অদ্ভুত এক একাকিত্বের মোহময়তা ঘিরে থাকে আমাদের জীবনে সারাক্ষণ জুড়ে.তাই নিয়ে আমরা বাঁচি আশায় ঘর বাধি ভালোবাসায়.একদিন শিশুটি জন্মগ্রহণ করে একা, ভালোবাসার উষ্ণতা ছড়াতে শুরু করে চার পাশ জুড়ে মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-সজন, ছোট্ট শিশুটিকে সারাক্ষণ আগলে রাখে,শিশুটি বড় হয় আদরে, আনন্দে, স্বপ্নরা জাল বুনে প্রতিনিয়ত.কৈশোরে স্বপ্ন দানা বাঁধে, ছোট থাকার আর বড় হওয়ার মাঝামাঝি একটা অবস্থানে,
যৌবনের শুরুতে এক ধরনের একাকিত্ব ভালোবাসতে শুরু করে মানুষ, নিজের একটা জগৎ চায় নিজের স্বপ্নের সবুজ প্রান্তরে ভালোবাসার সবুজ ঘাস দখিনা বাতাসে দোল খেতে থাকে,একদিন সেই ঘাসে ফুল ফোটে, একজন মানুষ আসে তার জীবনে.একলা থেকে দুজন, এই বুঝি কাম্য ছিল জীবনে, আনন্দে কেটে যায় আরও কিছুটা সময়. আবার একাকিত্ব ভর করে, কি যেন নেই, কে যেন নাই দুজনের মাঝে।
আবার আরও একজন, দুজন, কখনো বা তিনজন আসে দুজনের মাঝে জীবন চক্রে অতিথিরা বেড়ে উঠতে থাকে, ওরাও স্বপ্ন দেখে, ভালোবাসার বীজ বুনে,নতুন অতিথিরা যে যার মতো তার সঙ্গী নিয়ে দূরে চলে যায়, ঠিক পাখিদের মতো.মাঝে মাঝে সন্তানদের ফোন কল, নাতি নাতনিদের কলকাকলি, ব্যস আবার তারা সব হাওয়ায় মিলিয়ে যায় শুধু দুজনে দুজনের মুখোমুখি, বেলা বয়ে যায়, কঠিন সময়ে অনেক কাছের মানুষটিও এক সময় হারিয়ে যায়.এইবারে একদম একা হয়ে যায় মানুষ, সেই যে যেমনি একলা এসেছিল তেমনি করে.আসলে আমরা মানুষ একা, একদম একা। মাঝের পরিজন পারিপার্শ্বের সাহচর্যময় মধুর সময়গুলো সত্যিই আমাদের জীবন চক্রের এক মহা মূল্যবান অধ্যায়.