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। পর্যাপ্ত বৃত্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। গরিব শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যান্য বৃত্তির সুবিধা মেধার ভিত্তিতে দিতে হবে। সর্বোপরি বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক করে গড়ে তুলতে হবে।
Name : Ashraf Haider Mini
ID : 211-15-3966
Section : PC-A
211-15-3975
আমরা আগে দেখতে পেতাম যে ময়রার ছেলে মিষ্টি বানালে তা একটি ব্র্যান্ডে রুপান্তরিত হয়।ময়রার ছেলে ছোট বেলা থেকে তার বাবা বা পরিবারের অন্যদের দেখে মিষ্টি বানানো শেখে এবং ছোটো থেকেই তার মিষ্টি বানানোর প্রতি একপ্রকার আগ্রহ কাজ করে।কিন্তু সে পড়ালেখা করে অন্য কোনো পেশা নিজের জন্য বেছে নিতে পারতো।এজন্য তার মাইন্ডসেট পরিবর্তনের দরকার।কোনো পেশাই ছোটো নয় তাই নিজের মন যেটা করতে চায় সেই পেশা নিজের জন্য বেছে নিতে হবে।আমাদের এই মাইন্ডসেট তখনই তৈরি হবে যখন আমরা পরিবার থেকে এই শিক্ষা পাবো।ময়রার ছেলে ময়রা হবে,নরসুন্দরের ছেলে নরসুন্দর হবে, জেলের ছেলে জেলে—সব ক্ষেত্রে পেশার লিগেসি বা এই বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা কাম্য নয় বরং কোথাও কোথাও সেটি নাকচযোগ্যও বটে।জেলের ছেলে জেলে হবে, কুলির ছেলে কুলি হবে এসব চিন্তাধারা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।আমাদের অনেক অভিভাবকরাই সন্তানের উপর নিজের ইচ্ছাকে চাপিয়ে দেন।অনেক পরিবারে দেখা যায় যে বাবা ডাক্তার,বড় ভাই ডাক্তার তাই পরিবারের ছোটদেরও জোর করা হয় ডাক্তার হবার জন্য।তাদের নিজের ইচ্ছার কোনো গুরুত্ব দেয়া হয় না।এজন্য আমরা হরহামেশাই দেখতে পাই একজন ডাক্তার বা প্রোকৌশলি বিসিএস হবার পর পুলিশ বা অন্য পেশা নিজের জন্য বেছে নেন।অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া করে বের হওয়ার পর ব্যাবসা করে।অথচ সে যে বিষয়ে জ্ঞান আহোরন করেছে সেই সেক্টরকে কাজে লাগালে জীবনে উন্নতি করতে পারতো।যদি তিনি ছোট থেকেই নিজের ইচ্ছার গুরুত্ব দিতেন নিজের পছন্দের দাম দিতেন তবে তিনি নিজের পছন্দের পেশায় অনেক বেশি উন্নতি সাধন করতে পারতেন।সেজন্য আমাদের অভিভাবকদেরও নিজেদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে।সন্তানের উপর নিজের ইচ্ছার বোঝা চাপিয়ে দেয়া যাবে না।তাদের নিজেদের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাদের লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করতে হবে। কবিতায় আছে, ‘মা যদি হও রাজি, বড় হলে আমি হব, খেয়াঘাটের মাঝি।’ এই লাইন দুটো দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন পরিবার থেকে সহোযোগিতা পেলে মানুষ তার নিজের ইচ্ছে মতো পেশা জীবনের জন্য বেছে নিতে পারবে।প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছিল,সেটি হলো মানসিকতা।এই মানসিকতা পারিবারিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের মধ্যে প্রবহমান।শিক্ষা বা জ্ঞানের বিশেষ বিশেষ বিষয়ের সঙ্গে যদি আন্তরিকতা ও মধুর সম্পর্ক গড়ে না ওঠে, তবে শুধু ট্র্যাডিশনাল স্কুলিং, সনদ—এককথায় আমাদের পুরো আয়োজন সফল হবে না।কারণ এমন অনেক মানুষ আছে যাদের কোনো একটি বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তারা সেই বিষয়ে মনোযোগী হয়ে,অন্যদের দেখে দেখে সেই কাজ করতে করতে ব্যর্থ হতে হতে এক সময় পারদর্শী হয়ে ওঠে।অনেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও শুধুমাত্র তার মনোযোগ না থাকায় এবং সে বিষয়ে উৎসাহি না হওয়ায় পারদর্শী হতে পারে না।তাই আমাদের উচিৎ নিজেদের পছন্দমত পেশা বেছে নেয়া।আবার গ্রাজুয়েট বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিক্ষার্থীরা পড়া লেখার মাধ্যমে গ্রাজুয়েটি হচ্ছে কিন্তু তাদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন হচ্ছে না। তারা যে বিষয়ে গ্রাজুয়েট হয়েছে সেই বিষয়ের উন্নতি করার কোন পরিকল্পনা তাদের মাঝে দেখা যায় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের উচিত পড়ালেখা করা অবস্থায় বিভিন্ন কর্মসংস্থানের যোগ দেওয়া এবং সেখান থেকে নানান রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করা। এরকম কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা থাকলে দেশের শিক্ষিত বেকার থাকবে না। তাই আমাদের উচিত পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসংস্থানে যোগ দেওয়া এবং সেরকম মাইন্ড সেট তৈরি করা যাতে আমরা ভবিষ্যতে যে বিষয়ে পড়ালেখা করেছি সেই বিষয়ের উপর বিস্তর পরিকল্পনা করতে পারি এবং উন্নতি সাধন করতে পারি।
