"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার করুন রুপ তুলে ধরছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শিক্ষাভাবনাকে শুধু কাগজ-কলমে রূপ দেননি, হাতে-কলমেও দেখিয়ে গেছেন।
"সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্ব-শিক্ষিত। " অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং বাস্তবিক জীবনের প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি থেকে অর্জিত শিক্ষায় সুশিক্ষা। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা। কিন্তু কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞানার্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। বলা হয়ে থাকে,জ্ঞানেই পরম আনন্দ। প্রাণহীন জ্ঞান কখনো আনন্দের হয় না। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছোট থেকেই শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে তোলে। বাল্যকাল হতে যদি ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাবশিক্ষা হয় এবং ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জীবনযাত্রা নিয়মিত হতে থাকে, তবেই আমাদের সমস্ত জীবনের মধ্যে একটা যথার্থ সামঞ্জস্য হতে পারে।
হাওয়া খেলে পেট ভরে না খাবারও খেতে হয়। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর হাওয়া খেলে হজম ভালো হয়।
Horse is a noble animal - এই ইংরেজি বাক্যটির অনুবাদ করতে গিয়েই নানারকম অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়,এর ঠিকঠাক অনুবাদ বাংলায় সম্ভব নয়। কিন্তু তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই,উদ্দেশ্য একটাই পাশ করে চাকরি জোটানো। আমরা যদি ভালোভাবে বাংলা পড়তাম তাহলে অন্তত রামায়ণ মহাভারত ভাল করে জানতে পারতাম। কিন্তু ইংরেজি শিখতে গিয়ে না হলো আমাদের জ্ঞান অর্জন না হলো খেলাধুলা, না হলো শরীর গঠন । শুধু তাই নয় শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলিত ব্যবস্থার ফলে কল্পনাশক্তি চিন্তাশক্তির বিকাশের পথও রুদ্ধ। এর ফলে শুধু সময় কাটে। চিন্তাশক্তি কল্পনা শক্তির বিকাশ সাধন ঘটে না ।
আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছে যাদের উচ্চতর ডিগ্রি আছে কিন্তু দেশের কল্যানে তেমন কিছুই করতে পারেনি। সেইজন্য,আমাদের শিক্ষা ও ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্য সাধিত হচ্ছে না। "শিক্ষার হেরফের" মুছে ফেলার জন্য আমাদের উচিত শিক্ষার জ্ঞানটাকে বিস্তৃত করা এবং একজন সঠিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা।
MD TOUFIQUR RAHMAN
ID: 201-10-553
Section: 16th, PC-B