“শিক্ষার হেরফের” রচনাটি রাবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি প্রবন্ধ।সবই কলুষিত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে।এই প্রবন্ধতি ১৯৬০ সাল এ লেখা হলেও বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থার সাথে শতভাগ মিলে যায়। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থায় সৃজনশীল চিন্তার কোনো স্বাধীনতা বা সুযোগ নেই। এই ব্যবস্থা একজন ব্যক্তিকে জ্ঞানী গড়ে তোলার অনুমতি দেয় না। মূল কেন্দ্রবিন্দু
হয়ে যায় না শিখে মুখস্থ । এই অনুশীলনটি একটি ছোট বাক্সে একজন শিক্ষার্থীকে ভিত্তি করে। আমরা ভালো ফলাফল করার জন্য, ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি বাস্তব উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট করেছেন- আমরা মাত্র সাড়ে তিন হাত কিন্তু আমরা যতটা সম্ভব বড় একটি বাড়ি তৈরি করি। কেন? অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে। তাহলে কেন আমরা সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট সিলেবাসের দিয়ে আমাদের শেখার সুযোগ শ্বাসরোধ করি? বাংলা বইগুলো সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হলেও পর্যাপ্ত নয়। এমনকি আমাদের পাঠ অনুশীলন করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই তাই আমরা কোনমতে পড়ে শেষ করি, সারাংশটি পড়ি এবং বিষয়টি মুখস্থ করি। আমাদের মাতৃভাষায় একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি না করে আমরা ইংরেজিকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি যাতে আমরা চাকরির বাজারে একজন দক্ষ প্রার্থী হতে পারি। শেষ পর্যন্ত আমরা কোন ভাষা শিখতে পারছি না। আমাদের যতটা সম্ভব জ্ঞানার্জন এবং সংগ্রহের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। সৃজনশীল কাজের উপর কাজ করা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।