Name: Md.Saikat Islam
ID: 211-15-4007
PC-A
Id: 201-15-3396
প্রথমত একজন দক্ষ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেএে আমাদের মাইন্ডসেটের গুরুত্ব অপরিসীম। ছোট বেলা থেকে আমরা যেটা দেখতে দেখতে বড়ো হয়, ভবিষ্যতে আমাকে সেটাই হতে হবে এই ধরনের মানসিকতা আমাদের ভেতর তৈরী হয়। যার ফলে আমরা ভাবী জেলের ছেলে বড়ো হয়ে জেলেই হবে।ডাক্তারের ছেলে বড়ো হয়ে ডাক্তার হবে।
প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের মধ্যে দক্ষতার আগে যে বিষয়টি স্থান করে নিয়েছে,সেটা হলো মানসিকতা। যার ফলে আমাদের মধ্য থেকে প্রকৃত শিক্ষার মান টা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অনেক সময় আমরা পরিবারের সিদ্ধান্ত কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মূল শিক্ষার মানসিকতা তৈরী হয় না। যার ফলে দেশে জনশক্তি তৈরীতে ব্যর্থ হচ্ছে।
দেশে এখন অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরী হচ্ছে। সেখান থেকে ছাএ -ছাএীর ডিগ্রি দিচ্ছে। কিন্তু শিল্পকারখানায় বা দেশের উন্নয়নে যে ধরণের লোক প্রয়োজন তা তৈরী হচ্ছে না। যার ফলে বাজারে চাকরি নাই কিন্তু গ্রাজুয়েট রয়েছে অনেক। সর্বশেষ বিষয়টি হলো আমাদের সঠিক ভাবে মাইন্ডসেট তৈরী করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
Muksitul Islam
ID: 211-15-3962
GED 131
Section: PC-A
Drive link: https://drive.google.com/file/d/1Bx4WorH5JTQSWUaGsparliDTERD7WCph/view?usp=sharing
শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
প্রথমত একজন দক্ষ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেএে আমাদের মাইন্ডসেটের গুরুত্ব অপরিসীম।দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় একটি মারাত্মক ক্ষতিকর দিক হল কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ পয়সার লোভে কিন্ডারগার্টেন, প্রাক-প্রাথমিক কেজি-নার্সারি, ইংলিশ মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষায় বিভাজন সৃষ্টি করছে।এগুলোর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ছাত্ররা রাজনৈতিক দলগুলোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার মানের ঘটেছে চরম অবনতি।আজকাল জ্ঞানের থেকে ডিগ্রি অর্জনের দিকে অনেকের দৃষ্টি থাকে। তাই লেখাপড়ায় ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ অনেক কমে যাচ্ছে। কোনোরকমে একটা সার্টিফিকেট অর্জনই লক্ষ্য তাদের।শিক্ষার অবনতির ফলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানচর্চার প্রতি নিবিষ্ট নয়। সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে এখনকার ছাত্ররা যতটা বেপরোয়া, উন্নত জীবনযাপনের ধান্ধায় শিক্ষকরাও ততটা বৈষয়িক হয়ে উঠেছে। এর ফলে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।তাই শিক্ষার বিষয়ে মাইন্ডসেটের পূর্ব শর্ত হচ্ছে, জোর করে শিক্ষার্থীকে কোন বিষয় নির্বাচনে বাধ্যা না করে তার বিশেষ পারদর্শীতা খুজে বের করতে হবে এবং সেই বিষয়ে বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে তার দক্ষতা অর্জনের জন্য তাকে সহায়তা প্রদান করতে হবে। তবেই তার শিক্ষার পূর্ণ বিকাশ তথা মাইন্ডসেট গঠন সম্ভব।
শিক্ষাক্ষেত্রে মাইন্ডসেট বদলানো প্রয়োজন
বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা প্রতিযোগিতামূলক একটা দৌড়
এ পরিনত হয়েছে । সবাই যেন এক অদম্য গতিতে ছুটছে সার্টিফিকেট পাবার জন্য। এদিকে
শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞানের পরিসর
ঘটানো যেখানে আমাদের স্কুল কলেজ এর ছাত্র ছাত্রিরা বর্তমানে শুধুমাত্র A+ পাবার জন্য পড়াশুনা করে। এতে করে দেখা যায় তাদের অনেক বিষয়ে
