মাইন্ডসেটআপ সফলতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমাদের একটা ধারণা থাকে পূর্বপুরুষ যা করে পরবর্তী প্রজন্ম তাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে।এতে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ থাক বা না থাক।যেমন কোন ময়রা যদি মিষ্টি ভালো বানিয়ে থাকে তবে তার ছেলের যদি প্রশিক্ষণ না থাকে তাও আমাদের একটি ধারণা থাকে তার ছেলের মিষ্টি ও ভালই হবে । এরকম এক প্রকার ধারনাতেই আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে।কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত যদি এটি ঘটে থাকতো তবে পেশার বৈচিত্রতা কোনদিন ঘটতো না । বাংলা একটি কবিতার আছে সেখানে ছেলে তার মাকে বলছে,মা রাজি হলে সে খেয়া ঘাটের মাঝি হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে তার পূর্বপুরুষ মাঝি ছিল যার ফলে মাঝি হওয়াতে তার মাইন্ডসেটআপ হয়ে গেছে। এতে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু কাজের প্রতি তার আগ্রহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আছে যা দক্ষতা তৈরি পূর্বশর্ত। আমাদের ছাত্ররা লেখাপড়া করছে এক বিষয়ে কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি করছে অন্য কাজে। তাদের মধ্যে মাইন্ডসেট নেই কারণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য চাকরি করা যার ফলে কেউ বা ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনে চলে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের দেশে যখন কোনো দরকার হয় তখন বিদেশ থেকে লোক এনে সে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের মাইন্ডসেট বা মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না। কারণ তাদের মধ্যে চাকরি করার এক প্রকার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি চাকরির প্রতি আগ্রহী না করে বরং উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হতো তবে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। এবং তখন তারা মাইন্ড সেটআপ করতে পারত আর এর জন্য উচিত চাকুরী দানকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী গ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা।