Juayria Islam
201-10-593
Section : pc - B
রাবিন্দ্রনাথ তার শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধে প্রচলিত শিক্ষার ত্রুটি এবং প্রকৃত শিক্ষার স্বরুপ কেমন হওয়া উচিৎ সেই বিষয়ে আলোচনা সমালচনা করেছেন। মানুষ শুধু তার অত্যাবশ্যক বিষয় গুলো পূরণ করে বসে থাকবে না বরং সে নতুন নতুন বিষয়ে নিজেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করে জীবনকে বৈচিত্র্যময় করবে এমনটাই তার লক্ষ হওয়া উচিৎ। শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যও তেমন নির্দিষ্ট সিলেবাস কেন্দ্রীক না হয়ে রবং স্বাধীন, অবাধ, চিন্তাবর্ধক এবং আনন্দময় হতে হবে। যাতে মানুষ হিসেবে মানুষিক গঠন পূর্ণতা পায়, বয়সের সাথে মানবিক বিকাশ সাধিত হয় এবং বয়সের সাথে বৃদ্ধির সামঞ্জস্যতা বজায় থাকে। মুখস্ত বিদ্যা এবং সিলেবাসিক পড়াশোনায় চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি বিকাশের ব্যপক দৈন্যতা বিদ্যমান। তাই ছোট বেলা থেকেই এই দুই বিষয়ে মুক্ত জ্ঞানার্জন এবং চর্চা করা অত্যাবশ্যক। রবিন্দ্রথাথ ঠাকুর মানুষের শিক্ষাকে কংক্রীটের দেয়াল তৈরীর সাথে তুলনা করেছেন যেখানে প্রত্যেকটি ধাপের সাথে পরবর্তী ধাপের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ইমারত তৈরী হয়। তেমনি শিক্ষার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধাপের সাথে পারস্পরিক মেলবন্ধন বা মিশ্রণ থাকা অত্যাবশ্যক বলে তিনি মনে করেন। বিদেশি ভাষায় অধ্যয়নে অহংকার থাকলেও তাতে আন্তরিকতা থাকে না বলে তা শেখা এবং না শেখার মাঝামাঝি ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তার থেকে বরং স্ব স্ব ভাষায় জ্ঞানার্জন শ্রেয়। সুতরাং জীবনের বিরাট একটি পর্যায় আমরা যে শিক্ষা অর্জন করি তা এমন হওয়া উচিৎ যা হবে স্বাধীন, অবাধ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, মানবিক, আন্দময়, চিন্তা এবং বুদ্ধির বিকাশে সাহায্যকারী, কল্পনার যগৎ সৃষ্টিকারী, সৃজনশীলতা সৃষ্টিকারী, সমন্বয়ক। তাহলেই শিক্ষা আমাদের বাস্তব জীবনে প্রকৃত কাজে আসবে।