জ্ঞানের ঘাতটি থেকে যায় যা তারা ভবিষ্যতে পুরন করতে সক্ষম হয়না। আমাদের উচিত
শিক্ষাক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা। শুধু পাঠ্যপুস্তক এর
জ্ঞান পর্যাপ্ত না। শিক্ষার্থীদের উচিত অন্যান্য নানাবিধ বিষয় সম্পর্কে জানা,
নিজেদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আজকাল জ্ঞান
অর্জনের প্রতি উদাসিন, তারা নানা অপকাজে জড়িত। সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তারা আজ
ভুল পথে হাঁটছে। রাজনীতির নামেও অনেক অপকর্মে লিপ্ত তারা। আমাদের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বজায় রাখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, পাঠ্যপুস্তক এর বাইরে জ্ঞানচর্চা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বজায় রাখলে আমরা শিক্ষার আসল মর্ম সাধনে সফল হব।
আপনি যদি কোন কাজে সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সে কাজের প্রতি ইচ্ছা, আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকতে হবে । একজন মানুষের সাথে আজীবন তার পেশা পাশে থাকে, যার মাধ্যমে সে তার জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন । তবে আপনার এই পেশার সাথে আরো অনেকেই জড়িত থাকেন । পেশার হাতেখড়ি হয় আমাদের ছাত্রজীবনে, আর সেখানেই অনেক সমস্যা দেখা দেয় যার প্রভাব বাকি জীবনে পরে । অনেক ছাত্র আছেন যারা জুয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিজের ইচ্ছা আগ্রহ এর কথাই ভুলে যান । ফলে তিনি ধীরে ধীরে সফলতা থেকে দূরে যেতে থাকেন । বেশিরভাগ সময় এই কাজটি আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে । ছাত্রের ইচ্ছা ,আগ্রহ থাকে এক সাবজেক্টে আর তিনি ভর্তি হোন আরেক সাবজেক্টে । এর ফলাফল তাকে পরে ভোগ করতে হয় ।প্রথমত তার ওই সাবজেক্টে আগ্রহ থাকে কম ,তাই তিনি গুরুত্ত দিতে চান না । অনেক সময় দেখা যায় ওই সাবজেক্টে পূর্বের ধারনা তার কম থাকে। যারে ফলে তিনি জীবনে অসফল হতে থাকেন। আবার অনেকে দেখা যায় তার পারিবারিক ধারা অব্যহত রাখেন ।এতে করে তাদের ভিতরে পেশাগত বৈচিত্র এর অভাব থাকে ।এই সকল কিছুর প্রভাব আমাদের জাতীয় জীবনে পড়তে থাকে ।এসব থেকে আমাদের অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে। আর এর জন্যই দরকার আমাদের সঠিক মাইন্ডসেট । আমাদেরকে যেকোন কাজ করার আগে সে কাজের প্রতি কতটুকু আগ্রহ আছে তা বিবেচনা করে করতে হবে।শিক্ষকগন যারা আছেন তাদেরকেও অনেক দায়িত্ব নিতে হবে। কারন একজন আদর্শ শিক্ষক আদর্শ ছাত্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
শিক্ষার মাইন্ডসেটে প্রয়োজন যে পরিবর্তন করা উচিতঃ
১.পারিবারিক পেশা থেকে বের হয়ে, যে বিষয়ে আগ্রহ আছে সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
২. কোন বিষয় শিক্ষা গ্রহণ এর আগে, যে বিষয় ভালোভাবে জানতে হবে। সে বিষয় এর প্রতি টান অনুভব না করলে, সে বিষয় ভালো ফলাফল করা সম্ভব না।
৩. যে শিক্ষা ব্যবস্তা আত্তিক উন্নতি করতে পারে না, সে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যে ব্যবস্থায় বাস্তব জীবনের সাথে সংঘর্ষ করে না।
৪. আমাদের মানোষিকতা এমন হয়ে গেছে, ভালো রেজাল্ট আর সারটিফিকেট এর জন্য পড়ি। আমরা আত্তার উন্নতি এবং বাস্তব জ্ঞান অর্জন এর জন্য শিক্ষা গ্রহণ করি না। শিক্ষা গ্রহণ এর ক্ষেত্রে, যে টুকু আমাদের সিলেবাস য়ে আছে, সেই টুকই পড়ি। এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে।
৫. আমাদের শিক্ষা গ্রহণ এর সাথে সাথে প্রয়োগ এর ক্ষেত্র কম। শিক্ষা ব্যবস্তায় কারিগরি শিক্ষাকে যুক্ত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা মানুষকে যোগ্যতা সম্পন্ন করে তুলে।
৬. শিক্ষার সাথে বাস্তবের মিল ঘটাতে হবে, আমরা যে বিষয় য়ে জানবো বাস্তব য়ে কতটুল মিলে এবং আমাদের আসে পাশের পরিবেশ এর মিল আছে কিনা সে বিষয় লক্ষ্য রাখবো।
৭. যে পেশার প্রতি আগ্রহ বেশি, সেই পেশাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে, কাউকে কোন কিছুতে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
• From 1971 Bangladesh Government trying improve our education system .
• Education and occupation should be determined according to willpower as it is not a matter of hereditary continuity.
• Different professions should be chosen for economic development.
• If there is curiosity or love for any subject then the mentality is capable of making people proficient in any subject.
• When no one is able to do what is imposed, then there is an instability in the mind of man which is why he cannot be able to do it.
• Lack of technically skilled people due to unfounded mentality .
• Creating skilled manpower and expanding the scope of the workplace are both needed to eliminate unemployment.
• So atlast we can say it high time to make our country for more developing the system must be ommitted of “king’s son will be the next king”. So we have to take care about that everyone carry their own identity according to their qualifications and skill .
একটি নির্দিষ্ট পেশার প্রতি একজন মানুষের অনুপ্রেরণা ও সেটার প্রতি ভালোবাসাই পারে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর এভাবেই সে তার মাইন্ডসেট তৈরি করে নেয়।
পার্সিয়ান কবি রুমি একবার লিখেছিলো, গতকাল আমি চতুর ছিলাম, তাই আমি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। আজ আমি জ্ঞানী, তাই আমি নিজেকে পরিবর্তন করছি। তার মানে বুঝা যাচ্ছে নিজের মাইন্ডসেট তৈরি করা আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
একজন শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী, তবে তাকে যদি সেদিকে না রাখা যায় তাহলে দেশে যে পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবার কথা স্বাভাবিকভাবেই তা হবে না। কারন জোর করে কোনো কিছু করা সম্ভব না। হয়ত সে পারবে কিন্তু সে জিনিসটা আনন্দের সাথে করতে পারবে না, ভালবাসার সাথে করতে পারবে না। আর আমরা জানি পড়ালেখাটা হচ্ছে আনন্দের জায়গা, ভালবাসার জায়গা। তাই আমার মতে যার যার মাইন্ডসেট তার নিজেরি তৈরি করে নেয়া উচিত।
আজ আমার বাবা রং মিস্তিরির কাজ করে তাই বলে তার দেখাদেখি যদি আমিও রং মিস্তিরির কাজ শিখতাম লেখাপড়া না করে তাহলে আজ আমি ইন্জিনিয়ার হতে পারতাম না। তাই বলে আমার বাবার কাজকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমি কোনো কাজকেই ছোট মনে করি না। আমি বোঝাতে চেয়েছি যার যার অবস্থান থেকে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তার নিজের মাইন্ডসেট তার নিজেরি তৈরি করতে হবে। তার ঔ মাইন্ডসেটে সে যাতে আনন্দ পায়, ভালবাসা পায় সে দিকটা তার দেখতে হবে। তাহলেই সে একদিন অনেক বড় হতে পারবে।
Education Mindset
ID: 211-15-3962
GED 131
Section: PC-A
বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা প্রতিযোগিতামূলক একটা দৌড় এ পরিনত হয়েছে । সবাই যেন এক অদম্য গতিতে ছুটছে সার্টিফিকেট পাবার জন্য। এদিকে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞানের পরিসর ঘটানো যেখানে আমাদের স্কুল কলেজ এর ছাত্র ছাত্রিরা বর্তমানে শুধুমাত্র A+ পাবার জন্য পড়াশুনা করে। এতে করে দেখা যায় তাদের অনেক বিষয়ে জ্ঞানের ঘাতটি থেকে যায় যা তারা ভবিষ্যতে পুরন করতে সক্ষম হয়না। আমাদের উচিত শিক্ষাক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা। শুধু পাঠ্যপুস্তক এর জ্ঞান পর্যাপ্ত না। শিক্ষার্থীদের উচিত অন্যান্য নানাবিধ বিষয় সম্পর্কে জানা, নিজেদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আজকাল জ্ঞান অর্জনের প্রতি উদাসিন, তারা নানা অপকাজে জড়িত। সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তারা আজ ভুল পথে হাঁটছে। রাজনীতির নামেও অনেক অপকর্মে লিপ্ত তারা। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বজায় রাখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, পাঠ্যপুস্তক এর বাইরে জ্ঞানচর্চা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বজায় রাখলে আমরা শিক্ষার আসল মর্ম সাধনে সফল হব।
*পারিবারিক পেশা থেকে বের হয়ে, যে বিষয়ে আগ্রহ আছে সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
*কোন বিষয় শিক্ষা গ্রহণ এর আগে, যে বিষয় ভালোভাবে জানতে হবে। সে বিষয় এর প্রতি টান অনুভব না করলে, সে বিষয় ভালো ফলাফল করা সম্ভব না।
* যে শিক্ষা ব্যবস্তা আত্তিক উন্নতি করতে পারে না, সে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যে ব্যবস্থায় বাস্তব জীবনের সাথে সংঘর্ষ করে না।
* আমাদের মানোষিকতা এমন হয়ে গেছে, ভালো রেজাল্ট আর সারটিফিকেট এর জন্য পড়ি। আমরা আত্তার উন্নতি এবং বাস্তব জ্ঞান অর্জন এর জন্য শিক্ষা গ্রহণ করি না। শিক্ষা গ্রহণ এর ক্ষেত্রে, যে টুকু আমাদের সিলেবাস য়ে আছে, সেই টুকই পড়ি। এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে।
*আমাদের শিক্ষা গ্রহণ এর সাথে সাথে প্রয়োগ এর ক্ষেত্র কম। শিক্ষা ব্যবস্তায় কারিগরি শিক্ষাকে যুক্ত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা মানুষকে যোগ্যতা সম্পন্ন করে তুলে।
* শিক্ষার সাথে বাস্তবের মিল ঘটাতে হবে, আমরা যে বিষয় য়ে জানবো বাস্তব য়ে কতটুল মিলে এবং আমাদের আসে পাশের পরিবেশ এর মিল আছে কিনা সে বিষয় লক্ষ্য রাখবো।
Mohammad Sabbir Bhuiyan
211-50-051
dept. of ICE
Name: Khandoker Md Farhan Millat
ID : 211-50-055
Department : ICE
শিক্ষার অবনতির ফলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানচর্চার প্রতি নিবিষ্ট নয়। সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে এখনকার ছাত্ররা যতটা বেপরোয়া, উন্নত জীবনযাপনের ধান্ধায় শিক্ষকরাও ততটা বৈষয়িক হয়ে উঠেছে। এর ফলে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।অবনতি হচ্ছে নৈতিক, সামাজিক মূল্যবোধের। এসব কারণে ছাত্ররা রাজনৈতিক দলগুলোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার মানের ঘটেছে চরম অবনতি। আজকাল জ্ঞানের থেকে ডিগ্রি অর্জনের দিকে অনেকের দৃষ্টি থাকে। তাই লেখাপড়ায় ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ অনেক কমে যাচ্ছে।
শিক্ষক সমাজে রয়েছে বিভাজন, যেমন- সরকারি শিক্ষক, বেসরকারি শিক্ষক, এমপিওভুক্ত শিক্ষক, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক ইত্যাদি। এই বিভাজনের মূলে রয়েছে বেতনের বৈষম্য ও সুযোগ-সুবিধার অভাব। বেতনের বাইরে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে পরিবহন, আবাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা সীমিত। এগুলোর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
দেশে এখন শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও বেসরকারি প্রি-প্রাইমারি শিক্ষার জোয়ার এসেছে। এসব স্কুলে অযৌক্তিকভাবে আকাশচুম্বী ফি আদায় করা হয়। কিন্তু শিক্ষার মান নিুমুখী।সহজে পাস করার লোভে অনেকেই ছুটে যায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কোচিং সেন্টারের দিকে।
এসব সমস্যা সমাধানে সঠিক পরিকল্পনার পাশাপাশি উপযুক্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের হালনাগাদ প্রশিক্ষণ দিতে হবে, সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। পর্যাপ্ত বৃত্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। গরিব শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যান্য বৃত্তির সুবিধা মেধার ভিত্তিতে দিতে হবে। সর্বোপরি বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক করে গড়ে তুলতে হবে।